বাংলাদেশের পাট শিল্প

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আদমজী জুট মিলের প্রধান ফটক (১৯৫০)

পাট শিল্প হলো বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ভারী শিল্প, যা ব্রিটিশ শাসনামলে এবং পাকিস্তানি আমলে একক বৃহত্তম শিল্প।[১] বর্তমান বিশ্বের পাট ও পাটজাত দ্রব্যের বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের বৃহদাংশই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা মোট বিশ্ববাজারের প্রায় ৬৫%।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই এই অঞ্চলে পাটের চাষ হলেও এখানে প্রথম পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের মাঝামাঝিতে নারায়ণগঞ্জে; বেসরকারি পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত এই মিলটির নাম ছিলো বাওয়া পাটকল।[১][৩] পরবর্তীতে এই সময়েই একই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজী পাটকলের; এবং এর পরপরই কয়েক বছরের মধ্যে গড়ে ওঠে অসংখ্য শিল্প কারখানা, ১৯৬০'এ যার সংখ্যা ১৬টি ও ১৯৭১ সালে যা দাড়াঁয় ৭৫টিতে।[৩]

উতপাদিত দ্রব্য[সম্পাদনা]

কাঁচা পাট ছাড়াও পাট হতে উৎপাদিত দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, সুতা, দড়ি, চট, বস্তা, চা, ব্যাগ, মোড়ক, তন্তু, খাদ্য প্রভৃতি।[১][২][৪]

শিল্পের বিস্তার[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে পাট শিল্পের সূচনাই ঘটে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এর আশেপাশেই গড়ে ওঠে।[৫] ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম - এই তিনটি প্রধান এলাকায় ছড়িয়ে আছে এর প্রতিষ্ঠাগুলো।[৩]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. এম মোফাখখারুল ইসলাম (জানুয়ারি ২০০৩)। "পাট শিল্প"। সিরাজুল ইসলামবাংলাপিডিয়াঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৯পাট শিল্প ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলায় এবং পাকিস্তানি আমলে পূর্ব বাংলায় (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন ছিল একক বৃহত্তম শিল্প। 
  2. "বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে পাট শিল্পের অবস্থান উঁচুতে!"পূর্বপশ্চিম বিডি নিউজ (অনলাইন)। ৬ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৯ 
  3. "বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৯ 
  4. "পাট নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব"দৈনিক যুগান্তর (অনলাইন)। ৬ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৯ 
  5. "বাংলাদেশের প্রধান শিল্প সমূহঃ অবস্থান ও অবস্থানের কারণ" (পিডিএফ)বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৯ 

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]