বিদ্যা স্টোকস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিদ্যা স্টোকস
হিমাচল প্রদেশের সেচ ও জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৫শে ডিসেম্বর ২০১২ – ২৭শে ডিসেম্বর ২০১৭
সংসদীয় এলাকাথিওগ
বিদ্যুৎমন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
৬ই মার্চ ২০০৩ – ২৮শে ডিসেম্বর ২০০৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1927-12-08) ৮ ডিসেম্বর ১৯২৭ (বয়স ৯৬)
কোটগড়, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
(এখন হিমাচল প্রদেশ, ভারতে)
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস

বিদ্যা স্টোকস (জন্ম ৮ই ডিসেম্বর ১৯২৭) ১৯৭০ সাল থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ১৯৭৪ সাল থেকে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি ১৯৭৪, ১৯৮২, ১৯৮৫,[১] ১৯৯০,[২] ১৯৯৮, ২০০৩,[৩] ২০০৭[৪] এবং ২০১২ সালে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তিনি ১৯২৭ সালের ৮ই ডিসেম্বর ভারতের হিমাচল প্রদেশের সিমলা জেলার কুমারসাইন তহসিলের কোটগড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন স্নাতক এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন।

তিনি লাল চাঁদ স্টোকসকে বিয়ে করেছিলেন। লাল চাঁদ একজন উদ্যানতত্ত্ববিদ, সমাজকর্মী এবং ১৯৭২ সালে থিওগ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন।

তিনি বিখ্যাত সমাজকর্মী সত্যানন্দ স্টোকসের পুত্রবধূ (ভারতে বসবাসকারী একজন আমেরিকান), সত্যানন্দ পরবর্তীতে হিমাচল প্রদেশে উদ্যানপালনে অগ্রগামী হয়ে ওঠেন।[৬] বিদ্যার দুই ছেলে ও এক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকে।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

২০১০ সালের ৫ই আগস্ট, বিদ্যা ৮৩ বছর বয়সে হকি ইন্ডিয়ার সভাপতি নির্বাচিত হন।[৭] তিনি পরগট সিংকে পরাজিত করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে বিদ্যা স্টোকসের মনোনয়ন সরকারি নির্দেশিকার ৭০ বছর বয়সের শর্ত লঙ্ঘন করেছিল।

তিনি ১৯৭৬ সালের সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির মনোনীত সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন।[৮] ১৯৮০ সালের লোকসভা সাধারণ নির্বাচনের সময় তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের অর্থ কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির পর্যবেক্ষক ছিলেন,

তিনি এশিয়ান উইমেন কো-অপারেটিভ কনফারেন্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, এটি আন্তর্জাতিক মহিলা বছর, ১৯৭৭ চলাকালীন কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দিল্লি বোর্ডে ছিলেন। তিনি চার বছরের জন্য রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি কো-অপারেটিভ ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয় বোর্ডেও কাজ করেছেন। তিনি জাতীয় কৃষক ফোরামের উপ-সভাপতি এবং জাতীয় কৃষক ফোরামের রাজ্য ইউনিটের সভাপতি। তিনি ১৯৮০ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৮৪ সালের ১৪ই নভেম্বর পর্যন্ত এইচপিএমসি লিমিটেডের উপ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯৪ এবং ২০০৩ সালে ভারতীয় মহিলা হকি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং স্পেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সময় ভারতের মহিলা জাতীয় ফিল্ড হকি দলের সাথে ছিলেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ ইন্ডিপেনডেন্ট স্কাউটস, (ডব্লিউএফআইএস) জার্মানির সদস্য সংগঠন স্কাউটস/গাইডস অর্গানাইজেশনের রাজ্য প্রধান কমিশনার পদে অব্যাহত রয়েছেন। তিনি হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বয়স্ক বিজয়ী এবং ২০১২ সালে অষ্টমবারের মতো জয়ী হয়েছেন।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Himachal Pradesh legislative assembly election, 1985" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  2. "Himachal Pradesh legislative assembly election, 1990" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  3. "Himachal Pradesh legislative assembly election, 2003" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  4. "Himachal Pradesh legislative assembly election, 2007"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  5. "Himachal Pradesh legislative assembly election, 2012"। ২৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  6. "House that Stokes built"। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  7. "83-year-old woman to steer Indian hockey"The Times of India। ৫ আগস্ট ২০১০। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 
  8. "Official profile of Vidya Stokes @ hpvidhansabha.nic.in"। ৯ জুলাই ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০০৭ 
  9. "At 84, Vidya Stokes wins eighth time"। ২০ ডিসেম্বর ২০১২। ২১ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৩ 

টেমপ্লেট:হিমাচল প্রদেশের দশম বিধানসভার সদস্য