কৎবেল
কৎবেল | |
---|---|
কৎবেল গাছ, ত্রিঙ্কোমালি | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | রোসিদস |
বর্গ: | শাপিন্ডালেস |
পরিবার: | Rutaceae |
উপপরিবার: | Aurantioideae L. |
গণ: | Limonia L. |
প্রজাতি: | L. acidissima |
দ্বিপদী নাম | |
Limonia acidissima L. |
কৎবেল বা কদবেল এক ধরনের ফল। এর খোলস শক্ত ও বেলের মত খসখসে। গাছ ২০-৫০ ফুট উঁচু হয়। কাঠ শক্ত ও পর্ণমোচীি বা পাতা ঝরা বৃক্ষ। পাতা কামিনী ফুলের পাতার মত। পত্রদন্ডের ২ দিকে ৫-৭ পাতা থাকে। ২-৫ ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট টেনিস বলের আকারের কৎবেল টক স্বাদের ফল। গাছে ছোট কাঁটা থাকে। আগস্ট-নভেম্বর মাসে ফল পাকে। কাঠ শক্ত; ঘরবাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম কপিত্থ (সংস্কৃত: कपित्थ)। সাদা রঙের ফুল হয়। পাকা কতবেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ক্যালসিয়াম , ভিটামিন বি ও সি। লঙ্কা, লবণ ও চিনি দিয়ে মেখে সুস্বাদু আচার বানিয়ে খাওয়া হয়। প্রতি একশো গ্রাম মন্ডে ৪৯ ক্যালোরি শক্তি বিদ্যমান। কৎবেল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Limonia acidissima। এটি রুটেসি গোত্রের উদ্ভিদ।
বিবরণ
[সম্পাদনা]কৎ বেল বড় ধরনের গাছ। গাছের ছাল খসখসে এবং কাঁটাযুক্ত হয়। গাছগুলি ৯ মিটার (৩০ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। কয়েতবেল গাছের পাতাগুলি পক্ষল এবং এতে ৫ থেকে ৭টি করে পাতা থাকে। প্রতিটি পাতা ২৫ থেকে ৩৫ মিলিমিটার লম্বা এবং ১০ থেকে ২০ মিলিমিটার চওড়া হয়। পাতাগুলিকে পিষলে লেবুর মতো গন্ধ পাওয়া যায়। গাছে সাদা ফুল ফোটে এবং প্রতিটি ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। ফলটি ৫ থেকে ৯ সেমি ব্যাসের হয়ে থাকে। এটি টক বা এটি মিষ্টি স্বাদের হতে পারে। এটির বাইরের আবরণ খুব শক্ত, তাই খোলাটি ফাটানো সহজ হয় না। ফলের বাইরের রঙ সবুজাভ বাদামী রঙের হয়। ভেতরের শাঁসটি আঠালো এবং বাদামি রঙের দেখতে। শাঁসের মধ্যে ছোট সাদা বীজ থাকে।
উৎপত্তি
[সম্পাদনা]কৎ বেলের আদি নিবাস বাংলাদেশ , ভারত (আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ সহ) এবং শ্রীলঙ্কা।[১][২] এই প্রজাতিটির চাষ ইন্দোচীন এবং মালয়েশিয়াতেও চালু করা হয়েছে।[২]
ব্যবহার
[সম্পাদনা]কৎ বেলের শাঁস থেকে ফলের রস তৈরি করা হয়। কয়েতবেলের শাঁস থেকে জ্যাম তৈরি হয়। এই ফলের রসে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ধর্ম রয়েছে। পাকা ফলে কেবল সবুজ মরিচ, চিনি এবং লবণ ছড়িয়ে আচার হিসাবে ব্যবহার হয়।[৩]
পুষ্টিগুণ
[সম্পাদনা]কৎ বেলে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন, শ্বেতসার, আয়রন, স্নেহ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-বি এবং সি ইত্যাদি রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান | |
---|---|
শক্তি | ৫১৮.৮১৬ কিজু (১২৪.০০০ kcal) |
১৮.১ g | |
চিনি | ০ g |
খাদ্য আঁশ | ৫ g |
৩.৭ g | |
৭.১ g | |
ভিটামিন | পরিমাণ দৈপ%† |
থায়ামিন (বি১) | ৩% ০.০৪ মিগ্রা |
রিবোফ্লাভিন (বি২) | ১৪১৭% ১৭ মিগ্রা |
নায়াসিন (বি৩) | ৫৩% ৮ মিগ্রা |
ভিটামিন সি | ৪% ৩ মিগ্রা |
খনিজ | পরিমাণ দৈপ%† |
ক্যালসিয়াম | ১৩% ১৩০ মিগ্রা |
লৌহ | ৪৬% ৬ মিগ্রা |
ম্যাঙ্গানিজ | ৮৫৭% ১৮ মিগ্রা |
জিংক | ১০৫% ১০ মিগ্রা |
অন্যান্য উপাদান | পরিমাণ |
পানি | ৬৪.২ g |
in Fruit Wood Apple
values are for edible portion | |
| |
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। উৎস: 1 |
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
কৎ বেল গাছের ফুল
-
কৎ বেল গাছের গুঁড়ি
-
এক গ্লাস কৎ বেলের রস
-
কৎ বেল
-
গাছে পাকা কৎ বেল
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Limonia acidissima L."। Plants of the World Online। Royal Botanic Gardens, Kew। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৫।
- ↑ ক খ Smith, Albert C. (১৯৮৫)। Flora Vitiensis nova : a new Flora of Fiji (spermatophytes only)। 3। Lawaii, Hawaii: Pacific Tropical Botanical Garden। পৃষ্ঠা 526–527। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-২৫ – Biodiversity Heritage Library, digitized by Smithsonian Libraries-এর মাধ্যমে।
- ↑ Jaya Surya Kumari Manthena and K. Mythili (2004). "Development of wood apple pickle". Int. J. Food Safety, Nutrition and Public Health, Vol. 5, No. 1, 2014. Retrieved 2019-06-09.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |