ধর্ষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পুরুষ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধর্ষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পুরুষ
ধর্ষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পুরুষ-এর লোগো
প্রতিষ্ঠাকালমার্চ ২০১৩
প্রতিষ্ঠাতাফারহান আখতার
ধরনসামাজিক প্রচারণা
অবস্থান
  • ভারত

ধর্ষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পুরুষ (ইংরেজি: Men Against Rape and Discrimination, বা এম.এ.আর.ডি/মর্দ) হলো বলিউডের চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা ফারহান আখতার দ্বারা শুরু করা ২০১৩ সালের একটি সামাজিক প্রচারণা।[১] শব্দ "এমএআরডি" (হিন্দি: मर्द, ইংরেজি: Man) প্রচারণার নামের সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহৃত হয়েছে।[২] নারীদের ধর্ষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল।[৩]

শুরু হওয়ার পর থেকে, প্রচারাভিযানটি বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইটে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠে এবং শাহরুখ খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অর্জুন রামপাল এবং হৃতিক রোশনের মতো বলিউড অভিনেতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়।[৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১২ সালের আগস্টে একটি ঘটনার পর আখতার মর্দ প্রচারাভিযানের পরিকল্পনা করেন। পল্লবী পুরকায়স্থ, একজন মুম্বাইয়ের আইনজীবী,[৫] তারই প্রহরী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, কারণ সে তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছিল। আখতার ২০১৩ সালের মার্চ মাসে তার প্রচারণা শুরু করেন।

উদ্যোগ[সম্পাদনা]


If you are a man who respects women... her rights, her dignity, her independence, her mind, her body, her life... you are a #MARD.

Farhan Akhtar at Twitter, 9:03 PM, 9 March 2013 (IST)[৬]

মার্চ ২০১৩ এ, আখতার ব্যাঙ্গালোরের একটি কলেজ কনসার্টে এমএআরডি -এর লোগো সহ একটি টি-শার্ট পরিবেশন করেছিলেন।[৭] তিনি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে এই প্রচারণাকে জনপ্রিয় করার চেষ্টা করেছিলেন। আখতারের পোস্ট করা টুইটগুলি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল। একটি সাক্ষাৎকারে আখতার বলেছিলেন যে, তিনি এই প্রচারণা স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চেয়েছিলেন, "নারীদের সম্মান করা দরকার এমন বার্তা তিনি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চান।"[৭]

ফারহান আখতার, যিনি সামাজিক প্রচারণা শুরু করেছিলেন, তাকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ মৌসুম ৬ এও তাকে প্রচারনা করতে দেখা গিয়েছিল, যেখানে তিনি কলকাতার নাইট রাইডার্স বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচের সময় ২৬ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে দর্শকদের মধ্যে ৭০,০০০ গোঁফ বিতরণ করেছিলেন। এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, গৌতম গম্ভীর, শান এবং আরও অনেকে যারা স্টেডিয়ামে গোঁফ খেলা করেছিলেন।

অভিনেতা মহেশ বাবু এবং ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ২০১৩ সালের জুন মাসে এই উদ্যোগে যোগ দেন। মহেশ বাবু এবং শচীন টেন্ডুলকার দুজনেই ফারহানের বাবা জাভেদ আখতারের লেখা একটি কবিতা রেকর্ড করার জন্য তাদের কণ্ঠ দিয়েছিলেন।[৮][৯]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

শুরু হওয়ার পর, প্রচারনাটি টুইটার এবং ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে একটি চলমান বিষয় হয়ে ওঠে। উদ্যোগটি শাহরুখ খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, মহেশ বাবু, অর্জুন রামপাল, হৃতিক রোশন, শহীদ কাপুর, বিদ্যা বালান এবং সঙ্গীতশিল্পী - "মুকেশ অফিসিয়ালস" ইত্যাদি সহ অনেক বলিউড অভিনেতাদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং সমর্থন পেয়েছিল আখতারের টুইটগুলি সক্রিয়ভাবে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অর্জুন রামপাল, সোনম কাপুর এবং শাবানা আজমি পুনরায় টুইট করেছিলেন।[৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Farhan Akhtar launches campaign against 'rape and discrimination'"The Times of India। ৩০ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  2. "Farhan Akhtar Starts 'MARD' (Men Against Rape and Discrimination)"Business of Cinema। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  3. "Farhan Akhtar to lead campaign against 'rape and discrimination'"Aaj TV। ৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  4. "Bollywood filmmaker launches 'MARD' campaign against rape, discrimination"7 Days in Dubai। ১৬ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  5. "Mumbai law graduate Pallavi Purkayastha's killer was driven by lust"The Times of India। ১১ আগস্ট ২০১২। ১৯ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  6. "Farhan Akhtar tweet"। Twitter। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  7. "Farhan Tweets up a MARD storm"India Today। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৩ 
  8. "Farhan Akhtar's MARD Campaign; Adam Gilchrist, Gautam Gambhir, Shaan, SRK Sport Moustaches [PHOTOS] - International Business Times"। Ibtimes.co.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১২ 
  9. TNN 9 Jun 2013, 04.00PM IST। "Mahesh, Sachin Tendulkar join hands for MARD"The Times of India। ২০১৩-০৬-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১২