বিষ্ণু প্রসাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষ্ণু প্রসাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
প্রাতিষ্ঠানিক মনোগ্রাম
অবস্থান
মানচিত্র
,
৫০০০,

তথ্য
ধরনসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নীতিবাক্যশান্তি, শৃঙ্খলা, একতা
প্রতিষ্ঠাকাল১ জানুয়ারি ১৯৪৪; ৮০ বছর আগে (1944-01-01)
প্রতিষ্ঠাতাজমিদার বিষ্ণু প্রসাদ
অবস্থাসক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর
বিদ্যালয় জেলাপঞ্চগড় জেলা
সেশনজানুয়ারি–ডিসেম্বর
ইআইআইএন১২৬০৫৪
প্রধান শিক্ষকমোঃ সাইফুল্লাহ
অনুষদবিজ্ঞান
শিক্ষকমণ্ডলী৪৬
শ্রেণী৬ষ্ঠ–১০ম
লিঙ্গবালক
ভাষাবাংলা
শিক্ষায়তন৩.০৭ একর
ক্যাম্পাসের ধরনশহুরে
রংসাদা এবং খাকি         
ডাকনামবি. পি. হাই স্কুল
ওয়েবসাইটbpschool.edu.bd

পঞ্চগড় বিষ্ণু প্রসাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (সংক্ষেপে: বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) পঞ্চগড় জেলা শহরে অবস্থিত জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়টি ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪৪ সালে তৎকালীন পঞ্চগড়ের জমিদার বিঞ্চুপ্রসাদ সেন স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয় এবং নাম হয় বিষ্ণু প্রসাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১১ সালে দুই শিফট চালু হয়। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর এর অধীনে ১২৬০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।[২]

শ্রেণি, বিভাগ ও শাখা সমূহ[সম্পাদনা]

বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ৫টি ক্লাসে মোট ২০টি শাখা রয়েছে। এরমধ্যে প্রভাতী শিফটে ১০টি এবং দিবা শিফটে ১০টি শাখা রয়েছে।[৩]

  • ৬ষ্ঠ শ্রেণি;
  • ৭ম শ্রেণি;
  • ৮ম শ্রেণি;
  • ৯ম–১০ম শ্রেণি; বিভাগ: বিজ্ঞান

ইউনিফর্ম[সম্পাদনা]

  • সাদা শার্ট     , খাকি প্যান্ট      এবং সাদা কেডস্     

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে শুধুমাত্র ছেলেদের অধ্যয়নের সুযোগ থাকে। পূর্বে, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রতি বছর নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসে শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতো। ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তথ্য ১ম ও ২য় মেধাতালিকায় এবং ১ম ও ২য় অপেক্ষমান তালিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হতো। ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষাবর্ষে করোনা ভাইরাসের অতিমারির কারণে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

ফলাফল[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পাশের হার ১০০%।[৪]

খেলাধুলা ও সহপাঠ্যকর্ম[সম্পাদনা]

শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য একটি মাঠ রয়েছে, যা মূল ভবনের সামনেই অবস্থিত। মাঠটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তঃশ্রেণী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনে ব্যবহৃত হয়।

ল্যাবরেটরি[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, কম্পিউটার, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য রয়েছে ল্যাব। এসব ল্যাবে বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক বিষয়ে জ্ঞান লাভের জন্য এসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়।

গ্রন্থাগার[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টিতে রয়েছে বিশাল একটি গ্রন্থাগার। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নামী-দামী কয়েক হাজার বই। শিক্ষার্থীরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে বসে পড়তে পারে এবং তাদের পছন্দের বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়ি নিয়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

বছরজুড়েই বিদ্যালয়ে নানা রকম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পালন করা হয়। শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, জাতির জনকের জন্মদিন ও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়। বর্ষবরণ, বাসন্তী উৎসব ইত্যাদি নানা রকম অনুষ্ঠান ছাত্র-শিক্ষক সম্মিলিতভাবে পালন করে। এছাড়াও প্রতি বছরই আয়োজিত হয় শিক্ষা সফর।

সংঘ[সম্পাদনা]

এ বিদ্যালয়ে ০৩টি সংগঠন আছে।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]