বিষয়বস্তুতে চলুন

নর্দার্ন কেপ ক্রিকেট দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

নর্দার্ন কেপ ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Northern Cape (cricket team)) দক্ষিণ আফ্রিকার নর্দার্ন কেপ প্রদেশের প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলবিশেষ। পূর্বে এ দলটি গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট নামে পরিচিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার নর্দার্ন কেপ প্রদেশের সিএসএ প্রভিন্সিয়াল কম্পিটিশনে দলটি অংশ নেয়। ‘নর্দার্ন কেপ ক্রিকেট’ কর্তৃক দলের সদস্যদের অন্তর্ভূক্তি ঘটে ও দলটি পরিচালিত হয়। আয়োজক দল হিসেবে অতিথি দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যে নিজেদের খেলাগুলো কিম্বার্লীর ডি বিয়ার্স ডায়মন্ড ওভালে আয়োজন করে থাকে।

সাংগঠনিক পর্যায়ে নর্দার্ন কেপ ক্রিকেট ঐ প্রদেশের ক্রিকেট প্রশাসন ও উন্নয়নে হস্তক্ষেপ করে থাকে। তবে, নর্দার্ন কেপ দলের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। ১৮৮৪ সালের পূর্বে দলটি কিম্বার্লী ক্রিকেট ক্লাব নামে গঠিত হয়। ২০১৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক প্রাদেশিক পর্যায়ে সংগঠনের উন্নয়নে কাজ করতো। সরকারের নির্দেশনামাফিক প্রাদেশিক ক্রীড়া পরিষদকে তাদের পরিচালনাগত কাঠামো দেশের ভূ-রাজনৈতিক অবকাঠামোর আলোকে পরিচালনার নির্দেশনা দিলে নর্দার্ন কেপ ক্রিকেট নামে নামাঙ্কিত হয়।

১৮৯০-৯১ মৌসুমে দলটি কিম্বার্লী নামে পরিচিত ছিল। এরপর, ২০১৪-১৫ মৌসুম পর্যন্ত গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট নামে পরিচিতি পায়। কিন্তু, ২০১৫-১৬ মৌসুমে সূচনালগ্ন থেকে দলটি নর্দার্ন কেপ নামে আখ্যায়িত হতে থাকে। অক্টোবর, ২০০৪ সাল থেকে সুপারস্পোর্ট সিরিজকে ঘিরে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টকে ফ্রি স্টেটের সাথে একীভূত করে ভিকেবি নাইটস গঠন করা হয়। শুরুতে ভিকেবি নাইটস ডায়মন্ড ঈগলস নামে পরিচিত ছিল। তবে, গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট তার স্বকীয়তা বজায় রেখে সিএসএ প্রাদেশিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে।[][][]

সম্মাননা

[সম্পাদনা]
  • কারি কাপ (১) – ১৮৯০-৯১
  • স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক কাপ (১) – ১৯৯৮-৯৯
  • সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েজ প্রভিন্সিয়াল থ্রি-ডে চ্যালেঞ্জ (৪) – ২০০৪-০৫, ২০০৭-০৮, ২০০৮-০৯, ২০১১-১২
  • সাউথ আফ্রিকান এয়ারওয়েজ প্রভিন্সিয়াল ওয়ান-ডে চ্যালেঞ্জ (০)
  • জিলেট/নিসান কাপ (০)

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

কিম্বার্লী ক্রিকেট ক্লাব নামে প্রতিষ্ঠিত দলটি ১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন ব্যাট টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতায় প্রথম খেলায় অংশ নেয়। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে আর. জি. ওয়ারটন একাদশ নামে গঠিত সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে অপ্রত্যাশিতভাবে দুইটি খেলায় জয় পায়। ঐ জয়ের ফলে কিম্বার্লীকে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে সর্বাপেক্ষা সেরা দল হিসেবে নবপ্রবর্তিত কারি কাপের শিরোপা দেয়া হয়। ১৮৮৯-৯০ মৌসুমে দলটি ট্রান্সভালের কাছে ট্রফি খোঁয়ায়। কিন্তু, ১৮৯০-৯১ মৌসুমে পুনরায় ঐ শিরোপা কুক্ষিগত করতে সমর্থ হয়। ডিসেম্বর, ১৮৯০ সালে চ্যাম্পিয়ন ব্যাট টুর্নামেন্টে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট নামে প্রথম খেলতে শুরু করে। ১৮৯১-৯২ মৌসুম থেকে দলটি কেবলমাত্র প্রাদেশিক নামে পরিচিতি লাভ করে।[][][]

১৮৯২ সালে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট কালার্ড ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক ১৮৯৭ সালের বার্নাতো মেমোরিয়াল ট্রফি প্রদান করে।[][][] ১৮৯৮-৯৯ মৌসুমের প্রথম বার্নাতো টুর্নামেন্টে ইস্টার্ন প্রভিন্স, কুইন্সটাউন, সাউদার্ন বর্ডারওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের সাথে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট অংশ নেয়।[] ১৯০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সাউথ আফ্রিকান কালার্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এসএসিসিবি) তিন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যের অন্যতম হচ্ছে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট।[১০] ১৯০৪ থেকে ১৯৫১-৫২ মৌসুম পর্যন্ত এসএসিসিবি’র পরিচালনায় বার্নাতো কাপ প্রতিযোগিতা তেরোবার অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে, ১৯১০ সালের প্রতিযোগিতায় গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট শিরোপা লাভ করে এবং ১৯০৪ ও ১৯১৩ সালে আয়োজক দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।[১১]

২০০৪-০৫ মৌসুমে সুপারস্পোর্ট সিরিজে খেলার নিয়ম পরিবর্তিত হয়। এগারোটি প্রাদেশিক দলকে ছয়টি বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দলে রূপান্তর করা হয়। আইনগত কারণে প্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রতিযোগিতার প্রথম মৌসুমে অংশ নিতে পারেনি। এরপর, গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট দল ফ্রি স্টেটের সাথে একত্রিত হয়ে ডায়মন্ড ঈগলস নামে পরিচিতি হয় ও ২০১০-১১ মৌসুমের পূর্বে ভিকেবি নাইটস নাম পুণঃনামাঙ্কিত হয়।[১২] জাতীয়তাবাদী সরকারের নির্দেশনায় দেশের ভূ-রাজনৈতিক অবকাঠামোগত কারণে প্রত্যেক প্রাদেশিক ক্রীড়া পরিষদের নিয়ন্ত্রণে দলগুলোকে একই সারিতে নিয়ে আসার স্বার্থে ২০১৫-১৬ মৌসুমের অল্প কিছুদিন পূর্বে এ দলটি নর্দার্ন কেপ ক্রিকেট নামে পুণঃনামাঙ্কিত হয়।[১৩]

নর্দার্ন কেপের ব্যবহৃত মাঠগুলো নিম্নরূপ:

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Kimberley"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮ 
  2. "Griqualand West"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮ 
  3. "Northern Cape"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৮ 
  4. Nauright, John (মার্চ ২০১২)। Sports Around the World: History, Culture, and Practice। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 117। আইএসবিএন 978-1598843002। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৬ 
  5. Odendaal, André (ডিসেম্বর ২০০৩)। The Story of an African Game। David Philip Publishers। পৃষ্ঠা 76। আইএসবিএন 978-0864866387। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৬ 
  6. "First-class matches played by Griqualand West"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৬ 
  7. Gemmell, Jon (মে ২০০৪)। The Politics of South African Cricket। Routledge। পৃষ্ঠা 80। আইএসবিএন 978-0714653464। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৬ 
  8. Odendaal, op. cit., p. 60.
  9. Odendaal, op. cit., pp. 79–80.
  10. Odendaal, op. cit., p. 810.
  11. Odendaal, André; Reddy, Krish; Samson, Andrew (ডিসেম্বর ২০১১)। The Blue Book: A History of Western Province Cricket, 1890–2011। Jacana Media। আইএসবিএন 978-1920196400। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৬ 
  12. "Shrinking South Africa"। ESPN Cricinfo। নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৬ 
  13. "Northern Cape Cricket comes into being"Cricket South Africa। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১৫ 

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]
  • South African Cricket Annual – various editions
  • Wisden Cricketers' Almanack – various editions