নূর আলম জিকু
নূর আলম জিকু | |
|---|---|
 | |
| কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য | |
| কাজের মেয়াদ ১৯৮৮ – ১৯৯০ | |
| পূর্বসূরী | আবুল হোসেন তরুণ |
| উত্তরসূরী | আবদুল আওয়াল মিয়া |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ২৬ অক্টোবর ১৯৩৮ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
| মৃত্যু | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ (বয়স ৭১) |
| রাজনৈতিক দল | জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল |
| দাম্পত্য সঙ্গী | তাহমনিা রোকসানা আলম (বি. ১৯৬৬) |
| প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ |
নূর আলম জিকু (২৬ অক্টোবর ১৯৩৮–২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০) বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার রাজনীতিবিদ ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১]
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
নূর আলম জিকু ২৬ অক্টোবর ১৯৩৮ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের গোলশি থানাধীন হরপিুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৫ বছর বয়সে তিনি গোলশি হাইস্কুলে শিক্ষা জীবন শুরু করনে।[২]
৭ জুলাই ১৯৫০ সালে তিনি বোনেরে সাথে তৎকারীন র্পূব পাকস্তিানরে কুষ্টিয়ায় স্থায়ী হন। এর পর কুষ্টিয়ার মুসলমি হাইস্কুলে ভর্তি হয়ে ১৯৫৪ সালে মেট্রিক পাশ করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্ভতি হন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবিতে ভর্তি হন।[২]
১ আগস্ট ১৯৬৬ সালে ঢাকার নবাব পরবিাররের তাহমনিা রোকসানা আলমকে বিয়ে করেন।[২]
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
নূর আলম জিকু নবম শ্রণেীর ছাত্র থাকাকালীন ভাষান্দোলনে সক্রয়িভাবে অংশগ্রহণ করে ২৩ ফব্রেুয়ারী ১৯৫২ সালে গ্রফেতার হয়ে ৯ জুন ১৯৫২ সালে মুক্ত পান। কুষ্টিয়া কলজে ছাত্র সংসদরে ভিপি নির্বাচিত ছিলেন তিনি। ১৯৫৯ - ১৯৬২ মেয়াদে পূর্ব পাকিস্তাণ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালে হামদিুর রহমান শিক্ষা কমশিনরে বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আবার কারাবরণ।
১৯৬২ সালে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষ নিয়ে খুলনা অঞ্চলে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ স্বাধীন বাংলা নউিক্লয়িাসে যোগদান করেন।
১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণক করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদশে লবিারশেন র্ফোসের (বিএলএফ) দক্ষিণ-পশ্চিম রনাঙ্গনের উপঅধনিায়ক হিসেবে মুক্তযিুদ্ধে অবদান রাখেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালে জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৮৭ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়া-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন।[১] ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় নির্বাচনে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়া-৪ আসন থেকে পরাজিত হয়েছিলেন।[৩] সর্বশেষ ২০০২ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) এর সভাপতি ছিলেন।[৪]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
নূর আলম জিকু ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৫]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ "মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক নূর আলম জিকুর জন্মদিন আজ"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৬ অক্টোবর ২০১৬। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "নূর আলম জিকু, আসন নং: ৭৮, কুষ্টিয়া-৪, দল: জাসদ (মশাল)"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ "নূর আলম জিকুর মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। একুশে টেলিভিশন । ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।
- ↑ বিশেষ সংবাদদাতা (২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "জাসদ নেতা নূর আলম জিকুর দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। জাগো নিউজ। ৮ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০২০।