জুলিয়েট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জুলিয়েট
ফ্রাঙ্ক ডিকসির আঁকা রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট-এর বিখ্যাত বেলকনির দৃশ্য
স্রষ্টাউইলিয়াম শেকসপিয়র
পরিবার

জুলিয়েট কাপুলেট (ইতালীয়: Giulietta Capuleti) উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত বিয়োগান্তক নাটক রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট-এর একটি নাম চরিত্র। জুলিয়েট এই নাটকের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র এবং ভেরোনার লর্ড কাপুলেটলেডি কাপুলেট দম্পতির একমাত্র কন্যা। সে তাদের পারিবারিক শত্রু মন্টাগুয়ে পরিবারের রোমিওর সাথে গোপনে প্রেম ও বিয়ে করে। রোমিও তার ভুয়া মৃত্যুর খবর শুনে আত্মহত্যা করার পর সেও আত্মহত্যা করে।

বর্তমান ভেরোনা[সম্পাদনা]

ক্যাসা ডি জিউলিয়েতা[সম্পাদনা]

ভেরোনায় জুলিয়েটের বেলকনি। নিচে জুলিয়েটের দেয়াল।
জুলিয়েটের দেয়াল নামে পরিচিত দেয়াল।

ভেরোনায়, ১৪শ শতাব্দীর প্রথমদিকে ভিয়া কাপেলো নং. ২৩ দাবী করে এটা কাপুলেটদের এবং অচিরেই তা পর্যটন আকর্ষণ হয়ে ওঠে। সেখানে একটি বেলকনি, ছোট উদ্যান ও জুলিয়েটের একটি ব্রোঞ্জ মূর্তি রয়েছে। শহরের এই জায়গাটিতে সবেচেয়ে বেশি লোক সমাগম হয়। মূর্তিটির বুকের দিকে উন্মুক্ত রয়েছে এবং এ সম্পর্কে কিংবদন্তি আছে যে যদি কেউ এই মূর্তির বুকের ডান পাশে আঘাত করতে পারে তবে তা তার ভবিষ্যৎ ও প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ।[১]

এই বাড়ির সামনের দেয়ালে অনেকে তাদের নাম এবং তাদের প্রিয় মানুষের নাম লিখে যায়। দেয়ালটি জুলিয়েটের দেয়াল নামে পরিচিত। অনেকে বিশ্বাস করেন এই দেয়ালে তাদের নাম ও তাদের প্রিয় মানুষের নাম লিখলে সে প্রেম অমর হবে। দেয়ালটি পুনঃনির্মাণ ও পরিষ্কার করা হয় এবং পরবর্তীতে লেখাগুলো পুনঃস্থাপন করা [২] বা দেয়ালের বাইরে সাদা বোর্ড দেয়ার সিদান্ত নেওয়া হয়।[৩]

লেখার পাশাপাশি ছোট প্রেমপত্র লিখে যাওয়াটাও একটা ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। উদ্যান পরিষ্কার রাখার জন্য সেখানকার কর্মচারীরা নিয়মিত চিঠিগুলো নিয়ে যায়।[৪]

ক্লাব ডি জিউলিয়েতা[সম্পাদনা]

১৯৩০ সাল থেকে ভেরোনায় জুলিয়েটের ঠিকানায় প্রেমপত্র আসতে শুরু করে। ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৫,০০০ এর অধিক প্রেমপত্র আসে, যার তিন-চতুর্থাংশ হল মেয়েদের। সবচেয়ে বেশি প্রেমপত্র আসে মার্কিন কিশোরীদের।[৫] ভেরোনা শহরের অর্থায়নে ১৯৮০-এর দশক থেকে ক্লাব ডি জিউলিয়েতা (জুলিয়েট ক্লাব) চালু হয় এবং স্থানীয় সেচ্চাসেবীরা প্রেমপত্রগুলো পড়ে উত্তর দেয়।[৫] ক্লাবটি লিসা ও চেইল ফ্রিডম্যানের একটি বইয়ের আলোচ্য বিষয়, সুজানা হারপারের একটি বইয়ে এবং ২০১০ সালের মার্কিন চলচ্চিত্র লেটারস টু জুলিয়েট চলচ্চিত্রের কাহিনী এই ক্লাবকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে।

অভিনয়শিল্পী[সম্পাদনা]

জর্জ ডাউয়ির ১৮১৬-এর স্টাডি ফোর মিস ও'নেইল অ্যাজ জুলিয়েট

অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা জুলিয়েট চরিত্রে অভিনয় করেছে:

অ্যানিমেশন[সম্পাদনা]

কল্পকাহিনীতে অভিনয়[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. La casa di Giulietta, Verona – IgoUgo
  2. Veronissima। "Veronissima – Juliet's Wall Graffiti"। Veronissima.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. "Terna02 – Juliet's graffiti at the D'Orsay Museum in Paris"। PremioTerna.it। ২০০৯-০৯-০৪। ২০১২-০৯-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. "Desenzano Lake Garda Italy — Verona — Romeo and Juliet"। DesenzanoItaly.com। ১ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  5. Hooper, John (১৯ মে ২০১০)। "Dear Juliet: the fans who write to Shakespeare's heroine"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  6. Halio, Jay (১৯৯৮)। Romeo and Juliet। Westport: Greenwood Press। পৃষ্ঠা 100আইএসবিএন 0-313-30089-5 
  7. Lahr, John। "Where do Claire Danes' Volcanic Performances Come From?"নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিন। দ্য নিউ ইয়র্কার। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  8. Sneider, Jeff (২০১১-০৬-২১)। "Douglas Booth, thou art 'Romeo'"। Variety। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Bevington, David, Ed. Romeo and Juliet, The Bantam Shakespeare (New York, 1988)
  • Levenson, Jill L., Ed. Romeo and Juliet, The Oxford Shakespeare (Oxford, 2000)
  • "Juliet's Taming of Romeo" Carolyn E. Brown; Studies in English Literature, 1500–1900, Vol. 36, 1996
  • "A Psychological Profile of Shakespeare's Juliet: Or Was It Merely Hormones?" Nancy Compton Warmbrod The English Journal, Vol. 69, No. 9 (Dec., 1980), p. 29

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]