আলাপ:মহাকর্ষীয় অদ্বৈত অবস্থান

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: সুমিত রায় কর্তৃক ৪ বছর পূর্বে "শিরোনাম" অনুচ্ছেদে

শিরোনাম[সম্পাদনা]

টিক-চিহ্ন
এই সাহায্যের আবেদনটির উত্তর প্রদান করা হয়েছে। আপনার যদি আরও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে আপনি আপনার আলাপ পাতায় আরেকটি প্রশ্ন করতে পারেন, অথবা আপনি সাহায্যকারী ব্যবহারকারীর আলাপ পাতায় সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন।

অ-ঘুর্ণায়মান কৃষ্ণগহ্বরের singularity বা অদ্বৈত বিন্দু বলয় বা ring এর আকারের হয়ে থাকছে, অর্থাৎ অদ্বৈত বিন্দু বিন্দু না হয়ে বলয়াকার হয়। বিভিন্ন আকার ধারণের জন্য Singularity এর পরিভাষা হিসেবে "অদ্বৈত বিন্দু"-কে যথার্থ বলে মনে হচ্ছে না। তাই singularity এর বাংলা পরিভাষা হিসেবে "অদ্বৈত বিন্দু" এর পরিবর্তে "এককত্ব" বা অন্য কিছু ব্যবহার করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সুমিত (আলাপ) ০৫:৫৮, ১৬ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

@Zaheen: --আফতাবুজ্জামান (আলাপ) ১৬:৫৮, ১৬ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@সুমিত রায়: ব্যাপারটা সামান্য ঘোলাটে। এখানে "বিন্দু" পরিভাষাটা গণিত থেকে ধার করা হয়েছে। আসলে তো কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে কী হচ্ছে, তার আকৃতি কী রকম তা ঠিক করে কেউই এখনও বলতে পারেনি; কারণ সেটাতো স্থান-কালের বাইরের জিনিস। এ নিয়ে অনেক তর্ক হচ্ছে। "বিন্দু" পরিভাষার ব্যবহার এখানে তাত্ত্বিক ও প্রতীকী। singularity-কে বোঝাতে "অবস্থান", "অঞ্চল", ইত্যাদি পরিভাষাও ব্যবহার করা যায়, যেমনটা ইংরেজিতে বিভিন্নখানে করা হয়েছে (location বা region বা somewhere in space-time), কিন্তু ইংরেজিতে singularity-র সংজ্ঞা বা বর্ণনা দিতে গিয়ে point পরিভাষাটাও প্রচুর ব্যবহার করা হয়, সম্ভবত গণিতের কথা চিন্তা করেই। আপনি যে "ঘূর্ণায়মান কৃষ্ণগহ্বর" জিনিসটার কথা বলছেন, সেটা তো একটা মোটামুটি সাম্প্রতিক তাত্ত্বিক কল্পনা, যার singularity-টা তাত্ত্বিকভাবে বলয়াকার। সেটা ঠিক আছে, কিন্তু সেটাতো একটা খুবই specific ব্যাপার, এবং এগুলি আদৌ বাস্তবে আছে কি না তার কোনও প্রমাণ নেই। আমার মতে singularity নিবন্ধে সাধারণ পরিভাষাতে "বিন্দু" রাখলে কোনও সমস্যা নেই। আরেকটা কথা হল "-ত্ব" প্রত্যয় দিয়ে বাংলাতে বিশেষত পদার্থবিজ্ঞানে বা গণিতে এক ধরনের পরিমাপযোগ্য "ধর্ম" বা "বৈশিষ্ট্য" বোঝানো হয়, যেমন - ঘনত্ব, দূরত্ব, ইত্যাদি। কিন্তু এখানে singularity কোনও পরিমাপযোগ্য ধর্ম নয়, বরং গাণিতিক বা তাত্ত্বিক কল্পনায় বিন্দুবৎ একটি জিনিস, তাই আপনার প্রস্তাবিত "এককত্ব" বললে ঠিক মানায় না। আমার মতে "অদ্বৈত বিন্দু" মোটামুটি চলনসই পরিভাষা; কেবল ঘূর্ণায়মান কৃষ্ণগহ্বরের জন্য পুরো পরিভাষা পাল্টানোর কোনও মানে হয় না। বরং "ঘূর্ণায়মান কৃষ্ণগহ্বর" ও এর "বলয়াকার singularity"-র ব্যাপারটা (অদ্বৈত বলয়?) একটা পরিচ্ছেদে একটা specific ব্যতিক্রমী তাত্ত্বিক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে singularity-কে তাত্ত্বিক গাণিতিক বিন্দু হিসেবেই কল্পনা করা হয়েছে, তাই এখানে "বিন্দু" বলতে আমার তেমন আপত্তি নেই। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২৩:৪৪, ২৮ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আমি আরও ঘেঁটে দেখলাম। ঘূর্ণায়মান কৃষ্ণগহ্বর-ই মূল কৃষ্ণগহ্বর মডেল, ব্যতিক্রম নয়। এগুলিই মহাবিশ্বে বেশি দেখা যায়। তাত্ত্বিকভাবে এগুলির বলয়াকার singularity থাকার কথা, বিন্দু নয়। ব্যাপারটা আবার ঘোলাটে হয়ে গেল। তাহলে ঐতিহাসিক "শোয়ার্জশিল্ড" মডেলের "অদ্বৈত বিন্দু"-র পরিবর্তে "কার" মডেলকে প্রাধান্য দিয়ে "অদ্বৈত অঞ্চল" বা "অদ্বৈত অবস্থান" জাতীয় কিছু বলা ভাল না কি? --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০০:২০, ২৯ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"অদ্বৈত অবস্থান"কেই অধিকতর সঠিক বলে মনে হচ্ছে। অদ্বৈত বিন্দু বা এককত্বের স্থলে জায়গায় অদ্বৈত অবস্থান নাম দিলেই ভাল হয়। আরেকটা কথা বলতে চাই, সেটা হল বিগ ব্যাং এর পূর্বে যে প্রাথমিক অদ্বৈত অবস্থানের ব্যাপারে কল্পনা করা হয় আধুনিক গবেষণা অনুসারে সেটার আকারও বিন্দু নয়। সুমিত (আলাপ) ০৪:১৭, ২৯ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@সুমিত রায় এবং আফতাবুজ্জামান: আলোচনা অনুযায়ী আমি নিবন্ধের শিরোনাম অধিকতর সঠিক "অদ্বৈত অবস্থান"-এ সরিয়ে দিলাম। নিবন্ধের ভেতরেও ঠিক করে দিয়েছি। সুমিত আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন, ছোটখাটো কোন ভুল থাকতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:১৮, ২৯ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
আরেকটা ব্যাপার। এমনিতে ইংরেজি উইকি থেকে অনুবাদ সুন্দর হচ্ছে। তারপরেও আমার মনে হয় বিশেষ পরিভাষার আধিক্যের কারণে নিবন্ধের বর্তমান ভাষা অনেক কঠিন ও দুর্বোধ্য। ইংরেজি উইকির মূল নিবন্ধের ভাষাই এরকম বলে এরকম হয়েছে। এটাকে ভবিষ্যতে যথাসর্বোচ্চ সম্ভব সহজবোধ্য করার কথাটা মাথায় রাখার অনুরোধ করছি। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১১:২৪, ২৯ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে সম্পাদনা করে সহজবোধ্য করার চেষ্টা করব। সুমিত (আলাপ) ০৫:৫৭, ৩০ মে ২০১৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন