কারামানি মুহাম্মাদ পাশা
কারামানি মুহাম্মাদ | |
---|---|
উসমানীয় সাম্রাজ্যের ১৭তম উজিরে আজম | |
কাজের মেয়াদ ১৪৭৭ – ১৪৮১ | |
সার্বভৌম শাসক | মুহাম্মাদ ফাতিহ |
পূর্বসূরী | গেদিক আহমেদ পাশা |
উত্তরসূরী | ইসহাক পাশা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কোনিয়া, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ৪ মে ১৪৮১ ইস্তাম্বুল, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
কারামানি মুহাম্মাদ পাশা (মৃত্যু: ৪ মে ১৪৮১) ছিলেন একজন উসমানীয় সাম্রাজ্যের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ১৪৭৭ থেকে ১৪৮১ সাল পর্যন্ত উজিরে আজম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]কারামানি কোনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং জালালুদ্দিন রুমির বংশধর ছিলেন।[১] তিনি মাহমুদ পাশার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় অধ্যয়নের জন্য কনস্টান্টিনোপলে (বর্তমান ইস্তাম্বুল) গিয়েছিল। পরে তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। সাহিত্যিক হওয়ার কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি সুলতানের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আদালতের ক্যালিগ্রাফার হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন[২] এবং তিনি মুহাম্মাদ ফাতিহের আদালতে অবদান রেখেছিলেন। তিনি আক কুইয়ুনলু সুলতান উজুন হাসানকে উচ্চ সাহিত্যিক চিঠি লিখতে সুলতানকে সহায়তা করেছিলেন।[৩]
উজিরে আজম হিসেবে
[সম্পাদনা]কনস্টান্টিনোপল বিজয় এবং উজিরে আজম চান্দারলি খলিল পাশার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে, মুহাম্মাদ ফাতিহ ক্ষমতাশালী উজিরে আজমদের দ্বারা সৃষ্ট সম্ভাব্য সংকট এড়াতে জাতিগত তুর্কিদের পরিবর্তে দেবশিরমে পদ্ধতিতে উজিরে আজম নিয়োগ করা পছন্দ করেছিলেন।[৪] মুহাম্মাদ ফাতিহের শেষ যে কয়েকজন তুর্কি উজিরে আজম ছিল, তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। পরবর্তীতে যে চারজন উজিরে আজম ছিল, তারা দেবশিরমে পদ্ধতিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ১৪৭৬ সালে মুহাম্মাদ পাশা মুহাম্মাদ ফাতিহের প্রধান উজিরে আজম হিসাবে নিয়োগ পায়। কিন্তু এটি একটি ব্যতিক্রম কারণ ছিল। কারণ মুহাম্মাদ পাশা আনাতোলিয়ার বিজিত কারামানি অঞ্চল থেকে একজন তুর্কি ছিলেন।
মুহাম্মাদ ফাতিহ ও মুহাম্মাদ পাশার মৃত্যু
[সম্পাদনা]১৪৮১ সালে মুহাম্মাদ ফাতিহ মারা যান। উসমানীয় সাম্রাজ্যে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সিংহাসনের উত্তরসূরী রাজধানীতে আসার আগে সুলতানের মৃত্যুর ঘোষণায় বিলম্ব করা উজিরে আজমদের দায়িত্ব ছিল। তবে এক্ষেত্রে সুলতানের ছেলেরা ছিলেন অনেক দূরে। দ্বিতীয় বায়েজীদ ছিলেন আমাসিয়ায় এবং সুলতান জেম ছিলেন মুহাম্মাদ পাশার নিজ শহর কারামানে। মুহাম্মাদ পাশা উভয় শাহাজাদার কাছে দূত প্রেরণ করেছিলেন[৫] কিন্তু কারামান রাজধানীর নিকটবর্তী হওয়ায় জেমের তার বড় ভাইয়ের আগে সেখানে পৌঁছানোর আরও ভাল সুযোগ ছিল। তা সত্ত্বেও বায়েজীদকে সমর্থনকারী জেনিসারিরা সুলতানের মৃত্যু সম্পর্কে জানতে পারে এবং তারা আরও সন্দেহ করে যে মুহাম্মাদ পাশা জেমকে সমর্থন করছেন। তারা বিদ্রোহ করে এবং সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের মৃত্যুর কয়েকদিন পর মুহাম্মাদ পাশাকে হত্যা করে।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Stavridis, Theoharis। "Karamani Mehmed Paşa"। Encyclopaedia of Islam, THREE। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০১৮।
- ↑ Ayhan Buz: Osmanlı Sadrazamları, Neden Yayınları, İstanbul, 2009 আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৫-২৫৪-২৭৮-৫ p 25
- ↑ Biography of Karamanlı Mehmet (তুর্কি ভাষায়)
- ↑ Mevlut Uluğtekin Yılmaz: Osmanlı’nın Arka Bahçesi, Ankara, 1998 [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
- ↑ Nicolae Jorga: Geschiste des osmanischen (trans. by Nilüfer Epçeli), vol 2, p. 204 Yeditepe Yayınları, İstanbul, 2009, আইএসবিএন ৯৭৫ ৬৪৮০ ১৭ ৩
- ↑ Lord Kinross: The Ottoman Centuries (trans.Meral Gaspıralı), Altın Kitaplar, İstanbul, 2008 আইএসবিএন ৯৭৮ ৯৭৫ ২১ ০৯৫৫ ১ p 160
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Küçükdağ, Yusuf (২০০১)। "Karamânî Mehmed Paşa"। টিডিবি ইসলাম আনসিক্লোপেদিসি, Vol. 24 (Kāânî-i Şîrâzî – Kastamonu) (তুর্কি ভাষায়)। ইস্তাম্বুল: তুর্কিয়ে দিয়ানেত ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ। পৃষ্ঠা 449–451। আইএসবিএন 9789753894517।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী গেদিক আহমেদ পাশা |
উসমানীয় সাম্রাজ্যের উজিরে আজম ১৪৭৬–১৪৮১ |
উত্তরসূরী ইসহাক পাশা |