কুলপি বন্দর
কুলপি বন্দর | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
অবস্থান | কুলপি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ |
স্থানাঙ্ক | ২২°০৪′৫৩″ উত্তর ৮৮°১৩′৩৩″ পূর্ব / ২২.০৮১৩১০৭° উত্তর ৮৮.২২৫৭৭৭১° পূর্ব |
বিস্তারিত | |
পরিচালনা করে | বেঙ্গল পোর্ট |
পোতাশ্রয়ের ধরন | নদী বন্দর |
প্রোতাশ্রয়ের গভীরতা | ৮.৫ মিটার (২৮ ফু) |
কুলপি বন্দর[১] ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার প্রস্তাবিত একটি বন্দর। বন্দরটি হুগলি নদীর পূর্ব তীরে কুলপিতে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থানটি হুগলি নদীর মহনা থেকে ৪০ মাইল উজানে অবস্থিত।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বন্দরটি নির্মাণের পরিকল্পনা ১৯৯৪ সালে করা হয়েছিল। বন্দর প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার হল বিশ্বব্যাপী বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা ডিপি ওয়ার্ল্ড।[৩] সংস্থাটির কাছে প্রস্তাবিত কুলপি বন্দরের পরিচালনা সংস্থায় বেঙ্গল পোর্ট-এর ৪৪.৫% অংশিদারিত্ব রয়েছে। অবশিষ্ট অংশিদারিত্ব কিভেন্টার গোষ্ঠী ও ডব্লিউবিআইডিসি-এর নিকট রয়েছে। কুলপিতে মোট বিনিয়োগ ₹১২০০ কোটি টাকা হবে বলে ধরা হয়েছিল এবং ৭০০ একর জমির প্রয়োজন হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বন্দরটিতে মোট ১২ টি জেটি নির্মাণের কথা ছিল।[৪]
কুলপি বন্দরের অংশিদারদের মধ্যে চুক্তি ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তবে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের থেকে বেশ কিছু আপত্তি থাকার কারণে প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়। কুলপি বন্দরের জন্য খসড়া চুক্তি ২০০৮ সালের মে মাসে জাহাজ মন্ত্রকের সচিবের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে কেভেন্টার গোষ্ঠী অভিযোগ করেছিল যে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ কুলপি বন্দর প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলছে কিন্তু কেন্দ্রীয় জাহাজ-মন্ত্রক এই প্রকল্পে গতিশীলতা দেখাচ্ছে না। এই বিষয়ে কেভেন্টারের চেয়ারম্যান এম.কে জালান উল্লেখ করেন,
প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুকুল রায়ের কাছে তারা পৌঁছেছে, কিন্তু তিনি মনোযোগ দিচ্ছেন না। গত বছরের ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত উপস্থাপনার জন্য আমরা রায়ের সাথে একটি বৈঠক স্থির করেছিলাম। ডিপি ওয়ার্ল্ডের শীর্ষ নির্বাহীরা পরিকল্পনা উপস্থাপনার জন্য দুবাই থেকে এসেছেন, কিন্তু বৈঠক স্থগিত করা হয়। তারপর থেকে আমরা মন্ত্রীকে পরিকল্পনাটি দেখাতে পারিনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মন্ত্রীর কাছো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য সময় নেই।[৪]
আদানি গোষ্ঠীও ২০১৮ সালে কুলপি বন্দর নির্মাণে আগ্রহ দেখিয়েছিল।[৫]
পোতাশ্রয়
[সম্পাদনা]প্রস্তাবিত বন্দরটি একটি নদী বন্দর হবে। পোতাশ্রয়টি কৃত্রিম হবে, এবং বন্দরের জলের গভীরতা ৮.৫ মিটার থাকবে। বন্দরটি কন্টেইনার টার্মিনাল হিসাবে নির্মাণ করা হবে।
পরিবহন
[সম্পাদনা]বন্দরটি ১২ নং জাতীয় সড়ক (পুরাতন "১১৭ নং জাতীয় সড়ক") দ্বারা কলকাতার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ১২ নং জাতীয় সড়ককে ৪ লেন বিশিষ্ট দ্বিমুখী যানচলাচলে উপযুক্ত সড়কে উন্নীত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া, বন্দরটি শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। রেল মন্ত্র একটি নতুন রেলপথ সাগর বন্দর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত নির্মাণ প্রস্তাব করেছে। এই রেলপথের সঙ্গে কুলপি বন্দরকে যুক্ত করা হবে।
আরও
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "দুবাইয়ের সংস্থার চোখ দুই বন্দরে"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "কুলপিতেও বন্দর চান আদানিরা"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "DP World -Marine Terminals - India -Kulpi"। DP World। ২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ ক খ "Kulpi Port in choppy waters"। Times of India। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Adani Group tests Kulpi port waters"। The Telegraph। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
- port project to see green light soon.[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Business Standard - ৩ জুলাই ২০১১