চোরের ভিটা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৯′২০″ উত্তর ৯০°৩৯′৪৯″ পূর্ব / ২৪.৯৮৮৮৭২° উত্তর ৯০.৬৬৩৪৮৩° পূর্ব / 24.988872; 90.663483
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চোরের ভিটা
গ্রাম
বাংলাদেশের মানচিত্রে অবস্থান
বাংলাদেশের মানচিত্রে অবস্থান
চোরের ভিটা
বাংলাদেশের মানচিত্রে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৯′২০″ উত্তর ৯০°৩৯′৪৯″ পূর্ব / ২৪.৯৮৮৮৭২° উত্তর ৯০.৬৬৩৪৮৩° পূর্ব / 24.988872; 90.663483
দেশবাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ
জেলানেত্রকোণা
উপজেলাপূর্বধলা
ইউনিয়নধলামুলগাঁওজারিয়া
জনসংখ্যা
 • মোট৯৮৬[১]
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+০৬:০০)

চোরের ভিটা বাংলাদেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলের একটি গ্রাম। এটি ময়মনসিংহের নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে মূলত ধলামুলগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত[১] হলেও গ্রামের সামান্য অংশ জারিয়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। গ্রামে অবস্থিত “চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়”-এর নাম ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে সুশোভন না হওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তা নজরে আনে ও বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়।[২]

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

চোরের ভিটা গ্রামটি পূর্বধলা উপজেলার উত্তর-পূর্ব অংশে কংস নদীর তীরে অবস্থিত। জারিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে এর সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার।

জনউপাত্ত[সম্পাদনা]

চোরের ভিটা গ্রামের জনসংখ্যা ৯৮৬ জন।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮০০ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে পূর্বধলা সুসং জমিদারের সুসং পরগনার অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং পূর্বধলার জমিদার ছিলেন রামচরণ মজুমদার। তখন গ্রামটি "নাটেরকোনা" মৌজার অন্তর্ভুক্ত ছিল। কথিত আছে, জমিদার রামচরণ মজুমদারের এক অত্যাচারী নায়েব এলাকাটির খাজনা আদায়ের দায়িত্বে থাকাবস্থায় ব্রিটিশ ও জমিদারিবিরোধী আন্দোলনরত স্থানীয় যুবকেরা খাজনার রশিদ বই ও দাখিলা কৌশলে চুরি করে নিয়ে যায়। জমিদার রামচরণ পেয়াদা দিয়ে রশিদ বই উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রেগে গিয়ে "নাটেরকোনা" মৌজার নাম পাল্টে রাখেন চোরের ভিটা। সেই সাথে চোরের ভিটা মৌজার নতুন হিসাব খুলে সরকারের দপ্তরে পাঠিয়ে দেন। এভাবে সরকারের সকল নথি ও দাখিলায় মৌজাটি স্থায়ীভাবে "চোরের ভিটা" নামকৃত হয়ে যায়।[৩]

শিক্ষা ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালে গ্রামের অধিবাসীদের উদ্যোগে গ্রামের নামে "চোরের ভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়" প্রতিষ্ঠা পায়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয় এবং এর ফলে নাম হয় "চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়"।[২][৩] বিদ্যালয়ের এরকম অশোভন নামের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেত্রকোণা জেলা প্রশাসককে নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ করেন। সে অনুসারে "চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়"-এর নাম পরিবর্তন করে "আলোর ভুবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়" করার প্রস্তাব পাঠানো হয়।[৪] অবস্থানগত কারণে বিদ্যালয়টি জারিয়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত।[২]

এছাড়া চোরের ভিটা গ্রামে মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য তিনটি মসজিদ,[৫] দুইটি ইদগাহ[৬] ও একটি কবরস্থান[৭] রয়েছে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ধলামুলগাঁও ইউনিয়ন: গ্রাম ভিত্তিক লোকসংখ্যা"জাতীয় তথ্য বাতায়ন। বাংলাদেশ সরকার। ১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০ 
  2. "'চোরের ভিটা' হচ্ছে 'আলোর ভুবন'"। কালের কণ্ঠ। ৫ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০ 
  3. সিদ্দিকা, মিনহা। "চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরের ভিটা গ্রাম: ইতিহাস ও নামকরণ"ড. মোহাম্মদ আমীন। ১৫ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০ 
  4. "'মানুষমারা', 'চোরের ভিটা' স্কুলের লজ্জা ঘুচছে"। ক্যালকাটা নিউজ। ৭ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "মসজিদ - ধলামূলগাঁও ইউনিয়ন"জাতীয় তথ্য বাতায়ন। বাংলাদেশ সরকার। ১ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০ 
  6. "ঈদগাহ - ধলামুলগাঁও ইউনিয়ন"জাতীয় তথ্য বাতায়ন। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০ 
  7. "কবরস্থান - ধলামুলগাঁও ইউনিয়ন"জাতীয় তথ্য বাতায়ন। বাংলাদেশ সরকার। ৬ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০২০