বিষয়বস্তুতে চলুন

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহের লোগো
ঠিকানা
মানচিত্র
টিচার্স ট্রেনিং কলেজ রোড, ময়মনসিংহ সদর

,
2200

বাংলাদেশ
তথ্য
ধরনসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নীতিবাক্যশিক্ষা, চরিত্র, শৃঙ্খলা
প্রতিষ্ঠাকাল১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ (1988-11-15)
প্রতিষ্ঠাতাগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ
বিদ্যালয় জেলাময়মনসিংহ জেলা
সেশনজানুয়ারি - ডিসেম্বর
বিদ্যালয় কোড7063
প্রধান শিক্ষকমোহাম্মদ শফিক উল্লাহ (ভারপ্রাপ্ত)
অনুষদ
  • বিজ্ঞান
  • মানবিক
  • ব্যবসায় শিক্ষা
লিঙ্গবালক
শিক্ষার্থী সংখ্যাপ্রায় ১৬০০
শ্রেণি১ম - ১০ম শ্রেণি
ভাষাবাংলা
শিক্ষায়তন২.০ একর (আনুমানিক)
ক্যাম্পাসের ধরননগর
ওয়েবসাইটwww.mgovlab.edu.bd

গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের একটি স্বনামধন্য সরকারি বালক বিদ্যালয়। এটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং উন্নত শিক্ষার মানের জন্য সুপরিচিত।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ শহরে একটি আদর্শ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা থেকে ১৯৮৮ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সরকার ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করে। সূচনালগ্ন থেকেই এটি উন্নত পাঠদান পদ্ধতি ও কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করে।

ক্যাম্পাস

[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টি প্রায় ২.০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর ক্যাম্পাসে একটি প্রশস্ত খেলার মাঠ, একটি তিনতলা একাডেমিক ভবন এবং একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। একাডেমিক ভবনে আধুনিক বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব এবং একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। ক্যাম্পাসের সবুজ ও মনোরম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উপযুক্ত শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করে।

শিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

এই বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। শিক্ষা কার্যক্রম দুটি শিফটে পরিচালিত হয়: প্রভাতী ও দিবা। এখানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত पाठ्यक्रम অনুসরণ করা হয়। নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা—এই তিনটি বিভাগ চালু রয়েছে। বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং বরাবরই उत्कृष्ट ফলাফল অর্জন করে আসছে।

সহ-শিক্ষা কার্যক্রম

[সম্পাদনা]

শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ক্রীড়া: বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ।
  • সাংস্কৃতিক কার্যক্রম: বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, যেখানে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও অভিনয়ের আয়োজন করা হয়।
  • বিতর্ক প্রতিযোগিতা: জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
  • বিজ্ঞান মেলা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বার্ষিক বিজ্ঞান মেলার আয়োজন।
  • স্কাউটিং ও বিএনসিসি: শৃঙ্খলার প্রশিক্ষণ ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

উল্লেখযোগ্য সাফল্য

[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। এছাড়াও, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বিতর্ক, কুইজ এবং বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

    ইতিহাস

    [সম্পাদনা]

    শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ শহরে একটি আদর্শ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা থেকে ১৯৮৮ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সরকার ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু করে। সূচনালগ্ন থেকেই এটি উন্নত পাঠদান পদ্ধতি ও কঠোর শৃঙ্খলার জন্য খ্যাতি অর্জন করে।

    ক্যাম্পাস

    [সম্পাদনা]

    বিদ্যালয়টি প্রায় ২.০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এর ক্যাম্পাসে একটি প্রশস্ত খেলার মাঠ, একটি তিনতলা একাডেমিক ভবন এবং একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। একাডেমিক ভবনে আধুনিক বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব এবং একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে। ক্যাম্পাসের সবুজ ও মনোরম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উপযুক্ত শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করে।

    শিক্ষা কার্যক্রম

    [সম্পাদনা]

    এই বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। শিক্ষা কার্যক্রম দুটি শিফটে পরিচালিত হয়: প্রভাতী ও দিবা। এখানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত पाठ्यक्रम অনুসরণ করা হয়। নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা—এই তিনটি বিভাগ চালু রয়েছে। বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং বরাবরই उत्कृष्ट ফলাফল অর্জন করে আসছে।

    সহ-শিক্ষা কার্যক্রম

    [সম্পাদনা]

    শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

    • ক্রীড়া: বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ।
    • সাংস্কৃতিক কার্যক্রম: বার্ষিক সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, যেখানে সঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও অভিনয়ের আয়োজন করা হয়।
    • বিতর্ক প্রতিযোগিতা: জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
    • বিজ্ঞান মেলা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বার্ষিক বিজ্ঞান মেলার আয়োজন।
    • স্কাউটিং ও বিএনসিসি: শৃঙ্খলার প্রশিক্ষণ ও সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্কাউটস এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)-এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

    উল্লেখযোগ্য সাফল্য

    [সম্পাদনা]

    প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। এছাড়াও, বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের বিতর্ক, কুইজ এবং বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে।

    আরও দেখুন

    [সম্পাদনা]

    তথ্যসূত্র

    [সম্পাদনা]

      ইতিহাস

      [সম্পাদনা]
      বিদ্যালয়ের একটি একাডেমিক ভবন

      ১৮৭৯ সালে ময়মনসিংহ শহরের জুবিলী উৎসব পালনের লক্ষ্যে এই বাগান বাড়িতে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য্য এক সুদৃশ্য ভবন নির্মাণ করেন। যা লোহার কুঠি নামে মানুষের কাছে পরিচিত। তৎকালীন ভারত সম্রাট এডওয়ার্ডের পত্নী সম্রাজ্ঞী আলেকজান্দ্রা এর তৈলচিত্র ভবনটিতে স্থাপন করার ফলে এর নামকরণ হয় আলেকজান্দ্রা ক্যাসেল। এই লোহার কুঠিকে কেন্দ্র করে ২৭.৫ একর জমি অধিগ্রহণকৃত করে ১৯৪৮ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে যাত্রা শুরু করে পরীক্ষণ বিদ্যালয়সহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। উক্ত বিদ্যালয়টিতে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দাদের আবেদনে এবং বিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৮৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষণ বিদ্যালয়টি হাই স্কুলে উন্নীত হয় যার নামকরণ করা হয় গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল।[]

      ১৯২৬ সনে বিদ্যালয়ের ভবন সংলগ্ন বটমূলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা রচনা করেছেন। বিশ্ব কবির পদচিহ্ন লালন করা প্রতিবছর এ বটমূলে রবীন্দ্র পর্ষদ কর্তৃক আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।[]

      বর্ণনা

      [সম্পাদনা]
      বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলা ২০১৫ উপলক্ষে গভ. ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ-এর ছাত্রদের ময়মনসিংহ শহরে অনুষ্ঠিত র‍্যালি।

      বিদ্যালয়টি ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন এ অবস্থিত। বিদ্যালয়টি সকল ধর্মের বালক বালিকাদের অধ্যয়নের সুয়োগ রয়েছে। বিদ্যালয়টি তিনটি ভবন নিয়ে গঠিত। বিদ্যালয়টির সামনে রয়েছে একটি প্রশস্ত খেলার মাঠ, রয়েছে দর্শনিয় স্থাপনা। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে তিনটি বিভাগ তথা মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা চালু আছে।

      প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা

      [সম্পাদনা]

      দিবা ও প্রভাতী দুইটি শাখায় প্রথম হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদান করা হয় এই বিদ্যালয়ে। প্রতি বছর লটারির মাধ্যমে ১ম শ্রেণিতে ৬০ জন বালিকা এবং ৬০ জন বালক ভর্তি করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ৩য় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি নেয়া হয়।

      পোশাক

      [সম্পাদনা]

      ছেলেদের নেভিব্লু প্যান্ট আর সাদা শার্ট আর মেয়েদের হালকা আকাশী কামিজ,সাদা সালোয়ার,সাদা ওড়না আর সাদা স্কার্ফ।


      তথ্যসূত্র

      [সম্পাদনা]
      1. 1 2 "ইতিহাস"। ৮ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

      বহিঃসংযোগ

      [সম্পাদনা]