মালদ্বীপের অর্থনীতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মালদ্বীপের অর্থনীতি
মালে, মালদ্বীপের বাণিজ্যিক কেন্দ্র
মুদ্রারুফিয়াহ (Rf) = ১০০ লারি
পঞ্জিকাবর্ষ
বাণিজ্যিক সংস্থা
WTO, সাফটা
পরিসংখ্যান
জিডিপি$৩.৫৭৮ বিলিয়ন[১] (মনোনীত: ১৫৫তম; ২০১৭ আনু.)
$৫.৮৫৩ বিলিয়ন[১] (পিপিপি: ১৬২তম; ২০১৭ আনু.)
জিডিপি ক্রম১৫৫তম (মনোনীত)/১৬২তম (পিপিপি)
জিডিপি প্রবৃদ্ধি
৪.৫৫১% (২০১৭ আনু.)[২]
মাথাপিছু জিডিপি
$১৯,১৭৮ (২০১৭ আনু.)[৩]
খাত অনুযায়ী জিডিপি
কৃষি (৪%), শিল্প (২৩%), সেবা (৭৩%) (২০১২ আনু.)
২.১০% (২০১৮ আনু.)[৪]
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা
১৬% (২০০৮ আনু.)
শ্রমশক্তি
১১০,০০০ (২০১০ আনু.)
প্রধান শিল্পসমূহ
মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন, জাহাজ পরিবহন, নৌকা নির্মাণ, নারিকেল প্রক্রিয়াজাতকরণ, পোশাক, বোনা মাদুর, দড়ি, হস্তশিল্প, প্রবাল, বালি খনন
১৩৫তম (২০১৭)[৫]
বৈদেশিক
রপ্তানি$১৪৫ মিলিয়ন (২০১৪ আনু.)
রপ্তানি পণ্য
মাছ
প্রধান রপ্তানি অংশীদার
 সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৮%
 সিঙ্গাপুর ১৬%
 ভারত ৯%
 শ্রীলঙ্কা ৬%
 থাইল্যান্ড ৫% (২০১৩ আনু.)[৬]
আমদানি$১৯৯৩ মিলিয়ন (২০১৪ আনু.)
আমদানি পণ্য
পেট্রোলিয়াম পণ্য, জাহাজ, খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র, অন্তর্বর্তী ও মূলধন পণ্য
প্রধান আমদানি অংশীদার
 সিঙ্গাপুর ১৮%
 সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৮%
 ভারত ৯%
 মালয়েশিয়া ৮.৩%
 চীন ৬.৭% (২০১৪ আনু.)[৭]
$৭৪২ মিলিয়ন (২০১৪ আনু.)
সরকারি অর্থসংস্থান
$৩১৬ মিলিয়ন (২০১৪ আনু.)
রাজস্ব$৭৫৮ মিলিয়ন (২০১৪ আনু.)
ব্যয়$৩৬২ মিলিয়ন; মূলধন ব্যয় $৮০ মিলিয়ন অর্ন্তভুক্ত (২০০০৪ আনু.)
অর্থনৈতিক সহযোগিতাN/A
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার
$৫৪০ মিলিয়ন (সেপ্টেম্বর ২০১৬ আনু.)
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক
মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।

প্রাচীনকালে মালদ্বীপ কড়ি, নারকেলের ছোবড়ার দড়ি, শুকনো টুনা মাছ, অম্বর (মাভাহারু) এবং কোকো দে মের (তাভাকাসি) এর জন্য বিখ্যাত ছিল। মালদ্বীপে এই পণ্যগুলো ভর্তি করতে স্থানীয় ও বিদেশী বাণিজ্য জাহাজ ব্যবহৃত হতো এবং এগুলো অন্যান্য দেশে নিয়ে যাওয়া হতো। আজকাল, মালদ্বীপের মিশ্র অর্থনীতি পর্যটন, মাছ শিকার এবং শিপিং এর প্রধান কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। পর্যটন মালদ্বীপের সবচেয়ে বড় শিল্প, যা জিডিপির ২৮% এবং বৈদেশিক বিনিময় প্রাপ্তির ৬০% এরও বেশি। এটি ১৯৮৯-এর দশকে মাথাপিছু বর্তমান জিডিপি ২৬৫% এবং ১৯৯০-এর দশকে আরও ১১৫% বৃদ্ধি করে।[৮] আমদানী কর ও পর্যটন সংক্রান্ত কর থেকে ৯০% পর্যন্ত সরকারি কর রাজস্ব অর্জিত হয়। মৎস্য শিকার মালদ্বীপের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় শিল্প ক্ষেত্র। সরকার কর্তৃক ১৯৮৯ সালে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি উত্তোলিত কয়লা আমদানি এবং বেসরকারী খাতে কিছু রপ্তানি চালু করে। পরবর্তীতে, এটি আরো বিদেশী বিনিয়োগ অনুমোদন আইন প্রশস্ত করেছে। কৃষি এবং উৎপাদন অর্থনীতিতে একটি গৌণ ভূমিকা পালন করে, চাষযোগ্য জমির সীমিত প্রাপ্যতা এবং স্বদেশী শ্রমের অভাব দ্বারা এটি সীমাবদ্ধ। সবচেয়ে প্রধানতম খাবারগুলি আমদানি করা হয়। শিল্পজাত দ্রব্য ক্ষেত্রে মালদ্বীপে প্রধানত রয়েছে পোশাক উৎপাদন, নৌকা নির্মাণ, এবং হস্তশিল্প। এটি জিডিপির প্রায় ১৮%। মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষ নিম্নভূমিতে ক্ষয় এবং সম্ভাব্য বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন।

মালদ্বীপের ১,১৯০ টি দ্বীপের মধ্যে মাত্র ১৯৮টিতে মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যা সমগ্র দেশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, এবং জনসংখ্যার সবচেয়ে বড় ঘনত্ব হচ্ছে রাজধানী দ্বীপ মালেতেপানীয় জল এবং আবাদী জমির সীমাবদ্ধতা, পাশাপাশি জনসংখ্যার অত্যধিক ভিড়ের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় মালেতে বসবাসকারী মানুষদের।

মালদ্বীপের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রধানত পর্যটন শিল্প এবং এর পরিপূরক তৃণমূল খাত, পরিবহন, বণ্টন, আবাসন, নির্মাণ, এবং সরকারের উপর নির্ভরশীল। পর্যটন শিল্পের ট্যাক্স অবকাঠামোতে চাঙ্গা হয়েছে এবং এটি কৃষি খাতে প্রযুক্তি উন্নত করতে ব্যবহার করা হয়।

সামষ্টিক-অর্থনৈতিক প্রবণতা[সম্পাদনা]

এটি মালদ্বীপীয় রুফিয়াহ মিলিয়ন সংখ্যায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব অনুযায়ী [১] বাজার মূল্যে মালদ্বীপ এর মোট দেশজ উৎপাদন প্রবণতার একটি তালিকা

বছর মোট দেশজ উৎপাদন মার্কিন ডলার বিনিময় মাথাপিছু আয়
(মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের% হিসাবে)
১৯৮০ ৪৪০ ৭.৫৮ রুফিয়াহ ৩.১১
১৯৮৫ ৮৮৫ ৭.০৮ রুফিয়াহ ৩.৮৫
১৯৯০ ২,০৫৪ ৯.৫৫ রুফিয়াহ ৪.৩৪
১৯৯৫ ৪,৬৯৬ ১১.৭৬ রুফিয়াহ ৬.২৯
২০০০ ৭,৩৪৮ ১১.৭৭ রুফিয়াহ ৬.৭৭
২০০৫ ১০,৪৫৮ ১২.৮০ রুফিয়াহ ৫.৩৩
২০১১ ১০,৪৫৮ ১৫.৪০ রুফিয়াহ ৭.৪৩

ক্রয় ক্ষমতার সামঞ্জস্যের তুলনার জন্য, মার্কিন ডলার শুধুমাত্র ১২.৮৫ রুফিয়াহ-এ বিনিময় হয়। ২০০৯ সালে ঘণ্টায় গড় বেতন ছিল ৪.১৫ ডলার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মালদ্বীপ তুলনামূলকভাবে কম মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে। ১৯৮০-এর দশকে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ১০% ছিল। এটির ১৯৯০ সালে একটি ব্যতিক্রমীভাবে ১৬.২% প্রবৃদ্ধি প্রসারিত হয়, ১৯৯৩ সালে ৪% কমে যায়, এবং, ১৯৯৫-২০০৪ দশক ধরে, প্রতি বছরে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় মাত্র ৭.৫%। ২০০৫-এ, সুনামির ফলে, জিডিপি প্রায় ৫.৫% সংকুচিত হয়ে যায়; তবে, অর্থনীতি ২০০৬ সালে ১৩% বৃদ্ধির সঙ্গে পুনরুদ্ধার হয়।[৯]

মালদ্বীপে ১৯৯৮ সাল থেকে $২০০ থেকে $২৬০ মিলিয়ন পরিসীমার একটি পণ্যদ্রব্য বাণিজ্য ঘাটতি চলমান রয়েছে। ১৯৯৯ সালের বাণিজ্য ঘাটতি ২৬২ মিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০০০ সালে ২৩৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। ২০০৪ সালে এটি ৪৪৪ মিলিয়ন ছিল।

মালদ্বীপে এবং মালদ্বীপ থেকে আন্তর্জাতিক নৌযান প্রধানত বেসরকারী খাতে পরিচালিত হয় যা কেবলমাত্র ন্যাশনাল ক্যারিয়ার, মালদ্বীপ শিপিং ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হয়।

বছরের পর বছর ধরে, মালদ্বীপ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্ব ব্যাংক সহ বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলির কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে। জাপান, ভারত, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আরব দেশসমূহ (যেমন ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক এবং কুয়েত ফান্ড) সহ স্বতন্ত্র দাতাগণও অবদান রেখেছেন।

১৯৫৬-এ, একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি যুক্তরাজ্যকে দক্ষিণে আডু আটোলের গান-এ প্রবেশের সুযোগ করে দেয়, মালদ্বীপকে ব্রিটিশ সাহায্যের বিনিময়ে গান-এ একটি এয়ার ফ্যাসিলিটি নির্মানের। কিন্তু, চুক্তি ১৯৭৬ সালে শেষ হয়, গান এয়ার স্টেশন শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়ার পরে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্র[সম্পাদনা]

পর্যটন[সম্পাদনা]

২০০৭-এর হিসেবে, মালদ্বীপ পর্যটনের জন্য এটির প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে সফলভাবে উন্নীত করেছে। ছোট প্রবাল দ্বীপগুলোর সৌন্দর্য, অদূষিত সৈকত, নীল জল এবং সূর্যাস্ত বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকৃষ্ট করে, যার ফলে বছরে প্রায় $৩২৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ উপার্জিত হয়। তাত্ত্বিক ক্ষেত্রের পর্যটন ও অন্যান্য সেবা ২০০০ সালে জিডিপির ৩৩% পূরনে অবদান রাখে।

১৯৭২ সালে প্রথম রিসোর্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৮৪ টি দ্বীপ পর্যটন রিসোর্ট হিসেবে গড়ে উঠেছে, যার মোট ১৬ হাজার শয্যার মোট ক্ষমতা রয়েছে। মালদ্বীপে পর্যটকদের (প্রধানত ইউরোপ থেকে) সংখ্যা ১৯৭২-এ ১,১০০ থেকে বেড়ে ১৯৯৪ সালে ২৮০,০০০-এ পৌঁছে। ২০০০-এ, পর্যটক আগমন ৪৬৬,০০০ অতিক্রম করেছে। গড় আতিথেয়তার হার ৬৮%, ভ্রমণকারীরা গড়ে ৮ দিন থাকে এবং প্রায় $৭৫৫ ডলার খরচ করে।

এটি রেকর্ড করা হয়েছে যে ১ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক ২০১৪ সালে দ্বীপগুলিতে ভ্রমণ করেছেন।

মৎস্য আহরণ[সম্পাদনা]

এই সেক্টরে প্রায় ২০% শ্রমিক বাহিনী কাজ করে এবং জিডিপিতে ১০% অবদান রাখে। জাল ব্যবহার করা অবৈধ হওয়ার কারণে সমস্ত মাছ শিকার লাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়। ২০০০ সসালে মৎস্য আহরণের পরিমাণ ছিল প্রায় ১১৯,০০০ মেট্রিক টন, যার অধিকাংশ ছিল স্কিপজ্যাক টুনা। প্রায় ৫০% মাছ রপ্তানি হয়, বিশেষত শ্রীলঙ্কা, জার্মানি, ইউকে, থাইল্যান্ড, জাপান ও সিঙ্গাপুরে। মাছের প্রায় ৪২% মাছ শুকনো বা ক্যান (ধাতুপাত্রে রক্ষিত) অবস্থায় থাকে এবং অন্য ৩১% হিমায়িত এবং অবশিষ্ট ১০% তাজা মাছ হিসেবে রপ্তানি করা হয়। ২০০০ সালে মাছের মোট রপ্তানি প্রায় ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। ধোনি নামের কিছু ছোট নৌকা দ্বারা এই মাছগুলো ধরা হয়। এই নৌকাগুলো বৈঠা নৌকা থেকে মোটরের নৌকায় রূপান্তরের পর থেকে, জেলে প্রতি বার্ষিক টুনা ধরা ১৯৮৩ সালে ১.৪ মেট্রিক টন থেকে ২০০২ সালে ১৫.২ মেট্রিক টনে বেড়েছে।

কৃষি[সম্পাদনা]

অনুর্বর মাটি এবং দ্বীপপুঞ্জে আবাদী জমির অভাবের কারণে কৃষিকাজ কেবল কয়েকটি জীবিকা ফসলের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেমন নারকেল, কলা, রুটিফুট, পেঁপে, আম, কর্দম, পান, মরিচ, মিষ্টি আলু এবং পেঁয়াজ। কৃষি জিডিপিতে প্রায় ৬% অবদান রাখে।

শিল্প[সম্পাদনা]

শিল্পখাত সেক্টর জিডিপিতে মাত্র ৭% অবদান রাখে। নৌকা নির্মাণ এবং হস্তশিল্প নিয়ে সনাতন শিল্প গঠিত, যেখান আধুনিক শিল্পে রয়েছে কয়েকটি টুনা প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানা, পাঁচটি গার্মেন্ট কারখানা, একটি বোটলিং প্লান্ট, এবং রাজধানী মালেতে কয়েকটি এন্টারপ্রাইস পিভিসি পাইপ, সাবান, আসবাবপত্র, এবং খাদ্য পণ্য উৎপাদন করে। মালদ্বীপে কোনও পেটেন্ট আইন নেই।[১০]

আর্থিক[সম্পাদনা]

ব্যাংকিং শিল্প মালদ্বীপের ক্ষুদ্র আর্থিক খাতের উপর প্রভাব বিস্তার করে। দেশের সাতটি ব্যাংক মালদ্বীপের আর্থিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।[১১] মালদ্বীপে আয়, বিক্রয়, সম্পত্তির বা মূলধন-লাভের উপর কোন কর নেই, এবং এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে সহজ কর কোড বলে মনে করা হয়।[১২] দ্য ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক এটির ২০১১ আর্থিক গোপনীয়তা সূচকে মালদ্বীপকে ৯২ এর একটি গোপনীয়তা স্কোর প্রদান করেছে - যা সক্রিয়ভাবে তম দেশের বিষয়শ্রেণীতে সর্বোচ্চ স্কোর। যাইহোক, মালদ্বীপের ছোটোখাটো বাজার শেয়ার এটিকে সামগ্রিক ভরযুক্ত তালিকার নিচে কাছাকাছিতে রাখে।[১৩]

শিপিং[সম্পাদনা]

১৯৯০ এর দশকের শুরুতে, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য মালে বন্দর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছ থেকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের ঋণ গ্রহণ করে।[১৪] এডিবি মন্তব্য করেছে যে ১৯৯১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত, ঋণের কারণে, বন্দরের বার্ষিক পরিবাহিত মালের থ্রুপুট ২৭৩,০০০ টনের সমান। ২০১১-এ এই সংখ্যা ১ মিলিয়নে পৌঁছেছে।[১৫] এডিবি এছাড়াও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এডিবি এবং মালদ্বীপ সরকার, একটি যৌথ রিপোর্টে বলেছে জাহাজ চলাচলের চারপাশে, "যেখানে ১৯৯১-এ সময় লাগতো ১০ দিন, যা ১৯৯৭-এ ৩.৮ দিনে পৌছায়, এবং ২০১৪-এ ২.৬ দিনে"।[১৬]

অন্যান্য[সম্পাদনা]

মালদ্বীপের ঐতিহ্যগত অর্থনৈতিক কার্যক্রমগুলি যেমন মাদুর বয়ন, গয়না তৈরি, খাঁজ তৈরি এবং বার্ণিশের কাজ এখনও দেখা যায়।

পরিবেশগত উদ্বেগ[সম্পাদনা]

প্রবাল খনন (বিল্ডিং ও জুয়েলারী তৈরির জন্য ব্যবহৃত), বালি ড্রেজিং, কঠিন বর্জ্য দূষণ এবং নৌকা থেকে তেল ছিটকে পড়া এসবের কারণে প্রবাল প্রাচীর এবং সামুদ্রিক জীবনের উপর ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে। বালি ও প্রবালের খনন প্রাকৃতিক প্রবাল প্রাচীরগুলো ধ্বংস করেছে যা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপগুলিকে রক্ষা করেছিল, এখন সেগুলোকে অনেক সমর্থ করে তুলেছে। তাপের কারণে বৃহৎ প্রবাল অঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে যা ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণ।[১৭]

এপ্রিল ১৯৮৭-এ, সমুদ্রের উচু ঢেউ মালদ্বীপকে মুছে দেয়, মালে এবং নিকটবর্তী দ্বীপগুলির বেশির ভাগ প্লাবিত হওয়ার কারণে মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুতরভাবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছিল। ২০০৩-এ INQUA রিচার্স খুজে পায় যে প্রকৃতপক্ষে মালদ্বীপের প্রকৃত সমুদ্রতলগুলি ১৯৭০-এর দশকে বাদ পড়েছিল এবং পরবর্তী শতাব্দীতে আবহাওয়ার পরিবর্তনের পূর্বাভাস পায়। [১৮] দ্বীপে সন্দেহজনক হাঙ্গর মাছ ধরার উপরও উদ্বেগ রয়েছে। হাঙ্গর মাছ ধরা আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়, কিন্তু এই আইনগুলি কার্যকর করা হয় না। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে হাঙ্গরের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে।[১৯]

এশীয় বাদামী মেঘ উত্তর ভারতীয় মহাসাগরের উপরে বায়ুমণ্ডলে ঘুরছে যা আরেকটি উদ্বেগের কারণ। গবেষণা প্রমাণ করে যে সূর্যের রোদ কমে যাওয়া এবং এ্যাসিড বৃষ্টি এই মেঘের থেকে ঘটছে।[২০]

শিক্ষায় বিনিয়োগ[সম্পাদনা]

শিক্ষার জন্য সরকারের ব্যয় ছিল ১৯৯৯ সালের বাজেটের ১৮%। গত এক দশকে সরকারি ও বেসরকারি উভয় স্কুলই অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। উপরন্তু, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান আছে যা আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়া কমিউনিটি-প্রদত্ত শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয় যারা ধর্মীয় জ্ঞান ছাড়াও প্রাথমিক সংখ্যা এবং সাক্ষরতা দক্ষতা প্রদান করে। প্রথা অনুসারে মালদ্বীপে তিন বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশুরা মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করত, যে বিদ্যালয়গুলো "এধুর্জ" নামে পরিচিত ছিল, সাধরনত একটি বড় কক্ষ অথবা গাছের ছায়ায় এসব বিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত। শিশুরা এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ পাটি গণিত, ধিবেহী ভাষা, সামান্য আরবি এবং কুরআন পাঠ করতে শিখত। বর্তমানে এসব বেসরকারি বিদ্যালয়ের কোন অস্তিত্ব নেই, কেননা ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর দশকে এসব বিদ্যালয়কে পশ্চিমা পদ্ধতির বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

মালদ্বীপের প্রথম পশ্চিমা পদ্ধতির বিদ্যালয় হলো মাজিদিয়্যা বিদ্যালয়, ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি মুলত সহশিক্ষামুলক ছিল, কিন্তু ১৯৪৪ সালে একটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়, তাই আমিনিয়্যাহ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ইউনেস্কোর শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টাদের একটি গবেষণা অনুসারে মালদ্বীপ সরকার ৬ অক্টোবর ১৯৭৬ সালে শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্প শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম চালু করে, তন্মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার, পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাবিষয়ক বেতার, বয়স্কদের জন্য কম্যুনিটি শিক্ষা কার্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক উন্নয়ন ও মুদ্রণের ব্যবস্থা অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম বিদ্যালয় বা অ্যাটল ঈধাফুশিতে ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় নির্মাণ কার্যক্রম অব্যহত ছিল এবং পরবর্তীতে জাপানের প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ প্রকল্প এই প্রকল্পের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে। পাঠ্যক্রম উন্নয়ন কার্যক্রম ১৯৭৬ সালে শুরু হয়, এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ১৯৭৭ সালে শুরু হয়। একই সময়ে অন্যান্য কর্মসূচি চালু করা হয় এবং ১৯৭০ থেকে ১৯৮০’র দশক পর্যন্ত অব্যহত থাকে, এই সময় শিক্ষা খাতে দশ বছরব্যাপী (১৯৮৬-১৯৯৬) মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ হয় ১৯৯৬-২০০৫ সাল পর্যন্ত। এই হলো মালদ্বীপের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের ভিত্তি, যা রাষ্ট্রপতি নাসিরের সরকার শুরু করে এবং রাষ্ট্রপতি গাইয়ুম তা চালু রাখেন।

২০০২ সালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে দাবি করা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা বিশ্বমানে উন্নীত হয়েছে এবং সাক্ষরতার হার শতকরা ৯৮.৮২ ভাগে উন্নীত হয়েছে, যা ১৯৭৮ সালে ছিল মাত্র ৭০%। জন স্কুল শিক্ষার্থী ছিল, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪০%।

আধুনিক স্কুল সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিভাগের দ্বারা পরিচালিত হয়, এগুলো একযোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রদান করে। আধুনিক ইংরেজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থার বিস্তৃতির কারণে, ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। ১৯৯৮ সালের প্রথম দিকে, গ্রেড ৮, ৯ এবং ১০ এর জন্য শিক্ষা প্রদানের জন্য ৩০ টিরও বেশি দ্বীপের ব্যবস্থা ছিল। ১৬৪ টি দ্বীপে গ্রেড ৫, ৬, বা ৭ পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। কেবল মমালেতে ১১ ও ১২ গ্রেড শিক্ষাদানের জন্য বিদ্যালয় রয়েছে।

সাতটি পোস্ট-সেকেন্ডারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট যুবকদের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা লাভের সুযোগ প্রদান করে। বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে ২০০০-০৪ সালে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ১৭ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, এবং এই সময়ের মধ্যে মানব উন্নয়ন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য আরো ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। ২০০১-০৩ সাল নাগাদ, এডিবি মালদ্বীপের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার উন্নয়নে সহায়তা করার পরিকল্পনা করেছিল।

দারিদ্র্য, আয় এবং লিঙ্গ বৈষম্য[সম্পাদনা]

Old street sellers in Malé

মালদ্বীপ ২০১১ সালের হিসাবে মাত্র ১% দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণের অনুপাত হ্রাসের লক্ষ্যে তাদের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) সফলভাবে অর্জন করেছে।[২১] ক্ষুধা অবিদ্যমান, এইচআইভি-এর হার নিচে নেমে গেছে এবং ম্যালেরিয়া নির্মূল করা হয়েছে।[২২] এই অর্জন এবং প্রগতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, উন্নয়নমূলক সমস্যাগুলি রয়ে গেছে। বিশেষ করে, দেশের আয় এবং লিঙ্গ বৈষম্যতা মোকাবেলার প্রয়োজন।[২৩] মালদ্বীপের উন্নয়ন প্রধানত রাজধানী মালেতে ঘটেছে; রাজধানীর বাইরে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জগুলি উচ্চ দারিদ্র্যের ঝুঁকি, প্রতি মাথাপিছু কম আয়, স্বল্প কর্মসংস্থান এবং সামাজিক পরিষেবার সীমিত প্রবেশের সম্মুখীন হচ্ছে।[২৩] ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে একটি দেশব্যাপী পারিবারিক আয় জরিপ দেখিয়েছে রাজধানী মালেতে গড় আয় পার্শ্ববর্তী দ্বীপপুঞ্জগুলির চেয়ে ৭৫% বেশি।[২২] মালদ্বীপের জিনি সহগ ০.৪১ এ দাঁড়িয়েছে।[২৪]

দারিদ্র্য এবং আয় অসমতা[সম্পাদনা]

যে বিষয়গুলি মালদ্বীপকে দারিদ্র্যে পতিত করেছে বা অবশিষ্ট আছে সেগুলো হল:[২২]

  1. ভৌগোলিক: উত্তর দিকের উন্নয়ন অপেক্ষাকৃত নিম্ন স্তর হওয়ার কারণে মালদ্বীপের উত্তর অঞ্চলের অধিবাসীরা অন্য অঞ্চলের চেয়ে অধিক দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে;
  2. স্বাস্থ্য: মালদ্বীপের যারা দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে কাজ করে না তারা দেশের স্বাস্থ্যসেবার কম সুবিধার কারণে সম্ভবত দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে;
  3. পরিবারের তরুণ সদস্যরা: পরিবারের তরুণ সদস্যদের বৃহৎ অনুপাত যা একটি নিম্ন সামগ্রিক পরিবারের আয় ফলাফল;
  4. পরিবারের মহিলা সদস্যরা: নিম্ন মহিলা শ্রম অংশগ্রহণের হার এবং যা, বাড়িতে পরিবারের নিম্ন আয়ের কারণ।

বাইরের প্রবাল প্রাচীরগুলোতে সামাজিক সেবা এবং অবকাঠামোর ব্যবহারের অসুবিধা থেকে বোঝা যায় যে মালদ্বীপের দারিদ্র্য এবং আয় বৈষম্যের জন্য ভূগোল একটি প্রধান কারণ।[২২] রাজধানী থেকে দূরে দ্বীপগুলোতে, উৎপাদনের অভাব, মৎস্য সম্পদের অপর্যাপ্ত ব্যবহার, নিম্ন মানের শৃঙ্খল উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী ও উদ্যোক্তাদের জন্য অপর্যাপ্ত ঋণ ইত্যাদি সমস্যা লক্ষ্য করা যায়।[২৫] ভূমি ও পানির সংকট, অনুন্নত চাষ পদ্ধতি এবং প্রবালপ্রাচীরে সহায়তা পরিষেবার অনুপস্থিতি এই অঞ্চলে কম উৎপাদন এবং কম আয়ের কারণ।[২৫]

লিঙ্গ বৈষম্য[সম্পাদনা]

মালদ্বীপ এছাড়াও লিঙ্গ বৈষম্যের সম্মুখীন হয়। ২০০৭ সালের একটি দেশব্যাপী জরিপে, এটি পাওয়া গিয়েছিল যে ১৫-৩৯ বছরের মধ্যে প্রতি তিনজন মালদ্বীপের নারীর মধ্যে একজন পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে।[২৬] ২০০৫ সালে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণের হার ১৯৭৮ সালের ৬০% থেকে ২০০৫-এ ৩৭% এ নেমে আসে।[২৭] মালদ্বীপের দক্ষতার অভাব এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হওয়ার ফলে কম সংখ্যক নারীকে নিযুক্ত করা হয়।[২৭]

বর্তমান প্রচেষ্টা[সম্পাদনা]

সরকার আয় এবং লিঙ্গ বৈষম্য এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) এর সাথে এই বিষয়গুলি স্বীকার করেছে, মালদ্বীপে এমন নীতিগুলি প্রয়োগ করা হয়েছে যা সরাসরি এই বিষয়গুলির মোকাবেলা করে।[২৮][২৯] ২০১১ সালে রাষ্ট্রপতি নাশিদ বলেন, "দেশের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল তার মানুষ ... এবং যেহেতু যে কোনও দেশে জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, নিশ্চিতভাবে তাদের পূর্ণ অংশগ্রহণ উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দেবে"।[২৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Maldives"International Monetary Fund 
  2. "Download entire World Economic Outlook database"International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-২০ 
  3. World Economic Outlook Database, January 2018, International Monetary Fund. Database updated on 12 April 2017. Accessed on 21 April 2017.
  4. https://tradingeconomics.com/country-list/inflation-rate
  5. "Ease of Doing Business in Maldives"। Doingbusiness.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২৫ 
  6. "Export Partners of the Maldives"CIA World Factbook। ২০১৩। ২০১৮-১০-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-১২ 
  7. "Import Partners of the Maldives"CIA World Factbook। ২০১৪। ২০১৮-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-১২ 
  8. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৪ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  9. "U.S. State Department estimate"। জানুয়ারি ২৭, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-৩১ 
  10. "Gazetteer - Patents"www.billanderson.com.au। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  11. "MMA"। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫ 
  12. "Which country has the simplest taxation system?"Slate Magazine। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৫ 
  13. "Archived copy"। ২০১৩-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-১২ 
  14. adbadmin (২৪ এপ্রিল ২০০৭)। "Domestic Maritime Transport Project"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  15. Bank, Asian Development (১৬ আগস্ট ২০১২)। "Maldives: Malé Container Port Boosts Economy"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  16. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ১৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  17. Sheppard, Charles R.C. (Sept 18, 2003) "Predicted recurrences of mass coral mortality in the Indian Ocean" Nature 425(6955): pp.294-296
  18. Mörner, Nils-Axel; Tooley, Michael; and Possnert, Göran (2004) "New perspectives for the future of the Maldives" Global and Planetary Change 40: pp.177–182;
  19. Bloody shark slaughter in the island paradise Der Spiegel (German), 09-15-2008.
  20. Srinivasan, J. et al. (2002) "Asian Brown Cloud – fact and fantasy" Current Science 83(5): pp.586-592;
  21. "UNDP Maldives: Poverty Reduction"UNDP Maldives। ৩ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  22. “Vulnerability and Poverty Dynamics in the Maldives.” Institution for International and Development Economics. 2007-08-02.
  23. "UNDP's response to the Global Economic crisis" (পিডিএফ)/www.undp.org। ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  24. "Child Poverty in Maldives"Ministry of Planning and National Development, Maldives। ১৪ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  25. "Rural Poverty in the Republic of Maldives"Rural Poverty Portal. International Fund for Agricultural Development। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  26. Naish, Ahmed (২৭ নভেম্বর ২০১১)। "Eliminating Gender Inequality Essential for Development, Says President"Minivan News। ২৯ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  27. "Maldives: Gender and Development Assessment" (পিডিএফ)Asian Development Bank। ২০০৭। ২০১২-০৪-২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  28. "UNDP Maldives Country Office Gender Mainstreaming Strategy" (পিডিএফ)UNDP Maldives। ২ জুন ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 
  29. "Fast Facts" (পিডিএফ)United Nations Development Programme, UNDP Maldives। ৩ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]