আল-তাকওয়া কলেজ

স্থানাঙ্ক: ৩৭°৫১′১৪″ দক্ষিণ ১৪৪°৪৩′১৯″ পূর্ব / ৩৭.৮৫৩৮৯° দক্ষিণ ১৪৪.৭২১৯৪° পূর্ব / -37.85389; 144.72194
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল-তাকওয়া কলেজ
ঠিকানা
মানচিত্র
২০১ সায়ার সড়ক

ট্রুগানিনা
,
ভিক্টোরিয়া
,
৩০২৯

স্থানাঙ্ক৩৭°৫১′১৪″ দক্ষিণ ১৪৪°৪৩′১৯″ পূর্ব / ৩৭.৮৫৩৮৯° দক্ষিণ ১৪৪.৭২১৯৪° পূর্ব / -37.85389; 144.72194
তথ্য
ধরনস্বতন্ত্র প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নীতিবাক্যSeek Knowledge
(জ্ঞান সন্ধান করুন)
সম্প্রদায়সুন্নি ইসলাম
প্রতিষ্ঠাকালজুন ১৯৮৬ (1986-06)
প্রতিষ্ঠাতাওমর হালাক
অধ্যক্ষওমর হালাক
কর্মকর্তা২০০
Years offeredকিন্ডারগার্টেন - দ্বাদশ শ্রেণী
লিঙ্গসহ-শিক্ষা
ভর্তি২,০০০[১]
শিক্ষায়তন৫০ একর
হাউসওমর
আলী
ওথম্যান
আবু বকর
রংনীল, লাল, সাদা
              
স্লোগানমানসম্পন্ন জীবনের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা
সংবাদপত্রআল-হিদায়া
শিক্ষাদান খরচ$২,৪৮৫ - $৩,৮৮৫
ওয়েবসাইটhttp://www.al-taqwa.vic.edu.au

আল-তাকওয়া কলেজ বা ভিক্টোরিয়ার ইসলামিক স্কুল অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের বাইরে ভিক্টোরিয়ার ট্রুগানিনার সায়ার সড়কে অবস্থিত। এটি একটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

কলেজটি মেলবোর্নের পশ্চিম দিকে ৫০-একর জমিতে নির্মিত হয়। ১৯৮৬ সালে কলেজটি ইসলামিক ট্রাস্ট তহবিল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালে নাম পরিবর্তন করে আল-তাকওয়া কলেজ করা হয়। সায়ারস সড়কের মূল ক্যাম্পাসের পাশেই একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। [২] আল-তাকওয়া কলেজটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল ভিক্টোরিয়ার একটি সদস্য, যা স্বাধীন শিক্ষায় নিবেদিত একটি অলাভজনক সংস্থা। [৩]

স্কুলটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়ে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করতো। স্কুলটির সময়ের সাথে সাথে কলেবর বৃদ্ধি পায় এবং ভিসিইতে (একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী) যোগ করা হয়। বিদ্যালয়ের অলিভ শাখা নামে আরও একটি ক্যাম্পাস রয়েছে, যা কৃষি ও উদ্যানচর্চায় মাঝে মাঝে পাঠদান করে। বিদ্যালয়ের ইন্দোনেশিয়ার একটি শাখা রয়েছে, এর নাম আল-তাকওয়া কলেজ, ইন্দোনেশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিদ্যালয়

২০১৫ সালে আল-তাকওয়া কলেজটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজারের কাছাকাছি এবং ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ২,৫০০ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানোর আশা করা হয়। কলেজে পড়ানো বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে ইংলিশ, গণিত, ইংরেজি ব্যতীত অন্যান্য ভাষা (এল.ও.টি.ই.), তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা, শিল্প ও শারীরিক শিক্ষা।

আল-তাকওয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পরিবেশ, জাতি ও সংস্কৃতি থেকে আগত। কলেজটি দৃঢভাবে ন্যায্যতা, সাম্যতা এবং সম্মিলিত ঐক্যের উপর ভিত্তি পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত দেশগুলি থেকে এসেছেঃ

বিতর্ক[সম্পাদনা]

২০০৫ সালে বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি উদ্বেগের বিষয় উত্থাপিত হয়, যার মধ্যে একজন অনাবাসিক ইমামের প্রকাশ্য বিরোধী মন্তব্যও রয়েছে।[৪]

২০১৫ সালে স্কুলের অধ্যক্ষ ওমর হালাক শিক্ষার্থীদের বলেন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস একটি পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের অংশ। [৫] অধ্যক্ষের এই মন্তব্যকে ভিক্টোরিয়ার শিক্ষামন্ত্রী জেমস মেরলিনোর "যদি সত্য হয় তবে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক" হিসাবে নিন্দা জানান। [৬] [৭] [৮]

২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা(কভিড-১৯) মহামারী চলাকালীন, আল-তাকওয়া কলেজটি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ রোগী শনাক্ত গুচ্ছে পরিণত হয় এবং ২১০ টি নিশ্চিত রোগী শনাক্ত হওয়ায় জনসাধারণের আবাসন ও বয়স্ক পরিচর্যার বাইরে দ্বিতীয় বৃহত্তম গুচ্ছে পরিণত হয়।[৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "al-Taqwa: About Us History"Al-Taqwa। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৫ 
  2. "Al-Taqwa Masjid Activities"। ৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৫ 
  3. "Al-Taqwa College: Valuable Lessons" (পিডিএফ)Independent Schools Victoria। ১২ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৫ 
  4. Skelton, Russell (৩১ জুলাই ২০০৫)। "Muslims sound alarm over schools"The Age। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫ 
  5. Cook, Henrietta (১ এপ্রিল ২০১৪)। "Christopher Pyne asks Al-Taqwa principal to explain himself after Islamic State comments"। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১৫ 
  6. Szego, Julie (২৬ মার্চ ২০১৫)। "The dangers of feeding lies to Muslim children"The Age। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫ 
  7. Meehan, Melissa; Livingston, Angus (২৩ এপ্রিল ২০১৫)। "Islamic principal says reports untrue"The Mercury। ১৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৫ 
  8. "Girls at Islamic Al-Taqwa College banned from running over virginity fears, teacher claims"ABC News। ২৩ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৫ 
  9. "Coronavirus update for Victoria - 18 August 2020"Department of Health and Human Services। Victoria State Government। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]