বাগরাকোট
বাগরাকোট বাগরাকোট চা বাগান | |
---|---|
গ্রাম | |
পশ্চিমবঙ্গে, ভারতে বাগরাকোটের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৫৩′৫৮″ উত্তর ৮৮°৩৫′০৫″ পূর্ব / ২৬.৮৯৯৪° উত্তর ৮৮.৫৮৪৬° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | জলপাইগুড়ি |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৯,৯৭১ |
সময় অঞ্চল | ভাপ্রস (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৩৪৫০১ |
টেলিফোন/এসটিডি | ০৩৫৬২ |
যানবাহন নিবন্ধন | WB |
লোকসভা কেন্দ্র | জলপাইগুড়ি |
ওয়েবসাইট | jalpaiguri |
বাগরাকোট (বাগড়াকোট/বাগরাকোট চা বাগান নামেও পরিচিত) হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার মাল সিডি ব্লকের একটি গ্রাম। বাগড়াকোটকে চা বাগান হিসেবে অভিহিত করার পেছনে প্রধান কারণ হলো ডানকান গোয়েঙ্কা গ্রুপ কর্তৃক বাগরাকোটে একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল যা স্থিতিশীল জীবিকার ব্যবস্থা করে। এইভাবে পার্শ্ববর্তী গ্রাম এবং এমনকি সিকিমের মতো কিছু দূরবর্তী স্থানের লোকেরা উন্নত জীবনযাত্রার সন্ধানে বাগরাকোটে (প্রধানত স্বাধীনতার পরে) স্থানান্তরিত হয়।
শর্মা লাইন বাগরকোট চা বাগানের রাজধানী হিসাবে পরিচিত।
ভূগোল
[সম্পাদনা]কারিগরি সমস্যার কারণে গ্রাফ এই মূহুর্তে অস্থায়ীভাবে অনুপলব্ধ রয়েছে। |
দ্রষ্টব্য: মানচিত্রটি মহকুমার কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান উপস্থাপন করে। মানচিত্রে চিহ্নিত সমস্ত স্থান বৃহত্তর পূর্ণ পর্দা মানচিত্রে সংযুক্ত করা হয়েছে৷
অবস্থান
[সম্পাদনা]বাগরাকোট চা বাগান ২৬.৮৯৯৪° উত্তর, ৮৮.৫৮৪৬° পূর্বে অবস্থিত।
এলাকাটির প্রাকদর্শন
[সম্পাদনা]গোরুমারা জাতীয় উদ্যান ঐতিহ্যগতভাবে জনপ্রিয় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে এবং মালবাজার ডুয়ার্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মালবাজার মহকুমা পাশাপাশি মানচিত্রে উপস্থাপন করা হয়েছে। [১][২] এটি একটি প্রধানত গ্রামীণ এলাকা যেখানে জনসংখ্যার ৮৮.৭২% গ্রামীণ এলাকায় এবং ১১.৩২% শহরে বসবাস করে। [৩][৪] ডুয়ার্স এবং তরাই অঞ্চলের চা বাগানগুলি ২২৬ মিলিয়ন কেজি বা ভারতের মোট চা ফসলের এক চতুর্থাংশেরও বেশি উৎপাদন করে। [৫][৬] ২০১১ সালের আদমশুমারিতে কিছু চা বাগানকে শহর অথবা গ্রাম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। [৭] এই জাতীয় স্থানগুলিকে মানচিত্রে জঃনঃ (জনগণনা নগর) অথবা গ্রাঃ (গ্রামীণ) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্দিষ্ট চা এস্টেটগুলোকে চাঃবাঃ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, বাগরাকোট চা বাগানের মোট জনসংখ্যা ছিল ৯,৯৭১ জন। যারমধ্যে ৪,৯০৭ জন (৪৯%) পুরুষ ও ৫০৬৪ জন (৫১%) মহিলা। যার আবার ০ থেকে ৬ বছর বয়সী ব্যক্তি ৮৯৫ জন।
বাগরাকোট চা বাগানে মোট সাক্ষর লোকের সংখ্যা ৬,৮৭৮ (জনসংখ্যার ৭৫% ৬ বছরের বেশি বয়সী)। [৮]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]বাগরাকোট চা বাগান ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে চা বাগানটি জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ভারতের তুলনায় অন্যান্য দেশ যেমন কেনিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এমনকি বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় ভারতের আন্তর্জাতিক বাজার হাতছাড়া হওয়া, চা বাগানের প্রতিকূল পরিস্থিতির অন্যতম একটি কারণ। দেশের অভ্যন্তরে চায়ের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু ২০১৫ সালের আগের পাঁচ বছরে উৎপাদন খরচ ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। [৯]
বাগড়াকোট এবং গোয়েঙ্কা ডানকান গোষ্ঠীর মালিকানাধীন ১৩টি অন্যান্য চা বাগান কার্যত বন্ধ বা "পরিত্যক্ত" হয়েছে বলে শোনা যায়৷ আরও ৮টি বাগান রয়েছে, যেগুলো বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে। উত্তরবঙ্গের ২৮৩টি চা বাগানের মধ্যে ডুয়ার্সেই ১৫৪টি বাগান রয়েছে যেগুলোতে ৩.৫ লাখ শ্রমিক কাজ করে। [১০]
বাগড়াকোট টি এস্টেটে ৪৮৯.৯৫ হেক্টর পরিপক্ক চা গাছ ও ১.৩২ হেক্টর চারা গাছ রয়েছে। ১৯৯৮-৯৯ সালে, এখানে ১.৪১৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করেছিল। [১১]
পর্যটন
[সম্পাদনা]বাগরাকোট, ওদলাবাড়ি থেকে ৪ কিমি দূরত্বে অবস্থিত একটি গ্রাম, এর চারপাশে ঘন বন ও চা বাগান সহ রয়েছে হিমালয় পর্বতের৪ মনোরম উপভগ্য দৃশ্য। যারা ভাগ্যবান, বিশেষ করে শীতের সকালে, তারাও কংচেনজঙ্ঘার এক ঝলক দেখতে পারেন। এখানে থেকে ললিগাঁও পর্যন্ত ট্রেকিং রুটও রয়েছে । প্রচারহীন এই গন্তব্যটি বর্তমানে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও, এলাকাটি প্রধানত বিশাল ঝোপঝাড় এবং অপরিষ্কার গাছপালা দিয়ে আবৃত হওয়া, চা বাগানগুলোর অচলাবস্থা ইত্যাদি কারণে পর্যটকরা সমালোচনাও করে থাকে।
পরিবহন
[সম্পাদনা]উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে বিভাগের নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-সমুকতলা রোড লাইনে অবস্থিত বাগড়াকোট রেলওয়ে স্টেশনটি বাগড়াকোট ও আশেপাশের চা বাগান এলাকায় পরিষেবা প্রদান করে।
সামরিক কার্যকলাপ
[সম্পাদনা]সিকিমের কাছে চীন-ভারত সীমান্তের উত্তর ও উত্তর-পূর্বে গত এক দশকে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্তের সড়ক নেটওয়ার্ক, সেনা ও সামরিক উপকরণ সমান্তরালভাবে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করেছে। দেশের বাকি অংশের সাথে সিকিমকে সংযুক্তকারী, ভূমিধস-প্রবণ জাতীয় মহাসড়ক এনএইচ-৩১এ প্রশস্ত ও শক্তিশালী করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী বাগরাকোট সামরিক ঘাঁটিতে একটি অস্ত্রাগার তৈরি করেছে এবং সেখানে একটি এয়ারস্ট্রিপ তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে সামরিক স্থাপনাগুলির বিশেষ মেরামতের জন্য দরপত্র পাঠানো হয়েছিল। [১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Malbazar"। North Bengal Tourism। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Dooars Tour"। North Bengal Tourism। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Jalpaiguri"। District Profile। District administration। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "District Statistical Handbook 2014 Jalpaiguri"। Tables 2.2, 2.4b। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Tea Growing Regions"। Dooars and Terai। Indian Tea Association। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Dooars-Terai"। Tea Board India। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables"। West Bengal – District-wise। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২০।
- ↑ "C.D. Block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"। West Bengal – District-wise CD Blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০।
- ↑ Roy, Esha (২২ নভেম্বর ২০১৫)। "13 years too late for many in North Bengal's tea gardens"। Bagrakote Tea Garden in Jalpaiguri district। The Indian Express, 22 November 2015। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Kolkata: Stick with your did, CM tells tea garden workers in Dooars"। Hindustan Times, 5 November 2015। ৫ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Tea Garden"। Duncans। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "MES Tender - SPL Repair To bldg no sp 03 T 1098 and T 943 at Bagrakote Mil STN Under Ge Sevoke Road - West Bengal"।