খাইবার-১

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসরায়েলের আফুলায় পাওয়া খাইবার-১ রকেটের অবশিষ্ঠাংশ

খাইবার -১ ( আরবি: خيبر-1) (এম-৩০২,[১] বা বি-৩০২ [২] নামেও পরিচিত) সিরিয়ার তৈরি ৩০২ মিলিমিটারের[৩] ভূমি হতে নিক্ষেপণ যোগ্য অনিয়ন্ত্রিত রকেট। একটি কৌশলগত দূরনিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের সময় উত্তর ইসরায়েরলের লক্ষ্যবস্তুগুলিতে আঘাত হানার জন্য হিজবুল্লাহ কর্তৃক ব্যবহৃত হওয়ার জন্য রকেটটি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পায়। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধেও এটি ব্যবহৃত হয়েছে। এটি মূলত চীনা ডাব্লিউ এস-১ রকেটের একটি ক্লোন[১]

খাইবার-১, ১০০ কিলোমিটার পরিসরে লক্ষ্যভেদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ[৪][৫] হিজবুল্লাহ রকেট বাহিনীতে অধিকাংশ সময় ব্যবহৃত বিএম-২১ গ্রেড রকেটের চেয়ে এটি দীর্ঘ। এটি একটি অনন্য সিরিয় নকশা করা লঞ্চার এবং সম্ভবত একটি ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র [৬] বা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযুক্ত করা যুদ্ধাস্ত্র।[৭][৮] রকেটটি তার নির্দিষ্ট লেজের পাখনা দ্বারা সহজেই সনাক্ত করা যায়। রকেটটিকে প্রায়শই ইরানের[৯][১০] বা ইরানি ফজর-৩[৭] বা ফজর-৫ রকেটের বিবর্তিত সংস্করণ হিসাবে ভুলভাবে শনাক্ত করা হয়।[১১]

ব্যবহার[সম্পাদনা]

২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের আফুলাতে রকেটটি প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালের অগাস্টের প্রথম দিকে, খাইবার-১ লেবাননের সীমান্তে হতে ৭০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত ইসরায়েলের শহর বাইত শিয়ান,[১২] হাদেরা, [১৩] এবং ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে আঘাত হানে।[১৪]

ইরান খাইবার-১ রকেট গাজায় পাঠানোর চেষ্টা করেছে। [১]

নামের উৎপত্তি[সম্পাদনা]

খাইবার (বিকল্প বানান খায়বার) মদিনার প্রায় ৯৫ মাইল পূর্বে অবস্থিত একটি মরূদ্যান, যা একসময় আরবের বৃহত্তম ইহুদি বসতি ছিল। নামটি খায়বার যুদ্ধের অনুস্মারক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। এই যুদ্ধ ৬২৯ সালে মুহাম্মাদের নেতৃত্বে মুসলিম এবং খায়বারের বসবাসকারী ইহুদিদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল। ২০০৬ সালের ২৮ জুলাই হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ আল-মানার টেলিভিশন স্টেশনে একটি বক্তৃতায় রকেটটির নাম সর্বপ্রথম প্রকাশ করেছিলেন।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Yuri Lyamin and N.R. Jenzen-Jones (মার্চ ১২, ২০১৪)। "Assessment of the Khaibar-1 Rockets Captured by the IDF"। Armament Research Services। মার্চ ১১, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৮, ২০২২ 
  2. William M. Arkin, Divining Victory: Airpower in the 2006 Israel-Hezbollah War (2007) p. 35 আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৮৫৬৬১৬৮৮
  3. "Hezbollah's Rocket Blitz - by David Eshel"। Defense Update। ২০০৬-১০-২৯। ২০১৭-১২-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৯ 
  4. "Police: Missile fired at Hadera - Israel News, Ynetnews"। Ynetnews.com। ১৯৯৫-০৬-২০। ২০০৬-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৯ 
  5. "'Hezbollah has long-range surface-to-air missiles'"। Jpost.com। ২০১২-০১-১৯। ২০১৩-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৯ 
  6. "302mm Khaibar (M-302)"। Foundation for Defense of Democracies। ২৮ অক্টোবর ২০১৩। ১১ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২২ 
  7. William M. Arkin, Divining Victory: Airpower in the 2006 Israel-Hezbollah War (2007) p. 34 আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৮৫৬৬১৬৮৮
  8. "Civilians under Assault: Hezbollah'ss Rocket Attacks on Israel in the 2006 War: Hezbollah's Arsenal"। Human Rights Watch। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২২ 
  9. Anthony H. Cordesman, Martin Kleiber. Iran's Military Forces and Warfighting Capabilities (2007) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯২০৬-৫০১-১ p.60-61
  10. Pontin, Mark Williams। "The Missiles of August"। ৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২২ 
  11. Dullum, Ove (৩০ জুন ২০১০)। The Rocket Artillery Reference Book (পিডিএফ)। Norwegian Defence Research Establishment (FFI)। আইএসবিএন 978-82-464-1829-2। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২২ 
  12. "JPost | French-language news from Israel, the Middle East & the Jewish World"। Fr.jpost.com। ২০১৩-১০-১৫। ২০১২-০৭-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১০-১৯ 
  13. "For first time: Hizbullah targets Hadera area - Israel News, Ynetnews"। Ynetnews.com। ১৯৯৫-০৬-২০। ২০০৮-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৭ 
  14. "Record number of rockets hit north; 80 hurt - Israel News, Ynetnews"। Ynetnews.com। ১৯৯৫-০৬-২০। ২০০৬-০৮-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১১-০৭