আলী বিন হুসাইন
আলি বিন হুসাইন | |
---|---|
হেজাজের বাদশাহ | |
রাজত্ব | ৩ অক্টোবর ১৯২৪ – ১৯ ডিসেম্বর ১৯২৫ |
পূর্বসূরি | হুসাইন বিন আলি |
উত্তরসূরি | আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ |
মক্কার শরিফ | |
রাজত্ব | ১৯২৪ – ১৯২৫ |
পূর্বসূরি | হুসাইন বিন আলি |
উত্তরসূরি | শরিফাত বিলুপ্ত |
জন্ম | ১৮৭৯ মক্কা, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫ বাগদাদ, ইরাক |
সমাধি | রাজকীয় কবরস্থান, আজামিয়াহ |
দাম্পত্য সঙ্গী | নাফিসা খানম |
বংশধর | প্রিন্সেস আবদিয়া বিনতে আলি আলিয়া বিনতে আলি প্রিন্স আবদুল্লাহ বিন আলি প্রিন্সেস বাদিয়া বিনতে আলি প্রিন্সেস জালিলা |
রাজবংশ | আল-হাশিম |
পিতা | হুসাইন বিন আলি |
মাতা | আবদিয়া বিনতে আবদুল্লাহ |
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি)[১] |
আলি বিন হুসাইন (১৮৭৯-১৯৩৫) ছিলেন তৎকালীন হেজাজের বাদশাহ যা বর্তমানে সৌদি আরবের অন্তর্গত। ১৯২৪ সালের অক্টোবর থেকে ১৯২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মক্কার প্রশাসক ছিলেন। তিনি ছিলেন হেজাজের প্রথম আধুনিক বাদশাহ হুসাইন বিন আলির জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং সম্ভ্রান্ত আল-হাশিম পরিবারের সদস্য। তার পিতার মৃত্যুর পর রাজত্বের সাথে তিনি খলিফার উপাধি লাভ করেন।
জীবন
[সম্পাদনা]আলী বিন হুসাইন মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ইস্তাম্বুলের ঘালাতা সেরাই কলেজে(গালাতাসারাই হাই স্কুল) শিক্ষালাভ করেন। তার পিতা হুসাইন বিন আলি ১৯০৮ সালে উসমানীয় সম্রাটের দ্বারা মক্কার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তরুণ তুর্কিদের সাথে তার সম্পর্ক ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে পড়ে এবং ১৯১৬ সালে তিনি তুর্কীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত আরব বিদ্রোহের অন্যতম নেতায় পরিণত হন। বিদ্রোহ সফল হওয়ার পর তিনি ব্রিটিশদের সমর্থনে হেজাজের বাদশাহ হন। তার ভাই আবদুল্লাহ ও ফয়সালকে যথাক্রমে জর্ডান ও ইরাকের বাদশাহ বানানো হয়। আলী আরবে তার পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে থেকে যান।
হেজাজের শাসন
[সম্পাদনা]বাদশাহ হুসাইন রিয়াদের আল সৌদ বংশীয়দের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সৌদের সাথে লড়াইয়ে পরাজয়ের পর বাদশাহ হুসাইন ১৯২৪ সালের ৩ অক্টোবর তার সব ধর্মনিরপেক্ষ পদবী তার সন্তান আলীকে প্রদান করেন। ইতিপূর্বে হুসাইন সেই বছরের মার্চে খলিফা উপাধি ধারণ করেন। একই বছরের ডিসেম্বরে সৌদি বাহিনী চূড়ান্তভাবে হেজাজ দখল করে নেয় এবং হেজাজকে সৌদি রাজতন্ত্রের সাথে একীভূত করে। আলী এবং তার পরিবার ইরাকে পালিয়ে যান।
আলী বিন হুসাইন ১৯৩৫ সালে ইরাকের বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন। তার চার কন্যা ও এক পুত্র ছিল।
বিয়ে ও সন্তান
[সম্পাদনা]১৯০৬ সালে আলি মক্কার প্রশাসক আমির আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মদ পাশার কন্যা নাফিসা খানমকে বিয়ে করেন। তাদের এক পুত্র ও চার কন্যা ছিল।
- প্রিন্সেস খাদিজা আবদিয়া -জন্ম১৯০৭ মৃত্যু ১৪ জুলাই, ১৯৫৮
- প্রিন্সেস আলিয়া -জন্ম ১৯১১ মৃত্যু ২১ ডিসেম্বর, ১৯৫০
- ক্রাউন প্রিন্স আবদুল্লাহ -জন্ম ১৪ নভেম্বর, ১৯১৩ মৃত্যু ১৪ জুলাই ১৯৫৮
- প্রিন্সেস বাদিয়া -জন্ম জুন ১৯২০
- প্রিন্সেস জালিলা -জন্ম ১৯২৩ মৃত্যু ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৫৫
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ IRAQ – Resurgence In The Shiite World – Part 8 – Jordan & The Hashemite Factors APS Diplomat Redrawing the Islamic Map, Februari 14, 2005