বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তেলোটাকি, বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত মাছ

বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছ বলতে বোঝানো হয় সে সব মাছকে যেগুলো বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত আইনের শেষে যুক্ত ২য় ও ৩য় তফসিলে মোট ৫২ প্রজাতির মাছের নামোল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী (Protected animal) হিসেবে বিবেচিত হবে।

সংরক্ষিত বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা উক্ত আইনের ৬ ধারা মোতাবেক এই ৫২ প্রজাতির বন্যপ্রাণী শিকার বা বন্যপ্রাণী, মাংস, ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, বন্যপ্রাণীর অংশবিশেষ অথবা এসব হতে উৎপন্ন দ্রব্য দান, বিক্রয় বা কোনো প্রকারে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা অন্য কারো নিকট হস্তান্তর করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত ধারা লঙ্ঘন করলে বিচারক্রমে ৩৯ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। কোন ব্যক্তি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।[১]

আরও উল্লেখ রয়েছে আইনের ৪১ ধারা ১/২ মোতাবেক যে কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করলে বা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা প্রদান করে থাকলে এবং উক্ত সহায়তা বা প্ররোচনার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হলে, উক্ত সহায়তাকারী বা প্ররোচনাকারী তাহার সহায়তা বা প্ররোচনা দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ডে দণ্ডিত হইবেন।[১]

বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ১ অনুযায়ী ২৫ টি প্রজাতি এবং তফসিল ২ অনুযায়ী ২৭ প্রজাতির, মোট ৫২ প্রজাতির মাছকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ আইন অনুসারে এই ৫২ প্রজাতির মাছ শিকার, বিক্রয় ও বিপণন বাংলাদেশের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।নিম্নে তফসিল ১ ও তফসিল ২-এর মাছগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো:

তফসিল ১[সম্পাদনা]

তফসিল ২[সম্পাদনা]

নিম্নে তফসিল ২-এর মাছগুলোর নাম উল্লেখ করা হল:

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২"বাংলাদেশ আইন মন্ত্রণালয়। ঢাকা: bdlaws.minlaw.gov.bd/। ১০ জুলাই ২০১২। পৃষ্ঠা ১১৮৪১৫-১১৮৪৩৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১২-১৭ 
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা- ১১৮৫১৩-১১৮৫১৫

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]