ত্রিঙ্কেট দ্বীপ

স্থানাঙ্ক: ৮°০৫′ উত্তর ৯৩°৩৫′ পূর্ব / ৮.০৮° উত্তর ৯৩.৫৮° পূর্ব / 8.08; 93.58
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ত্রিঙ্কেট দ্বীপ
ত্রিঙ্কেট দ্বীপ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ-এ অবস্থিত
ত্রিঙ্কেট দ্বীপ
ত্রিঙ্কেট দ্বীপ
ভূগোল
অবস্থানবঙ্গোপসাগর
স্থানাঙ্ক৮°০৫′ উত্তর ৯৩°৩৫′ পূর্ব / ৮.০৮° উত্তর ৯৩.৫৮° পূর্ব / 8.08; 93.58
দ্বীপপুঞ্জনিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
সংলগ্ন জলাশয়ভারত মহাসাগর
মোট দ্বীপের সংখ্যা
প্রধান দ্বীপসমূহ
  • ত্রিঙ্কেট
আয়তন১২.২৫ বর্গকিলোমিটার (৪.৭৩ বর্গমাইল)[১]
দৈর্ঘ্য৯.৬ কিমি (৫.৯৭ মাইল)
প্রস্থ২.২ কিমি (১.৩৭ মাইল)
তটরেখা৩৫.২ কিমি (২১.৮৭ মাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা১০ মিটার (৩০ ফুট)
প্রশাসন
জেলানিকোবর
দ্বীপপুঞ্জনিকোবর দ্বীপপুঞ্জ
ভারতের মহকুমানানকৌড়ি মহকুমা
তালুককামোরতা তহশিল
বৃহত্তর বসতিত্রিঙ্কেট (জনসংখ্যা ২)
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা2[২] (২০১৬)
জনঘনত্ব০.১৬ /বর্গ কিমি (০.৪১ /বর্গ মাইল)
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহহিন্দু, নিকোবরী
অতিরিক্ত তথ্য
সময় অঞ্চল
পিন৭৪৪৩০১
টেলিফোন কোড০৩১৯২
আইএসও কোডইন-এএন-০০
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটwww.and.nic.in
সাক্ষরতা৮৪.৪%
গ্রীষ্মের গড় তাপমাত্রা৩২.০ °সে (৮৯.৬ °ফা)
শীতের গড় তাপমাত্রা২৮.০ °সে (৮২.৪ °ফা)
যৌন অনুপাত/
আদমশুমারি কোড৩৫.৬৩৮.০০০২
সরকার ভাষা সমূহহিন্দি, ইংরেজি, তামিল
কার (স্থানীয়)

ত্রিঙ্কেট দ্বীপ (কখনও কখনও ত্রিঙ্কট বা ত্রিঙ্কুট লেখা হয়) নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ শৃঙ্খলের ২৪টি দ্বীপের মধ্যে একটি। বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগর এর মধ্যে ভারত মহাসাগরের উত্তর-পূর্ব দিকে এর অবস্থান। এটি কামোর্তা দ্বীপের পূর্বে অবস্থিত।

ভূগোল[সম্পাদনা]

ত্রিঙ্কেট দ্বীপ ১২.২৫ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃত, এবং ভূসংস্থানটি সমতল ও নিম্ন। আঞ্চলিক বর্ষায় এখানে বার্ষিক ৩,০০০ মিমি থেকে ৩,৮০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়।[৩]

দ্বীপটি অগভীর জল এবং প্রবাল প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত,[৪] যার ফলে কেবল জোয়ারের সময়েই নৌকায় করে যোগাযোগ করা যায়।[৩]

প্রশাসন[সম্পাদনা]

১৮৬৯ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ত্রিঙ্কেট দ্বীপ ব্রিটেনের ভারতীয় উপনিবেশের অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে এটি ভারত অধিরাজ্যের অংশে পরিণত হয়, এবং ১৯৫০ সাল থেকে এটি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অংশ। ত্রিঙ্কেট হল নিকোবর জেলার কামোর্তা তহশিলের, নানকৌড়ি মহকুমার একটি অংশ, এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ রাজ্যের একটি অংশ।

১৯৫৬ সাল থেকে ভারত সরকার একটি বিশেষ আইনের মাধ্যমে দেশীয় নিকোবরেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে, সেটি হল আদিম জনগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে আন্দামান ও নিকোবর সুরক্ষা , এটি দ্বীপপুঞ্জগুলিতে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে।[৩]

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

১৮৩৮ এবং ১৯০১ সালে ব্রিটিশ প্রশাসন এই দ্বীপের প্রথম দিকের দুটি আদমশুমারি করেছিল। ১৮৮৩ সালের আদমশুমারি অনুসারে আটটি গ্রামে ৮৫ জন লোক বাস করত।[৫] ১৯০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে দুই জন প্রধানের অধীনে চার থেকে ছয়টি গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে প্রায় ১০২ জন লোক বাস করত।[৫]

২০০১ সালের হিসাব অনুযায়ী, ভারতীয় আদমশুমারিতে ত্রিঙ্কেটে চারটি গ্রামে বসবাসরত ৪৩৬ জন ব্যক্তিকে পাওয়া গিয়েছিল: ত্রিঙ্কেট (জনসংখ্যা ২৪৪), সেফবালু (জনসংখ্যা ১২৭), তপিয়াং (জনসংখ্যা ৪২) এবং হককুক (জনসংখ্যা ২৩)।[৬] নিকোবর জেলার অন্যান্য দ্বীপের মতো ত্রিঙ্কেটের জনসংখ্যাও প্রায় পুরোটাই নিকোবরী ছিল। যদিও, ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে ২০০৪ সালের সুনামির বিপর্যয়ের পরে এই দ্বীপটি জনবসতিহীন হয়ে পড়েছিল,[৭] ২০১২ সালের শেষদিকে এই দ্বীপটিতে একজোড়া প্রত্যাবর্তনকারী বসতি স্থাপন করেছিল, যা হয়ে উঠেছে ত্রিঙ্কেট গ্রাম[৮]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

পনেরো থেকে উনিশ শতকে, নিকোবরের বাকি দ্বীপপুঞ্জের মতোই ত্রিঙ্কেটের সাথেও বাণিজ্যে কর্তৃত্ব করত ভারতীয়, আরব এবং ইউরোপীয় বণিক বহর।[৯]

২০০৪ ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্পের আগে, দ্বীপটির জনসাধারণ খাদ্যসামগ্রীসহ অনেক পণ্যসামগ্রীর জন্য বাইরের বিশ্বের উপর নির্ভরশীল ছিল। ১৯৫০ এর দশক পর্যন্ত তারা গোটা নারকেল এবং অন্যান্য বনজ পণ্য রফতানি করত, তবে ১৯৫০ এর পরে স্থানীয় উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত নারকেল বা কোপরা রপ্তানির দিকে চলে যায়।[১০] সেই পণ্যগুলি চাল, চিনি এবং কাপড়ের মতো বস্তু আমদানির জন্য কেনাবেচা করা হত, যেগুলি শিকার ও সংগ্রহ, মাছ ধরা, শূকর এবং মুরগী ​​পালন, এবং বাড়ির উদ্যানের ভিত্তিতে স্থানীয় জীবিকা নির্বাহের অর্থনীতির পরিপূরক হিসাবে ব্যবহৃত হত।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Islandwise Area and Population – 2011 Census" (পিডিএফ)। Government of Andaman। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  2. Gopintah and his wife: the sole inhabitants of the island
  3. Lisa Ringhoffer, "Chapter 6: Comparing Local Transitions Across the Developing World", in L. Ringhofer, Fishing, Foraging and Farming in the Bolivian Amazon: On a Local Society in Transition, Springer, London (2010), আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-৪৮১-৩৪৮৬-১
  4. K. Venkataraman, "Coral Reefs of India", in D. Hopley (Ed.), Encyclopedia of Modern Coral Reefs: Structure, Form and Process, Springer (Dordrecht, 2011). আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-৪৮১-২৬৩৮-৫.
  5. Lt. Col. Sir Richard C. Temple Bart (১৯০৩)। 'Census of India, 1901. Volume III, The Andaman and Nicobar Islands. Report on the Census। Printed at the Government central Press। পৃষ্ঠা 10। 
  6. Trinket ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে, at Andaman & Nicobar Police website.
  7. Directorate of Census Operations, Andaman & Nicobar Islands (২০১১)। "Census of India. Andaman & Nicobar Islands. Series-36, Part XII-B. District Census Handbook, Andaman & Nicobar Islands. Village and Town Wise Primary Census Abstract (PCA)." (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  8. Zoyab, Alaphia. "A house for Mr. Gopinath, and a genset", The Hindu, 4 August 2012.(Entry retrieved 25 September 2013)
  9. Lisa Ringhoffer, "Chapter 6: Comparing Local Transitions Across the Developing World", in L. Ringhofer, Fishing, Foraging and Farming in the Bolivian Amazon: On a Local Society in Transition, Springer, London (2010), আইএসবিএন ৯৭৮-৯০-৪৮১-৩৪৮৬-১.
  10. Hobbes, Marieke. Figuring Rural Development: Concepts and Cases of Land Use, Sustainability and Integrative Indicators, Leiden University Press (2010), page 117.
  11. Marina Fischer-Kowalski, Simron J.Singh, Lisa Ringhofer, Clemens M. Grünbühel, Christian Lauk and Alexander Remesch. Sociometabolic regimes in indigenous communities and the crucial role of working time: A comparison of case studies. Alpen-Adria Universitat, Social Ecology Working Paper #121 (March 2010), ISSN 1726-3816. (Accessdate: 28 August 2016)

টেমপ্লেট:Nicobar district