বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
  আইএমএফ এর সদস্য রাষ্ট্র
  আইএমএফ এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ যারা অনুচ্ছেদ VIII-এর ধারা ২, ৩, এবং ৪ এর বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করে নি[১]

বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ১৭ই আগস্ট আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর সাথে যুক্ত হয়।[২] প্রায় চারশো কোটি ঋণ চেয়ে ২০২২ সালের ২৪শে জুলাই আইএমএফের কাছে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। তবে এর আগে একাধিকবার এই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিলেও তা ১০০ কোটি ডলারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।[৩]

আইএমএফ বোর্ড ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য আরএসএফ তহবিল অনুমোদন করে। ২০২২ সালের ১লা মে থেকে তহবিলটি কার্যকর হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ (আরএসএফ) থেকে ঋণ গ্রহণকারী এশিয়ার প্রথম দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ[৪][৫] আইএমএফ-এর এই ঋণ গ্রহণকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হচ্ছে বার্বাডোস, এর পরের স্থানেই আছে কোস্টা রিকারুয়ান্ডা। তবে আরএসএফ থেকে ঋণ পাওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।[৬]

আর্থিক সংকট[সম্পাদনা]

বিশ শতকে[সম্পাদনা]

১৯৭৩ সালে কয়েকবার বন্যা এবং খরা হলে বিরাট শস্য ঘাটতি দেখা দেয়। এরপর যখন ১৯৭৪ সালের শরৎকাল আসে, তখন আর দেশে কোন খাদ্যের মজুদ ছিল না। আবার, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি, লাগামহীন মূল্যস্ফীতি- সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ফলে আরো নানা কারণে ১৯৭৪-এ বাংলাদেশে দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়।[৭] ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে গবেষণায় উঠে আসে যে ১৯৭৪ সালে গড় খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল 'স্থানীয়ভাবে সর্বোচ্চ'।[১][২] ফলে গবেষকদের যুক্তি, "১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষেত্রে, খাদ্যের প্রাপ্যতার উপলব্ধতা দুর্ভিক্ষ নিয়ে যথেষ্ট ব্যাখ্যা দেয় না"।পৃ. ১৪১ তারা যুক্তি সহকারে দেখান যে, খাদ্যের প্রাপ্যতার ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয়নি বরং বিতরণ ব্যর্থতার কারণে হয়, তখন একদল "বাজারে খাবারের উপরে আধিপত্য স্থাপন" করেছিল।পৃ. ১৬২ দুটি বিতরণ ব্যর্থতা এর জন্য দায়ী। প্রথম ব্যর্থতাটি ছিল অভ্যন্তরীণ: বাজার ও রাষ্ট্রে রেশন ব্যবস্থার নির্দিষ্ট রূপরেখার ফলস্বরূপ কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা শস্য মজুদ করে রাখে, ফলস্বরূপ দাম বেড়ে যায়।[৩] দ্বিতীয় ব্যর্থতা ছিল বাহ্যিক: যুক্তরাষ্ট্র ২.২ মিলিয়ন টন খাদ্য সহায়তা প্রতিসংহৃত করে রেখেছিল, কারণ তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কিউবায় বাংলাদেশের পাট রফতানির নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত খাদ্য সহায়তা দিতে কথা দিতে পারবে না। এবং আমেরিকার চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ যখন কিউবায় পাট রফতানি করা বন্ধ করে, তখন খাদ্য সহায়তা আসতে আসতে তা "দুর্ভিক্ষের জন্য দেরি হয়ে যায়"।[৪]

বাংলাদেশি মূদ্রা নিয়ে একটি সংকট তৈরি হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। বাংলাদেশে একশো টাকার যত নোট সার্কুলেশনে থাকার কথা, তার দশগুণ বেশি নোট বাজারে চালু আছে বলে সন্দেহ করে সরকার। ফলে ১৯৭৫ সালের এপ্রিল মাসে সরকার একশো টাকার নোট অচলের ঘোষণা দেয়।[৮]

একুশ শতকে[সম্পাদনা]

২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। সে বছর জুন মাসের শেষে রিজার্ভের পরিমান ছিলো ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মত রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর তা আবার কমতে থাকে।[৯] সে বছর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫.৫ বিলিয়ন থাকলেও ২০২২ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখ নাগাদ সেটা ৩৭.৬৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০২১ এর জুলাই থেকে ২০২২ এর মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি তৈরি হয় ১৭ দশমিক ২ বিলিয়ন, যা আগের বছরের ওই সময়ে ছিল মাত্র ২.৭৮ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ সরকার জানায়, আগের বছরের তুলনায় এই সময়ে আমদানি বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।[১০]

রেমিটেন্স কম আসা এবং রপ্তানি আয়ের তুলনায় জ্বালানি তেল, গ্যাস, খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানি অনেক বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি অনেক বেড়ে যায়। ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সামলাতে বাজারে ডলার ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে কমে আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-এর ১৯শে অক্টোবর বাংলাদেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৫.৯৮ বিলিয়ন ডলার।[৩]

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ২০২৩ এর জানুয়ারিতে চলমান ডলারের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি বাংলাদেশের জন্য প্রস্তাবিত ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে।[১১] পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে আইএমএফ জানায়, সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ বাংলাদেশের ঋণ আবেদন অনুমোদন করেছে এবং সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পাবে।[৫]

ঋণের শর্ত[সম্পাদনা]

ঋণ পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে বাংলাদেশ জানায়, ২০২৬ সালের মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের মধ্যে ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ জন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হচ্ছে, যেখানে মূলধন পর্যাপ্ততার হার ও খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।[১২] ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ পেতে ও চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার কয়েক মাস ধরে সংস্কার কর্মসূচি পরিচালনা করে।[১৩]

ঋণের ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ আইএমএফ'র কাছ থেকে প্রথমবার ঋণ নিয়েছিল ১৯৭৪ সালে এবং ২০২২-এর আগে ঋণ চেয়েছিল ১০ বার। আইএমএফ এর ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য মতে, ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ আইএমএফ এর কাছ থেকে পাঁচ বার অর্থ ধার করে।[১৪] যখন কোন দেশ ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বা রিজার্ভ নিয়ে সংকটে পড়ে, তখন সাধারণত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শরণাপন্ন হয়। তবে আইএমএফ ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আর্থিক খাতের সংস্কারের জন্য কিছু শর্ত আরোপ করে থাকে।[১৫]

বাংলাদেশে বিরাট ইতিবাচক পরিবর্তন আসে ১৯৯০ এর দশকে। যার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের আমদানি পরিস্থিতির উন্নতি হয় এবং রপ্তানি বাণিজ্যেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাণিজ্য উদারীকরণে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালুর পর বাংলাদেশে ব্যাপক বিদেশি বিনিয়োগও আসে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তিও ব্যাপকভাবে যাওয়ার প্রচলন শুরু হয়। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার তেমন ঘাটতি ছিলনা। এজন্য ১৯৯১ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আইএমএফ এর কাছ থেকে কোন ঋণ নেয়নি। এরপর বাংলাদেশ আবার আইএমএফ'র কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে ২০০৩ সালে। সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ঋণ পায়।[১৪]

২০২২ সালে জানা যায়, মোট সাত কিস্তিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। এ ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ হার নির্ধারিত হয় বাজারদর অনুযায়ী, যা গড়ে দুই দশমিক দুই শতাংশ।[১৬] ঋণ দেয়ার অংশ হিসেবেই ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় বৈঠক করে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল। দলটির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনসহ সরকারের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ দফতরের বৈঠক হয়। বৈঠকের শেষ দিন ৯ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়ার কারণ তুলে ধরেন।[১৭] আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের তিন দিন পর, ২০২৩-এর ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার পায়।[১৮] বেয়াল্লিশ মাস বা সাড়ে তিন বছর ধরে পর্যায়ক্রমে এই ঋণ বিতরণ করা হবে। অর্থাৎ পুরো ঋণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২০২৬ হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়ায় এক্সটেনডেন্ড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও এক্সটেনডেন্ড ফান্ড ফ্যাসিলিটির আওতায় ৩.২ বিলিয়ন আর রেজিলিয়ানন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির ফ্যাসিলিটির আওতায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণ অনুমোদনের মূল উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশের সমষ্টিক অর্থনৈতিক সুরক্ষা, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, বিনিময় ভারসাম্য পূরণের চাপ সামলানো এবং জলবায়ু সুরক্ষা তহবিলে সহায়তা করা।[১৯] বাংলাদেশ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের জন্য ১৪০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয়। ২০২৩ সাল থেকে ঋণ পরিশোধ শুরু করবে। যেখানে সুদ পরিশোধের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। শুধুমাত্র রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পেই ২০২৩ সাল থেকে বছরে ৫৬৫ মিলিয়ন ডলার সুদ দিতে হবে।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Articles of Agreement of the International Monetary Fund, Article VIII – General Obligations of Members
    Section 2: Avoidance of restrictions on current payments;
    Section 3: Avoidance of discriminatory currency practices;
    Section 4: Convertibility of foreign-held balances.
  2. "List of Members' Date of Entry"। www.imf.org। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ 
  3. ইসলাম, সায়েদুল (২৩ অক্টোবর ২০২২)। "বাংলাদেশের অর্থনীতি: আর্থিক সংকট সামলাতে কী ভূমিকা রাখতে পারবে আইএমএফের ঋণ?"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০২৩ 
  4. "Bangladesh becomes first Asian country to receive loan from IMF's 'Resilience and Sustainability Fund'" (ইংরেজি ভাষায়)। tbsnews.net। ৩১ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  5. "৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ যা বলল"। প্রথম আলো। ৩১ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  6. "আরএসএফ থেকে আইএমএফ-এর ঋণ গ্রহিতা এশিয়ায় প্রথম দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ"ভয়েস অফ আমেরিকা। জানুয়ারী ১৭, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারী ১৮, ২০২৩ 
  7. হোসেন, মোয়াজ্জেম (১৭ ডিসেম্বর ২০২১)। "পঞ্চাশে বাংলাদেশ: স্বাধীনতার পরপরই যে দুর্ভিক্ষ দেশটিকে বদলে দিয়েছিল"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  8. হোসেন, মোয়াজ্জেম (১৭ ডিসেম্বর ২০২১)। "পঞ্চাশে বাংলাদেশ: মাত্র ১৮ ডলার দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির যাত্রা শুরু"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  9. "রিজার্ভ সামলাতে বিদেশি ঋণের বিকল্প নেই"ডয়চে ভেলে বাংলা। ১৩ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  10. ইসলাম, সায়েদুল (২৭ জুলাই ২০২২)। "ডলার সংকট: আইএমএফের কাছে কেন ঋণ চাইছে বাংলাদেশের সরকার?"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  11. "IMF board meets Monday for Bangladesh's $4.5b loan"নিউ এজ (বাংলাদেশ)। ২৯ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ 
  12. "খেলাপি ঋণ সরকারি ব্যাংকে ১০, বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশে নামবে"। প্রথম আলো। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  13. "ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে যেসব সংস্কারের কথা বলল আইএমএফ"। প্রথম আলো। ৩১ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  14. হোসেন, আকবর (১২ অগাস্ট ২০২২)। "আইএমএফ: বাংলাদেশকে কতবার এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়েছে এবং কী শর্তে?"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  15. ইসলাম, সায়েদুল (২৬ অক্টোবর ২০২২)। "বাংলাদেশের অর্থনীতি: আইএমএফের ঋণ রাজনৈতিকভাবে কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের জন্য?"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  16. হাসনাত, রাকিব (১১ নভেম্বর ২০২২)। "আইএমএফ এর শর্ত বাস্তবায়ন কি সরকারের জন্য কঠিন হতে পারে?"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 
  17. "আইএমএফ প্রতিনিধি দল ঢাকায়"। সময় টিভি। ১৪ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  18. "আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি পেল বাংলাদেশ"ভয়েস অফ আমেরিকা। ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  19. "বাংলাদেশকে আইএমএফ-এর 'গ্রিন সিগন্যাল', পাঁচ শর্তে দেয়া হবে ঋণ"। বিবিসি বাংলা। ৯ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২৩ 

গ্রন্থপঞ্জী[সম্পাদনা]

  1. ^ আলমগীর, এম (১৯৮০)। Famine in South Asia: Political economy of mass starvation [দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্ভিক্ষ: গণঅনাহারের রাজনৈতিক অর্থনীতি]। ম্যাসাচুসেটস: ওলেজেস্ক্লেজার, গান ও হেইন
  2. ^ সেন, এম. (১৯৮২)। Poverty and famines: An essay and entitlement and deprivation [দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষ: একটি প্রবন্ধ এবং অধিকার এবং বঞ্চনা]। অক্সফোর্ড: ক্লেরেডন।
  3. ^ সোবহান, আর (১৯৭৯)। Politics of Food and Famine in Bangladesh [বাংলাদেশে খাদ্য ও দুর্ভিক্ষের রাজনীতি]। ইকোনমিক এন্ড পলিটিক্যাল উইকলি, ১৪(৪৮
  4. ^ শর্মা, ডি (আগস্ট ২০০২), "Famine as commerce", ইন্ডিয়া টুগেদার, ওওরবানী মিডিয়া প্রা. লিমিটেড