ইসলামী কেন্দ্র হামবুর্গ

স্থানাঙ্ক: ৫৩°৩৪′২৮.৪৫″ উত্তর ১০°০০′৩০.৩০″ পূর্ব / ৫৩.৫৭৪৫৬৯৪° উত্তর ১০.০০৮৪১৬৭° পূর্ব / 53.5745694; 10.0084167
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইমাম আলী মসজিদ হামবুর্গ
ইমাম আলী মসজিদ হামবুর্গ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানউলানহফট, হামবুর্গ, জার্মানি
স্থানাঙ্ক৫৩°৩৪′২৮.৪৫″ উত্তর ১০°০০′৩০.৩০″ পূর্ব / ৫৩.৫৭৪৫৬৯৪° উত্তর ১০.০০৮৪১৬৭° পূর্ব / 53.5745694; 10.0084167
স্থাপত্য
স্থপতিস্থাপত্য প্রতিষ্ঠান শ্রাম্ম এবং এলিনগিউস
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়১৯৬১, ১৯৬৩-৬৫
নির্মাণ ব্যয়২ মিলিয়ন জার্মান মার্ক
বিনির্দেশ
ধারণক্ষমতা১৫০০
গম্বুজসমূহ
মিনার
মিনারের উচ্চতা১৬ মিঃ
ওয়েবসাইট
www.izhamburg.com/

ইসলামিক কেন্দ্র হামবুর্গ (জার্মান: Islamisches Zentrum Hamburg) জার্মানি এবং ইউরোপের প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৫০–এর দশকের শেষদিকে উত্তর জার্মানির হামবুর্গের একদল ইরানি অভিবাসী এবং ব্যবসায়ীরা এই মসজিদকে পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ইসলামী কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে।

বহু শীর্ষস্থানীয় ইরানি ধর্মতত্ত্ববিদ ও রাজনীতিবিদ (আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি, আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ মোজতাহেদ শাবেস্তরী বা মোহাম্মদ খাতামি সহ) এখানে বেশ সময় (প্রায় শত বছর) অতিবাহিত করেছেন, পশ্চিমা বিজ্ঞান ও দর্শন বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন এবং ইসলামের পশ্চিমা মূল্যবোধে অবদান রেখেছেন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৫৩ সালে আটলান্টিক হোটেলে (হামবুর্গ) অনুষ্ঠিত এক বৈঠককালে জার্মানির একদল ইরানি বাসিন্দা তাদের নিজস্ব ধর্মীয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছিল। অতঃপর প্রয়াত গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ হুসেন বোরুজেরদীকে তাঁর কাছে সাহায্য চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল; গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ এই পরিকল্পনার সাথে একমত হয়ে এই কেন্দ্রের জন্য এক লক্ষ রিয়াল দান করেছিলেন। ১৯৬০ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৬৫ সালের মধ্যাংশে শেষ হয়েছে। একই বছরে আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ বেহেস্তিকে এই কেন্দ্রের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিয়েছিলেন।

১৯৭০–এর দশকে কেন্দ্রটি শাহের বিরুদ্ধে পশ্চিমে ইরানি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক উত্থান আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত ইরানি বিপ্লবে ভূমিকা রেখেছিল।

২০০৭ সালে, কেন্দ্রটি ইউরোপে প্রথম শিয়া ইউনিয়ন চালু করার ঘোষণা দিয়েছে।[১]

পরিচালক[সম্পাদনা]

  • হোজ্জাতুলিস্লাম মহাগেঘি (১৯৫৫–১৯৬৫)
  • হোজ্জাতুলিস্লাম মোহাম্মদ বেহেস্তি (১৯৬৫–১৯৭০)
  • হোজ্জাতুলিস্লাম মোহাম্মদ মোজতাহেদ শাবেস্তারি (১৯৭০–১৯৭৮)
  • হোজ্জাতুলিস্লাম মোহাম্মদ খাতামি (১৯৭৮–১৯৮০)
  • হোজ্জাতুলিস্লাম মোহাম্মদ রেজা মোগাদ্দাম (১৯৮০–১৯৯২)
  • হোজ্জাতুলিস্লাম মোহাম্মদ বাঘের আনসারী (১৯৯২–১৯৯৮)
  • হোজ্জাতুলিসলাম রেজা হোসেইনি নাসাব (১৯৯৮–২০০৩)
  • হোজ্জাতুলিসলাম সাইয়েদ আব্বাস হোসেইনি গাইমগামি (২০০৩–২০০৯)
  • হোজ্জাতুলিসলাম রেজা রামেজানী গিলানী (২০০৯–২০১৮)[২][৩]
  • হোজ্জাতুলিস্লাম মোহাম্মদ হাদি মোফাত্তেহ (আগস্ট ২০১৮–বর্তমান)[৪]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. 1st Shia Union launched in Europe ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে Press TV, April 22, 2007
  2. "Archived copy"। ২০১২-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৯-০৫ 
  3. "Ayatollah Ramezani's mission in Hamburg ends"Tehran Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৭-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  4. WELT (২০১৮-০৮-৩১)। "Neuer Leiter des Islamischen Zentrums ist dialogbereit"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]