ভিক্টর বুলওয়ার-লিটন, লিটন এর ২য় আর্ল
যথার্থ সম্মানিত লিটন এর ২য় আর্ল | |
---|---|
Governor of Bengal | |
কাজের মেয়াদ 1922–1927 | |
সার্বভৌম শাসক | George V |
পূর্বসূরী | Earl of Ronaldshay |
উত্তরসূরী | Sir Stanley Jackson |
Acting Viceroy of India | |
কাজের মেয়াদ 1926–1926 | |
সার্বভৌম শাসক | George V |
পূর্বসূরী | The Earl of Reading |
উত্তরসূরী | The Lord Irwin |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | 9 August 1876 Simla, British India |
মৃত্যু | ২৫ অক্টোবর ১৯৪৭ | (বয়স ৭১)
জাতীয়তা | British |
দাম্পত্য সঙ্গী | Pamela Chichele-Plowden |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | Trinity College, Cambridge |
ভিক্টর আলেক্সান্ডার জর্জ রবার্ট বুলওয়ার-লিটন, লিটন এর ২য় আর্ল কে.জি, জি.সি.এস.আই, জি.সি.আই.ই, পি.সি.ডি.এল (৯ই আগস্ট ১৮৭৬ - ২৫শে অক্টোবর ১৯৪৭), ১৮৮০ থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত স্টাইলড ভাইকাউন্ট নিবঅর্থ, একজন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ এবং ঔপনিবেশিক প্রশাসক ছিলেন। তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ১৯২৬ সালে সালে ভারতের ভারপ্রাপ্ত ভাইসরয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
পটভূমি ও শিক্ষাগ্রহণ
[সম্পাদনা]লিটন ছিলেন রবার্ট বুলওয়ার-লিটন ১ম আর্ল এবং এডিথ ভিলিয়ার্স এর চতুর্থ ও জ্যেষ্ঠ পুত্র। মাতা এডিথ ভিলিয়ার্স এডওয়ার্ড আর্নেস্ট ভিলিয়ার্সের কন্যা ও জর্জ ভিলিয়ার্সের নাতনী হন। তার পিতা যখন ভারতের ভাইসরয় ছিলেন তখন তিনি ব্রিটিশ ভারতের শিমলা জন্মগ্রহণ করেন।তিনি ইটন এবং কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে শিক্ষাগ্রহণ করেন[১] এবং তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিট ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন।[২] তিনি ১৯০৫ সালে এডিনবরা স্যার ওয়াল্টার স্কট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ক্লাবের বার্ষিক ডিনার এ স্যার ওয়াল্টারকে টোস্ট দিয়েছেন।
ভিক্টর বুলওয়ার-লিটনের ছয় ভাইবোনের তালিকা:
- এডওয়ার্ড রোল্যান্ড জন বুলওয়ার-লিটন (১৮৬৫-১৮৭১)
- লেডি এলিজাবেথ এডিথ "বেটি" বুলওয়ার-লিটন (১২ই জুন ১৮৬৭ - ২৮শে মার্চ ১৯৪২)। তিনি জেরাল্ড বেলফোর, বেলফোর এর ২য় আর্লের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী আর্থার বেলফোর ভাই ছিলেন।
- লেডি কনস্ট্যান্স বুলওয়ার-লিটন (১৮৬৯-১৯২৩) বিশিষ্ট ভোটাধিকার
- হেনরি মেরেডিথ এডওয়ার্ড বুলওয়ার-লিটন (১৮৭২-১৮৭৪)
- লেডি এমিলি বুলওয়ার-লিটন (১৮৭৪-১৯৬৪)। তিনি স্থপতি এডুইন লোটেনসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি জিড্ডু কৃষ্ণমূর্তির সহযোগী ও বন্ধু ছিলেন।
- নেভিল বুলওয়ার-লিটন, লিটন ৩য় আর্ল (৬ই ফেব্রুয়ারি ১৮৭৯- ৯ই ফেব্রুয়ারি ১৯৫১)
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পূর্বেই, লিটন ১৯১৬ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে অ্যাডমিরাল্টির বিভিন্ন পদের দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে তার অফিসিয়াল কর্মজীবন শুরু করেন এবং উক্ত পদটি তিনি ১৯১৬ থেকে ১৯২০ সাল নাগাদ অলংকৃত রেখেছিলেন। তাকে ১৯১৯ সালে প্রিভি কাউন্সিলর নিযুক্ত করা হয়। তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন। তার পিতার শূন্য পদে ১৯২৬ সালে ভারপ্রাপ্ত ভাইসরয় হিসাবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য নিযুক্ত হন। অতঃপর ভারতের বিভিন্ন বিষয়ে ও প্রয়োজনে তিনি বিবিধ পদে স্থলিভিশিক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দুটি বই লিখেছিলেন, একটি তার পিতামহ 'লর্ড লিটনের জীবনী' এবং অন্যটি ছিল ভারতে তার অভিজ্ঞতার ফসল 'পণ্ডিত এবং হাতি' যা ১৯৪২ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৩৩ সালে গাটার নাইট উপাধিতে ভূষিত হন। [৩]
লিটন তার 'লিটন কমিশনের' সভাপতিত্বে জন্য সুপরিচিত হয়ে থাকবেন, যা লীগ অব নেশনসের বরাত দিয়ে সত্যানুসন্ধানের জন্য প্রেরিত হয়েছিল, যেখানে ১৯৩২ সালে সংঘটিত যুদ্ধে চীন ও জাপান পরস্পরকে দোষারোপ করছিল। জারীকৃত 'লিটন কমিশন' প্রতিবেদন অনুযায়ী ১লা অক্টোবর ১৯৩২ সালে জাপানের নাম লীগ অব নেশনস থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
সম্মাননাশৈলী
[সম্পাদনা]- ১৮৭৬-১৮৮০: জনাব ভিক্টর আলেক্সান্ডার জর্জ রবার্ট বুলওয়ার-লিটন
- ১৮৮০-১৮৯১: ভাইকাউন্ট নিবঅর্থ
- ১৮৯১-১৯১৯: রাইট অনারেবল দ্য সেকেন্ড আর্ল অব লিটন
- ১৯১৯-১৯২২: রাইট অনারেবল দ্য সেকেন্ড আর্ল অব লিটন পিসি
- ১৯২২-১৯২৫: রাইট অনারেবল দ্য সেকেন্ড আর্ল অব লিটন জি.সি.আই.ই, পিসি
- ১৯২৫-১৯৩৩: রাইট অনারেবল দ্য সেকেন্ড আর্ল অব লিটন জি.সি.এস.আই, জি.সি.আই.ই, পিসি
- ১৯৩৩-১৯৪৭: রাইট অনারেবল দ্য সেকেন্ড আর্ল অব লিটন কে.জি, জি.সি.এস.আই, জি.সি.আই.ই, পি.সি
পরিবার
[সম্পাদনা]লর্ড লিটন, সেন্ট মার্গারেট, ওয়েস্টমিনস্টারে পামেলা চীচেল-প্লডেণের সাথে ৩রা এপ্রিল ১৯০২ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তিনি স্যার ট্রেভর চীচেল-প্লডেণের কন্যা ছিলেন। প্রথমের দিকে উইনস্টন চার্চিল তার গভীর প্রণয়ে বাঁধা পড়েছিলেন কিন্তু তিনি যখন লিটনকে বিয়ে করবেন বলে স্থির করেন তখন এ সম্পর্ক এমনিতেই ভেঙ্গে যায়।
দুই ছেলের উভয়ই, তাদের জীবদ্দশাতেই তাদেরকে ছেড়ে চলে যান। জ্যেষ্ঠ পুত্র অ্যান্টনি বুলওয়ার-লিটন ভাইকাউন্ট নিবঅর্থ, এমপি, এয়ার ফোর্সে সাহায্যকারী সেবা প্রদান কালে বিমান দুর্ঘটনায় ৩০ বছর বয়সে মারা যান। ছোট ছেলে আলেকজান্ডার এডওয়ার্ড জন বুলওয়ার-লিটনের ভাইকাউন্ট নিবঅর্থ, এমবিই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় 'সেকেন্ড বেটেল অব এল এলামেইনে' তাকে হত্যা করা হয়।
তাদের ছেলেরা কোন সন্তান সন্ততি না রেখে যাওয়ায় ও তার মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই নেভিল বুলওয়ার-লিটন উত্তরাধিকার সুত্রে লিটন খেতাব প্রাপ্ত হন। নিবঅর্থ হাউস তার কন্যা লেডি হারমায়োনি কোব্বোল্ড এর নিকট হস্তান্তরিত হয় যিনি ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যত গভর্নর ও লর্ড চেম্বারলেইন ক্যামেরন ফোরম্যানটীল কোব্বোল্ড এর বাক দত্তা হয়েছিলেন।
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ "Bulwer-Lytton, Victor Alexander George Robert, Earl of Lytton (BLWR895VA)"। A Cambridge Alumni Database। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
- ↑ Fletcher, Walter Morley (২০১১) [1935]। The University Pitt Club: 1835-1935 (First Paperback সংস্করণ)। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 92। আইএসবিএন 978-1-107-60006-5।
- ↑ "নং. 33946"। দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়): 3801। ২ জুন ১৯৩৩।