চৌধুরী ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস
খান সাহেব চৌধুরী ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস | |
---|---|
জন্ম | ১৮৪০ |
মৃত্যু | ১৯২৩ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয় |
পেশা | |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | প্রতিষ্ঠাতা |
খান সাহেব চৌধুরী ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস (১৮৪০–১৯২৩) ছিলেন একজন বাঙালি মুসলিম ব্যবসায়ী ও জমিদার, যিনি বাংলা, পাঞ্জাব ও আরবের বেশ কিছু জায়গায় জমিদারি বিস্তৃত করেছিলেন।[১]
বংশ পরিচয় ও জমিদারির উৎপত্তি
[সম্পাদনা]কথিত আছে, তার পূর্বপুরুষেরা তুরস্ক থেকে এসেছিলেন। তারা ১৩ শতকে উত্তর ভারতে এসেছিলেন তুরস্ক থেকে আগত সামরিক বাহিনীর অংশ হিসেবে। পরবর্তীতে মোঘল স্বীকৃত জমিদারি পায় উত্তরপ্রদেশের জনপুর জেলাতে ও সেখান থেকে ১৬ শতকের শুরুতে বর্তমান ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার একটি মোটামুটি বড় অংশের জায়গীরদার নিযুক্ত হন আনুমানিক ১৬৩০ খ্রিস্টাব্দে। যিনি সেই প্রথম জায়গারদারি পেয়েছিলেন তার নাম ছিল আরাফাত আলী এবং তিনি ছিলেন ময়েজ উদ্দিন সাহেবের অষ্টম পূর্বপুরুষ। ১৭৬০ এর দশকে যখন ফরিদপুরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন ছড়িয়ে পড়ে, তখন তা প্রতিরোধ করার শাস্তি হিসেবে সেই জমিদারি ক্রোক করে নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং তা ২৩ টি খন্ডে বিভক্ত করে নিলাম করে দেয় ১৭৯০ এর দশকে যা থেকে তৈরি হয় ফরিদপুরের বেশিরভাগ জমিদারিগুলো। ময়েজ উদ্দিন সাহেবের দাদা মরহুম জামাল উদ্দিন বিশ্বাস সেই ২৩ টি খন্ডের একটি ক্রয় করেন যা চানপুর স্টেটের রূপ ধারণ করে। সেই স্টেট ক্রয়ের সাথে তারা বিশ্বাস উপাধি লাভ করে এবং সেই থেকে তাদের পরিবারের নামের সাথে এই শব্দটি যোগ হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ফরায়েজী আন্দোলনের শীর্ষ নেতা হাজী শরীয়তুল্লাহ ও তার সন্তান দুদু মিয়া ময়েজউদ্দিনের পূর্বপুরুষ।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ময়েজউদ্দিন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থক ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ময়েজউদ্দিনের পুত্র ও নাতিরা ব্রিটিশ বাংলা, স্বাধীনতাপূর্ব পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আসনে রয়েছেন। তাঁর বড় ছেলে চৌধুরী আবদুল্লাহ জহিরউদ্দিন লাল মিয়া পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। অন্য পুত্র এনায়েত হোসেন চৌধুরী ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। ময়েজউদ্দিনের দ্বিতীয় পুত্র ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়া মুসলিম লীগের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব ছিলেন। যদিও ইউসুফ আলী ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সমর্থন করেছিলেন।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Enamul Haq। "দ্য ডেইলি স্টার Web Edition Vol. 5 Num 189"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-০১।
- ↑ আনসারী, হারুন (৬ মার্চ ২০১৯)। "হাজী শরীয়তুল্লাহর পথ ধরে ঐতিহাসিক ময়েজ মঞ্জিলের প্রথম নারী বন্দি নায়াব ইউসুফ"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০২৫।
- ↑ আবু মো. দেলোয়ার হোসেন (২০১২)। "চৌধুরী, ইউসুফ আলী"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |