জেদ্দার যুদ্ধ (১৯২৫)
জেদ্দার যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: সৌদিদের হেজাজ বিজয় | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
নজদ সালতানাত | হেজাজ রাজতন্ত্র | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ সুলতান বিন বাজাদ |
আলি বিন হুসাইন নাওরাস পাশা | ||||||
শক্তি | |||||||
৫০,০০০ |
৫,০০০ ৮টি যুদ্ধবিমান[১] ৪০টি গোলন্দাজ ৩০টি মেশিন গান কিছু ট্যাংক[২] | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
অজ্ঞাত |
অজ্ঞাত সংখ্যক মৃত ৫টি ট্যাংক ১টি যুদ্ধবিমান |
জেদ্দার যুদ্ধ বা জেদ্দা অবরোধ ১৯২৫ সালে সংঘটিত হয়। এটি আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কর্তৃক হেজাজ জয়ের অভিযানের অংশ ছিল। জেদ্দা ছিল আল সৌদের বিরুদ্ধে হাশিমিদের শেষ প্রধান শক্ত অবস্থান।
তথ্য
[সম্পাদনা]১৯২৪ সালের ডিসেম্বরের প্রথমদিকে রাজা আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের হাতে মক্কার পতনের পর হেজাজের রাজা আলি বিন হুসাইন জেদ্দায় সরে যান। তিনি নজদ সেনাদের হাত থেকে এর প্রতিরক্ষায় সচেষ্ট হন। তার অবশিষ্ট সেনারা শহরের চারপাশে প্রতিরক্ষা মজবুত করে ও মাইন স্থাপন করে। আলি তার ভ্রাতৃদ্বয় ট্রান্সজর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ এবং ইরাকের রাজা ফয়সালের কাছে সাহায্য চেয়ে পাঠান। তারা দুজনেই অস্ত্র ও লোকবল পাঠিয়ে সাহায্য করেন। আলির কাছে থাকে দুটি পুরনো যুদ্ধবিমান আসন্ন যুদ্ধের উপযুক্ত ছিল না তাই তিনি ইটালির কাছ থেকে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও জার্মানির কাছ থেকে কয়েকটি ট্যাংক কেনেন।
আলির পক্ষে বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব ছিল না। নিকটবর্তী গোত্রগুলো ইবনে সৌদের মিত্র ছিল। আকাবা থেকে জেদ্দায় সরবরাহও ধীরগতিতে হচ্ছিল। এছাড়া তার মাত্র দুজন পাইলট ছিল। তাদের মধ্যে একজন যুদ্ধে নিহত হন। ফলে জেদ্দার প্রধানরা ইবনে সৌদের কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে রাজা আলি বিন হুসাইন লোহিত সাগর পথে বাগদাদ পালিয়ে যান। ১৯২৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর অবরোধ সমাপ্ত হয়।
এরপর ইবনে সৌদকে হেজাজের নতুন রাজা ঘোষণা করা হয়। পরের বছর তিনি হেজাজ ও নজদকে এক রাষ্ট্র হিসেবে একত্রিত করেন।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Al-Harbi, Dalal: King Abdulaziz and his Strategies to deal with events: Events of Jeddah. 2003, King Abdulaziz national library. আইএসবিএন ৯৯৬০-৬২৪-৮৮-৯.