বিষয়বস্তুতে চলুন

ঝুঁটিশালিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঝুঁটিশালিক
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: স্টার্নিডি
গণ: Acridotheres
প্রজাতি: A. fuscus
দ্বিপদী নাম
Acridotheres fuscus
(ভাগলার, ১৮২৭)

ঝুঁটিশালিক (বৈজ্ঞানিক নাম:Acridotheres fuscus) শালিক প্রজাতির পাখি। ঠোঁটের গোড়ায় খাড়া ঝুঁটি আছে বলে এমন নাম। বাসা বানায় গাছের কোটরে খড়কুটো, শুকনো ঘাস, পাটের আঁশসহ বিভিন্ন রকম লতাপাতা দিয়ে।শালিকেরা কিচিরমিচির শব্দ করে ডাকে।[]

প্রাপ্তিস্থান

[সম্পাদনা]

ঝুঁটিশালিককে সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দেখা যায়।

খাদ্য

[সম্পাদনা]

ঝুঁটিশালিকের খাদ্যতালিকায় আছে: ধান, চাল, গম, ফড়িং, ঝিঁঝি পোকা, ছোট ব্যাঙ, কেঁচো, জলপোকা, মাকড়সা, উড়ন্ত উইপোকা, বট-অশ্বত্থের ফলসহ বিভিন্ন রকমের ফল, তাল-খেজুরের রস, শিমুল-মাদার ফুলের মধু প্রভৃতি।[]

শরীরের রং কালচে বাদামি, মাথা কালো, চোখ লাল, চোখের চারপাশের রং হালকা লাল ও মণি গাঢ় হলুদ। ঠোঁট হলুদ, পা কমলা-হলুদ। দেহের ওপরের পালক ধূসর ছাই রঙের। পালকের শেষ প্রান্তে সাদার আভা। পেট ধূসর পাটকিলে। লেজের তলা সাদা।[]

স্বভাব

[সম্পাদনা]

ঝুঁটিশালিক খুব চেঁচামেচি করে ডাকাডাকি করে।[]

প্রজননকাল

[সম্পাদনা]

সাধারণত বর্ষাকালে এরা হালকা নীল রংয়ের দুই থেকে পাঁচটি ডিম দেয় । বাচ্চা ফোটানোর সময় এরা আনন্দে মেতে ওঠে। একই বাসায় পরপর দুবার বাচ্চা ফোটায়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. BirdLife International (২০১২)। "Acridotheres fuscus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২ 
  2. স্মৃতিমন্দিরে সুখস্বর্গ! ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-১২-০৪ তারিখে,সাহাদাত পারভেজ, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৭-০২-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।