৬১৩: ইয়াওমুল ইনজার: নবী ﷺ বানু হাশিমের প্রতি ইসলামের দাওয়াত প্রদান; কেবল মাত্র আলী তাতে সাড়া দান।
৬১৭-৬১৯: মক্কার কাফির মুশরিক কর্তৃক বানু হাশিমকে বয়কট।[১]
৬১৯: বেদনার বছর: আলীর পিতা আবু তালিবের মৃত্যু।
সেপ্টেম্বর ৬২২: লাইলাতুল মাবিত: কুরাইশরা মুহাম্মদকে হত্যা করার জন্য তার বাসভবন ঘেরাও করলে আলী নিজের জীবন বাজি রেখে মুহাম্মাদ ﷺ এর ঘরে অবস্থান করেন, এরই মধ্যে নবী মুহাম্মাদ ﷺ গৃহত্যাগ করে মদিনার পথে হিজরত করেন।
৬২২: আলী তার মা এবং মুহাম্মাদের ﷺ ফাতিমা এবং আরও দুইজন মহিলাকে সাথে নিয়ে মদিনার দিকে হিজরত করেন।
৬২৩: আলী বিয়ে করেন ফাতিমাকে যিনি নবী মুহাম্মাদের ﷺ কন্যা।[২]
৬২৪:
১৭ মার্চ: বদরের যুদ্ধ: আলী এই যুদ্ধে বীর যোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হন।
৬২৫:
হাসান বিন আলীর জন্ম।
উহুদের যুদ্ধ: এই যুদ্ধে আলী বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, মুসলিম সেনা বাহিনী পরাজিত হলে অনেকে পালিয়ে যায়, যে কয়েকজন মুহাম্মাদ ﷺ এর সাথে ছিলেন তাঁদের মধ্যে আলী ছিলেন অন্যতম।
৬২৬: হুসাইন বিন আলীর জন্ম।
৬২৭:
খন্দকের যুদ্ধ: আলী আরবের এক মুশরিক বীর যোদ্ধা আমর-কে দ্বন্দ্বযুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করেন।
৬২৮:
হুদাইবিয়ার সন্ধি
খায়বারের যুদ্ধ: এ যুদ্ধে আলী ছিলেন মুসলিম সেনা বাহিনীর পতাকাবাহী, এবং তিনি খায়বারের দুর্গ জয় করেন।
যায়নাব বিনতে আলীর জন্ম।
৬২৯:
নবী মুহাম্মাদ ﷺ প্রথম হজ্জযাত্রায় অংশগ্রহণ।
বায়জান্টাইন সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান, মু'তাহ-র যুদ্ধ।
৬৪৪: ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর ফারুকের মৃত্যু। আলী তৃতীয় খলিফা মনোনয়নের জন্য গঠিত শুরার একজন সদস্য ছিলেন।
৬৪৮: আব্বাস বিন আলীর জন্ম।
৬৫৬:
তৃতীয় খলিফা উসমানের মৃত্যু।
আলী চতুর্থ খলিফা হিসেবে মনোনীত হন এবং ইসলামী সাম্রাজ্যের দায়িত্বগ্রহণ করেন।
'প্রথম ফিতনা' শুরু হয়। (ইসলামী সাম্রাজ্যে প্রথম গৃহযুদ্ধ)[৩]
উটের যুদ্ধ।
৬৫৭: আলী রাশিদুন খিলাফাতের রাজধানী মদিনা থেকে কুফায় স্থানান্তর করেন।
মে-জুলাই ৬৫৭: সিফফিনের যুদ্ধ।
৬৫৮:
খারেজীদের বিদ্রোহ।
জুলাই ৬৫৮: নাহরাওয়ানের যুদ্ধ।
৬৫৯:
আলী এর নিয়োগপ্রাপ্ত মিশরের গভর্নর পরাজিত হন এবং আমর ইবনুল আস মিশর জয় করেন।
খুররিত ইবনে রশিদের বিদ্রোহ।
৬৬০: মুয়াবিয়া নিজেকে দামেস্কের খলিফা ঘোষণা করেন।
২৮ জানুয়ারি ৬৬১ মোতাবেক ২১ রমাদান, ৪০ হিজরি সনে আলী কুফাতে নিহত হন এবং নাজাফে সমাহিত হন, এর দুইদিন পর আব্দুর রহমান ইবনে মুলজাম আলীর কবরকে কুফা মাসজিদে স্থানান্তর করেন।