একই বৃত্তে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একই বৃত্তে
চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য
পরিচালককাজী মোরশেদ
প্রযোজককোরাস ফিল্মস্
রচয়িতাকাজী মোরশেদ
শ্রেষ্ঠাংশেনাজনীন হাসান চুমকি
তৌকীর আহমেদ
রাইসুল ইসলাম আসাদ
খলিলউল্লাহ খান
ডলি জহুর
রানী সরকার
মোঃ জোবায়ের মাহমুদ স্বচ্ছ
সুরকারশেখ সাদী খান
সম্পাদকআমজাদ হোসেন
পরিবেশককোরাস ফিল্মস্
মুক্তি২০ অক্টোবর ২০১৩
স্থিতিকাল১২০ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

একই বৃত্তে ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। এটি একটি রাষ্ট্রীয় অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র।[১] ছবিটি চিত্রনাট্য, কাহিনি, সংলাপ ও পরিচালনা করেছেন কাজী মোরশেদ। ১৯৫৮ সালের প্রেক্ষাপটে ক্ষয়িষ্ণু এক জমিদারের পতন নিয়েই এ গল্প। ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজনীন হাসান চুমকি। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্র অভিনয় করেছেন খলিলউল্লাহ খান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, ডলি জহুর, তৌকীর আহমেদ, রানী সরকার ও শিশুশিল্পী মোঃ জোবায়ের মাহমুদ স্বচ্ছসহ আরো অনেকে। ছবির শুটিং কাপাসিয়া, রাজেন্দ্রপুর ও জামালপুরের ধনবাড়ির নগরবাড়িতে ছবিটি ধারণ করা হয়।

কাহিনি সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের পর ক্ষয়িষ্ণু এক জমিদারের গোপন দারিদ্র্য ও তার গৃহকর্মীদের জীবন নিয়ে 'একই বৃত্তে' তৈরি হয়। 'একই বৃত্তে'র মূল গল্পে দেখা যাবে, একজন জমিদার, যাঁর জমিদারি কেবল নামেই। ভেতরে ভেতরে তাকে গ্রাস করেছে অভাব। জমিদার বাড়ির দাসী এ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র। এই দাসীর রয়েছে সাত বছরের এক সন্তান এবং ফল বিক্রেতা বাবা। এই দাসীর দারিদ্র্যপীড়িত সংসারের নানা বিষয় ধারণ করা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। জমিদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন খলিলুল্লাহ খান। তাকে গোপনে এটা-ওটা বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়। বংশপরম্পরায় জমিদার বাড়ির চাকরের ভূমিকায় দেখা যাবে তৌকীর আহমেদকে। এই চাকর কাজকর্মের ফাঁকে বাড়ির দাসীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের চেষ্টা করে। দাসী জমিদার বাড়িতে কাজ করে নিজের পরিবারের ভাতের ব্যবস্থা করে।

...এই দাসীর জীবন সংগ্রাম ও জমিদারের ভাঙনের চিত্রই ফুঁটে উঠেছে এই গল্পে।

শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]

সংগীত[সম্পাদনা]

একই বৃত্তে ছবির সংগীত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান। এই ছায়াছবিতে খালি গলায় এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে একটি গান আছে। গানটির কথা লিখেছেন মুন্সী ওয়াদুদ।

গানের তালিকা[সম্পাদনা]

ট্র্যাক গান কণ্ঠশিল্পী পর্দায় নোট
গনগনে আকাশ, বাতাস ছন্নছাড়া/নিভু নিভু দুটি চোখ যেন জ্বলন্ত দুটি তারা এন্ড্রু কিশোরে

সম্মাননা[সম্পাদনা]

এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ৩৮তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার লাভ করেন মোঃ জোবায়ের মাহমুদ স্বচ্ছ[২] এছাড়া এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০১৪ সমালোচক বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নির্বাচিত হন নাজনীন হাসান চুমকি[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চলচ্চিত্রের বিষয় 'কমলালেবু'"দৈনিক প্রথম আলো। ২৭ মে ২০১০। ২২ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. আতাউর, আতিফ (২০১৫)। "অভিনয়ে স্বচ্ছই সেরা"http://champs21.com। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. "চুমকীর কাছে মৌসুমীর হার"দৈনিক প্রথম আলো। ২৯ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]