শুক্তিবাক্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎শুক্তি সাহিত্য: শুক্তি কবিতা সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
করতে গেলে ইংরেজি বর্ণমালার প্রত্যেকটি বর্ণের বাটন প্রেস করতে হবে। তবে ইংরেজি প্যানগ্রামে সবচেয়ে ছোট তিনটি শুক্তিবাক্য গুলো হলোঃ
করতে গেলে ইংরেজি বর্ণমালার প্রত্যেকটি বর্ণের বাটন প্রেস করতে হবে। তবে ইংরেজি প্যানগ্রামে সবচেয়ে ছোট তিনটি শুক্তিবাক্য গুলো হলোঃ
{{blockquote|Nymphs blitz quick vex dwarf jog. (27 word)<br />Big fjords vex quick waltz nymph. (27 word)<br />
{{blockquote|Nymphs blitz quick vex dwarf jog. (27 word)<br />Big fjords vex quick waltz nymph. (27 word)<br />
Bawds jog, flick quartz, vex nymph. (27 word)<ref>|url=https://www.wikiwand.com/id/Daftar_pangram|</ref>}}
Bawds jog, flick quartz, vex nymph. (27 word)<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.wikiwand.com/id/Daftar_pangram|শিরোনাম=Daftar pangram - Wikiwand|ওয়েবসাইট=www.wikiwand.com|সংগ্রহের-তারিখ=2020-05-26}}</ref>}}


==বাংলা শুক্তি==
==বাংলা শুক্তি==

১৭:১২, ২৬ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্যানগ্রাম বা শুক্তিবাক্য হল এমন একটি বাক্য যেখানে বর্ণমালার সবগুলো বর্ণ অন্তত একবার করে আছে। ফন্ট কিংবা কী-বোর্ড ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য প্যানগ্রাম ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ ইংরেজি "The quick brown fox jumps over the lazy dog" বাক্যটিতে ইংরেজি বর্ণমালার ২৬ টি বর্ণই কমপক্ষে একবার করে আছে। বাক্যটি কীবোর্ডে টাইপ করতে গেলে ইংরেজি বর্ণমালার প্রত্যেকটি বর্ণের বাটন প্রেস করতে হবে। তবে ইংরেজি প্যানগ্রামে সবচেয়ে ছোট তিনটি শুক্তিবাক্য গুলো হলোঃ

Nymphs blitz quick vex dwarf jog. (27 word)
Big fjords vex quick waltz nymph. (27 word)
Bawds jog, flick quartz, vex nymph. (27 word)[১]

বাংলা শুক্তি

বাংলায় প্যানগ্রাম তৈরির প্রচেষ্টা তেমন একটা পরিলক্ষিত হয়নি। প্রথমবারের মতো এ প্রচেষ্টা দেখা যায় ১৯৯৩ সালে, পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা থেকে প্রকাশিত 'প্রসঙ্গ বাংলাভাষা' বইয়ে ভারতীয় ভাষাবিদ মনোজকুমার দ. গিরিশের লেখা 'বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা' প্রবন্ধে।

বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত ঈশপের নিখুঁত গল্পটির অর্ধেক বলতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা দারুণ হৈ-হৈ করে উঠল—ওঃ, ব্যাস্ এবার থামো বুঝেছি বড্ডো পুরানো ঢঙের কেমন এক গল্প যার নীতি বাক্য হল--"মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি"—তাই না, এ্যাঁ?

আন্তর্জাল থেকে পাওয়া ব্লগার জিকোর তৈরি একটি বাংলা প্যানগ্রাম যেখানে বাংলা ৫০টি বর্ণই বিদ্যমান

বর্ষামুখর দিন শেষে, ঊর্দ্ধপানে চেয়ে যখন আষাঢ়ে গল্প শোনাতে বসে ওসমান ভুঁইঞা, ঈষান কোণে তখন অন্ধকার মেঘের আড়ম্বর, সবুজে ঋদ্ধ বনভূমির নির্জনতা চিরে থেকে থেকে ঐরাবতের ডাক, মাটির উপর শুকনো পাতা ঝরে পড়ে ঔদাসীন্যে, এবং তারই ফাঁকে জমে থাকা ঢের পুরোনো গভীর দুঃখ হঠাৎ যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে ধূসর জীবনে রঙধনু এনে দেয়।

আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক সংগৃহীত ও কিছুটা সংস্কারকৃত আরেকটি প্যানগ্রাম যা মূলত সাধুভাষায় রচিত-

মহারাজ ঊষাকালে বৃহৎ ঐরাবতে রাজপথের অর্ধেক প্রদক্ষিণ করতঃ হঠাত্‍ উক্তি করিলেন, “এই ঢোল‌ পাখোয়াজ, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঝংকার ও সৌরভ মন্দ্রিত আড়ম্বরপূর্ন রঙিন জীবনের ছত্রতলে যে বিষণ্ণ দারিদ্র তাহা কি ঈষৎ ঔদাসীন্য, অপ্রচলিত বৈদেশিক নীতি নাকি বারভুঁইঞার সহিত পুরাণো এবং আত্মঘাতী ডামাডোলের ফসল?”

মূল অনুচ্ছেদে ঢ়,, ইত্যাদি বর্ণ অনুপস্থিত থাকায় তা একটি লিপোগ্রাম ছিলো।

৩৯টি বর্ণের একটি বাক্যে সবগুলো স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে /-কার/চিহ্ন-সহ অনুস্বর, বিসর্গ ও চন্দ্রবিন্দুর প্রয়োগ দেখিয়ে শাহিদুল একটি বাক্য রচনা করেছেন। বাক্যটি ‘শুবাচ লিটল ম্যাগ’ প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে ( পৃষ্ঠা: ২৮)। বাক্যটি হলো :

ঊনিশে কার্তিক রাত্র সাড়ে আট ঘটিকায় ভৈরবনিবাসী ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণগ্রস্ত অভাবী দুঃস্থ পৌঢ় কৃষক এজাজ মিঞা হাতের কাছে ঔষধ থাকিতেও ঐ ঋণের ডরেই চোখে ঝাপসা দেখিয়া বুকের যন্ত্রণায় ঈষৎ কাঁপিয়া উঠিয়া উঠানে বিছানো ধূসর রঙের ফরাশের উপর ঢলিয়া পড়িলেন।

শুক্তি সাহিত্য

বাংলাদেশে উভমুখীসম ও শুক্তিসাহিত্যের পথিকৃৎ ফরিদ উদ্দিন সবগুলো বর্ণ (৫০টি শব্দ) দিয়েই প্যানগ্রাম লিখেছেন যা বাংলা শুক্তি সাহিত্যে সবচেয়ে ছোটদের একটি।

ঈশ, ঢিড ঔৎসুকী, অঋণী গূঢ় ঐ আচ্ছা যোদ্ধা জঁ মিঞা ; এই বাংলার নথি, ঠাট, ঝড়, ঘ্রাত, ভূত ও হউ ঊষা ফিঙে পাখি।

ঈ+শ+ঢি+ড+ঔ+ৎ+স+ক+অ+ঋ+ণ+গ+ঢ়+ঐ+আ+চ+ছ+য+দ+ধ+জ+ঁ+মি+ঞ+এ+ই+ব+ং+ল+র+ন+থ+ঠ+ট+ঝ+ড়+ঘ+ত+ভ+য়+ঃ+ও+হ+উ+ঊ+ষ+ফ+ঙ+প+খ= ৫০

টিকাঃ

ঈশ - ঈশ্বর। ঢিড - ভীষণ। গূড় -  লুকায়িত। ঠাট - সেনাদল। হউ -  হয় ।

এই শব্দগুলোর আরো বিকল্প  অর্থ আছে ।

মুক্তিযোদ্ধা জ্যাঁ ক্যা একজন ফরাসি নাগরিক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পাকিস্তানের একটি বিমান ছিনতাই করতে চেষ্টা করেছিল। পরে ফরাসি সরকার একসময় ঔষধ সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছিল।           

ভাবার্থঃ  হে ঈশ্বর, অঋণী ভিষণ আগ্রহী মুক্তিযোদ্ধা জঁ ক্যা বা আচ্ছা যোদ্ধা জঁ মিয়া এই বাংলার লুকায়িত নথীতে ঝড়ো যোদ্ধা, একটি সেনাদল, ভুয়সী প্রশংসাকারী  ফুলের ঘ্রাণ। তাই সে আমাদের মাঝে বেঁচে আছে চঞ্চল ফিঙে পাখির মতো।  এই অণু কবিতাটির  আরো অনেক ভাবে  ভাবার্থ প্রকাশ করা যায়।
এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি প্যানগ্রাম লিখেনঃ বর্ণে বর্গে বঙ্গবন্ধু ( একটি প্যানগ্রাম কবিতা) ।

অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ

অবশ্যই অবলম্বন, আমাদের ইনকিলাবের ইতিহাসের ঈষিকা, উদারচিত্ত উদারনৈতিক উৎসাহ ঊর্জস্বান, ঋতুর ঋতুরাজ।

এ ঐ ও ঔ এবং একাত্তরের একজন ঐতিহাসিক ওলদ ঔজসিক।

ক খ গ ঘ ঙ কালের খানখানান গনতন্ত্রের ঘরের কোঙর।

চ ছ জ ঝ ঞ চেতনা চেষ্টা ছিল জগদ্বিখ্যাত জাগ্রত ঝড়ে ঝঞ্জাটে,

ট ঠ ড ঢ ণ টর্নেডো ঠিক ডেমোক্রিসির ডিরেক্টর ঢালী ণালিকধারী,

ত থ দ ধ ন তিনি তর্জনীর তূর্যধ্বনি, থরহরী দীপ্তকীর্তি ধ্রুবতারা নভোনীল,

প ফ ভ ব ম প্রজাদের ফিনিক, বাংলার বাঙালির বঙ্গবন্ধু, ভূম্যধিকারী মহানেতা,

য র ল শ যথাযোগ্যভাবে রয়েছে লেখা, লেখকের লেখনীতে শ্রেষ্ঠত্বে,

ষ স হ ড় ষোল সালের সূনৃত হিষ্ট্রিতে বড়ো দৃঢ়ভাবে দৃঢ়সংকল্পে,

য় ৎ ং ঃ ঁ

হৃদয়ে হৃৎস্পন্দনে বাংলায়, স্বতঃসিদ্ধ বাধঁনে বাঁধা।

শ্যামল চন্দ্র দাসের লেখা একটি প্যানগ্রাম কবিতা। [২][৩] মূল কবিতাটিতে বর্ণটি অনুপস্থিত ছিলো কিন্তু পরবর্তীতে সাকিব নূর আশরাফ সেখানে বর্ণটি যুক্ত করেন।

হৃদয়ের চঞ্চলতা বন্ধে ব্রতী হলে

জীবন পরিপূর্ণ হবে নানা রঙের ফুলে।
কুঞ্ঝটিকা প্রভঞ্জন শঙ্কার কারণ
লণ্ডভণ্ড করে যায় ধরার অঙ্গন।
ক্ষিপ্ত হলে সাঙ্গ হবে বিজ্ঞজনে বলে
শান্ত হলে এ ব্রহ্মাণ্ডে বাঞ্ছিতফল মেলে।
আষাঢ়ে ঈশান কোনে হঠাৎ ঝড় উঠে
গগন মেঘেতে ঢাকে বৃষ্টি নামে মাঠে
ঊষার আকাশে নামে সন্ধ্যার ছায়া
ঐ দেখো থেমে গেছে পারাপারে খেয়া।
শরৎ ঋতুতে চাঁদ আলোয় অংশুমান
সুখ দুঃখ পাশা পাশি সহ অবস্থান।
যে জলেতে ঈশ্বর তৃষ্ণা মেটায়
সেই জলেতে জীবকুলে বিনাশ ঘটায়।
রোগ যদি দেহ ছেড়ে মনে গিয়ে ধরে
ঔষধের সাধ্য কি বা তারে সুস্থ করে?

শাহিদুল হকের লেখা একটি শুক্তি ছড়াও রয়েছে-

ঘূর্ণিঝড়ে ঊষা বক্ষে ঈগল অনুঃ ছায়া ঐ

প্রৌঢ় ঋভু মঞ্চে উঠে ঔদার্য খোঁজে ওই।

ডিঙা ঢং তফাৎ আশা

এ ধারটা থেকে হাসা।

বলন কাইজি রচিত ও প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত আরেকটি শুক্তিছড়া -

দীর্ঘপথ ঢাকা ঔর্ণে

শেষে উঠে যাচ্ঞা ফড়িঙে ঊর্ধ্বরেতাঃ ওঁৎ ঋভু মাঝখানে

এই অডং জটলা ছঈ সহায় আগঢ় ঐ।

তথ্যসূত্র

  1. "Daftar pangram - Wikiwand"www.wikiwand.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২৬ 
  2. "এক সাথে সব বাংলা অক্ষর ও যুক্তাক্ষর অনুশীলন | blog.bdnews24.com - pioneer blog for citizen journalism in bangladesh"blog.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৪ 
  3. "Daftar pangram - Wikiwand"www.wikiwand.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৪