বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীজনিত অবরুদ্ধকরণ
এই নিবন্ধটিতে সাম্প্রতিক রোগের বৈশ্বিক মহামারী সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ঘটনার অগ্রগতির সাথে সাথে এই ঘটনাটি সম্পর্কিত তথ্যগুলি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। যদিও এই নিবন্ধটি বেশ দ্রুত হালনাগাদ করা হবে, কিন্তু এটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করে না যে এখানে রোগের বৈশ্বিক মহামারী সম্পর্কিত সর্বশেষ সকল তথ্য পাওয়া যাবে। |
২০২০ বাংলাদেশে অবরুদ্ধকরণ | |
---|---|
তারিখ | সাধারণ ছুটি: ২৬ মার্চ ২০২০ (৪ বছর, ৭ মাস ও ২ দিন)। রোগ বিস্তার রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হয়, তবে পুরো দেশকে অবরুদ্ধকরণ করা হয়নি। সংক্রমণের পরিধি বিবেচনা করে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। | – ৩০ মে ২০২০
অবস্থান | বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা |
কারণ | বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী |
লক্ষ্য | বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব হ্রাস করা |
পদ্ধতি |
|
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর প্রথম সংক্রমণ ঘটে ৮ই মার্চ ২০২০ সালে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সরকার ২২ মার্চ এক ঘোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।[১] পরবর্তীতে তা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ও পরে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়।[২] অতঃপর পুনরায় তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধীত করা হয়।[৩] এরপরে পঞ্চম দফায় ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।[৪] ষষ্ঠ দফায় এই ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত এবং সর্বশেষ সপ্তম দফায় ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত হয়।[৫][৬][৭] এর মধ্যে ২৪-২৬ মে ঈদের ছুটি ছিল।[৮] সাধারণ ছুটির মধ্যে সারা দেশেই পণ্য পরিবহন, চিকিৎসা ইত্যাদি অতি-প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ছাড়া গণপরিবহনও অবরুদ্ধ করা হয়।[৯]
দেশজুড়ে লকডাউন বা অবরুদ্ধকরণ আরোপ করা না হলেও আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা, উপজেলা ইত্যাদি অবরুদ্ধকরণ করা হয়। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে।[১০] ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট ৫৮টি জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।[১১]
পরবর্তী আক্রান্তের ভিত্তিতে সবুজ, হলুদ ও লাল অঞ্চলে ভাগ করা হয় এবং অবরুদ্ধকরণ করা হয়।[১২] এরপরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হয়।[১৩]
পটভূমি
[সম্পাদনা]১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা প্রতিবেদনে, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছিল যে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের মানুষের জন্য নভেল করোনাভাইরাস শ্বাসকষ্টের একটি কারণ ছিল। মানুষের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছিল।[১৪][১৫] কোভিড-১৯ এর কারণে আক্রান্তের মৃত্যুহার ২০০৩-এর সার্স এর চেয়ে অনেক কম ছিল।[১৬][১৭] তবে সংক্রমণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে এটা উল্লেখযোগ্য।[১৬][১৮]
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। রোগীদের মধ্যে দুজন পুরুষ প্রবাসী বাংলাদেশী ছিলেন যারা সবে ইতালি থেকে ফিরে এসেছিলেন এবং একজন মহিলা আত্মীয় ছিলেন, যিনি তাদের একজনের সংস্পর্শে এসে সংক্রামিত হন।[১৯]
অবরুদ্ধকরণ বা লকডাউন
[সম্পাদনা]২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমণ সংখ্যা ২,৯৪৮ জন।[২০] কিছু অঞ্চলে সম্প্রদায় সংক্রমণ হয়েছে বলে জানানো হয়। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট ৫২টি জেলাকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অবরুদ্ধকরণ করা হয়।[২১] ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ ঘটেছে। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর। ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হয়।[২২] সংক্রমণ ঠেকাতে ১১ এপ্রিল গাজীপুর জেলা পুরোপুরি অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[২৩]
এছাড়া ঢাকায় সংক্রমণ অনুযায়ী আক্রান্ত রোগীর বসবাসরত ভবন বা গলি অবরুদ্ধ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার টোলারবাগ এলাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুজন মারা যাওয়ার পর অবরুদ্ধ করা হয়। এটিই ঢাকার অন্যতম প্রথম এলাকা যা অবরুদ্ধ করা হয়।[২৪]
ঈদকে সামনে রেখে ১০মে সীমিত আকারে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শপিংমল, দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা গ্রহণ করার আদেশ দেয়া হয়। এর আগে ২৬ এপ্রিল থেকে তৈরি পোশাক কারখানা সীমিত পরিসরে সতর্কতাবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়।[২৫] তবে ঈদের আগে যমুনা ফিউচার পার্ক,[২৬] বসুন্ধরা,[২৭] নিউ মার্কেট,[২৮] বেশকিছু বড় বড় মার্কেট নিজেদের থেকেই বন্ধ রাখে।[২৯]
সাধারণ ছুটি
[সম্পাদনা]২২ মার্চ এক ঘোষণায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। পরবর্তীতে দফায় দফায়[৩][৪] বাড়িয়ে অতঃপর ৩০মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়, যার মধ্যে ঈদের ছুটি পড়ে।[৫]
বিভিন্ন দেশের মত[৩০][৩১] দেশজুড়ে অবরুদ্ধকরণ না হলেও সারা দেশেই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুক্তভাবে চলাচলের উপর বাধা আরোপ করা হয়ে। সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসাথে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল বন্ধের জন্যও প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করে।[৩]
ছুটির সমাপ্তি
[সম্পাদনা]শর্ত সাপেক্ষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসগুলোকে নিজ ব্যবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেয়া হয়। সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হয়।[৩২][৩৩] একইসাথে শর্ত মেনে নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল চালু করা হয়। গণপরিবহনে সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়।[৩৪] নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলও শুরু হয়। বন্ধ রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তবে অনলাইন ক্লাস ও দূরশিক্ষণ চালু রাখা হয়। রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত মানুষজনের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।[৩৫] তবে গণপরিবহনে,[৩৬] বিশেষ করে লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কথা শোনা যায়।[৩৭][৩৮]
অবরুদ্ধকৃত জেলা
[সম্পাদনা]বিভাগ | জেলা | অবরুদ্ধকরণের শুরুর তারিখ |
---|---|---|
ঢাকা | গাজীপুর[২৩] | ১১ এপ্রিল |
মাদারীপুর[৩৯] | ১৬ এপ্রিল | |
মানিকগঞ্জ[৪০] | ১৯ এপ্রিল | |
নারায়ণগঞ্জ[২২] | ৮ এপ্রিল | |
মুন্সীগঞ্জ[৪১] | ১১ এপ্রিল | |
নরসিংদী[৪২] | ৯ এপ্রিল | |
টাঙ্গাইল[৪৩] | ৭ এপ্রিল | |
শরীয়তপুর[৪৪] | ১৫ এপ্রিল | |
কিশোরগঞ্জ[৪৫] | ১০ এপ্রিল | |
রাজবাড়ি[৪৬] | ২১ এপ্রিল | |
গোপালগঞ্জ[৪৭] | ১৫ এপ্রিল | |
চট্টগ্রাম | কক্সবাজার[৪৮] | ৮ এপ্রিল |
কুমিল্লা[৪৯] | ১০ এপ্রিল | |
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া[৫০] | ১১ এপ্রিল | |
লক্ষ্মীপুর[৫১] | ১৩ এপ্রিল | |
নোয়াখালী[৫২] | ১১ এপ্রিল | |
চাঁদপুর[৫৩] | ৯ এপ্রিল | |
সিলেট | মৌলভীবাজার[৫৪] | ১৩ এপ্রিল |
সুনামগঞ্জ[৫৫] | ১২ এপ্রিল | |
হবিগঞ্জ[৫৬] | ৭ এপ্রিল | |
সিলেট[৫৭] | ১১ এপ্রিল | |
রংপুর | রংপুর[৫৮] | ১৫ এপ্রিল |
গাইবান্ধা[৫৯] | ১০ এপ্রিল | |
নীলফামারী[৬০] | ১৪ এপ্রিল | |
কুড়িগ্রাম[৬১] | ২৩ এপ্রিল | |
দিনাজপুর[৬২] | ১৫ এপ্রিল | |
ঠাকুরগাঁও[৬৩] | ১১ এপ্রিল | |
পঞ্চগড়[৬৪] | ১৭ এপ্রিল | |
খুলনা | চুয়াডাঙ্গা[৬৫] | ২৩ এপ্রিল |
যশোর[৬৬] | ২৭ এপ্রিল | |
খুলনা[৬৭] | ৮ এপ্রিল | |
মেহেরপুর[৬৮] | ১৭ মে | |
নড়াইল[৬৯] | ২৮ এপ্রিল | |
সাতক্ষীরা[৪৩] | ||
ময়মনসিংহ | ময়মনসিংহ[৭০] | ১৪ এপ্রিল |
জামালপুর[৭১] | ৮ এপ্রিল | |
নেত্রকোণা[৭২] | ১৩ এপ্রিল | |
শেরপুর[৭৩] | ১৬ এপ্রিল | |
বরিশাল | বরগুনা[৭৪] | ১৮ এপ্রিল |
বরিশাল[৭৫] | ১২ এপ্রিল | |
পটুয়াখালী[৭৬] | ১৯ এপ্রিল | |
পিরোজপুর[৭৭] | ১৭ এপ্রিল | |
রাজশাহী | রাজশাহী[৭৮] | ১৪ এপ্রিল |
জয়পুরহাট[৭৯] | ১৬ এপ্রিল | |
নওগাঁ[৮০] | ১৫ এপ্রিল | |
নাটোর[৮১] | ৩০ এপ্রিল | |
বগুড়া[৮২] | ২১ এপ্রিল | |
সর্বমোট (৮টি বিভাগ) | ||
উপর্যুক্ত তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়। |
প্রভাব
[সম্পাদনা]কৃষিখাতে প্রভাব
[সম্পাদনা]এপ্রিল-মে মাস বাংলাদেশের প্রধান ফসল বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মৌসুম।[৮৩] অবরুদ্ধকরণের ফলে ধান কাটার শ্রমিকেরা এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে না যেতে পারায় সংকট সৃষ্টি হয়।[৮৪] বাংলাদেশের মোট চাহিদার পাঁচ ভাগের এক ভাগ খাদ্যের জোগান আসে হাওর অঞ্চল থেকে। এ অঞ্চলের ধান কাটা নিয়ে সংকট তৈরি হয়। পরবর্তীতে পুলিশের উদ্যোগে সরকারিভাবে কৃষকদের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটার জন্য নেওয়া হয়।[৮৫]
এছাড়া অন্যান্য কৃষিখাতেও ক্রেতার অভাবে শাকসব্জির দাম কমে যায়, ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৮৬] দুধ অবিক্রীত থাকায় দুগ্ধখামারীর, মিষ্টির দোকান প্রভৃতি পণ্য অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে।[৮৭]
শিক্ষাখাতে প্রভাব
[সম্পাদনা]২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল স্কুল, কলেজ এবং সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম চালু রাখে। পরবর্তীতে ইউজিসি ক্লাস করানো গেলেও পরীক্ষা ও ভর্তির কাজ বন্ধ ঘোষণা করে।[৮৮][৮৯]
১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত,[৯০] এবং পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর এক ঘোষণায় বাতিল করা হয়।[৯১][৯২] ফলাফল প্রস্তুত করা হবে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।[৯৩][৯৪][৯৫] ভর্তি পরীক্ষার জন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৯৬]
সংসদ টিভিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস নেওয়া শুরু হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ২৯ মার্চ থেকে এভাবে ক্লাস শুরু করে।[৯৭] ৭ এপ্রিল থেকে ঘরে বসে শিখি শিরোনামে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানও শুরু হয়।[৯৮]
২০২০ সালের ২২ নভেম্বর করোনাবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলে, "ছাত্রছাত্রীরা ভ্যাক্সিন না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলা কঠিন হবে।[৯৯] প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না বলে মতামত প্রকাশ করেন।[১০০][১০১]
অর্থনৈতিক প্রভাব
[সম্পাদনা]কোভিড-১৯ এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে সাথে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে।[১০২][১০৩] আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অবরুদ্ধকরণ এলাকাতেও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংক খোলা রাখা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে।[১০৪][১০৫]
যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব
[সম্পাদনা]সাধারণ ছুটির মধ্যে গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ করা হয়। পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল ও ত্রাণবাহী পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকে।[৯][১০৬]
মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব
[সম্পাদনা]সারা বিশ্বেই অবরুদ্ধকরণের ফলে মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।[১০৭] বৈশ্বিক মহামারীর বিষয়ে বহুল প্রচারণা, অর্থনীতিতে এর প্রভাব এবং এর ফলাফলে সৃষ্ট অস্বচ্ছলতা উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের ব্যত্যয় এবং অনিশ্চয়তা অন্যদের থেকে দূরে থাকা মিলিয়ে মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।[১০৮] কিশোরবয়সীরা সমবয়সীদের সাথে মিশতে পারছে না, সারাক্ষণ বাসায় থাকার ফলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, যা বৈশ্বিক মহামারী কেটে গেলেও বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।[১০৯]
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]নির্দেশ অমান্য
[সম্পাদনা]অবরুদ্ধকরণ সত্ত্বেও অধিকাংশ অঞ্চলে নির্দেশ মানা হয়না।[২৩] প্রতিরোধের অন্যতম উপায় সামাজিক দূরত্ব স্থাপন না মানার ফলে সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধিলাভ করে।[১১০][১১১] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৮ এপ্রিল এক ইসলামী বক্তার জানাজায় হাজারের বেশি মানুষ অবরুদ্ধকরণ উপেক্ষা করে জমায়েত হয়।[১১২] পরবর্তীতে সরাইল উপজেলা ও তার আশেপাশের আটটি গ্রাম অবরুদ্ধকরণ করা হয়, দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।[১১৩]
সামরিক ও বেসামরিক বাহিনী
[সম্পাদনা]২৩ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়ন করা হয়।[১] সামাজিক দূরত্ব স্থাপন, অন্তরণ, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য পুলিশ, প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনী কাজ করে।[১১৪]
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
[সম্পাদনা]কক্সবাজার অবরুদ্ধকরণের সাথে সাথেই উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরকে এর আওতায় নিয়ে আসা হয়।[৪৮] ক্যাম্পগুলোতে সতর্কতার সাথে খাবার ও চিকিৎসীয় ব্যবস্থা ছাড়া সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ২০১৬-১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ফলে সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।[১১৫][১১৬]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
- বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর প্রভাব
- কোভিড-১৯ মহামারীর সময়কালে বাংলাদেশে চিকিৎসা
- বাংলাদেশে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর সময়রেখা
- সামাজিক দূরত্ব স্থাপন
- সঙ্গনিরোধ
- অন্তরণ (স্বাস্থ্যসেবা)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "সেনা মোতায়েন, চৌঠা এপ্রিল সব সরকারি অফিস বন্ধ"। বিবিসি বাংলা। ২৩ মার্চ ২০২০। ২৩ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ল"। প্রথম আলো। ৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ গ "ছুটি বাড়ল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত, সন্ধ্যা ছয়টার পর বের হলেই ব্যবস্থা"। প্রথম আলো। ১০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ল"। প্রথম আলো। ২২ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "ছুটি বাড়ছে ৩০ মে পর্যন্ত, ঈদে কড়াকড়ি"। প্রথম আলো। ১৩ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ছে, ঈদে যান চলাচলে কড়াকড়ি"। কালের কণ্ঠ। ১৪ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত, মানতে হবে যেসব বিধি-নিষেধ"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৪ মে ২০২০। ২৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে আরেক দফা ছুটি বাড়ছে, শহরেও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল বন্ধ হবে"। বিবিসি বাংলা। ১৩ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ ক খ "গণপরিবহন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ"। প্রথম আলো। ৪ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "রাজধানীর ৮০৪টি বাড়ি লকডাউন, করোনার আঘাত ৫৭ জেলায়"। সমকাল। ১৮ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৫৮ জেলায়"। প্রথম আলো। ২৩ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "সংক্রমণ বিবেচনায় তিন জোনে ভাগ হবে বিভিন্ন এলাকা"। প্রথম আলো। ১ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ এখনও না খোলার পেছনে সরকার যেসব ফ্যাক্টর বিবেচনা করছে"। বিবিসি বাংলা। ১ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ Elsevier। "Novel Coronavirus Information Center"। Elsevier Connect। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০।
- ↑ Reynolds, Matt (৪ মার্চ ২০২০)। "What is coronavirus and how close is it to becoming a pandemic?"। Wired UK। আইএসএসএন 1357-0978। ৫ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২০।
- ↑ ক খ "Crunching the numbers for coronavirus"। Imperial News। ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০।
- ↑ "High consequence infectious diseases (HCID); Guidance and information about high consequence infectious diseases and their management in England"। GOV.UK (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২০।
- ↑ "World Federation Of Societies of Anaesthesiologists – Coronavirus"। www.wfsahq.org। ১২ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত, সতর্ক থাকার নির্দেশনা"। বিবিসি বাংলা। ৮ মার্চ ২০২০। ১০ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা একশো ছাড়ালো, আক্রান্ত প্রায় তিন হাজার"। বিবিসি বাংলা। ২০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "কোন জেলায় কতজন করোনা আক্রান্ত"। ইত্তেফাক। ১৮ এপ্রিল ২০২০। ১০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন"। যুগান্তর। ৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ গ "সংক্রমণের নতুন উপকেন্দ্র হতে যাচ্ছে গাজীপুর"। প্রথম আলো। ১৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "রাজধানীজুড়ে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ"। প্রথম আলো। ৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে খুলছে দোকানপাট-শপিংমল"। প্রথম আলো। ৪ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্তে প্রশংসার ঝড়"। যুগান্তর। ৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "ঈদের কেনাকাটার জন্য খুলছে না বসুন্ধরা সিটি"। বাংলা ট্রিবিউন। ৬ মে ২০২০। ২ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "বড় বড় মার্কেট খুলবে না"। যুগান্তর। ১০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "ঈদের আগে খুলছে না নিউ মার্কেট"। যুগান্তর। ৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ De Feo, Gianluca (২০ মার্চ ২০২০)। "Sondaggio Demos: gradimento per Conte alle stelle"। YouTrend (ইতালীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০।
- ↑ "PM Modi announces extension of lockdown till 3 May"। Livemint (ইংরেজি ভাষায়)। এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "৩১ মে–১৫ জুন শর্ত সাপেক্ষে অফিস ও গণপরিবহন চালু"। প্রথম আলো। ২৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণপরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান"। যুগান্তর। ২৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "'সীমিত' চালু গণপরিবহনে যাত্রীও থাকবে সীমিত"। প্রথম আলো। ২৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না, গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত"। বিবিসি বাংলা। ২৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "গণপরিবহনে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না"। যুগান্তর। ৪ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যাত্রী বহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি"। প্রথম আলো। ১০ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের লঞ্চে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি"। সমকাল। ৯ জুন ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০২০।
- ↑ "মাদারীপুর জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "মানিকগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "১০ জনের করোনা শনাক্ত, মুন্সীগঞ্জ লকডাউন"। প্রথম আলো। ১১ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "নরসিংদ জেলা লকডাউন"। ইত্তেফাক। ৯ এপ্রিল ২০২০। ১৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি জেলা 'লকডাউন'"। প্রথম আলো। ১৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "শরীয়তপুর জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "কিশোরগঞ্জ লকডাউন"। ডেইলি স্টার। ১০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "রাজবাড়ী লকডাউন"। কালের কণ্ঠ। ২১ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "গোপালগঞ্জ জেলা লকডাউন"। যুগান্তর। ১৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "কক্সবাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন"। প্রথম আলো। ৮ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "আজ থেকে কুমিল্লা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "ব্রাহ্মণবাড়িয়া লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১১ এপ্রিল ২০২০। ১০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "সোমবার ভোর ৬টা থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১২ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "নোয়াখালীতে মানা হচ্ছে না লকডাউন, জনসমাগমে ঈদের আমেজ"। যুগান্তর। ২০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "চাঁদপুর লকডাউন, নতুন করে ১৭৬ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে"। প্রথম আলো। ৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "মৌলভীবাজার জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৩ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "সুনামগঞ্জ লকডাউন"। ডেইলি স্টার। ১২ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "হবিগঞ্জ জেলা 'লকডাউন' ঘোষণা"। বাংলানিউজ২৪.কম। ৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "সিলেট লকডাউন"। ডেইলি স্টার। ১১ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "রংপুর লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "গাইবান্ধা 'লকডাউন' ঘোষণা"। মানবজমিন। ১০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "এবার নীলফামারী লকডাউন"। ডেইলি স্টার। ১৪ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "কুড়িগ্রাম জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ২৩ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "দিনাজপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "ঠাকুরগাঁও জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "পঞ্চগড়ে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত, জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "চুয়াডাঙ্গা জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ২৩ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "যশোর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ২৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "খুলনা জেলা লকডাউন"। সমকাল। ৮ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "মেহেরপুর জেলা লকডাউন"। যুগান্তর। ১৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "মঙ্গলবার থেকে নড়াইল লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ২৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "ময়মনসিংহ জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৪ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "জামালপুর জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ৮ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "নেত্রকোণা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১৩ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "শেরপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "আজ থেকে বরগুনা জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৮ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "বরিশাল জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১২ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "পটুয়াখালী জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "পিরোজপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১৭ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "রাজশাহী জেলা 'লকডাউন' ঘোষণা"। প্রথম আলো। ১৪ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "জয়পুরহাটে করোনা রোগী শনাক্ত, জেলা লকডাউন"। প্রথম আলো। ১৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "নওগাঁ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা"। ইত্তেফাক। ১৬ এপ্রিল ২০২০। ১৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "নাটোর জেলা 'লকডাউন'"। প্রথম আলো। ৩০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।
- ↑ "এবার বগুড়া লকডাউন"। টিবিএস নিউজ। ২১ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "কৃষির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বড় বিপদের শুরু"। প্রথম আলো। ১১ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "করোনায় শ্রমিক সংকট, ধান কাটা নিয়ে বিপাকে কৃষক"। বাংলা ট্রিবিউন। ২০ এপ্রিল ২০২০। ১৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "ধান কাটা: ধন্যবাদ জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ"। প্রথম আলো। ১৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "করোনার আঘাতে উত্তরের চাষিদের মাথায় হাত"। সময় নিউজ। ২১ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে লকডাউনের আওতা নিয়ে বিভ্রান্তি, বিপাকে কাঁচা পণ্য উৎপাদকরা"। বিবিসি বাংলা। ২৬ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা-ভর্তি বন্ধ করতে বলেছে ইউজিসি"। প্রথম আলো। ৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "অনলাইনে পরীক্ষা ও ভর্তি বন্ধের নির্দেশ ইউজিসির"। ইত্তেফাক। ৭ এপ্রিল ২০২০। ১০ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত"। বিবিসি বাংলা। ২২ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না"। যুগান্তর। ৭ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "এইচএসসি পরীক্ষা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী"। প্রথম আলো। ৭ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "এইচএসসি: চলতি বছর পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে"। বিবিসি বাংলা। ৭ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না, জেএসসি-এসএসসি'র ভিত্তিতে ফল"। কালের কণ্ঠ। ৭ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "এবছর হচ্ছে না এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা"। দ্য ডেইলি স্টার। ৭ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার মাধ্যমে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন যে প্রক্রিয়ায়"। বিবিসি বাংলা। ১৯ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "কাল থেকে সংসদ টিভিতে ক্লাস শুরু"। প্রথম আলো। ৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "সংসদ টিভিতে 'ঘরে বসে শিখি' প্রাথমিকের ক্লাস রুটিন"। বাংলা ট্রিবিউন। ৫ এপ্রিল ২০২০। ৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "ভ্যাকসিন না পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কঠিন: জাতীয় কমিটি"। যুগান্তর। ২৩ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "স্কুল খুলে বাচ্চাদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না"। প্রথম আলো। ১৯ নভেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "অর্থনীতি আর আগের অবস্থায় ফিরবে না"। প্রথম আলো। ১৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "জিডিপি ভাবনা আপাতত দূরেই থাকুক"। প্রথম আলো। ১৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "লকডাউন এলাকায় সরকারি ব্যাংক খোলা থাকবে"। প্রথম আলো। ১১ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "লকডাউনে ব্যাংক খোলা"। যুগান্তর। ১৪ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে গণপরিবহন 'লকডাউন'"। সমকাল। ২৪ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ Ao, Bethany (২০২০-০৩-১৯)। "Social distancing can strain mental health. Here's how you can protect yourself."। The Philadelphia Inquirer (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৪।
- ↑ Willis, Olivia (২০২০-০৩-২২)। "Coronavirus: Social distancing and isolation can take a toll on your mental health, here's how some people are coping - Managing mental health in the time of coronavirus"। ABC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৪।
- ↑ "করোনায় বদলে যাচ্ছে কিশোর–কিশোরীর মনোজগৎ"। প্রথম আলো। ২২ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "উত্তর টোলারবাগ: লকডাউন হলেও ভেতরে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকেই"। ডেইলি স্টার। ২৬ মার্চ ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "লকডাউন ভেঙে আক্রান্তরা ভাইরাস ছাড়াচ্ছে, ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের মন্ত্রী"। এই সময়। ২০ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ইসলামী বক্তার জানাজায় বহু মানুষের ভিড়, বিতর্ক"। বিবিসি বাংলা। ১৮ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জানাজায় লকডাউনের ভেতর এতো মানুষ কীভাবে এলেন?"। বিবিসি বাংলা। ১৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকাতে মরিয়া সরকার, জোরদার সেনা তৎপরতা"। বিবিসি বাংলা। ২ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Bangladesh locks down a million in Rohingya camps"। বিবিসি (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Cox's Bazar under lockdown over coronavirus fear"। আল জাজিরা (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- করোনা ইনফো — সরকারি সর্বশেষ পরিসংখ্যান ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ এপ্রিল ২০২১ তারিখে