গিতি পশেই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গিতি পশেই
گیتی پاشایی
গিতি পশেই
জন্ম(১৯৪০-০৬-১৩)১৩ জুন ১৯৪০
মৃত্যু৭ মে ১৯৯৫(1995-05-07) (বয়স ৫৪)
তেহরান, ইরান
মৃত্যুর কারণক্যান্সার
সমাধিবেহেশত-ই জাহরা, ইরান
৩৫°৩২′১০″ উত্তর ৫১°২২′১২″ পূর্ব / ৩৫.৫৩৬° উত্তর ৫১.৩৭০° পূর্ব / 35.536; 51.370
জাতীয়তাইরান
শিক্ষাস্নাতক
মাতৃশিক্ষায়তননিউ ইয়র্ক সিটি কলেজ
পেশা
  • গায়ক
  • সুরকার
  • অভিনেতা
আদি নিবাসতেহরান
দাম্পত্য সঙ্গীমাসুদ কিমিয়া (বি. ১৯৬৯১৯৯১)
সন্তানপুলাদ কিমিয়াই (জ. ১৯৮০)
আত্মীয়জাফর মনসুরি (পিতামহ)
সঙ্গীত কর্মজীবন
উপনামGiti Pashayi, Gity
উদ্ভবতেহরান
ধরনপপ
লেবেলভিঞ্জোমিঊজিক

গিতি পশেই (ফার্সি: گیتی پاشایی) (১৩ জুন ১৯৪০ – ৭ মে ১৯৯৫) ছিলেন ইরানি গায়িকা, সুরকার এবং অভিনেত্রী[১] মূল পাহ্লাভিতে তার নাম, "গীতি" বলতে "বিশ্ব" বোঝায়। গিতি ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে ইরানি পপ সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

গিতি পশেই ১৩ জুন ১৯৪০ সালে ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। পিতামহ জাফর মনসুরির, যিনি কবি ও সুরকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন, কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে সঙ্গীতের প্রতি গিতির আবেগ প্রসন্ন হয়। প্রারম্ভিক জীবনে ফারমারজ পেভার, মেহেদি ফরো এবং মাহমুদ করিমির মতো সঙ্গীতজ্ঞদের মাস্টার-ক্লাসে অংশ নেয়ার সুযোগ ঘটেছিল। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে নিউ ইয়র্ক সিটি কলেজে স্থাপত্য বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। এছাড়াও অর্কেস্ট্রেশন ও সাদৃশ্য বিষয়ে অধ্যয়ন ও স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন এবং পরবর্তীতে সুরকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৬০-এর দশকে ইরানি রাষ্ট্র পরিচালিত টিভিতে আত্তা বেনমানেশ (খেলাধুলা অ্যাঙ্কর), গিতি, এবং পারভেজ ঘরিব আফসার (প্রযোজক)

১৯৬০-এর দশকের শেষদিকে, গোয়েতে রেডিও এবং টেলিভিশনে গান গাওয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কর্মজীবন শুরু করেন। সেময়ের জনপ্রিয় গানগুলো "মাই নাইট ইজ নাইট", "ডেল বেলোস", "গোল-ই মেরিয়াম" এবং "আই হ্যা হিয়ার সাহেব"। "গোল-ই মেরিয়াম" (মারিয়া ফুল) গানের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি লাভ করেন।

১৯৭৮ সালে তার স্বামী মাসুদ কিমিয়া পরিচালিত সাফার সাং (পাথরের যাত্রা) চলচ্চিত্রে ফাতেমা চরিত্রে কাজ করার মাধ্যমে তিনি অভিনয়ে অভিষেক ঘটান, কিন্তু তারপরে তিনি আর অভিনয় করেন নি। পরবর্তীতে বিপ্লবের পর, ব্লেড আয়ন্ড সিল্ক (১৯৮৬), থিগ ও আবরিশাম (১৯৮৭), সর্ব (১৯৮৯), দ্য স্নেক ফাং (১৯৮৯), গুরুহবান (সার্জেন্ট, ১৯৯১) চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবে কাজ করেছেন।

১৯৭৯ সালে, ইসলামি বিপ্লবের ফলে তার সঙ্গীতজ্ঞ কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটে। সে সময়ে ইরানে জনসম্মুখে মহিলাদের গান গাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। পরে ১৯৭৯ সালে বিপ্লবের পর তিনি ইরানি চলচ্চিত্রের জন্য অনেক সাউন্ডট্র্যাক রচনা করেছিলেন। একজন সুরকার হিসেবে, তিনি বেশিরভাগ সময় তার স্বামীর মাসুদ কিমিয়ার সাথে কাজ করেছেন।

১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে, ১৯৮৯ সালে তিনি জার্মানির হামবুর্গে চলে যান, যেখানে তিনি কিছুকাল ওয়েস্টার্ন চার্চ এবং বারোক সঙ্গীত নিয়ে গবেষণা করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

গিতির সমাধিস্তম্ভ

১৯৬২ সালে গিতি ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক, মাসুদ কিমিয়াকে বিয়ে করেন।[২] ১৯৯১ সালে মাসুদ কিমিয়ার সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এই দম্পতির একমাত্র পুত্র পুলাদ কিমিয়াই ১৯৮০ সালের ১৪ জুলাই জন্মগ্রহণ করে, যিনি একজন পিয়ানোবাদক হিসেবে পরিচিত।

মৃত্যু এবং সমাধি[সম্পাদনা]

১৯৯৭ সালের ৭ মে, স্তন ক্যান্সারের কারণে ৫৪ বছর বযসে তিনি তেহরানে মারা যান। ইরানের বেহেশত-ই জাহরা সমাধি স্থানে গিতিকে সমাধিস্থ করা হয়। তার গান এবং রচনা এখনও ইরানের বাইরে জনপ্রিয়।

কাজ[সম্পাদনা]

ডিস্কোগ্রাফি[সম্পাদনা]

  • মিরাভাম ও ইয়ে দেল দারাম (১৯৬৯)
  • বে মান নাখান্দ ও নিমিখাম দোরোঘ বেগি (১৯৬৯)
  • তাসবিহ-ই সাদ দোনেহ ও গোল-ই মারিয়াম (১৯৭১)
  • শাদি বা মান ঘারে ও রিজেহ রিজেহ, (অ্যালবাম, পারসিক, ১৯৭১)
  • কি মিঘে দোনয়া ঘাশাঙ্গে ও হায়ফে হার্ফ-ই মানো দেল তামোম বেশেহ (১৯৭২)
  • মাঘে মানো খাব বেদেনি ও এই ভায়ে এই ভায়ে (১৯৭৩)
  • আরেজোহা (১৯৭৬)
  • ঘোরুবে ও খোদা মেহরাবুনে (১৯৭৬)
স্মরণীয় গান
  • গোল-ই মারিয়াম
  • মোলানা
  • শিরিন সোখান
  • বোট-ই আইয়ার
  • লিলি হোজাক
  • কানিজ

সংকলন[সম্পাদনা]

  • আরেজোহা (১৯৯৫)
  • গোল-ই মেরিয়াম (১৯৯৬)
  • রাঙ্গারাং: প্রি-রিভোলুশনারি ইরানিয়ান পপ (২০১১, সহ-শিল্পী হিসেবে)

চলচ্চিত্রের তালিকা[সম্পাদনা]

অভিনেতা হিসাবে
সুরকার হিসাবে
  • ব্লেড আয়ন্ড সিল্ক (১৯৮৬)
  • থিগ ও আবরিশাম (১৯৮৭)
  • সর্ব (১৯৮৯)
  • দ্য স্নেক ফাং (১৯৮৯)
  • গুরুহবান (সার্জেন্ট, ১৯৯১)

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. LLC Books (২০১০)। Iranian Musicians: Shahin Najafi, Antikarisma, Jamshid, Dariush Talai, Hichkas, Mahdyar Aghajani, Shakila, Masoud Fuladi, Mehrdad Minavand (2010 সংস্করণ)। General Books LLC। আইএসবিএন 9781155936284। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. Ginsberg, Terri; Lippard, Chris (১১ মার্চ ২০১০)। Historical Dictionary of Middle Eastern Cinema (illustrated, 2010 সংস্করণ)। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 237। আইএসবিএন 9780810873643। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]