বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলার গভর্নরদের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

১৬৪৪ সালে গ্যাব্রিয়েল বাউটন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য মুঘলদের কাছ থেকে বিশেষাধিকার অর্জন করেন যা তাদেরকে হুগলিতে দুর্গ ব্যতীত একটি কারখানা নির্মাণের অনুমতি দেয়। বাংলা অঞ্চলে কোম্পানির বিষয়গুলি দেখাশোনা করার জন্য বিভিন্ন প্রধান এজেন্ট, গভর্নর এবং প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা হয়েছিল। ১৭৬৫ সালে এলাহাবাদ চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিকে বাংলা সুবাহর দেওয়ানি প্রদান করা হয়। ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংসকে বাংলার ফোর্ট উইলিয়ামের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত করা হয় যার ফলে বাংলার গভর্নর পদের অবসান ঘটে।[]

১৮৩৩ সালের সেন্ট হেলেনা আইন বলে ভারতের গভর্নর-জেনারেলকে বাংলার প্রেসিডেন্সির গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দেয়। এই সময় থেকে ভারতের গভর্নর-জেনারেল ১৮৫৪ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নরের পৃথক পদের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।[]

১৮৫৩ সালে ভিক্টোরিয়া আইনের ১৬ এবং ১৭ ধারার ৫৬ ধারা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদকে ঘোষণা করার ক্ষমতা দেয় যে ভারতের গভর্নর-জেনারেল বাংলার ফোর্ট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সির গভর্নর হবেন না তবে এই প্রেসিডেন্সির জন্য একজন পৃথক গভর্নর নিযুক্ত করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের গভর্নর-জেনারেলকে বাংলার ফোর্ট উইলিয়াম প্রেসিডেন্সির একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। ১৮৫৪ সালে এফ. জে. হ্যালিডেকে বাংলা প্রেসিডেন্সির প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হয়।[]

১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লি দরবারে রাজা পঞ্চম জর্জ ভারত সরকারের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর, পাঁচটি প্রধানত বাংলাভাষী বিভাগকে একজন গভর্নরের অধীনে বঙ্গভঙ্গ রদ করে একটি প্রেসিডেন্সি বা প্রদেশ গঠন, একজন লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের অধীনে বিহারউড়িষ্যা মিলে একটি নতুন প্রদেশ তৈরি এবং একজন প্রধান কমিশনারের অধীনে আসাম প্রদেশ পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন। ১৯১২ সালের ২১ মার্চ টমাস গিবসন-কারমাইকেলকে বাংলার গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। ২২ মার্চ বাংলা বিহার, উড়িষ্যা এবং আসাম প্রদেশ গঠিত হয়।[]

১৯৪৭ সালে ভারত ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে এবং ভারত বিভাগের পর নতুন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ গঠিত হয়। সি. রাজাগোপালাচারীকে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী ভারতের সংবিধান কার্যকর হলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ একটি আনুষ্ঠানিক পদে পরিণত হয়।

পূর্বসূরী (১৬৫০-১৭৫৮)

[সম্পাদনা]

এজেন্ট, প্রধান এবং গভর্নর (১৬৫০-১৬৯৯)

[সম্পাদনা]

১৬৪৪ সালে গ্যাব্রিয়েল বাউটন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য বিশেষাধিকার অর্জন করেন যা তাদেরকে হুগলিতে একটি কারখানা নির্মাণের (দুর্গ বাতীত) অনুমতি দেয়। ১৬৫০ সালে বালেশ্বর এবং হুগলির কারখানাগুলি একত্রিত হয়। ১৬৫০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জেমস ব্রিজম্যানকে কারখানার প্রধান নিযুক্ত করা হয়। তবে ১৬৫৩ সালে ব্রিজম্যান হঠাৎ চলে যান এবং পাওল ওয়াল্ডেগ্রেভ তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৬৫৭ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী কোম্পানিটি তার মালিকানা চারটি সংস্থায় ভাগ করে নেয়। এগুলো হল ফোর্ট সেন্ট জর্জ, ব্যান্টাম, পারস্য এবং হুগলি।

জর্জ গাওটনকে হুগলির এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। বালেশ্বর, কাসিমবাজার এবং পাট্নায় অবস্থিত আরও তিনটি কারখানা হুগলি এজেন্সির অধীনে ন্যস্ত করা হয়। ১৬৫৮ সালে জননাথন ট্রেভিসাকে গাউটনের সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং গাউটনের মৃত্যুর পর তাকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৬৬১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি হুগলি এজেন্সিকে ফোর্ট সেন্ট জর্জের অধীনে কমিয়ে দেয় এবং তারপর এজেন্ট ট্রেভিসাকে "বঙ্গোপসাগরের কারখানার প্রধান" করা হয়।

১৬৮১ সালের ২৪ নভেম্বর উইলিয়াম হেজেসকে "বঙ্গোপসাগরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিষয়গুলির এজেন্ট এবং গভর্নর" হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ১৬৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর, ক্রমবর্ধমান অব্যবস্থাপনার কারণে ফোর্ট সেন্ট জর্জের রাষ্ট্রপতি এবং গভর্নর উইলিয়াম গিফোর্ডকে বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। জন বিয়ার্ডকে "বঙ্গোপসাগরের এজেন্ট এবং প্রধান" হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং তিনি গিফোর্ডের অধস্তন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বালাসোর এবং হুগলির কারখানার প্রধান
নাম ছবি দপ্তর গ্রহণ দপ্তর ত্যাগ মন্তব্য
জেমস ব্রিজম্যান ১৪ ডিসেম্বর ১৬৫০ ১৬৫৩
পাওল ওয়াল্ডেগ্রেভ ১৬৫৩ ১৬৫৭
হুগলি এজেন্সির এজেন্ট
জর্জ গাওটন ২৭ ফেব্রুয়ারী ১৬৫৭ ১১ সেপ্টেম্বর ১৬৫৮
জন ট্রেভিসা ১১ সেপ্টেম্বর ১৬৫৮ ৬ ফেব্রুয়ারী ১৬৬১
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের কারখানার প্রধান
জন ট্রেভিসা ৬ ফেব্রুয়ারী ১৬৬১ ৩১ জানুয়ারী ১৬৬২
উইলিয়াম ব্লেক ৩১ জানুয়ারী ১৬৬২ ২৪ জানুয়ারী ১৬৬৮
শেম ব্রিজেস ২৪ জানুয়ারী ১৬৬৮ ৭ ডিসেম্বর ১৬৬৯
হেনরি পাওয়েল ৭ ডিসেম্বর ১৬৬৯ ?
ওয়াল্টার ক্ল্যাভেল ~জুন ১৬৭২ ৭ আগস্ট ১৬৭৭ দায়িত্বে থাকাকালীন মারা যান
ম্যাথিয়াস ভিনসেন্ট ৭ সেপ্টেম্বর ১৬৭৭ ~জুলাই ১৬৮২

(পদ বাতিল)

১৬৮২ সালের জুলাই মাসে ক্ষমতাচ্যুত হন
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সম্প্ররকিত এজেন্ট এবং গভর্নর
স্যার উইলিয়াম হেজেস ২৪ নভেম্বর ১৬৮১ ~ আগস্ট ১৬৮৪ ১৮৬৪ সালের আগস্টে পদচ্যুত হন
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের এজেন্ট এবং প্রধান
জন বিয়ার্ড ২১ ডিসেম্বর ১৮৬৩ ২৮ আগস্ট ১৮৬৫ দায়িত্বে থাকাকালীন মারা যান
উইলিয়াম গ্যাফোর্ড ১৬৮৪ ১৬৮৫
জব চার্নক ~ এপ্রিল ১৬৮৬ ১০ জানুয়ারী ১৬৯৩ দায়িত্বে থাকাকালীন মারা যান
ফ্রান্সিস এলিস ১০ জানুয়ারী ১৬৯৩ জানুয়ারী ১৬৯৪
চার্লস আয়ার ২৫ জানুয়ারী ১৬৯৪ ১ ফেব্রুয়ারী ১৬৯৯ ১৬৯৯ সালে ইংল্যান্ডে চলে যান
জন বিয়ার্ড ১ ফেব্রুয়ারী ১৬৯৯ ২০ ডিসেম্বর ১৬৯৯

(পদ বাতিল)

আয়ারের অধস্তন

বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামের প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নর (১৬৯৯-১৭০৫)

[সম্পাদনা]

১৬৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর কোর্ট অফ ডিরেক্টরস (লন্ডন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি) বাংলাকে প্রেসিডেন্সি ঘোষণা করে এবং তারপর এজেন্ট চার্লস আয়ারকে "বাংলার ফোর্ট উইলিয়ামের প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নর" করা হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে প্রেসিডেন্ট বা প্রধান ছিলেন স্যার এডওয়ার্ড লিটলটন। যার কমিশন এবং নির্দেশাবলীতে ১৬৯৮ সালের ১২ জানুয়ারী বলা হয়েছিল যে মহামান্যের কাছ থেকে তাকে "ইংরেজি জাতির মন্ত্রী বা কনসাল" হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।" লিটলটনকে পরবর্তীতে ১৭০৩ সালে কোর্ট অফ ডিরেক্টরস কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

দুটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একত্রীকরণ করা হয় ১৭০২ সালের ২৩ জুলাই। বাংলায় ঐক্যবদ্ধ বাণিজ্যের জন্য একটি কাউন্সিল নিযুক্ত করা হয়েছিল যার মধ্যে ন্যাথানিয়েল হ্যালসি এবং রবার্ট হেজেসকে ১৭০২ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারী ইউনাইটেড কোম্পানির প্রেরিত আদেশ অনুসারে সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে সভাপতিত্ব করতে হয়েছিল। ১৭০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী এক প্রেরিত আদেশে বলা হয়েছিল যে যদি বিয়ার্ড মারা যান তাহলে তার উত্তরসূরী হিসেবে কাউকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হবে না। জন বিয়ার্ড মাদ্রাজে চলে যাওয়ার পর রাল্ফ শেলডন কাউন্সিল প্রধানের পদ গ্রহণ করেন এবং ১৭০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।

বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামের প্রেসিডেন্ট এবং গভর্নর
নাম ছবি দপ্তর গ্রহণ দপ্তর ত্যাগ মন্তব্য
স্যার চার্লস আয়ার ২০ ডিসেম্বর ১৬৯৯ ৭ জানুয়ারী ১৭০১ স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে দপ্তর ত্যাগ
জন বিয়ার্ড ৭ জানুয়ারী ১৭০১ ৭ জুলাই ১৭০৫ দায়িত্বে থাকাকালীন মারা যান

বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট, এবং বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামের গভর্নর এবং সর্বাধিনায়ক (১৭০৫-১৭৭৪)

[সম্পাদনা]

১৭০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর অ্যান্থনি ওয়েলডনকে ইউনাইটেড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির "বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামের গভর্নর এবং কমান্ডার-ইন-চিফ" হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। পরে তার নিয়োগ বাতিল করা হয় এবং শেলডনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু বাংলায় আগমনের সময় শেলডন মারা গিয়েছিলেন তাই জন রাসেলকে গভর্নর হিসেবে উত্তরাধিকারী হিসেবে নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৭৭১ সালের ৮ মে একটি চিঠির মাধ্যমে আদালত ওয়ারেন হেস্টিংসকে বাংলার গভর্নর নিযুক্ত করে। পার্লামেন্টের আইন ১৩ জিও. III., ক্যাপ. ৬৩ অনুসারে বাংলায় ফোর্ট উইলিয়ামের প্রেসিডেন্সির নেতৃত্বে থাকবেন একজন গভর্নর-জেনারেল এবং হেস্টিংসকে প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি ১৭৭৪ সালের ২০ অক্টোবর এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সভাপতি

[সম্পাদনা]
নাম দপ্তর গ্রহণ দপ্তর ত্যাগ
চার্লস আইয়ার ১৭০০ ১৭০১
জন বিয়ার্ড ১৭০১ ১৭০৫
এডওয়ার্ড লিটেলটন ১৭০৫ ১৭০৫
'কাউন্সিল দ্বারা শাসিত' ১৭০৫ ১৭১০
এনথনি উয়েলডেন ১৭১০ ১৭১১
জন রাসেল ১৭১১ ১৭১৩
হেজেস ১৭১৩ ১৭১৮
স্যামুয়েল ফ্লেক ' ১৭১৮ ১৭২৩
জন ড্যানি ১৭২৩ ১৭২৬
হেনরি ফ্র্যাঙ্কল্যাণড ১৭২৬ ১৭২৮
এডওয়ার্ড স্টিফেনসন ১৭২৮ ১৭২৮
জন ড্যানি ১৭২৮ ১৭৩২
জন স্টেকহাওজ ১৭৩২ ১৭৩৯
টমাস ব্রাডি ২য়  ১৭৩৯ ১৭৪৬
জন ফসটার ১৭৪৬ ১৭৪৮
উইলিয়াম বারউয়েল

১৭৪৮ ১৭৪৯
অ্যাডাম ডাওসন ১৭৪৯ ১৭৫২
উইলিয়াম  ফ্যাসি ১৭৫২ ১৭৫২
রজার ড্রেক ১৭৫২ ১৭৫৬

লর্ড রবার্ট ক্লাইভ নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্য এবং তাদের স্থানীয় মিত্রদের সহযোগিতায় পলাশীর যুদ্ধে ২৩ শে জুন ১৭৫৭ বাংলার নবাব-কে পরাজিত করে মুরশিদাবাদে হত্যা করা হয় এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নিজেদের প্রশাসন স্থাপন করে। ক্লাইভ গভর্নর হন।

গভর্নর (১৭৫৮–১৭৭৪), বাংলার গভর্নর জেনারেল (১৭৭৪–১৮৩৩), ভারতের গভর্নর জেনারেল (১৮৩৩–১৮৫৮)

[সম্পাদনা]
নাম দপ্তর গ্রহণ দপ্তর ত্যাগ
রবার্ট ক্লাইভ ১৭৫৮ (গভর্নর হিসাবে) ১৭৬০
হেনরি ভ্যান্সিটার্ট ১৭৬০ ১৭৬৫
লর্ড রবার্ট ক্লাইভ ১৭৬৫ ১৭৬৭
হ্যারি ভেরেলেস্ট ১৭৬৭ ১৭৬৯
জন কার্টিয়ার ১৭৬৯ ১৭৭২
ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ ১৭৮৫
জন ম্যাক ফেরসন, ১ম ব্যরনেট  ১৭৮৫ ১৭৮৬
চার্লস কর্নওয়ালিস ১৭৮৬ ১৭৯৩
জন সওর  ১৭৯৩ ১৭৯৮
রিচার্ড ওয়েলেসলি, প্রথম মার্কাস ওয়েলেসলি ১৭৯৮ ১৮০৫
চার্লস কর্নওয়ালিস,১ম  মার্কাস ওয়েলেসলি ১৮০৫ ১৮০৫
জর্জ বার্লো, ১ম ব্যারনেট ১৮০৫ ১৮০৭
গিলবার্ট এলিয়ট মারে কায়নায়নমাওন্ড লর্ড মিন্টো ১৮০৭ ১৮১৩
ফ্রান্সিস রাওডন-হেস্টিংস, ময়রার আর্ল ১৮১৩ ১৮২৩
জন অ্যাডাম ১৮২৩ ১৮২৩
উইলিয়াম আমহার্স্ট, ১ম আর্ল আমহার্স্ট ১৮২৩ ১৮২৮
উইলিয়াম বাটারওর্থ বেইলী ১৮২৮ ১৮২৮
লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক ১৮২৮ ১৮৩৫
চার্লস মেটকাফ, বিটি ১৮৩২ ১৮৩৬
জর্জ ইডেন, অকল্যান্ড ১ম আর্ল ১৮৩৬ ১৮৪২
এডওয়ার্ড ল', এলেন বুর্গ-এর ১ম আর্ল ১৮৪২ ১৮৪৪
উইলিয়াম উইলবারফোর্স বার্ড ১৮৪২ ১৮৪৪
হেনরি হার্ডিঞ্জ, ১ম ভাইকাউন্ট হার্ডিঞ্জ ১৮৪৪ ১৮৪৮
জেমস ব্রাউন র‍্যামজি ডালহৌসি ১ম মার্কাস ১৮৪৮ ১৮৫৬

চার্টার অ্যাক্ট ১৮৫৩ এর অধীনে ভারতের গভর্নর জেনারেল বাংলার গভর্নর হিসেবে তার সহগামী শেঠিকে এবং ১৮৫৪ সাল  থেকে ছোট লাট নিযুক্ত করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়। 

নাম দপ্তর গ্রহণ দপ্তর ত্যাগ
স্যার ফ্রেডারিক জেমস হ্যালিডে ১৮৫৪ ১৮৫৯
স্যার জন পিটার গ্রান্ট ১৮৫৯ ১৮৬২
স্যার সেসিল বীডন ১৮৬২ ১৮৬৬
স্যার উইলিয়াম গ্রে ১৮৬৭ ১৮৭০
স্যার জর্জ ক্যাম্পবেল ১৮৭১ ১৮৭৪
স্যার রিচার্ড টেম্পল ১৮৭৪ ১৮৭৭
অ্যাশলে ইডেন ১৮৭৭ ১৮৮২
অগাস্টাস থম্পসন ১৮৮২ ১৮৮৭
স্টুয়ার্ট কল্ভিন বেইলী ১৮৮৭ ১৮৯০
চার্লস আলফ্রেড এলিয়ট ১৮৯০ ১৮৯৩
অ্যান্টনি ম্যাকডোনেল ১৮৯৩ ১৮৯৫
অ্যান্টনি ম্যাকডোনেল ১৮৯৩ ১৮৯৫
আলেকজান্ডার ম্যাকেঞ্জি ১৮৯৫ ১৮৯৭
চার্লস স্টিভেনস ১৮৯৭ ১৮৯৮
জন উডবার্ন ১৮৯৮ ১৯০২
জেমস বৌরডিলন ১৯০২ ১৯০৩
অ্যান্ড্রু হেন্ডারসন লেইথ ফ্রেজার ১৯০৩ ১৯০৬
লান্সেলট হ্যারে ১৯০৬ ১৯০৬
ফ্রান্সিস স্ল্যেকে ১৯০৬ ১৯০৮
এডওয়ার্ড নরম্যান বেকার ১৯০৮ ১৯১১
উইলিয়াম ডিউক ১৯১১ ১৯১২

ব্রিটিশ গভর্নরের অধীনে ১৯১১ সালে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলাকে একক সরকারের অধিনে এক প্রদেশে পরিনত করা হয়।

গভর্নর, ১৯১২–৪৭

[সম্পাদনা]
নাম দপ্তর গ্রহণ দপ্তর ত্যাগ
টমাস গিবসন-কারমাইকেল, ১ম ব্যারন কারমাইকেল ১৯১২ ১৯১৭
লরেন্স ডানডাস, জেটল্যান্ডের দ্বিতীয় মার্কাস ১৯১৭ ১৯২২
ভিক্টর বুলওয়ার-লিটন, লিটন এর ২য় আর্ল ১৯২২ ১৯২৭
স্ট্যানলি জ্যাকসন ১৯২৭ ১৯৩২
জন অ্যান্ডারসন ১৯৩২ ১৯৩৪
মাইকেল ন্যচাবুলা, ৫ম ব্যারন ব্র্যাবোর্ন ১৯৩৭ ১৯৩৮
জন আর্থার হার্বার্ট ( কনজারভেটিভ রাজনীতিবিদ) ১৯৩৯ ১৯৪৩
রিচার্ড ক্যাসি, ব্যারন ক্যাসি ১৯৪৪ ১৯৪৬
ফ্রেডেরিক বারোজ ১৯৪৬ ১৯৪৭

স্বাধীনতা পরবর্তী, ১৯৪৭

[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান ঘটে ১৯৪৭ সালে এবং ভারতপাকিস্তান নামে দুটি পৃথক নতুন রাষ্ট্র সৃষ্টি করা হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ১৯৪৭ সালে বাংলাকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয় এবং স্বাধীনভাবে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে এবং পূর্ববাংলা পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হয়।

ধারাবাহিকতা বজায় রাখাতে অনুগ্রহ করে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নরদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর তালিকা ও পূর্বঙ্গের গভর্নরদের জন্য পূর্ব বাংলার গভর্নর তালিকা দেখুন।

  1. Danvers, F.C. (২২ জুন ২০১৬)। Bengal: Its Chiefs, Agents, and Governors। Forgotten Books। পৃষ্ঠা –6। আইএসবিএন 978-1332869954 
  2. Danvers, F.C. (২২ জুন ২০১৬)। Bengal: Its Chiefs, Agents, and Governors। Forgotten Books। পৃষ্ঠা 21। আইএসবিএন 978-1332869954 
  3. Danvers, F.C. (২২ জুন ২০১৬)। Bengal: Its Chiefs, Agents, and Governors। Forgotten Books। পৃষ্ঠা 21–22। আইএসবিএন 978-1332869954 
  4. Ilbert, Sir Courtenay Peregrine (1922). The Government of India, Third Edition, revised and updated. Clarendon Press. pp. 117–118.

http://www.worldstatesmen.org/India_BrProvinces.htm

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ