তালেবান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rameshngbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট পরিবর্তন সাধন করছে: sv:Taliban
MelancholieBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: pnb:طالبان
৮৪ নং লাইন: ৮৪ নং লাইন:
[[no:Taliban]]
[[no:Taliban]]
[[pl:Talibowie]]
[[pl:Talibowie]]
[[pnb:طالبان]]
[[ps:طالبان]]
[[ps:طالبان]]
[[pt:Taliban]]
[[pt:Taliban]]

১০:০৮, ১৮ আগস্ট ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তালিবান
طالبان
নেতামোল্লা মুহাম্মাদ উমার
মোল্লা উবাইদুল্লাহ আখন্দ (ধৃত)
অপারেশনের তারিখ১৯৯৪-এর সেপ্টেম্বর থেকে
সক্রিয়তার অঞ্চলআফগানিস্তান এবং পাকিস্তান
মতাদর্শইসলামী মৌলবাদ এবং পশতুন জাতীয়তাবাদ
মিত্র আল-কায়িদা
হিজ্‌ব-ই-ইসলামি গুলবুদ্দিন
ওয়াজিরিস্তানের ইসলামী আমিরাত
উজবেকিস্তানের ইসলামী আন্দোলন
বিপক্ষ Iran
 Afghanistan
আফগানিস্তান নর্দার্ন অ্যালায়েন্স
আইএসএএফ (ন্যাটো পরিচালিত)
অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধআফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ (১৯৯২ - ২০০১), আফগান যুদ্ধ (২০০১ - বর্তমান) এবং ওয়াজিরিস্তান যুদ্ধ (২০০৪ - ২০০৬)

তালিবান (পশতু ভাষায়: طالبان, তালেবান-ও ব্যবহৃত হয়) সুন্নি ইসলামী এবং পশতুন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এই আফগানিস্তানে এই আন্দোলনের নেতারা ক্ষমতাসীন ছিলেন। ২০০১ সালে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স এবং ন্যাটো দেশগুলো কর্তৃক পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সেদেশে তালিবান শাসনের অবসান ঘটানো হয়, তালিবান নেতারা অনেকেই বন্দি হন, বাকিরা পালিয়ে যান। "তালিবান" শব্দের অর্থ "ছাত্র"। বর্তমানেও দৃঢ় চেতনার অধিকারী তালিবান সমর্থকেরা পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের উপজাতীয় অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আফগান সরকার, অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম-এ অংশগ্রহণকারী ন্যাটো সৈন্যবাহিনী এবং ন্যাটো পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স ফোর্সের (আইএসএএফ) বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

তালিবান আন্দোলনের প্রধান ছিলেন মোল্লা মুহাম্মাদ উমার। উমারের পরেই ছিল সামরিক কমান্ডার ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি মিশ্র ইউনিটের অবস্থান। এর পরে স্থান ছিল পদমর্যাদা অনুযায়ী পাকিস্তানের বিভিন্ন ধর্মীয় বিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণকারী ব্যক্তিদের। দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন অঞ্চল ও পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু অঞ্চলে তালিবান আন্দোলন সবচেয়ে ব্যাপক রূপ ধারণ করেছিল। এছাড়াও ইউরোপচীন থেকে কিছু স্বেচ্ছাসেবক এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তালিবানরা বিভিন্ন উৎস থেকে ভারী অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা লাভ করেছিল। পাকিস্তান সরকার বিশেষত ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স তালিবানদের সহায়তার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের জন্য নির্মীত মাদ্রাসাগুলো থেকে অনেকেই সশস্ত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। এই মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিল জামিয়াত উলামা-ই-ইসলাম

পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তালিবনরা আফগান রাজধানী কাবুলে ক্ষমতাসীন ছিল। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র তিনটি দেশ তাদেরকে স্বীকৃত দিয়েছিল: পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। মানবাধিকার লংঘনের জন্য আফগানিস্তান জাতিসংঘের স্বীকৃতি হারিয়েছিল এবং ইরান, ভারত, তুরস্ক, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্য এশিয়ার অদিকাংশ দেশ তালিবান শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং তালিবান বিরোধী আফগান নর্দার্ন অ্যালায়েন্সকে সাহায্য করেছিল।

ক্ষমতায় থাকার সময় তালিবানরা এযাবৎ কালের সবচেয়ে কটোর মুসলিম শরিয়াহ্‌ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল। নারীদের প্রতি বিরূপ আচরণের জন্য তারা আন্তর্জাতিক মহলে অনেক নিন্দিত হয়েছিল। নারীদের বোরকা পরতে বাধ্য করা হতো, আট বছর বয়সের পর তাদেরকে চাকরি বা শিক্ষা লাভ করতে দেয়া হতো না। যারা পড়তে চাইতো তাদেরকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যালয়ে পাঠানো হতো এবং কারও সাথে অনৈসলামিক অবস্থায় ধরা পড়লে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো। পুরুষ ডাক্তররা তাদেরকে চিকিৎসা করতে পারতো না। একান্তই করাতে হলে, সাথে করে কোন পুরুষ আত্মীয় বা স্বামী নিয়ে আসতে হতো। এ কারণেই অনেকেই বিনা চিকিৎসায় কষ্টভোগ করতো। পুরুষ-নারী সবাইকেই তালিবান আইন ভঙ্গ করার জন্য কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতো।[১]

তথ্যসূত্র

  1. সম্পূর্ণ ভূমিকা অংশটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার ৭ই আগস্ট, ২০০৮ সংস্করণ থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। ভূমিকা অংশে তথ্যসূত্রের কোন ঘাটতি ছিল না। তাই এখানে পৃথক করে তথ্যসূত্র দেয়অ হলো না।

বহিঃসংযোগ