সাহারা মরুভূমি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
A4ASISH (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
A4ASISH (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৫টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
২৬ নং লাইন: ২৬ নং লাইন:
সাপ, গিরগিটি ও খেঁকশিয়ালের মত প্রাণী বাস করে। যাযাবর ও পণ্যবাহকেরা যাতায়াতের জন্য উট ব্যবহার করে।একে 'মরুভূমির জাহাজ' বলা হয়।
সাপ, গিরগিটি ও খেঁকশিয়ালের মত প্রাণী বাস করে। যাযাবর ও পণ্যবাহকেরা যাতায়াতের জন্য উট ব্যবহার করে।একে 'মরুভূমির জাহাজ' বলা হয়।
৭০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৯০ প্রজাতির পাখি, ১০০ প্রজাতির সরীসৃপ আর কিছু আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বসবাস সাহারায়। <ref>http://www.desertusa.com/du_sahara_life.html</ref>
৭০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৯০ প্রজাতির পাখি, ১০০ প্রজাতির সরীসৃপ আর কিছু আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বসবাস সাহারায়। <ref>http://www.desertusa.com/du_sahara_life.html</ref>



সাহারা মরুভূমির জীব-বৈচিত্র্য
মরুভূমি হলেও সাহারার আছে মরু অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ভিত্তিক বিচিত্র জীবজগৎ। বৃষ্টিপাতের ভিত্তিতে সাহারার বৃক্ষরাজি বিভক্ত তিনটি প্রধান এলাকায়- উত্তরাঞ্চল (মেডিটেরিয়ান), মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল। সাহারা মরুভূমিতে উদ্ভিদ জগতের প্রায় ২৮০০ প্রজাতির বৃক্ষের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এই সংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ সাহারার স্থানীয় উদ্ভিদ। মধ্য সাহারায় ৫০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে যা এলাকার বিশালতার কাছে সামান্যই বটে। আকাসিয়া, খেজুর, সাকুলেন্ট, কাঁটাবন এবং ঘাসগুলো মরুভূমির শুষ্ক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে- শক্তিশালী বাতাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আকারে ছোট, শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য স্থূলকায় কাণ্ড, পানির সন্ধান করার জন্য মাটির নিচে প্রশস্ত মূল এবং ছোট মোটা পাতা অথবা কাঁটা যা আর্দ্রতা ধরে রাখে।


সাহারা মরুভূমির প্রাণীকুলও বেশ সমৃদ্ধ। সাহারায় বেশ কয়েক প্রজাতির শিয়ালের বাস। তাদের মধ্যে ফেনেক ফক্স, পেল ফক্স এবং রুপেলস ফক্স অন্যতম। এডেক্স নামক বিশাল এন্টিলোপের বাস সাহারা মরুভূমিতে এবং তারা পানি ছাড়া প্রায় এক বছর পর্যন্ত বাঁচে! দরকাস গাযেল নামক হরিণও অনেকদিন পর্যন্ত পানি ছাড়া বাঁচে এবং সাহারায় এই প্রজাতির হরিণ দেখতে পাওয়া যায়।


আলজেরিয়া, তোগো, নাইজার, মালি, বেনিন এবং বুরকিনা ফাসো অঞ্চলে সাহারান চিতার দেখা মেলে। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় এই যে, বর্তমানে মাত্র ২৫০ টি পূর্ণবয়স্ক সাহারান চিতার অস্তিত্ব আছে। এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসের সূর্য এড়িয়ে চলা এই চিতাবাঘগুলো সাধারণত ফ্যাকাসে বর্ণের হয়। সাহারান চিতা ছাড়া অন্যান্য প্রজাতির চিতাগুলো চাদ, সুদান এবং নাইজারের পূর্বাঞ্চলে বাস করে। এছাড়া সাহারা মরুভূমিতে মনিটর লিজার্ড, হাইরেক্স, স্যান্ড ভাইপার, রেড-নেক অস্ট্রিচ, আফ্রিকান সিলভার বিল, ব্ল্যাক ফেইসড ফায়ারফিঞ্চ এবং কিছু সংখ্যক আফ্রিকান বুনো কুকুর বাস করে। মৌরিতানিয়া এবং এনেদি মালভূমিতে কিছু ছোট প্রজাতির কুমির বাস করে।


মরুভূমির আরেক স্থানীয় বাসিন্দা ডেথস্টকার বিছা। এরা প্রায় ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এই বিছার বিষে অনেক বেশি পরিমাণে এজিটক্সিন এবং সাইলাটক্সিন থাকে যা অত্যন্ত বিপদজনক; এক দংশনে স্বাস্থ্যকর পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে। সাহারান সিলভার অ্যান্ট সাহারা মরুভূমির উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এবং শিকারির কবল থেকে বাঁচার জন্য দিনে কেবল ১০ মিনিটের জন্য এরা আস্তানা থেকে বের হয়। সাধারণত পালিত পশু হিসেবে বিবেচ্য ড্রমেডেরি উট এবং ছাগলের দেখা মেলে সাহারা মরুভূমিতে। দ্রুত গতি এবং সহ্য ক্ষমতার জন্য এই দুই জাতের পশু যাযাবরদের কাছে জনপ্রিয়। <ref>http://itibritto.com/sahara-desert/</ref>


== পূর্বাবস্থা ==
== পূর্বাবস্থা ==
১০,০০০ বছর আগে সাহারার আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত আর্দ্র ও শীতল ছিল, বেশ কিছু হ্রদ ও ছোট নদীর অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে শুষ্ক মরুভূমি, এমন কিছু অঞ্চলের পাহাড়ের গুহায় আদিম মানুষের বসবাসের চিহ্ন (গুহাচিত্র ও পাথরের যন্ত্রপাতি) পাওয়া গেছে যা থেকে বোঝা যায় ঐ এলাকা থেকে এক সময়ে সহজে পানির নাগাল পাওয়া যেত।{{সত্যতা}} এই এলাকায় হাতি জিরাফ ও অন্যান্য প্রাণী বাস করত।
১০,০০০ বছর আগে সাহারার আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত আর্দ্র ও শীতল ছিল, বেশ কিছু হ্রদ ও ছোট নদীর অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে শুষ্ক মরুভূমি, এমন কিছু অঞ্চলের পাহাড়ের গুহায় আদিম মানুষের বসবাসের চিহ্ন (গুহাচিত্র ও পাথরের যন্ত্রপাতি) পাওয়া গেছে যা থেকে বোঝা যায় ঐ এলাকা থেকে এক সময়ে সহজে পানির নাগাল পাওয়া যেত।{{সত্যতা}} এই এলাকায় হাতি জিরাফ ও অন্যান্য প্রাণী বাস করত।

== সাহারা মরুভূমির পিছনের ইতিহাস ==

সাহারা মরুভূমি সবসময় কিন্তু মরুভূমি ছিল না। আইস এজ এর পর সাহারার চিত্র আজকের শূন্য এবং শুষ্ক মরুভূমিতে পরিণত হয়। তবে, প্রায় ১০,৫০০ বছর আগে আকস্মিক ভারি বৃষ্টিপাত এই মরুভূমিকে বাসযোগ্য মরু প্রান্তরে পরিণত করে। পরবর্তী ১০০ বছর নিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে সাহারায় জনবসতি বৃদ্ধি পায় এবং ছাগল ও ভেড়ার মত পশুপালন শুরু হয়। কিন্তু প্রকৃতি আবার তার রুক্ষতায় ফিরে আসে। প্রায় ৭,৩০০ বছর আগে বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করে এবং প্রায় ৫,৫০০ বছর আগে সাহারার জনবসতি পুনরায় নীলনদের উপত্যকায় ফিরে আসে।
<ref>http://itibritto.com/sahara-desert/</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৩:০২, ৩১ মার্চ ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সাহারা ও মধ্য প্রাচ্যের এই ভিডিওটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অভিযান ২৯ এর অভিযাত্রীদের দ্বারা নেওয়া হয়েছিল।
পশ্চিমা লিবিয়ার তদর্ট আকাকাস মরুভূমি যা সাহারার অংশ

সাহারা(ইউকে: /səˈhɑːrə/, /səˈhærə/; আরবি: الصحراء الكبرى, aṣ-ṣaḥrāʼ al-kubrá, 'the Great Desert') বিশ্বের বৃহত্তম গরম মরুভূমি এবং অ্যান্টার্কটিকাআর্কটিকের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মরুভূমি[১]

বিস্তৃতি

মিশর, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, চাদ, সুদান, নাইজার, মালি প্রভৃতি দেশ পর্যন্ত সাহারা মরুভূমি বিস্তৃত।

উত্তর আফ্রিকার ৩১% অংশ জুড়ে সাহারা মরুভূমি অবস্থিত। এর আয়তন ৯ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বা ৩,৫০০,০০০ বর্গমাইল। আর যদি বছরে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়া এলাকাগুলোকে যোগ করা হয়, তাহলে সাহারার মোট আয়তন দাঁড়াবে ১১ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটারে বা ৪,২০০,০০০ বর্গমাইলে। সাহারা মরুভূমির মোট আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তনের প্রায় সমান ।

খনিজ পদার্থ

সাহারার লিবিয়াআলজেরিয়া অংশে প্রচুর তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া গেছে। তা ছাড়া এই মরুভূমিতে তামা, লোহা, ফসফেট ইত্যাদি অনেক খনিজ দ্রব্যও আছে।

আবহাওয়া

অত্যন্ত উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০ সেমি-র বেশি হয় না। দিনে প্রচন্ড গরম ও রাতে ঠান্ডা(প্রায় ৪°সে.)। কখনো কখনো পাহাড়ের চূড়ায় বরফও জমে থাকতে দেখা যায়। শীতকাল থেকে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সে. থেকে ৪৩ ডিগ্রী সে. পর্যন্ত ওঠানামা করে। লিবিয়ার আল‍-আজিজিয়া পৃথিবীর উষ্ণতম স্থান।

অধিবাসী

অধিকাংশই যাযাবর। তারা ছাগল, ভেড়া, ও উট পালন করে এবং জলের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। খেজুর, গম, বার্লি ইত্যাদি চাষ করে। স্থানীয় তুয়ারেগ জাতির মানুষেরা বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।

গাছপালা

মরুভূমির কোনো কোনো জায়গায় ঘাস, গুল্ম ও ছোট গাছ জন্মে। পানির সন্ধানে গাছ গুলোর মূল মাটির খুব গভীরে পৌঁছায় এবং অনেক ক্ষেত্রেই বাতাস থেকে পাতার মাধ্যমে পানি গ্রহণ করে। আর্টেজীয় কূপের সাহায্যে জলসেচ করে কৃষিকাজ করা হয়।

পশুপাখী

সাপ, গিরগিটি ও খেঁকশিয়ালের মত প্রাণী বাস করে। যাযাবর ও পণ্যবাহকেরা যাতায়াতের জন্য উট ব্যবহার করে।একে 'মরুভূমির জাহাজ' বলা হয়। ৭০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৯০ প্রজাতির পাখি, ১০০ প্রজাতির সরীসৃপ আর কিছু আর্থ্রোপোডা পর্বের প্রাণীর বসবাস সাহারায়। [২]


সাহারা মরুভূমির জীব-বৈচিত্র্য মরুভূমি হলেও সাহারার আছে মরু অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ভিত্তিক বিচিত্র জীবজগৎ। বৃষ্টিপাতের ভিত্তিতে সাহারার বৃক্ষরাজি বিভক্ত তিনটি প্রধান এলাকায়- উত্তরাঞ্চল (মেডিটেরিয়ান), মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল। সাহারা মরুভূমিতে উদ্ভিদ জগতের প্রায় ২৮০০ প্রজাতির বৃক্ষের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এই সংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ সাহারার স্থানীয় উদ্ভিদ। মধ্য সাহারায় ৫০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে যা এলাকার বিশালতার কাছে সামান্যই বটে। আকাসিয়া, খেজুর, সাকুলেন্ট, কাঁটাবন এবং ঘাসগুলো মরুভূমির শুষ্ক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে- শক্তিশালী বাতাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আকারে ছোট, শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য স্থূলকায় কাণ্ড, পানির সন্ধান করার জন্য মাটির নিচে প্রশস্ত মূল এবং ছোট মোটা পাতা অথবা কাঁটা যা আর্দ্রতা ধরে রাখে।


সাহারা মরুভূমির প্রাণীকুলও বেশ সমৃদ্ধ। সাহারায় বেশ কয়েক প্রজাতির শিয়ালের বাস। তাদের মধ্যে ফেনেক ফক্স, পেল ফক্স এবং রুপেলস ফক্স অন্যতম। এডেক্স নামক বিশাল এন্টিলোপের বাস সাহারা মরুভূমিতে এবং তারা পানি ছাড়া প্রায় এক বছর পর্যন্ত বাঁচে! দরকাস গাযেল নামক হরিণও অনেকদিন পর্যন্ত পানি ছাড়া বাঁচে এবং সাহারায় এই প্রজাতির হরিণ দেখতে পাওয়া যায়।


আলজেরিয়া, তোগো, নাইজার, মালি, বেনিন এবং বুরকিনা ফাসো অঞ্চলে সাহারান চিতার দেখা মেলে। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় এই যে, বর্তমানে মাত্র ২৫০ টি পূর্ণবয়স্ক সাহারান চিতার অস্তিত্ব আছে। এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসের সূর্য এড়িয়ে চলা এই চিতাবাঘগুলো সাধারণত ফ্যাকাসে বর্ণের হয়। সাহারান চিতা ছাড়া অন্যান্য প্রজাতির চিতাগুলো চাদ, সুদান এবং নাইজারের পূর্বাঞ্চলে বাস করে। এছাড়া সাহারা মরুভূমিতে মনিটর লিজার্ড, হাইরেক্স, স্যান্ড ভাইপার, রেড-নেক অস্ট্রিচ, আফ্রিকান সিলভার বিল, ব্ল্যাক ফেইসড ফায়ারফিঞ্চ এবং কিছু সংখ্যক আফ্রিকান বুনো কুকুর বাস করে। মৌরিতানিয়া এবং এনেদি মালভূমিতে কিছু ছোট প্রজাতির কুমির বাস করে।


মরুভূমির আরেক স্থানীয় বাসিন্দা ডেথস্টকার বিছা। এরা প্রায় ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এই বিছার বিষে অনেক বেশি পরিমাণে এজিটক্সিন এবং সাইলাটক্সিন থাকে যা অত্যন্ত বিপদজনক; এক দংশনে স্বাস্থ্যকর পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে। সাহারান সিলভার অ্যান্ট সাহারা মরুভূমির উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে এবং শিকারির কবল থেকে বাঁচার জন্য দিনে কেবল ১০ মিনিটের জন্য এরা আস্তানা থেকে বের হয়। সাধারণত পালিত পশু হিসেবে বিবেচ্য ড্রমেডেরি উট এবং ছাগলের দেখা মেলে সাহারা মরুভূমিতে। দ্রুত গতি এবং সহ্য ক্ষমতার জন্য এই দুই জাতের পশু যাযাবরদের কাছে জনপ্রিয়। [৩]

পূর্বাবস্থা

১০,০০০ বছর আগে সাহারার আবহাওয়া অপেক্ষাকৃত আর্দ্র ও শীতল ছিল, বেশ কিছু হ্রদ ও ছোট নদীর অবস্থানের প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে শুষ্ক মরুভূমি, এমন কিছু অঞ্চলের পাহাড়ের গুহায় আদিম মানুষের বসবাসের চিহ্ন (গুহাচিত্র ও পাথরের যন্ত্রপাতি) পাওয়া গেছে যা থেকে বোঝা যায় ঐ এলাকা থেকে এক সময়ে সহজে পানির নাগাল পাওয়া যেত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এই এলাকায় হাতি জিরাফ ও অন্যান্য প্রাণী বাস করত।

সাহারা মরুভূমির পিছনের ইতিহাস

সাহারা মরুভূমি সবসময় কিন্তু মরুভূমি ছিল না। আইস এজ এর পর সাহারার চিত্র আজকের শূন্য এবং শুষ্ক মরুভূমিতে পরিণত হয়। তবে, প্রায় ১০,৫০০ বছর আগে আকস্মিক ভারি বৃষ্টিপাত এই মরুভূমিকে বাসযোগ্য মরু প্রান্তরে পরিণত করে। পরবর্তী ১০০ বছর নিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে সাহারায় জনবসতি বৃদ্ধি পায় এবং ছাগল ও ভেড়ার মত পশুপালন শুরু হয়। কিন্তু প্রকৃতি আবার তার রুক্ষতায় ফিরে আসে। প্রায় ৭,৩০০ বছর আগে বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করে এবং প্রায় ৫,৫০০ বছর আগে সাহারার জনবসতি পুনরায় নীলনদের উপত্যকায় ফিরে আসে। [৪]

তথ্যসূত্র


আফ্রিকা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পুর্ণ, আপনি চাইলে এটিকে সমৃদ্ধ করতে পারেন।