ফখরুজ্জামান চৌধুরী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফখরুজ্জামান চৌধুরী (৫ জানুয়ারি, ১৯৪০ - ১২ জুন, ২০১৪) বাংলাদেশের একজন কবি, গল্পকার, অনুবাদক ও গবেষক।[১]

ফখরুজ্জামান চৌধুরী
জন্ম৫ জানুয়ারি ১৯৪০
মৃত্যু১৪ জুন ২০১৪
পেশাকবি, লেখকগবেষক
ভাষাবাংলা
জাতীয়তা
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার

প্রাতিস্বিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৪০ সালের ৫ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[২] পিতা শিক্ষাবিদ নূরুজ্জামান চৌধুরী। দাম্পত্যসঙ্গী প্রখ্যাত অভিনেত্রী দিলারা জামান। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে; তাঁরা হলেন তানিয়া ও যুবায়রা। ফখর বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন) ছিলেন।[৩] ২০১৪ সালের ১২ জুন রাজধানী ঢাকাস্থ উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।[৪]

শিক্ষাগত পটভূমি[সম্পাদনা]

১৯৫৭ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান), ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

সাহিত্যকর্ম[সম্পাদনা]

ফখরুজ্জামান চৌধুরীর বিশ্বসাহিত্যের বহু সাড়াজাগানো গ্রন্থ অনুবাদ করে জনপ্রিয়তা পান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] পঞ্চাশটির মতো গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্যে তিনি ২০০৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার[৫] এবং ১৪০০ বঙ্গাব্দে শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্যে অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন।[৫]

গ্রন্থনিচয়[সম্পাদনা]

কবিতা[সম্পাদনা]

  • আনাবাজ (১৯৮৬)
  • দূরদিগন্ত (১৯৮৬)
  • প্যালেস্টাইন প্রতিরোধের কবিতা (১৯৯৪)

উপন্যাস[সম্পাদনা]

  • জনারণ্যে কয়েকজন (১৯৯০)
  • ঐরাবত ও অঙ্কুশ (১৯৯৩)
  • একা ও একাকী (১৯৯৪)

নাটক[সম্পাদনা]

  • ইয়ারমা (১৯৯১)

প্রবন্ধ-গবেষণা[সম্পাদনা]

  • লেখকের কথা (১ম খণ্ড ১৯৯২, ২য় খণ্ড ২০০৩)

শিশুসাহিত্য[সম্পাদনা]

  • হাড় কিপটে বুড়ি (১৯৫৬)

জীবনী[সম্পাদনা]

  • ডিলান টমাস (১৯৮৫)
  • আশরাফ আলী খান (১৯৮৮)
  • আজিজুর রহমান (১৯৮৯)

ইতিহাস[সম্পাদনা]

  • অবিচার (১৯৮৪)

অনুবাদ[সম্পাদনা]

  • বিকিকিনির প্রেম (১৯৯২)
  • হে দুঃখ বিদায় (১৯৯৩)
  • রবিনসন ক্রুসো (২০০৬)
  • রিপভ্যান উইংকল (১৯৫৬)
  • রাজা আর্থারের দরবারে (১৯৬৮)
  • যাদুর রাজা হুডিনি (১৯৮৮)
  • আঙ্কল টমস কেবিন (১৯৯৩)
  • হাঞ্চব্যাক অফ নটর ডেম (১৯৯৫)
  • ট্রেজার আইল্যান্ড (১৯৯৮)
  • অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ (১৯৯৩)

তাঁর সর্বশেষ লেখা গ্রন্থের নাম ‘হিরোশিমার অগ্নিশিখা’।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/33151
  4. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফখরুজ্জামান চৌধুরী আর নেই"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৪ 
  5. "ফখরুজ্জামান চৌধুরী | The University Press Limited"www.uplbooks.com। ২০২১-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-২৪