আলাপ:সশস্ত্র বাহিনী দিবস (বাংলাদেশ)
আলোচনা যোগ করুনএই পাতাটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস (বাংলাদেশ) নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
শব্দ পরিবর্তন
[সম্পাদনা]"১৯৭১ সালের এদিনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় একযোগে হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে।" - এই ব্যাকটি এভাবে হওয়া উচিৎ: "১৯৭১ সালের এদিনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী একযোগে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতায় হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে।" আমার আপত্তি "ভারতীয় মিত্রবাহিনী" শব্দটি নিয়ে। কারণ ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর যে যৌথ কমান্ড তৈরী হয়েছিল নভেম্বরে তাকেই মিত্র বাহিনী (Allied Force) বলে। শুধু ভারতীয় বাহিনীকে "মিত্র বাহিনী" বলা হয় না। -ধন্যবাদ সোহাগ (আলাপ) ১১:১৬, ২১ নভেম্বর ২০১২ (ইউটিসি)
- বাক্যটির প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধের জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সংশোধন করা হয়েছে। কোনরূপ আপত্তি থাকলে জানান। ধন্যবাদ সহযোগে - সুব্রত রায় (আলাপ) ১৪:২৯, ২১ নভেম্বর ২০১২ (ইউটিসি)
নিবন্ধ সম্পাদনা
[সম্পাদনা]আপনি ভূমিকাংশ থেকে তথ্যসূত্র সহযোগে গড়া একটি বাক্য অপসারণ করেছেন ( Armed Forces Day (Bangladesh)) এবং সম্পাদনা সারাংশে (মারাত্মক ভুল তথ্য ও সূত্র অপসারণ) লিখেছেন। বোধকরি বাক্যটি হতে পারতো - "১৯৭১ সালের এদিনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী একত্রে গঠিত হয় ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী নামে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে এ বাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একযোগে হানাদার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ চালায়।" যদি এটি মারাত্মক ভুল তথ্য হয়, তাহলে সঠিক তথ্যটি কি হতে পারে এবং তা উপস্থাপন করার প্রয়োজন রয়েছে!
বর্তমান সংস্করণে শুধুমাত্র [সশস্ত্র বাহিনী দিবস সাংবার্ষিকভিত্তিতে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে পালন করা হয়। ..] বাক্যটি রয়েছে। কেন পালন করা হয়? সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার ভিত্তি কি? কেন, কোথায় প্রতিষ্ঠিত/গঠিত হয়েছে? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর বাক্যটির পরপরই অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন। ধন্যবাদ সহযোগে - সুব্রত রায় (আলাপ) ১৩:২৩, ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ (ইউটিসি)
- করা হবে। আগে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। - Faizul Latif Chowdhury (আলাপ) ১৩:৩৭, ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ (ইউটিসি)
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২১ নভেম্বর।। দিনটির তাৎপর্য ও ইতিহাস।
[সম্পাদনা]২১ নভেম্বর, সশস্ত্র বাহিনী দিবস। কিন্তু ২১ নভেম্বর কেন? আসুন, দিবসটির ইতিহাস জানি ও এর তাৎপর্য আলোচনা করি....
১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আক্রমণের সূচনা করে।
নভেম্বরের শুরু থেকে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা বয়রা সীমান্তের কপোতাক্ষ নদ পার হয়ে যশোরের চৌগাছার জগন্নাথপুর-গরীবপুর রণাঙ্গনে প্রবেশ করেন এবং নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেন।
২১ নভেম্বর সকাল থেকে শুরু হয় ভয়াবহ সম্মুখ যুদ্ধ! পাকিস্থানীরা বিমান হামলা শুরু করে। পাকিস্থানি ৪টি স্যাবরজেট্ মুক্তি বাহিনীর অবস্থানে আসা মাত্রই ভারতীয় সীমান্ত থেকে মিত্র বাহিনীর ৫টি জঙ্গি বিমান উড়ে এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। ২টিকে গুলি করে ভূপাতিত করে এবং ১টিকে বন্দি করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। অপর বিমানটি পালিয়ে যায়।
একই সাথে চলে ট্যাংক যুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের পোঁতা মাইনে অথবা মিত্রবাহিনীর কামানের আঘাতে ১৬ টি পাকিস্তানি শ্যাকি ট্যাংকের ১৩টি ধ্বংস হয়, ৩ টি ট্যাংক মুক্তিযোদ্ধারা দখল করেন।
২ দিন ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের গোলাবারুদ শেষ পর্যায়ে চলে আসে। উপরন্তু উভয় পক্ষ এত কাছাকাছি চলে আসে যে প্রতিপক্ষকে চিহ্নিত করে গুলি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন শুরু হয় ব্যাপক মল্লযুদ্ধ!
বেয়নেট, ছোরা, হাতাহাতি মল্লযুদ্ধ চলাকালে জগন্নাথপুর, গরীবপুর, জাহাঙ্গীরপুর, পাশাপোল, দশপাখিয়া, বুড়িন্দিয়া, বাড়িয়ালী গ্রামের বাঙালীরা দা, শাবল, কোদাল, বাঁশের লাঠি নিয়ে ছুটে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর। পাকিস্তানিরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এলাকার মা-বোনেরা পলায়নরত পাকিস্তানিদের ধরে ধরে ঝাঁটাপেটা করেন।
৯৬ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। ২২ নভেম্বর অস্ত্রশস্ত্র ফেলে বাকি পাকিস্তানি সৈন্যরা যশোর সেনানিবাসে বা খুলনার শিরোমণিতে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে জগন্নাথপুরের নাম রাখা হয় 'মুক্তিনগর'!
মুক্তিনগর-গরীবপুরের এই যুদ্ধে সর্বপ্রথম মুক্তিবাহিনীর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সদস্যরা সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২১ নভেম্বর, সশস্ত্র বাহিনী দিবস নির্ধারণ করা হয়। মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনী ও মল্লযুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালীদের মধ্যে ৫৭ জন শহীদ হন!
'সশস্ত্র বাহিনী দিবসে' বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি ৭১ এর সকল শহীদ প্রাণের প্রতি। 103.230.104.56 (আলাপ) ১৩:২৩, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)