বাতাস
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
বাতাস হচ্ছে একটি গ্রহের পৃষ্ঠের সাপেক্ষে বায়ু বা অন্যান্য গ্যাসের স্বাভাবিক উপাদান। বাতাস দেখা যায় না অনুভব করা যায়। বাতাসের প্রবাহ বিভিন্ন পরিসরে ঘটে, কয়েক মিনিট স্থায়ী বজ্রঝড়ের প্রবাহ থেকে শুরু করে, ভূ-পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হওয়ার ফলে উৎপন্ন কয়েক ঘন্টা স্থায়ী স্থানীয় বাতাস এবং পৃথিবীর জলবায়ু অঞ্চলগুলির মধ্যে সৌর শক্তির শোষণের পার্থক্যের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক বায়ু পর্যন্ত। বৃহৎ আকারের বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালনের দুটি প্রধান কারণ হল বিষুবরেখা এবং মেরুগুলির মধ্যে পার্থক্যমুলক উত্তাপন এবং গ্রহের ঘূর্ণন (কোরিওলিস প্রভাব)। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে, ভূখণ্ড এবং উচ্চ মালভূমিতে তাপীয় নিম্ন সঞ্চালন মৌসুমি বায়ু সঞ্চালন চালাতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক হাওয়া/ভূমির হাওয়া চক্র স্থানীয় বায়ুকে নিরূপণ করতে পারে; পরিবর্তনশীল ভূখণ্ড আছে এমন অঞ্চলে, পর্বত এবং উপত্যকার বাতাসের গতি প্রবল হতে পারে।
বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পার্থক্যের কারণে বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি হয়, যা মূলত তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে হয়। যখন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পার্থক্য থাকে, তখন বাতাস উচ্চ থেকে নিম্নচাপের এলাকায় যায়, ফলে বিভিন্ন গতির বাতাস তৈরি হয়। একটি ঘূর্ণায়মান গ্রহে, ঠিক নিরক্ষরেখা বরাবর ব্যতীত, কোরিওলিস প্রভাব দ্বারা বাতাসও বিচ্যুত হবে। বিশ্বব্যাপী, বড় ধরণের বাতাসের বিন্যাসের (বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চালন) দুটি প্রধান চালিকাশক্তি হল বিষুবরেখা এবং মেরুগুলির মধ্যে পার্থক্যকারী উত্তাপ (সৌর শক্তির শোষণের পার্থক্য যা প্লবতা শক্তির দিকে পরিচালিত করে) এবং গ্রহের ঘূর্ণন। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের বাইরে এবং পৃষ্ঠের ঘর্ষণজনিত প্রভাব থেকে উঁচুতে, বড় আকারের বাতাস জিওস্ট্রফিক ভারসাম্যের দিকে যেতে থাকে। পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি ঘর্ষণজনিত কারণে বাতাসের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর হয়ে যায়। পৃষ্ঠের ঘর্ষণও নিম্নচাপ অঞ্চলে বাতাসকে আরও ভিতরের দিকে প্রবাহিত করে।[১][২]
বাতাসের উপাদান
[সম্পাদনা]বাতাস বা বায়ু প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থের মিশ্রণ। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রতি একশো ভাগ বায়ুতে, আয়তন হিসেবে, মূলত নিম্নলিখিত উপাদান থাকে।
নাইট্রোজেন: ৭৭.১৭ %
অক্সিজেন: ২০.৬০ %
জলীয় বাষ্প: ১.৪০ %
কার্বন ডাই-অক্সাইড: ০.০৩ %
অন্যান্য গ্যাসীয় উপাদান: যথা- হিলিয়াম, আর্গন, জেনন ইত্যাদি: ০.৮০ %
সর্বমোট: ১০০ % [৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ JetStream (২০০৮)। "Origin of Wind"। National Weather Service Southern Region Headquarters। ২৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Makarieva, Anastassia; V. G. Gorshkov, D. Sheil, A. D. Nobre, B.-L. Li (ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "Where do winds come from? A new theory on how water vapor condensation influences atmospheric pressure and dynamics"। Atmospheric Chemistry and Physics। ১৩ (2): ১০৩৯–১০৫৬। আরজাইভ:1004.0355। বিবকোড:2013ACP....13.1039M। ডিওআই:10.5194/acp-13-1039-2013। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ বই=মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান|লেখক: তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী|প্রকাশক=শ্রীভূমি পাবলিশিং কোম্পানি, কলকাতা|বছর ১৯৮৩|পৃঃ ১৫৯