নাভারন-মুন্সিগঞ্জ রেলপথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নাভারন-মুন্সিগঞ্জ রেলপথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিপ্রস্তাবিত
মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
অঞ্চল বাংলাদেশ
স্টেশন
পরিষেবা
ধরনবাংলাদেশের প্রস্তাবিত রেললাইন
ইতিহাস
চালুঅনিশ্চিত
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য৯৮.৪২ কিলোমিটার
ট্র্যাক গেজ

নাভারন-মুন্সিগঞ্জ রেলপথ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক গৃহীত একটি প্রকল্প, যা রাজধানী ঢাকার সাথে সাতক্ষীরা জেলাকে রেলপথে সংযুক্ত করবে। রেলপথটি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ ইউনিয়ন থেকে শুরু হয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হবে।


ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার পর সাতক্ষীরায় উপকূলের মানুষের সঙ্গে সমাবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১০ সালের ২৩ জুলাই আয়োজিত জনসভায় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চাহিদা পূরণে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ থেকে যশোরের নাভারন পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ছয়টি স্টেশন ও দুটি রেলসেতু সমৃদ্ধ রেললাইন স্থাপনে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। প্রকল্পটির ভিজিবিলিটি স্ট্যাডিও সম্পন্ন হয়। কিন্তু এরপর থেকে প্রকল্পটি ফাইলবন্দি হয়ে আছে। রেললাইন স্থাপনে কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি।[১]

বর্তমানে ছয়টির পরিবর্তে আটটি রেলস্টেশন স্হাপনের কথা শোনা গেলেও রেলপথ নির্মাণে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।

স্টেশন তালিকা[সম্পাদনা]

সূত্রমতে, এই রেলপথে ৮টি[২] রেলস্টেশন তৈরির কথা রয়েছেঃ

  1. নাভারন রেলওয়ে স্টেশন
  2. বাগআঁচড়া রেলওয়ে স্টেশন, বাগআঁচড়া, শার্শা, যশোর
  3. কলারোয়া রেলওয়ে স্টেশন, কলারোয়া, সাতক্ষীরা
  4. সাতক্ষীরা রেলওয়ে স্টেশন, সাতক্ষীরা
  5. পারুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন, দেবহাটা, সাতক্ষীরা
  6. কালীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা
  7. শ্যামনগর রেলওয়ে স্টেশন, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা
  8. মুন্সীগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, মুন্সীগঞ্জ, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

  1. দর্শনা জংশন-খুলনা লাইন
  2. খুলনা-বাগেরহাট রেলপথ
  3. খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ
  4. ঢাকা-যশোর লাইন

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]