ময়েজ মঞ্জিল

স্থানাঙ্ক: ২৩°৩৬′১৯″ উত্তর ৮৯°৫০′৪৯″ পূর্ব / ২৩.৬০৫২৮° উত্তর ৮৯.৮৪৬৯৪° পূর্ব / 23.60528; 89.84694
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ময়েজ মঞ্জিল
প্রধান ফটক
অবস্থান
অবস্থানবাংলাদেশ ফরিদপুর, বাংলাদেশ
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীখান সাহেব ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস
অর্থায়নেখান সাহেব ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৮৮৫

ময়েজ মঞ্জিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে অবস্থিত ব্রিটিশ শাসনামলের জমিদারবাড়ি। জমিদার খান সাহেব ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৮৫ সালে বাড়ির জমিদারদের বার্ষিক আয় থেকে ১১ লাখ রূপি দিয়ে প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়। জমিদারবাড়ির সদস্যদের নির্মিত প্রাসাদগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম আকর্ষণীয়। বাড়িটি ১৯১৬ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

ফরিদপুরের জমিদার খান সাহেব ময়েজউদ্দিন বিশ্বাস‌ ১৮৮৬ সালে বাড়িটিকে তাঁর সদর কাছাড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা চৌধুরী আব্দুল্লাহ জহিরুদ্দিন (লাল মিয়া), ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়া ও এনায়েত হোসেন চৌধুরী তারা মিয়া এই বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁরা সবাই পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ ছিলেন। পূর্ব বাংলায় ঢাকার বাইরে ময়েজ মঞ্জিলেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংঘটিত হয়। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, স্যার মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান, মহাত্মা গান্ধীসহ ১৯৫০-৬০ এর দশকের পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ১৯৩০-৪০ দশকের ভারতীয় অভিনেত্রী এই জমিদারবাড়িতে আসেন।

পারিপার্শ্বিকতা[সম্পাদনা]

ময়েজ মঞ্জিল ফরিপদপুরের পুরনো শহরে প্রাণকেন্দ্রে, সার্কিট হাউজের নিকটে অবস্থিত। বাগান, লনসহ সাদা রঙের জমিদারবাড়িটি ২৭ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। জমিদারবাড়ির কয়েকজন সদস্য বর্তমানে এই বাড়িতে বাস করেন। মূলত ৫৫ বিঘা জমির ওপর বাড়িটি স্থাপিত হলেও ১৯০০ সালের দিকে হালিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এবং যাতায়াতের জন্য রাস্তা জমিদারবাড়ির কিছু পরিমাণ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।

জমিদারবাড়িটিতে রয়েছে[সম্পাদনা]

  • চারটি ভবন
  • একটি মসজিদ
  • ময়েজ উদ্দিনের কবরস্থান
  • দুইটি পুকুর

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "স্মরণ: শিক্ষাবিস্তারে এক অনন্য নাম মোহন মিয়া"। বাংলানিউজ২৪। ২৬ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২০