সুলতান প্রথম বায়েজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Dexbot (আলোচনা | অবদান)
Removing Link GA template (handled by wikidata)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox royalty
{{Infobox royalty
|name =প্রথম বায়েজীদ
| name = প্রথম বায়েজীদ<br />بايزيد اول
| title = [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সুলতান]]
|image =Bayezid I by Cristofano dell'Altissimo.jpg
|imgw =150px
| titletext =
|reign =[[১৩৮৯]] – [[১৪০২]]
| more =
| type =
|succession =উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাহেনশাহ
| image = File:Baiazeth. P. IIII.jpg
|predecessor =[[উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাহেনশাহ প্রথম মুরাদ]]
| alt =
|successor =উসমানীয় নৈরাজ্য (Ottoman Interregnum)
| caption =
|father =[[উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাহেনশাহ প্রথম মুরাদ|প্রথম মুরাদ]]
| succession = ৪র্থ [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সুলতান]]
|mother =গুলছীচেক খাতুন (Gülçiçek Hatun)
| moretext =
|spouse =দুউলে খাতুন (Devlet Hâtûn)
| reign = ১৬ জুন ১৩৮৯ ‒ ৮ মার্চ ১৪০৩
|date of birth =[[১৩৬০]]
| reign-type = রাজত্বকাল
|place of birth =বুড়সা, [[তুরস্ক]]
| coronation =
|date of death =[[৮ই মার্চ]] [[১৪০৩]]
| cor-type =
|place of death =আকশীর (Akşehir), [[তুরস্ক]]
| predecessor = [[প্রথম মুরাদ]]
|signature =Tughra of Bayezid I.JPG
| pre-type = পূর্বসূরি
| regent =
| reg-type =
| successor = [[উসমানীয় গৃহযুদ্ধ|''গৃহযুদ্ধ'']] (১৪০২ – ১৪১৩)<br />[[প্রথম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|প্রথম মুহাম্মদ]]
| suc-type = উত্তরসূরি
| spouse = দাওলাত খাতুন<br/>হাফসা খাতুন<br/>দেসপিনা খাতুন<br/>মারিয়া খাতুন
| spouse-type = স্ত্রী
| consort =
| issue =
| full name =
| house = [[উসমানীয় রাজবংশ]]<br />(''উসমানলি হানেদানি'')
| house-type = রাজবংশ
| father = [[প্রথম মুরাদ]]
| mother = গুলচিচেক খাতুন
| birth_date = ১৩৬০
| birth_place =
| death_date = ৮ মার্চ ১৪০৩ (৪৩ বছর)
| death_place =
| burial_date =
| burial_place = [[বুরসা]], [[তুরস্ক]]
| religion= [[ইসলাম]]
| signature_type = [[তুগরা]]
| signature = Tughra of Bayezid I.JPG
}}
}}
'''প্রথম বায়েজীদ''' ({{lang-ota|بايزيد اول}}, {{lang-tr|1. Beyazıt}}) (ডাকনাম ''ইলদিরিম'' (উসমানীয় তুর্কি: ییلدیرم), "'''বজ্রপাত<ref>http://www.britannica.com/biography/Bayezid-I</ref>'''") (১৩৬০ – ৮ মার্চ ১৪০৩) ছিলেন উসমানীয় সুলতান। তিনি ১৩৮৯ থেকে ১৪০২ সাল পর্যন্ত শাসন করেছেন। তিনি সুলতান [[প্রথম মুরাদ]] ও গুলচিচেক খাতুনের পুত্র।<ref name=Lowry>Lowry, Heath W. (2003) ''The Nature of the Early Ottoman State''. Albany, NY: State University of New York Press, p. 153</ref><ref name=Runciman>Runciman, Steven ''The Fall of Constantinople''. Cambridge: Cambridge University Press, p. 36</ref> তিনি একটি সুবিশাল সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি কনস্টান্টিনোপলও আক্রমণ করেছিলেন তবে তাতে ব্যর্থ হন। ১৪০২ সালে [[আঙ্কারার যুদ্ধ|আঙ্কারার যুদ্ধে]] তিনি [[তৈমুর লং|তৈমুর লঙের]] কাছে পরাজিত ও বন্দী হন। বন্দী অবস্থায় ১৪০৩ সালের মার্চে তিনি ইন্তেকাল করেন।


==জীবনী==
'''প্রথম বায়েজীদ''' ([[উসমানীয় তুর্কি ভাষা|উসমানীয় তুর্কি ভাষায়]]: بايزيد الأول) ছিলেন [[উসমানীয় সাম্রাজ্য|উসমানীয় সাম্রাজ্যের]] চতুর্থ সুলতান, যিনি [[১৩৮৯]] সাল থেকে [[১৪০২]] সাল পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন। তিনি ছিলেন [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাহেনশাহ প্রথম মুরাদ]] এবং গুলছীচেক খাতুনের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি সিংহাসন দখল করার জন্য তাঁর জৈষ্ঠ ভ্রাতা, ইয়াকুব সেলেবীকে (Yakub Celebi) হত্যা করেন। ১৪০২ সালে [[মধ্য এশিয়া|মধ্য এশিয়ার]] উজবেক সেনাধ্যক্ষ [[তৈমুর লং]]-এর সঙ্গে সুলতান প্রথম বায়েজীদ তুরস্কের [[আঙ্কারা]] অঞ্চলে যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে সুলতান প্রথম বায়েজীদ পরাজিত হন এবং [[তৈমুর লং]]-এর বাহিনী তাঁকে বন্দী করে তুরস্কের আকশীরে নিয়ে যায়। তিনি তারপর আকশীরে বন্দী অবস্থায় ১৪০৩ খ্রীষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। [[আঙ্কারা|আঙ্কারার]] যুদ্ধের পর উসমানীয় সাম্রাজ্যে অনেক নৈরাজ্য দেখা দেয় এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের সিংহাসন দখল করার জন্য বায়েজীদের পুত্রদের মধ্যে গৃহ যুদ্ধ শুরু হয় যা এগারো বছর (১৪০২ - ১৪১৩) অব্যহত থাকে। অবশেষে, ১৪১৩ সালে, সকল নৈরাজ্যের অবসান ঘটিয়ে বায়েজীদের পুত্র, [[উসমানীয় সাম্রাজ্যের শাহেনশাহ প্রথম মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদ ইবনে বায়েজীদ]], উসমানীয় সাম্রাজ্যের সিংহাসন দখল করতে সফল হন এবং সেই সাম্রাজ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।
কুতাহিয়ার গভর্নর হিসেবে বায়েজীদ প্রথম বড় দায়িত্বপালন শুরু করেন। কারামানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষিপ্রতার জন্য তিনি ইলদিরিম বা বজ্রপাত নামে পরিচিত হয়েছিলেন।


কসোভোর যুদ্ধে সুলতান [[প্রথম মুরাদ]] নিহত হওয়ার পর বায়েজীদ সিংহাসনে বসেন। এই যুদ্ধ জয়লাভের ফলে সার্বিয়া উসমানীয় সাম্রাজ্যের করদ রাজ্যে পরিণত হয়। ১৩৯০ সালে বায়েজীদ কসোভোর যুদ্ধে নিহত রাজা লাজারের কন্যা ওলিভেরা দিসপিনাকে বিয়ে করেন।<ref>Halil Inalcik, "Bayezid I", ''The Encyclopedia of Islam'', Vol. I, Ed. H.A.R.Gibb, J.H.Kramers, E. Levi-Provencal and J.Schacht, (Brill, 1986), 1118.</ref> লাজারের পুত্র স্টিফেন লাজারেভিচকে বায়েজীদ কিছু স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে সার্বিয়ার নতুন শাসক নিযুক্ত করেন।
== বহিঃসংযোগ ==

[[File:Qur'anic Manuscript - Mid to Late 15th Century, Turkey.jpg|thumb|130px|প্রথম বায়েজীদের যুগে লিখিত কুরআনের একটি পাণ্ডুলিপি।]]

১৩৯১ সালে সেনাপতি পাশায়িগিত স্কোপজা শহর অধিকারের পূর্ব পর্যন্ত উচ্চ সার্বিয়া প্রতিরোধ চালিয়ে যায়।

ইতিমধ্যে সুলতান আনাতোলিয়াকে তার শাসনাধীনে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু করেন। ১৩৯০ সালের গ্রীষ্ম ও হেমন্তে বায়েজীদ আইদিন, সারুহান ও মেনতেশে বেয়লিক অধিকার করেন। ১৩৯০ সালের হেমন্ত ও শীতে বায়েজীদ অবশিষ্ট হামিদ, তেকে ও জেরমিয়ান বেয়লিক অধিকার করে নেন। পাশাপাশি আকশেহির ও নিগদে শহরও অধিকার করেন। তিনি কারামানের রাজধানী [[কোনিয়া]] অধিকার করেছিলেন। ১৩৯১ সালে তিনি কারামানের শান্তিপ্রস্তাব গ্রহণ করেন। এরপর বায়েজীদ উত্তরে কাসতামনুর দিকে অগ্রসর হয়ে শহরটি অধিকার করেন।<ref>Shaw, ''History of the Ottoman Empire'', vol. 1 pp. 30f</ref>

১৩৮৯ সালে বায়েজীদ [[বুলগেরিয়া]] ও উত্তর গ্রীস জয় করেন। ১৩৯৪ সালে তিনি [[দানিউব নদী]] অতিক্রম করে ওয়ালাচিয়া আক্রমণ করেন। উসমানীয়দের সৈন্য সংখ্যা বেশি হলেও রোভিনের যুদ্ধে ওয়ালাচিয়ানরা জয়ী হয় ফলে বায়েজীদের বাহিনী অগ্রসর হতে পারেনি।<ref>John V.A. Fine, ''The Late Medieval Balkans'', (The University of Michigan Press, 1994), 424.</ref>

১৩৯৪ সালে বায়েজীদ [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের]] রাজধানী [[কনস্টান্টিনোপল]] অবরোধ করেন।<ref>Mango, Cyril. ''The Oxford History of Byzantium''. 1st ed. New York: Oxford UP, 2002. p. 273-4</ref> দ্বিতীয় অবরোধের অংশ হিসেবে [[আনাদোলুহিসারি]] দুর্গ ১৩৯৩ থেকে ১৩৯৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয় এবং ১৩৯৫ সালে দ্বিতীয়বার অবরোধ করা হয়। বাইজেন্টাইন সম্রাট দ্বিতীয় মানুয়েলের আগ্রহে বায়েজীদকে পরাজিত করার জন্য একটি নতুন ক্রুসেড সংগঠিত করা হয়। এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়, ১৩৯৬ সালে হাঙ্গেরির রাজা সিগিসমুন্ডের নেতৃত্বে খ্রিষ্টান জোটবাহিনী [[নিকোপলিসের যুদ্ধ|নিকোপলিসের যুদ্ধে]] পরাজিত হয়। এই বিজয়ের স্মরণে বায়েজীদ বুরসায় [[বুরসা জামে মসজিদ]] নির্মাণ করেন।

[[File:Chlebowski-Bajazyt w niewoli.jpg|thumb|[[তৈমুর লং|তৈমুর লঙের]] হাতে বন্দী প্রথম বায়েজীদ।]]
[[File:71 Bursa la Grande Moschea.jpg|thumb|[[বুরসা জামে মসজিদ]]।]]

কনস্টান্টিনোপলের অবরোধ ১৪০২ সাল পর্যন্ত চলে।<ref>Nancy Bisaha, ''Creating East And West: Renaissance Humanists And the Ottoman Turks'', (University of Pennsylvania Press, 2004), 98.</ref> বায়েজীদ পূর্ব দিকে তিমুরি সাম্রাজ্যের সাথে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ার পর বাইজেন্টাইনরা অবরোধ থেকে নিস্কৃতি পায়।<ref>Dimitris J. Kastritsis, ''The Sons of Bayezid: Empire Building and Representation in the Ottoman Civil War of 1402-13'', (Brill, 2007), 5.</ref> এসময় ইউরোপে উসমানীয় সাম্রাজ্য থ্রেস (কনস্টান্টিনোপল ব্যতীত), মেসিডোনিয়া, বুলগেরিয়া ও সার্বিয়ার অংশ জুড়ে ছিল। এশিয়ায় সাম্রাজ্য [[তোরোস পর্বতমালা]] পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বায়েজীদের সেনাবাহিনী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হত এবং বায়েজীদ মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৪০০ সালে মধ্য এশিয়ার শাসক তৈমুর লং আনাতোলিয়ার উসমানীয়দের অধীনে বেয়লিকগুলোকে নিজের পক্ষে আনেন। ১৪০২ সালের ২০ জুলাই সংঘটিত [[আঙ্কারার যুদ্ধ|আঙ্কারার যুদ্ধে]] উসমানীয়রা পরাজিত হয় এবং বায়েজীদ বন্দী হন। অনেক লেখকের মতে তৈমুর বায়েজীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। তবে তৈমুরের দরবারের লেখক ও ইতিহাসবিদের লেখা অনুযায়ী বায়েজীদের সাথে ভালো আচরণ করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যুতে তৈমুর শোক পালন করেছিলেন। বায়েজীদের এক পুত্র [[মুস্তাফা চেলেবি]] তার সাথে বন্দী হন। তাকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত তিনি সমরকন্দে বন্দী ছিলেন।

বায়েজীদের পুত্র [[সুলাইমান চেলেবি]], [[ঈসা চেলেবি]], [[প্রথম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|মুহাম্মদ চেলেবি]] ও [[মুসা চেলেবি]] যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে সিংহাসন নিয়ে তাদের মধ্যে [[উসমানীয় গৃহযুদ্ধ|গৃহযুদ্ধ]] দেখা দেয়।<ref>Dimitris J. Kastritsis,1-3.</ref> মুহাম্মদ জয়ের পর [[প্রথম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|প্রথম মুহাম্মদ]] হিসেবে সিংহাসনে বসেন।

==স্মরণ==
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইলদারাম ব্যাটেলিয়ন নামক কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন সুলতান বায়েজীদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। তুরস্কের ইলদিরিম বায়েজীদ বিশ্ববিদ্যালয়ও তার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।

==বিয়ে ও সন্তান==
===বিয়ে===
* দাওলাত খাতুন
* মারিয়া খাতুন
* দিসপিনা খাতুন
* হাফসা খাতুন

===সন্তান===
* শাহজাদা এরতুগরুল চেলেবি
* শাহজাদা সুলাইমান চেলেবি
* শাহজাদা ঈসা চেলেবি
* শাহজাদা [[প্রথম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|মুহাম্মদ চেলেবি]]
* শাহজাদা মুস্তাফা চেলেবি
* শাহজাদা মুসা চেলেবি
* শাহজাদা কাসিম চেলেবি
* শাহজাদা ইউসুফ চেলেবি
* এরহুনদু খাতুন
* হুনদি ফাতেমা খাতুন
* সুলতান ফাতেমা খাতুন
* ওরুজ খাতুন
* পাশা মেলেক খাতুন

==সাহিত্যে উল্লেখ==
[[File:1396-Battle of Nicopolis-Hunername-2.jpg|thumb|তুর্কি অনুচিত্রে [[নিকোপলিসের যুদ্ধ]]<ref>"Battle of Nicopolis (1396)" from Seyyid Lokman (1588): ''Hünernâme''</ref>]]

তৈমুরের কাছে বায়েজীদের পরাজয় পশ্চিমা লেখক, সুরকার ও শিল্পীদের কাছে জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠে। তারা তৈমুর কর্তৃক বায়েজীদের বন্দী হওয়ার ঘটনাকে রূপদান করেন। [[ক্রিস্টোফার মার্লো|ক্রিস্টোফার মার্লোর]] রচিত ''ট্যাম্বারলেইন'' নাটকটি ১৫৮৭ সালে লন্ডনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।

১৬৪৮ সালে লন্ডনে ''লা গ্রেন টামেরলেন এট বেজেজেত'' নাটক মঞ্চস্থ হয়। ১৭২৫ সালে জর্জ ফ্র্যাডেরিক হান্ডেলের নাটক ''টামেরলানো'' লন্ডনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।<ref>London: Printed & sold by J. Cluer, [1725]</ref>

রবার্ট ই. হাওয়ার্ড‌ের লেখা ''লর্ড অব সমরকন্দ'' গল্পে বায়েজিদ কেন্দ্রীয় চরিত্র।<ref>Howard, Robert E. (1973) ''Sowers of the Thunder,'' Ace Science Fiction</ref>

==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}
* Goodwin, Jason (1998) ''Lords of the Horizons''. London: Chatto & Windus
* Harris, Jonathan (2010) ''The End of Byzantium''. New Haven and London: Yale University Press ISBN 978-0-300-11786-8
* Imber, Colin (2002) ''The Ottoman Empire''. London: Palgrave/Macmillan ISBN 0-333-61387-2
* Nicolle, David (1999) ''Nicopolis 1396: The Last Crusade''. Oxford: Osprey Books ISBN 978-1-85532-918-8

==বহিঃসংযোগ==
{{Commons category|Bayezid I}}
* [http://www.waitmeturkey.com/yildirim-bayezid-i-ottoman-empire-sultan.html Yıldırım Bayezid I]
* [http://www.waitmeturkey.com/yildirim-bayezid-i-ottoman-empire-sultan.html Yıldırım Bayezid I]
* [http://www.baerenreiter.com/html/vosco/tamerlano.htm Baerenreiter.com]
* [http://www.classicistranieri.com/dblog/articolo.asp?articolo=6108 Creative Commons MP3 Recording]


{{S-start}}
{{উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান}}
{{S-hou|[[উসমানীয় রাজবংশ]]||১৩৬০||৮ মার্চ ১৪০৩}}
{{S-reg|}}
{{S-bef|before=[[প্রথম মুরাদ]]}}
{{S-ttl|title=[[উসমানীয় সুলতানদের তালিকা|উসমানীয় সুলতান]]|years= ১৬ জুন ১৩৮৯ – ৮ মার্চ ১৪০৩}}
{{S-aft|after=[[প্রথম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|প্রথম মুহাম্মদ]]}}
{{s-end}}

{{Sultans of the Ottoman Empire}}

{{Authority control}}


{{DEFAULTSORT:বায়েজীদ}}
{{DEFAULTSORT:বায়েজীদ}}
[[বিষয়শ্রেণী:তুর্কি শাসক]]
[[বিষয়শ্রেণী:তুর্কি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:তুর্কি কবি]]
[[বিষয়শ্রেণী:গ্রীক মাতৃ বংশোদ্ভূত উসমানীয় সুলতান]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৩৬০-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৩৬০-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৪০৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৪০৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৪শ শতকের উসমানীয় সুলতান]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৪শ-শতাব্দীর উসমানীয় সুলতান]]
[[বিষয়শ্রেণী:উসমানীয় সুলতান]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৫শ-শতাব্দীর উসমানীয় সুলতান]]
[[বিষয়শ্রেণী:তুর্কি শাসক]]
[[বিষয়শ্রেণী:নিকোপলিসের ক্রুসেডের মুসলিম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাইজেন্টাইন-উসমানীয় যুদ্ধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বুলগেরীয়-উসমানীয় যুদ্ধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:উসমানীয় তুর্কি]]

২০:৪৩, ২০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রথম বায়েজীদ
بايزيد اول
উসমানীয় সুলতান
৪র্থ উসমানীয় সুলতান
রাজত্বকাল১৬ জুন ১৩৮৯ ‒ ৮ মার্চ ১৪০৩
পূর্বসূরিপ্রথম মুরাদ
উত্তরসূরিগৃহযুদ্ধ (১৪০২ – ১৪১৩)
প্রথম মুহাম্মদ
জন্ম১৩৬০
মৃত্যু৮ মার্চ ১৪০৩ (৪৩ বছর)
সমাধি
স্ত্রীদাওলাত খাতুন
হাফসা খাতুন
দেসপিনা খাতুন
মারিয়া খাতুন
রাজবংশউসমানীয় রাজবংশ
(উসমানলি হানেদানি)
পিতাপ্রথম মুরাদ
মাতাগুলচিচেক খাতুন
ধর্মইসলাম
তুগরাসুলতান প্রথম বায়েজিদ স্বাক্ষর

প্রথম বায়েজীদ (উসমানীয় তুর্কি: بايزيد اول, তুর্কি: 1. Beyazıt) (ডাকনাম ইলদিরিম (উসমানীয় তুর্কি: ییلدیرم), "বজ্রপাত[১]") (১৩৬০ – ৮ মার্চ ১৪০৩) ছিলেন উসমানীয় সুলতান। তিনি ১৩৮৯ থেকে ১৪০২ সাল পর্যন্ত শাসন করেছেন। তিনি সুলতান প্রথম মুরাদ ও গুলচিচেক খাতুনের পুত্র।[২][৩] তিনি একটি সুবিশাল সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি কনস্টান্টিনোপলও আক্রমণ করেছিলেন তবে তাতে ব্যর্থ হন। ১৪০২ সালে আঙ্কারার যুদ্ধে তিনি তৈমুর লঙের কাছে পরাজিত ও বন্দী হন। বন্দী অবস্থায় ১৪০৩ সালের মার্চে তিনি ইন্তেকাল করেন।

জীবনী

কুতাহিয়ার গভর্নর হিসেবে বায়েজীদ প্রথম বড় দায়িত্বপালন শুরু করেন। কারামানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষিপ্রতার জন্য তিনি ইলদিরিম বা বজ্রপাত নামে পরিচিত হয়েছিলেন।

কসোভোর যুদ্ধে সুলতান প্রথম মুরাদ নিহত হওয়ার পর বায়েজীদ সিংহাসনে বসেন। এই যুদ্ধ জয়লাভের ফলে সার্বিয়া উসমানীয় সাম্রাজ্যের করদ রাজ্যে পরিণত হয়। ১৩৯০ সালে বায়েজীদ কসোভোর যুদ্ধে নিহত রাজা লাজারের কন্যা ওলিভেরা দিসপিনাকে বিয়ে করেন।[৪] লাজারের পুত্র স্টিফেন লাজারেভিচকে বায়েজীদ কিছু স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে সার্বিয়ার নতুন শাসক নিযুক্ত করেন।

প্রথম বায়েজীদের যুগে লিখিত কুরআনের একটি পাণ্ডুলিপি।

১৩৯১ সালে সেনাপতি পাশায়িগিত স্কোপজা শহর অধিকারের পূর্ব পর্যন্ত উচ্চ সার্বিয়া প্রতিরোধ চালিয়ে যায়।

ইতিমধ্যে সুলতান আনাতোলিয়াকে তার শাসনাধীনে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ শুরু করেন। ১৩৯০ সালের গ্রীষ্ম ও হেমন্তে বায়েজীদ আইদিন, সারুহান ও মেনতেশে বেয়লিক অধিকার করেন। ১৩৯০ সালের হেমন্ত ও শীতে বায়েজীদ অবশিষ্ট হামিদ, তেকে ও জেরমিয়ান বেয়লিক অধিকার করে নেন। পাশাপাশি আকশেহির ও নিগদে শহরও অধিকার করেন। তিনি কারামানের রাজধানী কোনিয়া অধিকার করেছিলেন। ১৩৯১ সালে তিনি কারামানের শান্তিপ্রস্তাব গ্রহণ করেন। এরপর বায়েজীদ উত্তরে কাসতামনুর দিকে অগ্রসর হয়ে শহরটি অধিকার করেন।[৫]

১৩৮৯ সালে বায়েজীদ বুলগেরিয়া ও উত্তর গ্রীস জয় করেন। ১৩৯৪ সালে তিনি দানিউব নদী অতিক্রম করে ওয়ালাচিয়া আক্রমণ করেন। উসমানীয়দের সৈন্য সংখ্যা বেশি হলেও রোভিনের যুদ্ধে ওয়ালাচিয়ানরা জয়ী হয় ফলে বায়েজীদের বাহিনী অগ্রসর হতে পারেনি।[৬]

১৩৯৪ সালে বায়েজীদ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করেন।[৭] দ্বিতীয় অবরোধের অংশ হিসেবে আনাদোলুহিসারি দুর্গ ১৩৯৩ থেকে ১৩৯৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয় এবং ১৩৯৫ সালে দ্বিতীয়বার অবরোধ করা হয়। বাইজেন্টাইন সম্রাট দ্বিতীয় মানুয়েলের আগ্রহে বায়েজীদকে পরাজিত করার জন্য একটি নতুন ক্রুসেড সংগঠিত করা হয়। এই চেষ্টা ব্যর্থ হয়, ১৩৯৬ সালে হাঙ্গেরির রাজা সিগিসমুন্ডের নেতৃত্বে খ্রিষ্টান জোটবাহিনী নিকোপলিসের যুদ্ধে পরাজিত হয়। এই বিজয়ের স্মরণে বায়েজীদ বুরসায় বুরসা জামে মসজিদ নির্মাণ করেন।

তৈমুর লঙের হাতে বন্দী প্রথম বায়েজীদ।
বুরসা জামে মসজিদ

কনস্টান্টিনোপলের অবরোধ ১৪০২ সাল পর্যন্ত চলে।[৮] বায়েজীদ পূর্ব দিকে তিমুরি সাম্রাজ্যের সাথে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ার পর বাইজেন্টাইনরা অবরোধ থেকে নিস্কৃতি পায়।[৯] এসময় ইউরোপে উসমানীয় সাম্রাজ্য থ্রেস (কনস্টান্টিনোপল ব্যতীত), মেসিডোনিয়া, বুলগেরিয়া ও সার্বিয়ার অংশ জুড়ে ছিল। এশিয়ায় সাম্রাজ্য তোরোস পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বায়েজীদের সেনাবাহিনী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হত এবং বায়েজীদ মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৪০০ সালে মধ্য এশিয়ার শাসক তৈমুর লং আনাতোলিয়ার উসমানীয়দের অধীনে বেয়লিকগুলোকে নিজের পক্ষে আনেন। ১৪০২ সালের ২০ জুলাই সংঘটিত আঙ্কারার যুদ্ধে উসমানীয়রা পরাজিত হয় এবং বায়েজীদ বন্দী হন। অনেক লেখকের মতে তৈমুর বায়েজীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। তবে তৈমুরের দরবারের লেখক ও ইতিহাসবিদের লেখা অনুযায়ী বায়েজীদের সাথে ভালো আচরণ করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যুতে তৈমুর শোক পালন করেছিলেন। বায়েজীদের এক পুত্র মুস্তাফা চেলেবি তার সাথে বন্দী হন। তাকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত তিনি সমরকন্দে বন্দী ছিলেন।

বায়েজীদের পুত্র সুলাইমান চেলেবি, ঈসা চেলেবি, মুহাম্মদ চেলেবিমুসা চেলেবি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে সিংহাসন নিয়ে তাদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়।[১০] মুহাম্মদ জয়ের পর প্রথম মুহাম্মদ হিসেবে সিংহাসনে বসেন।

স্মরণ

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইলদারাম ব্যাটেলিয়ন নামক কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন সুলতান বায়েজীদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। তুরস্কের ইলদিরিম বায়েজীদ বিশ্ববিদ্যালয়ও তার নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিয়ে ও সন্তান

বিয়ে

  • দাওলাত খাতুন
  • মারিয়া খাতুন
  • দিসপিনা খাতুন
  • হাফসা খাতুন

সন্তান

  • শাহজাদা এরতুগরুল চেলেবি
  • শাহজাদা সুলাইমান চেলেবি
  • শাহজাদা ঈসা চেলেবি
  • শাহজাদা মুহাম্মদ চেলেবি
  • শাহজাদা মুস্তাফা চেলেবি
  • শাহজাদা মুসা চেলেবি
  • শাহজাদা কাসিম চেলেবি
  • শাহজাদা ইউসুফ চেলেবি
  • এরহুনদু খাতুন
  • হুনদি ফাতেমা খাতুন
  • সুলতান ফাতেমা খাতুন
  • ওরুজ খাতুন
  • পাশা মেলেক খাতুন

সাহিত্যে উল্লেখ

তুর্কি অনুচিত্রে নিকোপলিসের যুদ্ধ[১১]

তৈমুরের কাছে বায়েজীদের পরাজয় পশ্চিমা লেখক, সুরকার ও শিল্পীদের কাছে জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠে। তারা তৈমুর কর্তৃক বায়েজীদের বন্দী হওয়ার ঘটনাকে রূপদান করেন। ক্রিস্টোফার মার্লোর রচিত ট্যাম্বারলেইন নাটকটি ১৫৮৭ সালে লন্ডনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।

১৬৪৮ সালে লন্ডনে লা গ্রেন টামেরলেন এট বেজেজেত নাটক মঞ্চস্থ হয়। ১৭২৫ সালে জর্জ ফ্র্যাডেরিক হান্ডেলের নাটক টামেরলানো লন্ডনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়।[১২]

রবার্ট ই. হাওয়ার্ড‌ের লেখা লর্ড অব সমরকন্দ গল্পে বায়েজিদ কেন্দ্রীয় চরিত্র।[১৩]

তথ্যসূত্র

  1. http://www.britannica.com/biography/Bayezid-I
  2. Lowry, Heath W. (2003) The Nature of the Early Ottoman State. Albany, NY: State University of New York Press, p. 153
  3. Runciman, Steven The Fall of Constantinople. Cambridge: Cambridge University Press, p. 36
  4. Halil Inalcik, "Bayezid I", The Encyclopedia of Islam, Vol. I, Ed. H.A.R.Gibb, J.H.Kramers, E. Levi-Provencal and J.Schacht, (Brill, 1986), 1118.
  5. Shaw, History of the Ottoman Empire, vol. 1 pp. 30f
  6. John V.A. Fine, The Late Medieval Balkans, (The University of Michigan Press, 1994), 424.
  7. Mango, Cyril. The Oxford History of Byzantium. 1st ed. New York: Oxford UP, 2002. p. 273-4
  8. Nancy Bisaha, Creating East And West: Renaissance Humanists And the Ottoman Turks, (University of Pennsylvania Press, 2004), 98.
  9. Dimitris J. Kastritsis, The Sons of Bayezid: Empire Building and Representation in the Ottoman Civil War of 1402-13, (Brill, 2007), 5.
  10. Dimitris J. Kastritsis,1-3.
  11. "Battle of Nicopolis (1396)" from Seyyid Lokman (1588): Hünernâme
  12. London: Printed & sold by J. Cluer, [1725]
  13. Howard, Robert E. (1973) Sowers of the Thunder, Ace Science Fiction
  • Goodwin, Jason (1998) Lords of the Horizons. London: Chatto & Windus
  • Harris, Jonathan (2010) The End of Byzantium. New Haven and London: Yale University Press ISBN 978-0-300-11786-8
  • Imber, Colin (2002) The Ottoman Empire. London: Palgrave/Macmillan ISBN 0-333-61387-2
  • Nicolle, David (1999) Nicopolis 1396: The Last Crusade. Oxford: Osprey Books ISBN 978-1-85532-918-8

বহিঃসংযোগ

সুলতান প্রথম বায়েজিদ
জন্ম: ১৩৬০ মৃত্যু: ৮ মার্চ ১৪০৩
শাসনতান্ত্রিক খেতাব
পূর্বসূরী
প্রথম মুরাদ
উসমানীয় সুলতান
১৬ জুন ১৩৮৯ – ৮ মার্চ ১৪০৩
উত্তরসূরী
প্রথম মুহাম্মদ