দেশি দাড়কিনা
দেশি দাড়কিনা Esomus danricus Indian Flying Barb | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
উপপর্ব: | Vertebrata |
মহাশ্রেণী: | Osteichthyes |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Cypriniformes |
পরিবার: | Cyprinidae |
গণ: | Esomus |
প্রজাতি: | Esomus danricus |
দ্বিপদী নাম | |
Esomus danricus (Hamilton, 1822) | |
প্রতিশব্দ | |
Esomus manipurenis (non Tilak & Jain, 1990)[২] |
দেশি দাড়কিনা বা ডানরিকা বা দারকা বা ডানকিনা (বৈজ্ঞানিক নাম: Esomus danricus) (ইংরেজি: Indian Flying Barb) হচ্ছে Cyprinidae পরিবারের Esomus গণের একটি স্বাদুপানির মাছ।
বর্ণনা[সম্পাদনা]
এই মাছের দেহ পার্শ্বদিকে চাপা। মুখ ছোট, তির্যক ও নিচের ঠোঁট মাংসল। সোনারাঙা মাছটির গোটা গায়ের মাঝে কাল দাগ দেখা যায়। বাংলাদেশে এই প্রজাতির মাছ ৬ সেমি পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে এই মাছ ১০ সেমি পর্যন্ত হয়।[৫]
বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও আফগানিস্তানে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ মাছ প্রচুর পাওয়া যায়।
অঞ্চলভিত্তিক নাম[সম্পাদনা]
অঞ্চলভিত্তিক এই মাছটিকে চুক্কুনি, ডাইরকা, ডানকনা, ডানকানা, ডানখিনা, দাইড়কা, দারকা, দারকি, দারখিলা, দাড়কিনা, দাড়কিনি, মলঙ্কা নামেও সম্বোধন করা হয়।[৬]
পুষ্টিমান[সম্পাদনা]
প্রতি ১০০ গ্রাম মাছের পুষ্টিমান: ভিটামিন-এ ৬৬০ মাইক্রোগ্রাম আরএই, ক্যালসিয়াম ৮৯১ মিলিগ্রাম, আয়রন ১২ মিলি গ্রাম ও জিংক ৪ মিলি গ্রাম।[৬]
বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ[সম্পাদনা]
আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি সম্পর্কে বাংলাদেশে উপাত্তের অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[৫] তবে গবেষণার মাধ্যমে ২০২২ সালের মার্চ মাসে এই মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।[৬]
কমে যাওয়ার কারন[সম্পাদনা]
দূষণ, প্রজনন ঋতুতে অবাধে শিকার, কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এক-দেড় ইঞ্চি আকারের মাছ দারকিনার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ছে।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Esomus danricus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। 2009। সংগ্রহের তারিখ 24/10/2012। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত Menon, A.G.K. (1999) Check list - fresh water fishes of India., Rec. Zool. Surv. India, Misc. Publ., Occas. Pap. No. 175, 366 p.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Talwar, P.K. and A.G. Jhingran (1991) Inland fishes of India and adjacent countries. vol 1., A.A. Balkema, Rotterdam. 541 p.
- ↑ Eschmeyer, W.N. (ed.) (2005) Catalog of fishes. Updated database version of May 2005., Catalog databases as made available to FishBase in May 2005.
- ↑ ক খ এ কে আতাউর রহমান, গাউছিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৭২–৭৩। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)। - ↑ ক খ গ "হারিয়ে যাওয়া মাছটির কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন"। Bangla Tribune।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |