পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
পঞ্চগড় পৌরসভা, পঞ্চগড় সদর উপজেলা, ৫০০০ বাংলাদেশ | |
তথ্য | |
প্রাক্তন নাম | জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয় পঞ্চগড় |
ধরন | সরকারি বিদ্যালয় |
নীতিবাক্য | পড় তোমার সৃষ্টিকর্তার নামে |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৬ |
বিদ্যালয় বোর্ড | দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড |
ইআইআইএন | ১২৬০৫৫ |
প্রধান শিক্ষক | মোঃ মাহামুদুল হক |
কর্মকর্তা | ২৪ |
অনুষদ | ২ |
শ্রেণী | ৬ষ্ঠ-১০ম |
লিঙ্গ | মেয়ে |
ভর্তি | প্রায় ১২০৫ জন |
ভাষা | বাংলা |
শিক্ষায়তন | ০.৭৭ একর |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহরাঞ্চলীয় |
রং | নীল ও সাদা |
ওয়েবসাইট | https://pgghs.edu.bd |
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পঞ্চগড় জেলায় অবস্থিত স্বনামধন্য একটি বিদ্যালয়। ১ জানুয়ারি ১৯৫৬ সালে পঞ্চগড় শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮১ সালে এটি জাতীয়করণ করণ করা হয়। বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে। বিদ্যালয় প্রভাতি এবং দিবা - এই দুই শাখায় পরিচালিত হয়। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নীতিমালা অনুসরণ করে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়।
অবস্থান[সম্পাদনা]
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পঞ্চগড় সদর উপজেলার পঞ্চগড় শহরের কেন্দ্রেই অবস্থিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৫৬ সালে অএ এলকার কয় একজন শিক্ষা অনুরাগী চিন্তার ফসল হিসাবে জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয় নামে পথচলা শুরু হয়। যাদের মর্ধ্যে অন্যতম মরহুম খন্দকার আব্দুল মজিদ - সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, ডোকরোপাড়া পঞ্চগড়, মরহুম সোফিয়া খাতুন - ডোকরোপাড়া, পঞ্চগড়, মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দোহা রবি - ডোকরোপাড়া, পঞ্চগড়, মরহুম আল হাজ্জ নফীর উদ্দীন - মসজিদপাড়া, পঞ্চগড়, মরহুম রহমান আলী - মসজিদপাড়া, পঞ্চগড় ইনারা সবাই অএ বিদ্যালয়ের জমিদাতা। পরে ১৯৬৭ সালে বিদ্যালয়টি উচ্চ বিদ্যালয় নামে অনুমোদন পায় এবং সুদীর্ঘ পরিক্রমায় ০১/০৪/১৯৮১ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়।
অবকাঠামো[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমান- ০.৭৭ একর। বিদ্যালয়ের ভবন সংখ্যা ৩টি। একটি L আকৃতির দ্বিতলবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন যা উওর এবং পশ্চিম দিকে বিস্তৃত। দ্বিতীয় টি প্রশাসনিক ভবন। যা দক্ষিন-পূর্ব কোণায় অবস্হিত এবং এটিও L আকৃতির ভবন। অপর টি দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় অবস্হিত এবং ৪তলা বিশিষ্ট ছাএী নিবাস যেটি তে ৭০ জন ছাএীর আবাসিক ব্যাবস্থা রয়েছে। অতি সম্প্রতি বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন পূর্ণ নির্মাণ করে ৬ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মানেরর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পোশাক[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়ের ছাএীদের জন্য নির্ধারিত ইউনিফর্ম রয়েছে। বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম হচ্ছে সাদা সালোয়ার, আকাশী নীল কামিজ, সাদা উড়না, সাদা স্কার্ফ ও সাদা এপ্রোন এবং সাদা কেডস। প্রভাতী ও দিবা শাখার ছাএীদের জন্য আলাদা আলাদা ফিতা ওয়ালা পরিচয় পত্র ও ব্যাজ রয়েছে।
শিক্ষা পদ্ধতি[সম্পাদনা]
এই বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। প্রতিটি শ্রেণী বিভিন্ন শিফট ও শাখায় বিভক্ত। বিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান ও মানবিক শিক্ষা শাখা চালু আছে। বিদ্যালয়টি যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হতে পারে সে জন্য প্রতি বছরই ষষ্ঠ শ্রেণীতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর নীতিমালা অনুসরণপূর্বক জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ২৪০ জন ছাএী পরীক্ষার মার্ধ্যমে নির্বাচিত করা হয়। ভর্তি পরিক্ষায় সর্ম্পূন সচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হয় এবং প্রয়োজনীয় কোটা অনুসরণ করা হয়। তবে গত ৩ বছরে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীতে সরকারি সিধান্ত অনুযায়ী অনলাইনের মার্ধ্যমে আবেদন এবং লটারির মার্ধ্যমে ছাএী ভর্তি করা হয়।
শ্রেণি ও শাখা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান ও প্রতিবছর ঈর্ষনীয় সফলতার কারণে রংপুর বিভাগের উল্লেখযোগ্য বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি বিবেচনা করা হয়। বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণিতে ২টি করে শাখা বিদ্যমান এবং প্রতিটি শাখায় গড়ে ৬০-৬৪ জন ছাত্রীর পাঠদান হয়। বিদ্যালয়টিকে ২০১১ সাল থেকে প্রভাতী ও দিবা দুইটি শিফটে ভাগ করে পাঠদান কর্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রভাতী শিফট সকাল-০৭.০০ টা থেকে সকাল-১২.০৫ মিনিট পজন্ত এবং দিবা শিফট দুপুর-১২.২০ মিনিট থেকে বিকাল-০৫.২৫ মিনিট পজন্ত চলে।
শ্রেণিভেদে প্রতি শিফটের শাখাগুলো-
শিফট | ষষ্ঠ | সপ্তম | অষ্টম | নবম | দশম |
---|---|---|---|---|---|
প্রভাতী (শাখা) | ২টি | ২টি | ২টি | ২টি | ২টি |
দিবা (শাখা) | ২টি | ২টি | ২টি | ২টি | ২টি |
শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]
সমাবেশ[সম্পাদনা]
প্রতিদিন প্রত্যেক শিফটের শুরুতে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে প্রাত্যহিক সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে ছাত্রীদের মধ্যে একজন পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত এবং তারপর গীতা পাঠ করে আরেকজন ছাত্রী। তারপর সকল ছাত্রীরা একসাথে শপথ বাক্য পাঠ করে এবং জাতীয় সঙ্গীত গায়। তারপর শারীরিক চর্চার শিক্ষক ছাত্রীদের কিছু কসরত করান। সমাবেশে সকল ছাত্রীদের থাকা বাধ্যতামূলক।
ডিজিটাল ক্লাস[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়ের ২টি কক্ষে মাল্টিমিডিয়া সংযোজন করা আছে। সপ্তাহের ৫ দিন প্রত্যেক শ্রেণী কে এক দিন এক দিন করে ক্লাস করানো হয়।
টিফিন[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিফটে ছাত্রীদের জন্য উপযুক্ত সময়ে মান সন্মত খাবার পরিবেশন করা হয়।
সহ-শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]
ধর্মীয় উৎসব[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মর্ধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত করতে প্রতি বছরে মুসলিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হিন্দু শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি বছর সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়।
বার্ষিক ক্রীড়া[সম্পাদনা]
প্রতি বছর ছাত্রীদের নিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া সপ্তাহ ও বার্ষিক ক্রিয়া পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং উর্ধতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ কে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সংস্কৃতি[সম্পাদনা]
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য বিদ্যালয়ের বেশ সুনাম রয়েছে। প্রতি বছর বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক ও চিএাঅংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্থানীয়, জেলা পর্যায়, বিভাগীয় পর্যায় ও জাতীয় পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করে।
বির্তক[সম্পাদনা]
অত্র বিদ্যালয়ে একটি বির্তক ক্লাব রয়েছে। যারা প্রতি বছরে একই শ্রেণীর ছাত্রীদের মাঝে নিয়িমিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এছাও আন্তঃ স্কুল ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন বির্তক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে বিজয় লাভ করে আসছে।
সংবর্ধনা[সম্পাদনা]
প্রতিবছর জেএসসি ও এসএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রীদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্হিত থাকেন স্থানীয় সাংসদ ও জেলার গর্ন্য মার্ন্য ব্যাক্তিবর্গ।
শিক্ষক অভিভাবক মতবিনিময় সভা[সম্পাদনা]
প্রতি বছর অষ্টম ও দশম শ্রেণী ছাএীদের অভিভাবক দের নিয়ে বছরে ২বার মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয় এবং সাময়িক পরিক্ষার উত্তরপত্র অভিভাবক দের দেখানো হয়।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- বিষ্ণু প্রসাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ
- পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ
- অলদিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়