কুয়েতের ইতিহাস
কুয়েত হলো আরব উপদ্বীপের একটি দেশ, পারস্য উপসাগরের কেন্দ্রে অবস্থিত এই দেশকে ঘিরে রেখেছে কুয়েত উপসাগর। ১৮ এবং ১৯শতকের দিকে, কুয়েত একটি সফল বাণিজ্য বন্দর ছিল।[১][২][৩]
প্রাচীন যুগ
[সম্পাদনা]উবাইদ যুগে (৬৫০০ খ্রিস্টপূর্ব), কুয়েত ছিল মেসোপোটেমিয়া এবং নিওলিথিক পূর্ব আরবীয় মানুষদের কাছে প্রধান আকর্ষণের স্থান,[৪][৫][৬][৭] যার প্রধান ছিল উত্তর কুয়েতের আস-সুবিয়া।[৮][৯][১০] কুয়েতে মানব সভ্যতার প্রথম যে প্রমাণ পাওয়া যায় তা ছিল ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বের, তা ছিল বুর্গানে মধ্য প্রস্তর যুগ এর বিভিন্ন যন্ত্র পাওয়া যায়।[১১] কুয়েতের উত্তর অংশের আস-সুবিয়াতে (যা ছিল সম্পূর্ণ পার্সিয় উপসাগরীয় অঞ্চল), প্রথম নগরায়ণের প্রমাণ পাওয়া যায়।[৭]
মেসোপোটেমিয়ারা প্রথম ২০০০খ্রিস্টপূর্বে কুয়েতের দ্বীপ ফাইলাকাতে বসতি স্থাপন করে। ইআর এর সুমারিয়ান শহর থেকে ব্যবসায়ীরা ফাইলাকাতে বসবাস শুরু করে এবং ব্যবসা করতে থাকে।[১২][১২] এই দ্বীপে অনেকগুলো মেসোপোটেমিয় ধরনের দালান ছিল যেগুলো ২০০০খ্রিস্টপূর্ব সময়কার ইরাকের দালানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।[১২] কুয়েতের এই নব-প্রস্তরযুগীয় বসবাসকারীরা পৃথিবীর প্রথম দিককার উপকূলীয় ব্যবসায়ী ছিল।[১৩] পৃথিবীর প্রথম দিককার খাগড়া ডিঙ্গি উবাইদ সময়ে উত্তর কুয়েতে আবিস্কৃত হয়।[১৪]
গ্রিক পণ্ডিত টলেমি তার ভৌগোলিক গ্রন্থ জিয়োগ্রাফিতে উল্লেখ করেন কুয়েতের অস্তিত্ব ১৫০খ্রিষ্টাব্দেও ছিল।[১৫] টলেমি তার বইয়ে কুয়েতের সাগরকে হিয়েরোস কলপোস নামে উল্লেখ করেন (ল্যাটিন সংস্করণে যাকে সেকার সাইনাস বলা হয়)।[১৫]
৪০০০খ্রিস্টপূর্ব থেকে ২০০০খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত, কুয়েতের সাগরটি দিলমান সম্প্রদায়ের নিজস্ব শহর ছিল।[১৬][১৭][১৮] কুয়েত সমুদ্রে্র মাঝে দিলমানদের শাসনে ছিল কুয়েত শহরের শুয়াইখ বন্দর (পূর্বে যা আক্কাস দ্বীপ হিসেবে পরিচিত ছিল),[১৬] উম আন নামিল দ্বীপ[১৬][১৯] এবং ফাইলাকা দ্বীপ।[১৬] ২০০০খ্রিস্টপূর্বের শেষের দিকে, দিলমান সাম্রাজ্য মেসোপটেমিয়া থেকে ভারত এবং ইন্দুস উপত্যকার সম্প্রদায়ের মাঝে বাণিজ্যিক রাস্তাকে নিয়ন্ত্রণ করত। দিলমানদের বাণিজ্যিক ক্ষমতার পতন ঘটতে থাকে ১৮০০খ্রিস্টপূ্র্বের পরে। দিলমানদের পতনের পর ঐ অঞ্চলে জলদস্যুর আগমন ঘটে।৬০০খ্রিস্টপূর্বের পরে, বেবিলিয়নরা তাদের সাম্রাজ্যে দিলমানদেরকে নিযুক্ত করে।
৪০০খ্রিস্টপূর্বে, প্রাচীন গ্রীকরা আলেক্সান্ডারের অধীনে কুয়েত উপসাগরে বসতি স্থাপন করে, প্রাচীন গ্রীকরা আসল কুয়েত শহরকে ল্যারিসা নাম দেয় এবং ফাইলাকাকে নাম দেয় ইকারোস।[২০][২১][২২][২৩] স্ট্রাবো এবং আরিয়ানের মতে, আলেক্সান্ডার ফাইলাকাকে ইকারোস নামকরণ করেন কারণ এটি আকার এবং আকৃতিতে এগিয়ান দ্বীপের অনুরূপ। অন্যান্য গ্রীক দালানের মাঝে ছিল ধর্মীয় দুর্গ এবং গ্রীক মন্দির।[২৪]
২২৪খ্রিষ্টাব্দে, কুয়েত সাস্সানিড সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে যায়। সাস্সানিড সাম্রাজ্যের সময়, কুয়েত মেশান নামে পরিচিত ছিল,[২৫] যা মেশান রাজ্যের বিকল্প নাম ছিল।[২৬][২৭] আক্কাস হলো পার্থো-সাস্সানিয়াীর একটি জায়গা; সাস্সানিড ধর্মের নীরবতার মিনার উত্তরের আক্কাসে অবস্থিত।[২৮][২৯]
শেকলের যুদ্ধ
[সম্পাদনা]৬৩৬খ্রিষ্টাব্দে, সাস্সানিড সাম্রাজ্য এবং রাশিদুন খিলাফতদের মাঝে কুয়েতে কাজমা শহরের কাছে শেকলের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়।[৩০][৩১] সেসময়, কুয়েত সাস্সানিড সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। শেকলের যুদ্ধ রাশিদুন খিলাফতদের প্রথম যুদ্ধ ছিল যেখানে মুসলমান দল তাদের সীমানার জন্য যুদ্ধ করে।
৬৩৬খ্রিষ্টাব্দে রাশিদুনদের বিজয়ের কারণে, ইসলামিক যুগের শুরুতে কুয়েত উপসাগর "কাদিমা" বা "কাজিমাহ" নামক শহরের কেন্দ্র ছিল।[৩১][৩২][৩৩][৩৪][৩৫][৩৬][৩৭] মধ্যযুগীয় আরবীয় সূত্রে ইসলামের শুরুর যুগে কুয়েত উপসাগরের একাধিক উল্লেখ রয়েছে।[৩৬][৩৭][৩৮] শহরটি বন্দর নগরী হিসেবে কাজ করত এবং ইরাক থেকে হেজাজে যাওয়ার পথে এটি তীর্থযাত্রীদের জন্য বিশ্রামের জায়গা ছিল। এই শহরটি ইরাকের আল-হিরাহ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করত।[৩৬][৩৯][৪০] ইসলামিক যুগের শুরুতে, কুয়েত উপসাগর একটি উর্বর এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল।[৩১][৪১][৪২]
পার্সিয়া এবং মেসোপটেমিয়া থেকে আরবীয় উপদ্বীপে আসা মরুযাত্রীদলদের জন্য এই শহরটি বিশ্রামের স্থান ছিল। কবি আল-ফারাজদাক এই শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[৪৩] আল-ফারাজদাক আরবদের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক কবি হিসেবে পরিচিত।[৪৩]
আধুনিক কুয়েতের সৃষ্টি (১৬১৩-১৭১৬)
[সম্পাদনা]১৫২১সালে, কুয়েত পর্তুগিজদের দখলে ছিল।[৪৪] ১৬শতকের শেষের দিকে, পর্তুগিজরা কুয়েতে তাদের রক্ষণাত্মক নিষ্পত্তি সাধন করে।[৪৫]
১৬১৩সালে, কুয়েতের শহর তৈরি করা হয় যেখানে বর্তমানের কুয়েত শহর অবস্থিত। কুয়েত তখন বাণি খালিদ বংশের অধীনে ছিল, যারা একটি মৎস শিকারের জন্য গ্রাম নির্মাণ করেছিল যেখানে বর্তমানের কুয়েত সাগর অবস্থিত। ১৮শতকের শুরুতে বাণি উতুব সংঘের কারণে কুয়েতে বিবাদের সৃষ্টি হয়। তারা ১৬৮২সালে কুয়েতে এসেছিল। ধারাবাহিক বৈবাহিক সমস্যার কারণে, বারেক বিন উরাইর [বাণি খালেদ] এর মৃত্যুর কিছুদিন পর এবং বাণি খালেদ সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেলে তারা কুয়েতের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ১৭৬৬সালে আল জালাহমা এবং আল খালিফা পরিবার জুবারাহতে চলে যায়, শুধু কুয়েতের একমাত্র অধিপতি আল সাবাহর উতুব বাকি রয়ে যান।[৪৬]
গোড়ার দিকের বিকাশ (১৭১৬-১৯৩৭)
[সম্পাদনা]বন্দর নগরী
[সম্পাদনা]১৮শতকে, কুয়েত উন্নতি করে এবং খুব দ্রুত ভারত, ওমান, বাগদাদ এবং আরবিয়ার সাথে পণ্য পরিবহনে প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়।[৪৭][৪৮][৪৯] ১৭০০শতকের মাঝের দিকে, পারসিয়ান উপদ্বীপ থেকে আলেপ্পোতে বাণিজ্যে কুয়েত অন্যতম বাণিজ্যিক পথে পরিনত।[৫০] বাসরার পারস্য অবরোধের সময় ১৭৭৫-১৭৭৯সালে, ইরাকি লোকজনরা কুয়েতে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং তাদের অনেকে কুয়েতে জাহাজ নির্মাণে এবং বাণিজ্যিক কাজে অংশ গ্রহণ করে।[৫১] যার ফলে, কুয়েতের উপকূলবর্তী বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়।[৫১]
১৭৭৫ এবং ১৭৭৯সালের মাঝে, বাগদা, আলেপ্পো, স্মারনা এবং কন্স্টানিপলের সাথে ভারতীয় বাণিজ্যিক পথটি কুয়েতে স্থানান্তরিত করা হয়।[৫০][৫২] ১৭৯২সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কুয়েতে স্থানান্তরিত হয়।[৫৩] দ্যা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কুয়েত, ভারত এবং আফ্রিকার পূর্ব উপকূল পর্যন্ত সামুদ্রিক পথকে নিরাপদ রাখে।[৫৩] পারস্যরা ১৭৭৯সালে বাসরা থেকে প্রত্যাহার করার পর, কুয়েত বাসরা থেকে বাণিজ্যকে নিজেদের দিকে আকর্ষিত করতে থাকে।[৫৪] বাসরার অনেক বড় বাণিজ্যকারি কুয়েতে আসে যা ১৮৫০এর দশকে বাসরার বাণিজ্যিক স্তম্ভ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[৫৪]
আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক আলোচনা ১৮শতকের দ্বিতীয় ভাগে কুয়েতে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।[৫৫] ১৮শতকের শেষে বাসরাদের অস্থায়িত্বের কারণে কুয়েত সমৃদ্ধশালী হয়ে যায়।[৫৬] ১৮শতকের শেষে, অত্তোমান সরকারের নীপিড়নে বাসরার বাণিজ্যকারীদের জন্য কুয়েত আশশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে।[৫৭] পার্সীয় উপসাগরীয় অঞ্চলে কুয়েত নৌকা নির্মাণের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।[৫৮] কুয়েতি জাহাজগুলো সম্পূর্ণ ভারত সাগরে পরিচিত ছিল।[৫৯][৬০] কুয়েত পার্সীয় উপসাগরে সেরা নাবিকদের জন্যেও বিখ্যাত হয়েছিল।[৪৮][৬১][৬২] ১৯শতকে, কুয়েত ঘোড়া বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়,[৬৩] ঘোড়াগুলোকে কুয়েত থেকে নৌকা পথে পাঠানো হতো।[৬৩] ১৯শতকের মাঝে, পরিমাপ করা হয় যে কুয়েত বছরে গড়ে ৮০০টি ঘোড়া ভারতে রপ্তানি করে।[৫৫]
মোবারকের রাজত্বকালে, কুয়েতকে "পার্সীয় উপসাগরের মার্সিলস" খেতাব দেয়া হয় কারণ এটির বাণিজ্যিক স্থিতিশীলতা অনেক ধরনের লোকদের আকর্ষিত করে।[৬৪][৬৫] জনগণেরা বৈশ্বিক এবং জাতিগতভাবে বিভিন্ন ছিল, যাদের মধ্যে ছিল আরব, পারসীয়, আফ্রিকান, ইহুদি এবং আরমেনিয়ান। কুয়েত তার ধর্মের সুবিধার জন্য পরিচিত ছিল।[৬৬]
২০শতকের প্রথম দশকে, কুয়েতে ভালো প্রতিষ্ঠিত অভিজাতরা ছিল: বাণিজ্যিকভাবে ধনী পরিবার যারা বিবাহের কারণে কুয়েতের সাথে যুক্ত ছিল এবং কুয়েতে কর প্রদান করত।[৬৭] অভিজাতরা স্থায়ী, শহুরে, সুন্নি পরিবার ছিল, যাদের মাঝে বেশিরভাগ ৩০ বনি উতুবি পরিবার থেকে এসেছে।[৬৭] সবচেয়ে ধনী পরিবারেরা ব্যবসায়ী ছিল যারা দূরের বাণিজ্য, জাহাজ নির্মাণ এবং মুক্তার কাজ করে তাদের সম্পদ আয় করেছিল।[৬৭] তারা বিশ্বজনীন অভিজাত ছিল, তারা ভারত, আফ্রিকা এবং ইউরোপে অনেক ভ্রমণ করতো।[৬৭] এই অভিজাতরা অন্যান্য উপসাগরীয় আরব অভিজাতদের থেকে বেশি তাদের ছেলেদের বিদেশে পাঠাতো পড়ালেখার জন্য।[৬৭] পশ্চিমা পরিদর্শকরা বলে যে, কুয়েতি অভিজাতরা ইউরোপিয় অফিস ব্যবস্থা ও টাইপরাইটার ব্যবহার করতো এবং কৌতূহল বসত ইরোপিয় সংস্কৃতিকেও অনুসরন করতো।[৬৭] ধনী পরিবারগুলো সাধারণ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিল।[৬৭] ১৯৪০সালে ব্যবসায়ী পরিবার আল-ঘনিম এবং আল-হামাদের কাছে লক্ষ টাকার সম্পদ ছিল।[৬৭]
২০শতকের শুরুতে, কুয়েতে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে পতন ঘটে,[৬০] যার প্রধান কারণ বাণিজ্যিক অবরোধ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিক মন্দা।[৬৮] ১৯৩৪সালে ম্যারি ব্রুন্স এলিসনের কুয়েত পরিদর্শনের পূর্বে, কুয়েত দূর ব্যবসায়ে তাদের সফলতা হারিয়ে ফেলে।[৬০] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য কুয়েতের বিরুদ্ধে বাণিজ্যে অবরোধ তৈরি করে কারণ কুয়েতের শাসক অত্তোমান সাম্রাজ্যকে সমর্থন করে।[৬৮][৬৯][৭০] ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক অবরোধ কুয়েতের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে।[৭০]
১৯২০সালের শেষে বড় মন্দা কুয়েতের অর্থনীতিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।[৭১] তেল আবিস্কারের পূর্বে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা কুয়েতের প্রধান আয়ের উৎস ছিল।[৭১] কুয়েতি ব্যবসায়ীরা প্রধানত মধ্যস্থ ব্যবসায়ী।[৭১] ভারত এবং আফ্রিকান পণ্যের প্রতি ইউরোপিয়দের চাহিদা কমে গেলে কুয়েতের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়। আন্তর্জাতিক ব্যবসা হ্রাস পাওয়ার কারণে কুয়েতি জাহাজ দিয়ে ভারতে সোনা চুরিচালানের পরিমাণ বেড়ে যায়।[৭১] ভারতে সোনা চালান করে কিছু কুয়েতি ব্যবসায়ী পরিবার ধনী হয়ে যায়।[৭২]
বিশ্বব্যাপি অর্থনৈতিক ্খাতে মন্দার কারণে কুয়েতের মুক্তো ব্যবসারও অবনতি ঘটে।[৭২] পূর্বে, কুয়েতের মুক্তো শিল্প পৃথিবীর অভিজাত বাজারগুলোতে যেত, ইউরপিয় অভিজাতদের মুক্তার চাহিদা মেটাতে কুয়েত নিয়মিত ৭৫০ থেকে ৮০০টি জাহাজ পরিবহন করতো।[৭২] অর্থনৈতিক মন্দার সময়, মুক্তার মতো আভিজাত্য পণ্যের চাহিদা কমে যায়।[৭২] জাপানে প্রাক্রিতিক মুক্তোর আবিষ্কারও কুয়েতের মুক্তা শিল্প পতনে অবদান রাখে।[৭২]
১৯৯১-২০সালের কুয়েত-নজদ যুদ্ধের পর, ইবনে সোদ কুয়েতের বিরুদ্ধে ১৯২৩ থেকে ১৯৩৭সাল পর্যন্ত কঠোর বাণিজ্যিক অবরোধ জারি করে।[৬৮][৭১] কুয়েতের উপর অর্থনৈতিক এবং মিলিটারি আক্রমণে সৌদির প্রধান লক্ষ্য ছিল যত সম্ভব কুয়েতের রাজ্যকে আত্মসাৎ করা।[৬৮] ১৯২২সালের উকাইর খসড়াতে, কুয়েত এবং নজদের সীমানাকে নির্ধারণ করা হয়।[৬৮] উকাইর সম্মেলনে কুয়েতের কোন অবদান ছিলনা।[৬৮] ইবনে সোদ কুয়েতের ২/৩ভাগ রাজ্য প্রধানের জন্য পার্সি কক্সকে প্ররোচিত করে।[৬৮] উকাইরের কারণে কুয়েত তার অর্ধেকের বেশি অংশ হারিয়ে ফেলে।[৬৮] উকাইর সম্মেলনের পরেও, কুয়েত সৌদির অর্থনৈতিক অবরোধে থাকে এবং কুয়েতে অবিরাম সৌদির আক্রমণ চলতে থাকে।[৬৮]
১৯৩৭সালে, ফ্রেয়া স্টার্ক সেসময়কার কুয়েতে দারিদ্রতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে লেখেন:[৭১]
পাঁচ বছর আগে আমার শেষ পরিদর্শনের পরে দারিদ্রতা কুয়েতে স্থায়ী রূপ নিয়েছে, উভয় সমুদ্রে, যেখানে মুক্তো ব্যবসার পতন ঘটে, এবং ভূমিতে, যেখানে সৌদি আরবের অবরোধ ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছে।
কিছু ব্যবসায়ী পরিবার ১৯৩০সালের শুরুতে কুয়েত ছেড়ে চলে যায় অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার জন্য। ১৯৩৭সালে তেল আবিষ্কারের সময়, বেশিরভাগ কুয়েতের বাসিন্দা দরিদ্র ছিল।
ব্যবসায়ী
[সম্পাদনা]কুয়েতে তেলের পরে কুয়েতি ব্যবসায়ীদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা ছিল।[৭৩] ১৯৩০এর পূর্বে আল সাবাহ পরিবার শাসনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল, কারণ তারা ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতির উপর নির্ভরশীল ছিল, যা কুয়েতের আয়ের একটি প্রধান উৎস ছিল।[৭৩] তেল যুগ শুরু হলে শাসকরা তাদের ব্যবসায়ীদের সম্পদের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পায়।[৭৪]
আল সাবাহরা
[সম্পাদনা]আল সাবাহ কুয়েতের রাজতন্ত্র হয় ১৯৩৮সালে।[৭৫] ১৮৯০সালের চুক্তিতে এটির একটি সংস্কৃতি ছিল যে রাজনৈতিক ক্ষমতা সাবাহদের অধীনে চলে যায়; বাণিজ্যিক পরিবারেরা বাণিজ্যের উপর খেয়াল রাখত যেখানে হাউজ অব সাবাহ এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কুয়েতি পরিবারেরা কুয়েতের দেয়ালের ভেতর গড়ে উঠা শহরগুলোতে নিরাপত্তা প্রদান করত। যাকে নির্ধারন করা হয় তিনি একজন সাবাহ ছিলেন, সাবাহ ই বিন জাবের। সাবাহদের কূটনীতি প্রতিবেশী জাতিদের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে বানি খালিদের ক্ষমতার পতন ঘটলে। এটি নির্ধারিত হয় ১৭৫৬সালে। [৭৬]
১৭৬২সালে, প্রথম সাবাহ মারা যায় এবং কনিষ্ঠ ছেলে আব্দুল্লাহ পদে আসে। সাবাহর মৃত্যুর পরে, ১৭৬৬সালে, আল-খালিফা, তারপরে, আল-জালাহিমা জুবারা, কাতারের উদ্দেশ্যে কুয়েত ত্যাগ করে। আঞ্চলিকভাবে, আল-খালিফা এবং আল-জালাহিমা ক্ষমতার জন্য সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তাদের দেশান্তর সাবাহদের অবিবাংসিত নিয়ন্ত্রণে রেখে দেয়, এবং আব্দুল্লাহ প্রথমের দীর্ঘ শাসনের শেষে (১৭৬২-১৮১২), সাবাহদের শাসন নিরাপদ ছিল, এবং শেখদের নির্দেশ বণিকরা অস্বীকার করলে রাজনৈতিক যাজকতন্ত্র কুয়েতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯শতকে, সাবাহ শাসকরা শুধু মরুভূমির মতো শেখের থেকে শক্তিশালীই ছিলনা বরং তারা তাদের পুত্রকে পরবর্তী পদে অধিষ্ট করার মতো সমর্থ হয়। এই ক্ষমতা শুধু অভ্যন্তরীণ ছিলনা কিন্তু তারা এর মাধ্যমে বিদেশী কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সমর্থ হয়। ১৭৭৫সালে তারা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে।[৭৬]
- মোহাম্মদ বিন সাবাহর গুপ্তহত্যা
যদিও কুয়েত নামেমাত্র বাসরা থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো, কুয়েত আসলে স্বশাসিত অবস্থান করতো।[৭৭] ১৮৭০এর দশকে, অত্তোমানরা তাদের পার্সীয় উপসাগরে তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে ১৮৭১সালে একটি মিলিটারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে—যেটিকে কার্যকরিভাবে অনুসরণ করা হয়নি—যেখানে পারিবারিক দ্বন্ধ কুয়েতে বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়। অত্তোমানরা ফতুর হয়ে গিয়েছিল এবং যখন ইউরোপিয় ব্যাংক ১৮৮১সালে অত্তোমানদের বাজেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন কুয়েত এবং আরবীয় উপদ্বীপ থেকে অতিরিক্ত টাকা আয় করার প্রয়োজন হয়েছিল। ইরাকের রাজ্যশাসক, মিদাত পাশা, কুয়েতকে অত্তোমান শাসনের কাছে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান। আল-সবাহ ব্রিটিশ ফোরেই অফিসে কূটনৈতিক বন্ধুত্ব স্থাপন করে। যদিও, আল সাবাহর অধীনে, কুয়েত একটি প্রো-অত্তোমান বিদেশি চুক্তি গ্রহণ করেছিল, অত্তোমান রাজশাসকের পদ নেওয়ার পূর্বে, অত্তোমান সাম্রাজ্যের সাথে এই সম্পর্কের জন্য কুয়েতি আইন ব্যবস্থা এবং শাসক নির্বাচনে অত্তোমানরা হস্তক্ষেপ করে।[৭৬] ১৮৯৬সালের মে, শেখ মোহাম্মদ আল-সাবাহ তার সৎ ভাইয় মোবারকের দ্বারা গুপ্ত হত্যার স্বীকার হন, যাকে কুয়েতের কাইম্মাকাম (রাজ্যের শাসক), অত্তোমান সুলতান চিনতে পারেন।।[৭৭]
- মহান মোবারক
মোবারক হত্যা করে সিংহাসন গ্রহণ করলে তার ভাইয়ের বন্ধুরা তার শাসনের জন্য হুমকি ছিল, বিশেষ করে তার প্রতিেক্ষেরা অত্তোমানদের সমর্থন পেয়েছিল।[৭৬] জুলাইয়ে, মোবারক কুয়েতি সৈকতে কামানবাহী নৌকা স্থাপন করার জন্য ব্রিটিশকে আমন্ত্রণ জানায়। ব্রিটেন মোবারকের মাঝে ঐ অঞ্চলে জার্মান প্রভাবকে বাধা দেওয়ার ইচ্ছা দেখতে পেয়েছিল তাই তারা রাজি হয়।[৭৬] এটি কুয়েতের প্রথম সন্কট বয়ে আনে, যেখানে অত্তোমান ব্রিটিশদেরকে তাদের সামাজ্যে হস্তক্ষেপ না করার দাবি করে। সর্বশেষে, অত্তোমান সাম্রাজ্য যুদ্ধ না করে পেছনে ফিরে আসে।
১৮৯৯সালের জানুয়ারিতে, মোবারক ব্রিটিশদের সাথে চুক্তি করে যেটিতে বলা হয় কুয়েত কখনো কোন রাজ্য পরিত্যাগ করবে না এবং ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশি শক্তির কোন এজেন্ট বা প্রতিনিধিদের গ্রহণ করবেনা। উপরন্তু, এই নিয়ম ব্রিটেনকে কুয়েতের বিদেশি নিয়মের উপর ক্ষমতা দিয়েছিল।[৭৬] এই চুক্তি কুয়েতের জাতীয় নিরাপত্তায় ব্রিটেনকে দায়বদ্ধ করেছিল। এর পরিবর্তে, ব্রিটেন শাসক পরিবারকে ১৫,০০০ভারতীয় রূপি প্রদান করতে রাজি হয়েছিল। ১৯১১সালে, মোবারক কর জারি করে। যার কারণে, তিনজন সম্পদশালী ব্যবসায়ী ইব্রাহিম আল-মুদাফ, হেলাল আল-মুতাইরি এবং শামলাম বলি বিন সাইফ আল রুমি (হোসেন বলি বিন সাইফ আল রুমির ভাই), বাহরাইনকে তাদের বাণিজ্যের কেন্দ্র করে মোবারকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, যেটি কুয়েতের অর্থনীতিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। যদিও, মোবারক বাহরাইনে গিয়ে কর বৃদ্ধির জন্য ক্ষমা চায় এবং তিনজন ব্যবসায়ী কুয়েতে ফিরে আসে। ১৯১৫সালে, মোবারক মহান মারা যায় এবং তার পদে আসে তার পুত্র দ্বিতীয় জাবের আল-সাবাহ, যিনি ১৯১৭সাল পর্যন্ত তার মৃত্যুর পূর্বে মাত্র একবছর শাসত্ব করে। তার ভাই শেখ সেলিম আল-মোবারক আল-সাবাহ তার জায়গায় আসেন।
অংলো-ওত্তোমান প্রচলন (১৯১৩)
[সম্পাদনা]১৯১৩সালের অংলো-ওত্তোমান প্রচলনে, ব্রিটিশরা ওত্তোমান সাম্রাজ্যের সাথে স্বশাসিত কাজা হিসেবে একমত হয়েছিল ফলে কুয়েতের শেখরা স্বাধীন নেতা ছিলনা, বরং তারা ওত্তোমান সরকারের কাইম্মাকামস (উপ-গভর্নর) ছিল।
এই প্রথার নিয়ম ছিল রাজধানী থেকে ৮০কি.মি. ব্যাসার্ধের এলাকার উপর কর্তৃত্ব ছিল। এই এলাকা লাল বৃত্ত দ্বারা চিহ্নিত ছিল এবং এই এলাকায় ছিল অহাহ দ্বীপ, বুবিয়ান, ফাইলাকা, কুব্বার, মাশিয়ান, এবং ওয়ার্বাহ। ১০০কি.মি. ব্যাসার্ধের এলাকা সবুজ চিহ্নিত করা ছিল, যেখান থেকে কাইম্মাকামরা স্থানীয়দের কাছ থেকে রাজস্ব এবং কর আদায় করত।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কুয়েতের রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক পরিবহন ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে।[৭৮]
কুয়েত-নজদ যুদ্ধ (১৯১৯-২১)
[সম্পাদনা]প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কুয়েত-নজদ যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, যখন অত্তোমান সাম্রাজ্য পরাজিত হয় এবং ব্রিটিশরা অংলো-অত্তোমানের নিয়মপত্র বাতিল করে। অত্তোমানদের পরাজয়ের কারণে, কুয়েত এবং নজদ (ইখওয়ান) এর মাঝে দ্বন্ধকে আরও বাড়িয়ে দেয়। যুদ্ধের কারণে ১৯১৯-২০সাল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত সীমানার মাঝে সংঘর্ষ চলতে থাকে।
জহরার যুদ্ধ
[সম্পাদনা]কুয়েত-নজদ যুদ্ধের সময় জহরার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধটি আল জহরাতে, কুয়েতের পশ্চিম শহরে ১০ অক্টোবর ১৯২০সালে কুয়েতের শাসক সেলিম আল-মোবারক আল-সাবাহ এবং সৌদি আরবের রাজা ইবনে সাউদের ইখওয়ান ওয়াহাবি অনুসারীদের মাঝে সংঘটিত হয়।[৭৯]
ফয়সাল আল-দাউইসের নেতৃত্বে,৪০০০সৌদি ইখওয়ানদের একদল আল-জহরাতে কুয়েতের লাল দুর্গে আক্রমণ করে, যেটিকে প্রতিরোধ করে ২০০০জন কুয়েতি লোক। নজদের ইখওয়ানরা কুয়েতিদের থেকে সংখ্যায় অধিক ছিল।
উকাইর খসড়া
[সম্পাদনা]বেদুইন আক্রমণের পর,বাগদাদে ব্রিটিশ হাই-কমিশনার,পার্সি কক্স,[৮০] ১৯২২সালে উকাইর খসড়া প্রণয়ন করেন যা ইরাক, কুয়েত এবং নজদের সীমানাকে নির্ধারিত করে। ১৯২৩সালের এপ্রিলে, শেখ আহমেদ আল-সাবাহ ব্রিটিশ রাজনৈতিক প্রতিনিধি, মেজর জন মোরের কাছে চিঠি পাঠান, "আমি এখনোও জানিনা ইরাক এবং কুয়েতের মাঝে সীমানাটা কি, আপনি এই তথ্যটি দিলে আমি উপকৃত হব।" তাছাড়া, তিনি আরও জানতে পারেন স্যার পার্সির তথ্যানুসারে, আল-সাবাহরা অঙলো-ওত্তোমান প্রচলন অনুসারে বাইরের সবুজ সীমানাকে দাবি করে।
১৯এপ্রিলে, স্যার পার্সি বলেন যে ব্রিটিশ সরকার বাইরের লাইনটিকে ইরাক এবং কুয়েতের সীমানা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই সিদ্ধান্ত পার্সীয় উপসাগরের ৫৮কিলোমিটার জলাভূমির তটরেখা পর্যন্ত ইরাকের প্রবেশকে সীমাবদ্ধ করে দেয়। যেহেতু এতে ইরাকের নৌ ক্ষমতায় বাধা প্রদান করে (এই এলাকায় কোন বন্দর ছিলনা), ইরাকি রাজা প্রথম ফয়সাল (যাকে ব্রিটিশরা একজন অস্থায়ী রাজা হিসেবে ইরাকে স্থাপন করে) এই পরিকল্পনায় রাজি হননা। যায়হোক, যেহেতু তার রাজ্য ব্রিটিশদের অধিনে ছিল, তিনি এই বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারেননা। ইরাক এবং কুয়েত আগস্টে তাদের সীমানা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করে। এই সীমানাটি কার্যকর হয় ১৯৩২সালে।
১৯১৩সালে, কুয়েত ইরাক থেকে ভিন্ন প্রদেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাশ এবং অংলো-অত্তোমান খসড়া অনুসারে অত্তোমানদের স্বাশন করার ক্ষমতা দেয়া হয়, যদিও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু না হওয়া পর্যন্ত এটি স্বাক্ষরিত হয়নি। ইরাকের ব্রিটিশ হাই কমিশনার দ্বারা প্রেরিত স্মারকলিপিকারী সীমানাটি ১৯২৩সালে পুনরায় প্রদর্শন করেন, যেটি কুয়েতের উত্তরের সীমানার প্রধান ভিত্তি হয়ে যায়। ১৯৩২সালে জাতীয়লীগের কাছে প্রেরিত আবেদনপত্রে ইরাক সীমানার তথ্য উল্লেখ করে, যার ভেতর ছিল কুয়েতের সাথে এটির সীমানা, যেখানে ইরাক ১৯২৩সালে তৈরি হওয়া কুয়েতের সীমানাকে স্বীকার করে নেয়।[৮১]
আধুনিক যুগ
[সম্পাদনা]স্বর্ণ যুগ (১৯৪৬–৮২)
[সম্পাদনা]১৯৪৬ এবং ১৯৮২সালের মাঝে, অসাম্প্রদায়িক অবস্থা এবং তেলের জন্য কুয়েতে এই সময়ে উন্নয়ন সাধিত হয়; এই সময়টুকুকে "স্বর্ণ যুগ" বলা হয়।[৮২][৮৩][৮৪][৮৫] ১৯৫০সালে, ব্যাপক সরকারি কার্যক্রম কুয়েতিদের আধুনিক জীবনযাপন উপভোগের সুযোগ করে দেয়। ১৯৫২সালে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে কুয়েত সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানীকারক দেশে পরিণত হয়। এই বিকাশ বিভিন্ন দেশ থেকে বিশাল পরিমাণের কর্মীদের আকর্ষিত করে, বিশেষ করে প্যালেস্তিন, মিশর এবং ভারতের কর্মীদের।
১৯৬১সালের জুনে, ব্রিটিশদের শাসনের পরে কুয়েত স্বাধীন হয় এবং শেখ আব্দুল্লাহ আল-সেলিম আল-সাবাহ একজন আমির হন। কুয়েতের নতুন রচিত গাঠনিক নিয়ম অনুসারে, ১৯৬৩সালে কুয়েতে প্রথম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে কুয়েতই প্রথম আরব্য রাষ্ট্র যেটি সংবিধান ও সংসদ গঠন করে।
১৯৬০ এবং ১৯৭০এর দশকে, কুয়েত ঐ অঞ্চলে সবচেয়ে উন্নত দেশ ছিল।[৮৬][৮৭][৮৮] কুয়েতই প্রথম মধ্য প্রাচ্যীয় দেশ যেটি তেল রপ্তানি থেকে তার আয়কে বহুমুখী রুপদানে,[৮৯] কুয়েত ইনভেস্টমেন্ট অথোরিটি গঠন করে যেটি পৃথিবীর প্রথম সার্বভৌম সম্পদের তহবিল। ১৯৭০এর পরে, হিউমেন ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে সকল আরব দেশের মাঝে কুয়েত সর্বোচ্চ স্কোর পায়,[৮৮] এবং ১৯৬৬সালে তৈরি কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ছাত্রদের আকর্ষিত করে। কুয়েতের নাট্যশিল্প সম্পূর্ণ আরবে পরিচিত ছিল।[৮৩][৮৮]
১৯৬০ এবং ১৯৭০সালে, কুয়েতের সংবাদমাধ্যমকে পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম হিসেবে বর্ণনা করা হয়।[৯০] কুয়েত আরব অঞ্চলে সাহিত্যের নবজাগরণে পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে।[৯১] ১৯৫৮সালে, আল আরাবি সাময়িকি প্রথম প্রকাশিত হয়, এই সাময়িক পত্রটি আরবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে যায়।[৯১] আরও, কুয়েত ঐ অঞ্চলের লেখক এবং সাংবাদিকদের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়, এবং অনেকে, যেমন ইরাকি কবি আহমেদ মাটার,[৯২] কুয়েতে চলে আসেন এটির মনোভাব প্রকাশ করার শক্ত আইনের জন্য, যেটি ঐ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ থেকে ভিন্ন।[৯৩][৯৪]
১৯৬০ এবং ১৯৭০এর দশকে কুয়েতি সমাজ পাশ্চাত্যধারাকে গ্রহণ করে নেয়।[৯৫] ১৯৬০ এবং ১৯৭০এর দশকে বেশিরভাগ কুয়েতি নারী হিজাব পরিধান করেনি।[৯৬][৯৭] কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, হিজাবের থেকে মিনিস্কার্ট বেশি সাধারণ ছিল।[৯৮]
কুয়েতের তেল এবং সামাজিক গঠন একই সূত্রে ছিল। এই অঞ্চলের একজন কর্তৃপক্ষের মতে এই ধরনের কাঠামো 'নতুন দাসত্বের' জন্ম দিয়েছে। বিদেশে বিনিয়োগের জন্য তেল থেকে পাওয়া ৯০শতাংশ মূলধনই আঠারো পরিবারের হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল। কর এবং পরিচালনা ব্যবস্থার বড় অংশ বিদেশি ছিল, বিশেষ করে নাগরিকত্ব বঞ্চিত প্যালেস্তানিয়ানরা।
১৯৮২-৮৯
[সম্পাদনা]১৯৮০সালের শুরুতে, সোক আল-মানাখ স্টক মার্কেটে ধ্বস এবং তেলের দাম হ্রাসের কারণে কুয়েতে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়।[৯৯]
ইরান-ইরাক যুদ্ধ এর সময়, কুয়েত ইরাককে সমর্থন করে। ১৯৮০এর দশকে, কুয়েতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়, এগুলোর মধ্যে ছিল ১৯৮৩সালের কুয়েত বোমা হামলা, বিভিন্ন কুয়েত এয়ারওয়েজ বিমান হাইজেক করা এবং ১৯৮৫সালে আমির জাবেরের হত্যা করার চেষ্টা। কুয়েত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির জন্য ১৯৬০ এবং ১৯৭০এর দশকে কেন্দ্রবিন্দু ছিল কিন্তু ১৯৮০দশকে,[১০০] সন্ত্রাসী আক্রমণগুলোর জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্র অনেকটাই ভোগে।[১০০]
ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর, ইরাকের ৬৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণকে মওকুফের অনুরোধকে পরিহার করে।[১০১] দুই দেশের মাঝে অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব অনেকটা স্থবির হয় যখন কুয়েত তেলের উৎপাদন ৪০ভাগ বাড়িয়ে দেয়।[১০২] দুই দেশের মাঝে দ্বন্ধ আরো বেড়ে যায় ১৯৯০সালের জুলাইয়ে, যখন ইরাক ওপেক এর কাছে অভিযোগ করে যে রুমাইলা মাঠের সীমানা থেকে তীর্যকভাবে খননের মাধ্যমে কুয়েত তাদের তেল চুরি করছে।[১০২]
উপসাগরীয় যুদ্ধ (১৯৯০-৯১)
[সম্পাদনা]২ আগস্ট ১৯৯০সালে কুয়েতে আক্রমণ হয়। ইরাকের নেতা সাদ্দাম হোসেনের প্রধান সমর্থকরা অভিযোগ করে যে কুয়েতের এলাকা মূলত ইরাকের রাজ্য ছিল, এবং কুয়েত ইরাকের তেলের খনিতে তীর্জকভাবে খননের ফলে হওয়া "অর্থনৈতিক যুদ্ধের" প্রতিশোধ হিসেবে এই দখল করা হয়। যদিও, কুয়েতি এই বিগ্রোহে গুপ্তচরদের সমর্থন ছিল বলে মনে করা হয়।[৮১] আলা হোসেইন আলি নামের একজন নেতা যাকে ইরাক নিয়ন্ত্রণ করতো তাকে কুয়েত সরকারের প্রধান করা হয়। ইরাক ৮আগস্ট কুয়েতে আক্রমণ করে। এই যুদ্ধটি কুয়েতি জনগনের অনেক ক্ষতিসাধন করে। বিরোধীদেরকে ফাঁসি এবং যন্ত্রণা দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়। প্রায় সকল কুয়েতিরা সেসময় কিছু পরিবারের সদস্যকে হারায়। তাছাড়া, জনসংখ্যার অর্ধেক, উভয় দেশি ও বিদেশি লোকজন পালিয়ে যায়।[১০৩]
জর্জ বুশ এই আক্রমণের নিন্দা প্রকাশ করেন এবং ইরাকি বাহিনীদের দূর করতে প্রচেষ্টা করেন, ইউনাইটেড ন্যাশন্স সিকিউরিটি কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত, আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে ৩৪টি দেশের এক জোট কুয়েতকে স্বাধীন করতে উপসাগরীয় যুদ্ধ করে। ১৯৯১সালের ১৭জানুয়ারিতে বিমান আক্রমণ শুরু হয়, এবং কিছু সপ্তাহের পরে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের একটি দল ১৯৯১সালের ২৩ফেব্রুয়ারি ভূমিতে হামলা চালায় যা চার দিনেই কুয়েত থেকে ইরাকি বাহিনীদের দূর করতে সমর্থ হয়। মুক্তিযুদ্ধের পরে, জাতিসংঘ, সিকিউরিটি কাউন্সিল রেজুলোশন ৬৮৭ এর অধীনে, দুটি রাষ্ট্রের মাঝে ১৯৩২ এবং ১৯৬৩সালে হওয়া চুক্তির ভিত্তিতে ইরাক-কুয়েত সীমানা নির্ধারণ করে। ১৯৯৪সালের নভেম্বরে, ইরাক জাতিসংঘ দ্বারা নির্ধারিত কুয়েতের সাথে সীমানাকে মেনে নেয়, যেটি সিকিউরিটি কাউন্সিলের ৭৭৩ এবং ৮৩৩ (১৯৯৩) নাম্বার রেজলোশনে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। [১০৪]
উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় এবং পরে প্যালেস্তানিয়ানরা কুয়েত থেকে প্রস্থান করেন। কুয়েতে আক্রমণের সময়,[১০৫] ২০০,০০০জন প্যালেস্তানিয়ানরা বিভিন্ন কারণে কুয়েত থেকে পালিয়ে যায় (ভয় বা নির্যাতন,[১০৫] খাবার সংকট, চিকিৎসার অসুবিধা, অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, গ্রেফতারের ভয় এবং ইরাকিদের সড়কবন্ধে দুর্ব্যবহার)।[১০৫][১০৬][১০৭] উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে ১৯৯১সালে, প্রায় ২০০,০০০জন প্যালেস্তিনিয়ানরা কুয়েত থেকে পালিয়ে যায়, মূলত অর্থনৈতিক বোঝা, বসবাসের নিয়ম এবং কুয়েতি নিরাপত্তা বাহিনীদের দুর্ব্যবহারের জন্য।[১০৮][১০৯][১১০]
উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে, কুয়েতের ২.২মিলিয়ন জনসংখ্যার মাঝে ৪০০,০০০জন লোক প্যালেস্তানিয়ান ছিল।[১১১] প্যালেস্তানিয়ান যারা কুয়েত থেকে পালিয়ে যায় তারা মূলত জর্ডানের লোক ছিল।[১১২] ২০১২সালে, ৮০,০০০ প্যালেস্তানিয়ান কুয়েতে বাস করা শুরু করে।[১১৩]
উপসাগরীয় যুদ্ধের পর (১৯৯২-বর্তমান)
[সম্পাদনা]২০০৩সালের মার্চে, ইরাক আক্রমণের জন্য কুয়েত যুক্তরাষ্ট্রের উপকারে আসে। আমির জাবেরের মৃত্যুর পর, ২০০৬সালের জানুয়ারিতে, সাদ আল-সাবাহ পদে আসেন কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার কারণে নয়দিন পর কুয়েত সংসদ তাকে সরিয়ে দেয়। সাবাহ আল-সাবাহকে আমির হিসেবে শপথ গ্রহণ করানো হয়।
২০১১ এবং ২০১২সালে, কুয়েতিরা প্রতিবাদ করে। সংসদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কারণেে ২০১১সালের ডিসেম্বরে সংসদ গঠন ভেঙ্গে যায়। প্রতিবাদের কারণে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Furlong, TOM (১৯৯১-০৪-১৪)। "The Rocky Road That Faces Many Kuwaiti Merchants"। Los Angeles Times। LA Times।
Before oil was discovered in Kuwait 53 years ago, the country was largely a nation of merchant traders. Its natural harbor made Kuwait a hub of Middle East commerce and a center for boat building.
- ↑ "Kuwait: A Trading City"। Eleanor Archer। ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Democracy in Kuwait"। The Weekly Standard। ১৩ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
Home to one of only two natural ports in the Persian Gulf, Kuwait has for hundreds of years been a commercial and cosmopolitan center.
- ↑ Robert Carter (২০১০-১০-২৫)। Maritime Interactions in the Arabian Neolithic: The Evidence from H3, As-Sabiyah, an Ubaid-Related Site in Kuwait। BRILL। আইএসবিএন 9789004163591।
- ↑ Robert Carter। "Boat remains and maritime trade in the Persian Gulf during the sixth and fifth millennia BC" (পিডিএফ)।
- ↑ Robert Carter। "Maritime Interactions in the Arabian Neolithic: The Evidence from H3, As-Sabiyah, an Ubaid-Related Site in Kuwait"।
- ↑ ক খ "How Kuwaitis lived more than 8,000 years ago"। Kuwait Times। ২০১৪-১১-২৫। ২০১৯-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-১৯।
- ↑ Robert Carter (২০০২)। "Ubaid-period boat remains from As-Sabiyah: excavations by the British Archaeological Expedition to Kuwait"। Proceedings of the Seminar for Arabian Studies। 32: 13–30। জেস্টোর 41223721।
- ↑ Robert Carter; Graham Philip। "Beyond the Ubaid: Transformation and integration in the late prehistoric societies of the Middle East" (পিডিএফ)।
- ↑ Wydawnictwa Uniwersytetu Warszawskiego। "Polish Archaeology in the Mediterranean - Issue no.XXII /2013"। ১৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "The Archaeology of Kuwait" (পিডিএফ)। Cardiff University। পৃষ্ঠা 5।
- ↑ ক খ গ "Traders from Ur?"। Archaeology Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Robert Carter (২০১১)। "The Neolithic origins of seafaring in the Arabian Gulf"। Archaeology International। 24 (3): 44। ডিওআই:10.5334/ai.0613।
- ↑ Weekes, Richard (২০০১-০৩-৩১)। "Secrets of world's oldest boat are discovered in Kuwait sands"। The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ ক খ "The European Exploration of Kuwait"। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ "Kuwait's archaeological sites reflect human history & civilizations (2:50 - 3:02)"। Ministry of Interior News।
- ↑ Glassner, Jean-Jacques; Herron, Donald M. (১৯৯০)। The Invention of Cuneiform: Writing in Sumer। Jean-Jacques Glassner। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 9780801873898।
- ↑ Nyrop, Richard F. (২০০৮)। Area Handbook for the Persian Gulf States। Richard F. Nyrop। পৃষ্ঠা 11। আইএসবিএন 9781434462107।
From about 4000 to 2000 B.C. the civilization of Dilmun dominated 250 miles of the eastern coast of Arabia from present-day Kuwait to Bahrain and extended sixty miles into the interior to the oasis of Hufuf (see fig. 2).
- ↑ Connan, Jacques; Carter, Robert (২০০৭)। "A geochemical study of bituminous mixtures from Failaka and Umm an-Namel (Kuwait), from the Early Dilmun to the Early Islamic period"। Jacques Connan, Robert Carter। 18 (2): 139–181। ডিওআই:10.1111/j.1600-0471.2007.00283.x।
- ↑ Ralph Shaw (১৯৭৬)। Kuwait। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 9780333212479।
- ↑ Limited, Walden Publishing (১৯৮০)। Middle East Annual Review। পৃষ্ঠা 241।
- ↑ Kilner, Peter; Wallace, Jonathan (১৯৭৯)। The Gulf Handbook - Volume 3। পৃষ্ঠা 344।
- ↑ Jalālzaʼī, Mūsá Ḵh̲ān (১৯৯১)। K̲h̲alīj aur bainulaqvāmī siyāsat। পৃষ্ঠা 34।
- ↑ George Fadlo Hourani, John Carswell, Arab Seafaring: In the Indian Ocean in Ancient and Early Medieval Times Princeton University Press, page 131
- ↑ Bennett D. Hill; Roger B. Beck; Clare Haru Crowston (২০০৮)। A History of World Societies, Combined Volume (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 165। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
Centered in the fertile Tigris- Euphrates Valley, but with access to the Persian Gulf and extending south to Meshan (modern Kuwait), the Sassanid Empire's economic prosperity rested on agriculture; its location also proved well suited for commerce.
- ↑ Avner Falk (১৯৯৬)। A Psychoanalytic History of the Jews। পৃষ্ঠা 330। আইএসবিএন 9780838636602।
In 224 he defeated the Parthian army of Ardavan Shah (Artabanus V), taking Isfahan, Kerman, Elam (Elymais) and Meshan (Mesene, Spasinu Charax, or Characene).
- ↑ Abraham Cohen (১৯৮০)। Ancient Jewish Proverbs। আইএসবিএন 9781465526786।
The large and small measures roll down and reach Sheol; from Sheol they proceed to Tadmor (Palmyra), from Tadmor to Meshan (Mesene), and from Meshan to Harpanya (Hipparenum).
- ↑ "LE TELL D'AKKAZ AU KOWEÏT TELL AKKAZ IN KUWAIT" (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 2। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Gachet, J. (১৯৯৮)। "Akkaz (Kuwait), a Site of the Partho-Sasanian Period. A preliminary report on three campaigns of excavation (1993–1996)."। Proceedings of the Seminar for Arabian Studies। 28: 69–79।
- ↑ Kurt Ray (২০০৩)। A Historical Atlas of Kuwait। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 9780823939817।
- ↑ ক খ গ Dipiazza, Francesca Davis (২০০৮)। Kuwait in Pictures। Francesca Davis DiPiazza। পৃষ্ঠা 20–21। আইএসবিএন 9780822565895।
- ↑ Brian Ulrich। "Kāzimah remembered: historical traditions of an early Islamic settlement by Kuwait Bay"। British Museum, Seminar for Arabian Studies।
- ↑ "Investigating an Early Islamic Landscape on Kuwait Bay: the archaeology of historical Kadhima"। Durham University। সংগ্রহের তারিখ 2013। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Kadhima: Kuwait in the early centuries of Islam."। academia.edu।
- ↑ "The Soft stone from Kadhima: evidence for trade connections and domestic activities"। Kuwait NCCAL, Durham University।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ Brian Ulrich। "From Iraq to the Hijaz in the Early Islamic Period: History and Archaeology of the Basran Hajj Road and the Way(s) through Kuwait"।
- ↑ ক খ Kennet, Derek; Blair, Andrew; Ulrich, Brian; Al-Duwīsh, Sultan M. (২০১১)। "The Kadhima Project: investigating an Early Islamic settlement and landscape on Kuwait Bay"। Proceedings of the Seminar for Arabian Studies। jstor.org। 41: 161–172। জেস্টোর 41622130।
- ↑ "Kāzimah"। academia.edu।
- ↑ Proceedings of the Seminar for Arabian Studies Volumes 9–12। ১৯৭৯। পৃষ্ঠা 53।
Although the town of al-Hira might have been too far northward to be considered a part of Eastern Arabia it is dealt with here as such because the kingdom of al- Hira controlled Kazima (Kuwait).
- ↑ "New field work at Kadhima (Kuwait) and the archaeology of the Early Islamic period in Eastern Arabia"। SOAS। ২৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Culture in rehabilitation: from competency to proficiency"। Jeffrey L. Crabtree, Abdul Matin Royeen। ২০০৬। পৃষ্ঠা 194।
During the early Islamic period, Kazima had become a very famous fertile area and served as a trading stations for travelers in the region.
- ↑ "Kadhima : an Early Islamic settlement and landscape on Kuwait Bay"। Durham University। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৭-২৮।
- ↑ ক খ "A CONCISE BIOGRAPHY OF AL-FARAZDAQ A POETIC COLOSSUS OF THE UMAYYAH ERA"। University of Ilorin। পৃষ্ঠা 1–2। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Kuwait: Prosperity from a Sea of Oil"। G. Aloun Klaum। ১৯৮০। পৃষ্ঠা 30। ১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Gibb, Sir H. A. R. (১৯৮০)। "The Encyclopaedia of Islam"। Sir H. A. R. Gibb। পৃষ্ঠা 572।
- ↑ "'Gazetteer of the Persian Gulf. Vol I. Historical. Part IA & IB. J G Lorimer. 1915' [1001] (1156/1782)"। qdl.qa। পৃষ্ঠা 1000। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ The impact of economic activities on the social and political structures of Kuwait (1896-1946) (পিডিএফ)।
- ↑ ক খ Bell, Sir Gawain (১৯৮৩)। Shadows on the Sand: The Memoirs of Sir Gawain Bell। Gawain Bell। পৃষ্ঠা 222। আইএসবিএন 9780905838922।
- ↑ ʻAlam-i Nisvāṉ - Volume 2, Issues 1-2। ১৯৯৫। পৃষ্ঠা 18।
Kuwait became an important trading port for import and export of goods from India, Africa and Arabia.
- ↑ ক খ Constancy and Change in Contemporary Kuwait City। Mohammad Khalid A. Al-Jassar। ২০০৯। পৃষ্ঠা 66। আইএসবিএন 9781109229349।
- ↑ ক খ Bennis, Phyllis; Moushabeck, Michel (১৯৯০-১২-৩১)। Beyond the Storm: A Gulf Crisis Reader। Phyllis Bennis। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 9780940793828।
- ↑ Lauterpacht, E.; Greenwood, C. J.; Weller, Marc; Bethlehem, Daniel (১৯৯১)। The Kuwait Crisis: Basic Documents। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 9780521463089।
- ↑ ক খ Constancy and Change in Contemporary Kuwait City। ২০০৯। পৃষ্ঠা 67। আইএসবিএন 9781109229349।
- ↑ ক খ Thabit Abdullah। Merchants, Mamluks, and Murder: The Political Economy of Trade in Eighteenth-Century Basra। পৃষ্ঠা 72।
- ↑ ক খ "Constancy and Change in Contemporary Kuwait City"। Mohammad Khalid A. Al-Jassar। পৃষ্ঠা 68।
- ↑ "Waqai-i manazil-i Rum: Tipu Sultan's mission to Constantinople"। Mohibbul Hasan। ২০০৭। পৃষ্ঠা 18।
For owing to Basra's misfortunes, Kuwait and Zubarah became rich.
- ↑ "The Politics of Regional Trade in Iraq, Arabia, and the Gulf, 1745-1900"। Hala Mundhir Fattah। ১৯৯৭। পৃষ্ঠা 114।
- ↑ The impact of economic activities on the social and political structures of Kuwait (1896-1946) (পিডিএফ)। পৃষ্ঠা 108।
- ↑ Donaldson, Neil (২০০৮)। The Postal Agencies in Eastern Arabia and the Gulf। Neil Donaldson। পৃষ্ঠা 93। আইএসবিএন 9781409209423।
- ↑ ক খ গ Mary Bruins Allison (১৯৯৪)। Doctor Mary in Arabia: Memoirs। পৃষ্ঠা 1। আইএসবিএন 9780292704565।
- ↑ ́Goston, Ga ́bor A.; Masters, Bruce Alan (২০০৯)। Encyclopedia of the Ottoman Empire। পৃষ্ঠা 321। আইএসবিএন 9781438110257।
- ↑ Agius, Dionisius A. (২০১২)। Seafaring in the Arabian Gulf and Oman: People of the Dhow। Dionisius A. Agius। পৃষ্ঠা 48। আইএসবিএন 9781136201820।
- ↑ ক খ Fattah, Hala Mundhir (১৯৯৭)। The Politics of Regional Trade in Iraq, Arabia, and the Gulf, 1745-1900। Hala Mundhir Fattah। পৃষ্ঠা 181। আইএসবিএন 9780791431139।
- ↑ Potter, L. (২০০৯)। The Persian Gulf in History। Lawrence G. Potter। পৃষ্ঠা 272। আইএসবিএন 9780230618459।
- ↑ "Lord of Arabia" (পিডিএফ)। H. C. Armstrong। ১৯০৫। পৃষ্ঠা 18–19। ১২ মে ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Frank Broeze, সম্পাদক (১৯৯৭)। Kuwait before Oil: The Dynamics and Morphology of an Arab Port City (Gateways Of Asia: Port Cities of Asia in the 13th–20th Centuries)। আইএসবিএন 9781136168956।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ Crystal, Jill (১৯৯৫)। Oil and Politics in the Gulf: Rulers and Merchants in Kuwait and Qatar। Jill Crystal। পৃষ্ঠা 37। আইএসবিএন 9780521466356।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ Mary Ann Tétreault (১৯৯৫)। The Kuwait Petroleum Corporation and the Economics of the New World Order। পৃষ্ঠা 2–3। আইএসবিএন 9780899305103।
- ↑ David Lea (২০০১)। A Political Chronology of the Middle East। পৃষ্ঠা 142। আইএসবিএন 9781857431155।
- ↑ ক খ Lewis R. Scudder (১৯৯৮)। The Arabian Mission's Story: In Search of Abraham's Other Son। পৃষ্ঠা 104।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Mohammad Khalid A. Al-Jassar (২০০৯)। Constancy and Change in Contemporary Kuwait City: The Socio-cultural Dimensions of the Kuwait Courtyard and Diwaniyya। পৃষ্ঠা 80।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "The History of Kuwait"। Michael S. Casey। ২০০৭। পৃষ্ঠা 57।
- ↑ ক খ "Economic Development and Political Reform: The Impact of External Capital on the Middle East"। Bradley Louis Glasser। ২০০৩। পৃষ্ঠা 54–57।
- ↑ "The Internet In The Middle East"। Deborah L. Wheeler। ২০০৩। পৃষ্ঠা 72।
- ↑ Michael Herb (১৯৯৯)। All in the Family: Absolutism, Revolution, and Democracy in Middle Eastern Monarchies। পৃষ্ঠা 68–69।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Crystal, Jill। "Kuwait: Ruling Family"। Persian Gulf States: A Country Study। Library of Congress। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১১।
- ↑ ক খ Anscombe 1997, পৃ. [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
- ↑ John Slight, "Global War and its impact on the Gulf States of Kuwait and Bahrain, 1914–1918." War & Society 37#1 (2018): 21-37. https://doi.org/10.1080/07292473.2017.1412185
- ↑ The blood red place of Jahra ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৫ জুন ২০১২ তারিখে, Kuwait Times.
- ↑ "Imposition of Uqair Protocol"। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ Crystal, Jill। "Kuwait – Persian Gulf War"। The Persian Gulf States: A Country Study। Library of Congress। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১১।
- ↑ Gonzales, Desi (নভেম্বর–ডিসেম্বর ২০১৪)। "Acquiring Modernity: Kuwait at the 14th International Architecture Exhibition"। Art Papers। ২৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ Acquiring Modernity: Kuwait's Modern Era Between Memory and Forgetting। National Council for Culture, Arts and Letters। ২০১৪। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 9789990604238।
- ↑ Al-Nakib, Farah, সম্পাদক (২০১৪)। "Kuwait's Modernity Between Memory and Forgetting"। Academia.edu। পৃষ্ঠা 7।
- ↑ Alia Farid (২০১৪)। "Acquiring Modernity: Kuwait at the 14th International Architecture Exhibition"। aliafarid.net। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Looking for Origins of Arab Modernism in Kuwait"। Hyperallergic।
- ↑ Al-Nakib, Farah (১ মার্চ ২০১৪)। "Towards an Urban Alternative for Kuwait: Protests and Public Participation"। Built Environment। 40 (1): 101–117। ডিওআই:10.2148/benv.40.1.101।
- ↑ ক খ গ "Cultural developments in Kuwait"। মার্চ ২০১৩। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Chee Kong, Sam (১ মার্চ ২০১৪)। "What Can Nations Learn from Norway and Kuwait in Managing Sovereign Wealth Funds"। Market Oracle।
- ↑ al-Nakib, Farah (১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Understanding Modernity: A Review of the Kuwait Pavilion at the Venice Biennale"। Jadaliyya। Arab Studies Institute।
- ↑ ক খ "Kuwait Literary Scene A Little Complex"। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
A magazine, Al Arabi, was published in 1958 in Kuwait. It was the most popular magazine in the Arab world. It came out it in all the Arabic countries, and about a quarter million copies were published every month.
- ↑ Kinninmont, Jane (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "The Case of Kuwait: Debating Free Speech and Social Media in the Gulf"। ISLAMiCommentary। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Gunter, Barrie; Dickinson, Roger (২০১৩-০৬-০৬)। News Media in the Arab World: A Study of 10 Arab and Muslim Countries। পৃষ্ঠা 24। আইএসবিএন 9781441102393।
- ↑ Sager, Abdulaziz; Koch, Christian; Tawfiq Ibrahim, Hasanain, সম্পাদকগণ (২০০৮)। Gulf Yearbook 2006-2007। Dubai, UAE: I. B. Tauris। পৃষ্ঠা 39।
The Kuwaiti press has always enjoyed a level of freedom unparalleled in any other Arab country.
- ↑ Muslim Education Quarterly। 8। Islamic Academy। ১৯৯০। পৃষ্ঠা 61।
Kuwait is a primary example of a Muslim society which embraced liberal and Western attitudes throughout the sixties and seventies.
- ↑ Rubin, Barry, সম্পাদক (২০১০)। Guide to Islamist Movements। Volume 1। Armonk, New York: M.E. Sharpe। পৃষ্ঠা 306। আইএসবিএন 9780765641380।
- ↑ Wheeler, Deborah L. (২০০৬)। The Internet In The Middle East: Global Expectations And Local Imaginations। Albany, New York: State University of New York Press। পৃষ্ঠা 99। আইএসবিএন 9780791465868।
- ↑ Osnos, Evan (১১ জুলাই ২০০৪)। "In Kuwait, conservatism a launch pad to success"। Chicago Tribune। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৯।
In the 1960s and most of the '70s, men and women at Kuwait University dined and danced together, and miniskirts were more common than hijab head coverings, professors and alumni say.
- ↑ "Kuwait's Souk al-Manakh Stock Bubble"। Stock-market-crash.net। ২০১২-০৬-২৩। ২০১২-০৫-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১৪।
- ↑ ক খ Bansal, Narottam P.; Singh, J. P.; Ko, Song; Castro, Ricardo H. R.; Pickrell, Gary; Manjooran, Navin Jose; Nair, Mani; Singh, Gurpreet (২০১৩-০৭-০১)। Processing and Properties of Advanced Ceramics and Composites। পৃষ্ঠা 205। আইএসবিএন 9781118744116।
- ↑ "Iraqi Invasion of Kuwait; 1990"। Acig.org। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১০।
- ↑ ক খ Derek Gregory (২০০৪)। The Colonial Present: Afghanistan. Palestine. Iraq.। Wiley। আইএসবিএন 978-1-57718-090-6। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১০।
- ↑ Crystal, Jill। "Kuwait: Post-War Society"। The Persian Gulf States: A Country Study। Library of Congress। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১১।
- ↑ https://undocs.org/S/RES/833(1993)
- ↑ ক খ গ Schulz, Helena Lindholm (২০০৫-০৭-২৭)। The Palestinian Diaspora। পৃষ্ঠা 67। আইএসবিএন 9781134496686।
During autumn 1990 more than half of the Palestinians in Kuwait fled as a result of fear or persecution.
- ↑ "The PLO in Kuwait"। ৮ মে ১৯৯১। ৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৯।
But in September and October 1990, large numbers of Palestinians began to leave. In addition to the fear of arrest, and their mistreatment at roadblocks by Iraqis, food shortages were becoming serious and medical care difficult. Kuwaitis and Palestinians alike were penniless. They were forced to sell their cars and electrical appliances at improvised markets to anyone who had cash, even to Iraqi civilians coming from Iraq to buy on the cheap. Thus by December 1990, Kuwait's Palestinian population had dwindled from a pre-invasion strength of 350,000 to approximately 150,000.
- ↑ Islamkotob। "History of Palestine"। পৃষ্ঠা 100।
- ↑ Mattar, Philip (২০০৫)। Encyclopedia of the Palestinians। পৃষ্ঠা 289–290। আইএসবিএন 9780816069866।
- ↑ Schulz, Helena Lindholm (২০০৫-০৭-২৭)। The Palestinian Diaspora। পৃষ্ঠা 67। আইএসবিএন 9781134496686।
Regulations on residence were considerably tightened and the general environment of insecurity triggered a continuous Palestinian exodus.
- ↑ Kuwait: Building the Rule of Law: Human Rights in Kuwait। ১৯৯২-০১-০১। পৃষ্ঠা 35। আইএসবিএন 9780934143493।
There was a great exodus of Palestinians from Kuwait during July and August, partly attributable to fear of abusive actions by the Kuwaiti security forces, but also brought about by economic necessity.
- ↑ [১]
- ↑ Yann Le Troquer; Rozenn Hommery al-Oudat (Spring ১৯৯৯)। "From Kuwait to Jordan: The Palestinians' Third Exodus"। Journal of Palestine Studies। 28 (3): 37–51। জেস্টোর 2538306। ডিওআই:10.2307/2538306।
- ↑ "Palestinians Open Kuwaiti Embassy"। Al Monitor। ২৩ মে ২০১৩।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- Al-Hijji, Yacoub Yusuf (২০১০)। Kuwait and the sea: a brief social and economic history। London: Arabian Publishing। আইএসবিএন 978-0-9558894-4-8।