আলাপ:শাহজালালের মাজার

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাহমাতুল্লাহ বা রহমতুল্লাহ[সম্পাদনা]

আপনার নিবন্ধের নামে আমার একটু আপত্তি আছে: বিস্তারিত এখানে দেখুন। আর প্রশ্ন থাকলে স্বাগতম। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৪:৪৪, ২২ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

আপনার আপত্তিকে স্বাগতম

  • তবে যে বিষয়টির উপর আপনি আপত্তি জানিয়েছেন, তা আমার লিখা নয়। এখানে [১] সম্পাদনার ইতিহাসে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন |১৪:১৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ | তারিখের সম্পাদনা যে করেছেন সম্ভবত উনি (রাঃ) যুক্ত করেছেন। আপনি আদেশ করলে, নিবন্ধ স্থানান্তর করতে সময় ঠিক করে নিতে পারি।
  • বিষয়টি নিয়ে আলাপ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ Mdyusufmiah (আলাপ) ০১:৪৫, ২৩ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

নিবন্ধ সম্পর্কে পরামর্শ[সম্পাদনা]

ইউসুফ ভাই, আপনার ব্যবহারকারী পাতার আড়ালে আমার কাজ করা মানায় কিনা জানিনা, তবু করছি। তবে এজন্য আপনাকে অগ্রণী হতে হবে সবার আগে। কয়েকটি বিষয় ধরিয়ে দিচ্ছি, আপনাকে এদিকে কাজ করতে হবে:

  • নিবন্ধে অস্পষ্ট কথা পরিহার করতে হবে। "বলা হয়" (কে বলে?), "ধারণা করা হয়" (কে ধারণা করে?), "কথিত আছে" (কাদের কথনে আছে?), "ভাবা হয়" (কে ভাবে?) -এরকম শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যথাসম্ভব এড়িয়ে নিবন্ধ গোছান। বিশ্বকোষের ভাষা খুব কাটাকাটা। মূল কথা বাদে অলঙ্কার এখানে বর্জনীয়।
  • ইসলাম ধর্মের প্রচারক আধ্যাত্ম প্রবল শাহ জালাল, পরম আধ্মাত্মজ্ঞানসম্পন্ন, মনোরম টিলার উপর, স্বচ্ছ ও নির্ম্মল জল বিশিষ্ট একটি বড় পুকুরে -এরকম কথাবার্তা আসলে কিছুটা গুণকীর্তন টাইপের হয়ে পড়ে। তাই খুব কাটাকাটা ভাষায় লিখতে হবে এভাবে
  • বানান ভুল: এই ব্যাপারে আমি ক্ষমা করতে রাজি নই। দশবার দেখে বানান শুদ্ধ করুন। উইকিপিডিয়ানদেরকে বারবার বিরক্ত করা আসলে ঠিক হচ্ছে না। যে অভিধানটা রাগিব ভাই আপনাকে দিয়েছেন, সেটা ব্যবহার করুন। কুমিল্লা কেন কুমিল্লাহ হয়ে যায়? নিবন্ধে বানান ভূলের ছড়াছড়ি।
    • স্তম্ব
    • ঘেঁসে
    • দহ্মিণ (হয়েছে দহমিন) হবে দক্ষিণ
    • পার্শে
    • সম্পন্য
    • শুন্য
    • ব্যবহূত হতো
    • মধ্যস্তলে
    • সদৃস্য
    • রংগের
    • বিশ্বাষ
আর পারবোনা। একটু দয়া করে খুঁজে খুঁজে ঠিক করে নিন।
  • নিবন্ধে সিলেটি ভাষার ব্যবহার হচ্ছে কেন? দেখতে মিলে, উরুছ, যে কারণ, হযরত শাহ জালাল'র, ডেগচি/ডেগচী (ডেগ থেকে ডেগচি লিখছেন), পুড়া (বাসনা 'পুরা অয় থেকে আপনি এমনটি লিখছেন) ইত্যাদি সবগুলো পরিহার করতে হবে।
  • এক দুজন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি দরগাহ যিয়ারতে গেছেন বলে বাংলাদেশের, আবার বলছি বাংলাদেশের কার্যক্রমের সূচনা সেখান থেকে হয়- এমন কনক্লুসিভ ডিসিশনে চলে যাওয়া কক্ষণোই কাম্য নয়। তাঁরা বাংলাদেশের প্রতিনিধি হলেও বাংলাদেশ নন। এমন অনেক কাজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হয়, যা দরগাহ যিয়ারত না করেই হয়। সুতরাং এরকম অযাচিত বিষয়ের অবতারণা কাম্য নয়।
  • আবারো সাধু-চলিত মিশিয়ে জগাখিচুড়ি লক্ষ করছি: হতে, ইহা, বলিয়া, মজলিশে আতার কর্তৃক -এসবের ব্যবহার কেন হচ্ছে, বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়াসত্ত্বেয়? আপনি আগের যুগের ইতিহাস বইগুলো পড়ছেন আর সেগুলোর সাধু ভাষায় ডুবে যাচ্ছেন- পরবর্তিতে সেগুলো শুদ্ধ করার ঝামেলায় না গিয়ে যেকোনো অবদানকারীই বিরক্ত হয়ে শ্রেফ মুছে ফেলতে বাধ্য হবেন।
  • "তাই সিলেটের মানুষের প্রাণের সাথে মিশে তিনি আজও চিরঅমর হয়ে আছেন মানুষের অনুভবে।" -এজাতীয় লাইন দেখামাত্রই মুছে ফেলা হবে, কারণ বিশ্বকোষে কারো গুণকীর্তন করা যাবে না।
  • আপনি এখনও যাবতীয় আলোচনা নিবন্ধের ভিতরে করছেন। "বাংলা একাডেমীর প্রকাশিত জালালাবাদের কথা ও অন্যান্য ঐতিহাসিক গ্রন্থের বরাত দিয়ে লিখা হয়, "-এজাতীয় কথাবার্তার কোনোই দরকার নেই। আপনি মূল বক্তব্য লিখুন, সিদ্ধান্তটুকু লিখুন, তারপর তথ্যসূত্রে বাংলা একাডেমীর বইয়ের সূত্র দিন। কোন বরাতে কী বলেছে বলে সেই বরাতের বক্তব্য উপস্থাপন আগেও আপনাকে বর্জন করবার কথা বারবার বলা হয়েছে। আমি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েও বলেছিলাম। সিলেট বিভাগ নিবন্ধের আলাপ পাতায় সেটা আপনি দেখেছেন।
  • যখন কোনো কনক্লুসিভ ডিসিশন দিবেন, তখন তা অবশ্যই তথ্যসূত্র, স্ট্রং তথ্যসূত্র দাবি করে। "এটা অমুক হিসেবে স্বীকৃত" -কথাটা মামুলি কোনো কথা না। তাই সেখানে পত্রিকার বরাত দিয়ে দেয়া কিংবা অগ্রহণযোগ্য কোনো একটা বইয়ের বরাত দেয়া যথেষ্ট হবে না। সেখানে প্রতিষ্ঠিত সূত্রের বরাত দিয়ে কথাটাকে পোক্ত করতে হবে। অন্যথায় কথাটাকে এমনভাবে লিখতে হবে যাতে কোনো দাবি প্রতিষ্ঠা না করা হয়।

আপাতত এটুকুই। আমি অনুরোধ করবো, আপনি আগামী ক'দিন নিবন্ধে এই প্রত্যেকটা পয়েন্ট ধরে ধরে ঠিক করতে শুরু করে দিবেন। তারপর যখন সম্পূর্ণ করে ফেলবেন, তখন আমাকে রিভিউয়ের কথাটা জানিয়ে দিবেন; আমি রিভিউ করতে পারলে আমার ভালো লাগবে। একটা ছোট্ট পরামর্শ: একটা প্রসঙ্গে লিখতে বসলে যেখানে যা পাই তা-ই যোগ করার মানসিকতা এড়িয়ে চলতে হবে। খুব প্রাসঙ্গিক না হলে কোনো কথাই নিবন্ধে যোগ করা চলে না। তাছাড়া যেকোনো ব্যাপারই, হোক তা বিষয় সংশ্লিষ্ট, বিশ্বকোষীয় না হলে নিবন্ধে যোগ করা চলে না। আরো অনেক পয়েন্ট হয়তো ভেবেছিলাম বলতে ভুলে গেছি। কিন্তু যেগুলো বললাম, সেগুলোর প্রতিফলনই আগে দেখতে পারলে সার্থক মনে হবে। সব শব্দের বানানেই একটা সন্দেহ বাতিকতা গড়ে ফেলুন। এতে বানান শুদ্ধ হয়ে যাবে দ্রুত। সিলেটি-অসিলেটী, মুসলমান-অমুসলিম নির্বিশেষে একটা নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে শাহ জালালের দরগাহ-কে দেখুন। যেখানে সবাই আধ্যাত্মিকতার টানে যাচ্ছে, আপনি সেখানে প্রশ্ন করুন, এখানে আধ্যাত্মের আছেটা কী? তখন দেখবেন আপনি একটি নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে লিখতে পারছেন। আলাপের বক্তব্যে একটু রূঢ়তা এসে যাওয়ায় ক্ষমাপ্রার্র্থী। আসলে আপনাকে আদেশ করবার আমি কেউই নই। প্রত্যেকটা নির্দেশনাই অনুরোধমাত্র। আশা করি আপনি আমার অনুরোধগুলো রাখবেন। ভালো থাকুন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৯:০৮, ২৯ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

ও, আরেকটা কথা: তথ্যসূত্র যোগ করার সময় দাড়ির বাইরে তা যোগ করুন, যদি পুরো বাক্যটি কিংবা পুরো পরিচ্ছেদটি ঐ তথ্যউৎস থেকে নেয়া হয়। ধন্যবাদ। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ০৯:১০, ২৯ জুলাই ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]


আমার রিভিউ, পরামর্শ ও জিজ্ঞাসা[সম্পাদনা]

নিবন্ধটি অনেকটা গুছিয়ে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। সময় করে করে দেখার আশা রাখি, ইনশাল্লাহ। এপর্যন্ত যতটুকু দেখেছি, তাতে কয়েকটি সমস্যায় পড়েছি:

  • "দরগাহের ইতিহাস" অংশে পরবর্তিতে সুলতান বিশেষ ঘোষণা জারি করে সিলেট শহরের (কসবে সিলেট) খাজানা মুক্ত করে দরবেশকে সম্মানীত করেন যা এখনো (দরগাহর সংশ্লিষ্ট এলাকা) বলবত আছে। কথাটা দিয়ে আপনি কী বোঝাতে চাইছেন, আমি বুঝিনি। আমি সিলেট সদর সম্পর্কে কম জানি, সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থী, এবং সিলেটের লোক হয়েও শাহ জালালের দরগায় যাইনি, সেজন্য খানিকটা লজ্জিত। জানতে চাইছি, "কসবে সিলেট" কি সদরের কোনো জায়গা? নাকি কোনো প্রকার "খাজানা" (খাজানা জিনিসটাই বা কী? কর-টর কিছু কি?)
  • নিবন্ধে এখনও একটা সিলেটি ভাষা এক দেখায় নজরে এলো: "দরগার পরিক্রমা" অংশে ইহার দহ্মিণে একটি উচুঁ স্থানে গুম্বজ বিশিষ্ট ঘড়ি ঘর নামে এক দালান দেখতে মিলে। বাক্যে "দেখতে মিলে" একটি সিলেটি শব্দ চয়ন, যার শুদ্ধ রূপ হচ্ছে "দেখা যায়" বা "দেখতে পাওয়া যায়"। তাছাড়া বাক্যটিতে এখনো "দক্ষিণ" বানানটি ঠিক করা হয়নি। একই বাক্য এখনও গুরুচণ্ডালি দোষে দুষ্ট: কারণ চলিত ভাষার বাক্যে আপনি এখনও সাধু ভাষা বর্জন করেননি, লিখেছেন "ইহার", হওয়া উচিত "এর"।
  • নিবন্ধে বেশ কিছু লেখা বোল্ড করা, অথচ প্রয়োজনহীন। নাম সাধারণত আমরা ইটালিক করে দিই। শুধুমাত্র নিবন্ধের মূল বিষয়ই (নিবন্ধ শিরোনাম) আমরা বোল্ড করে দিয়ে থাকি।

তাই আপাতত আমি আবারও আপনার কাজের অপেক্ষায় থাকলাম। আমার মনে হচ্ছে, আপনি পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলেও এখনও কিছু ঘাটতি থেকে গেছে। বানান, সিলেটি ভাষার ভুল প্রয়োগ, গুরুচণ্ডালি দোষ কিছু কিছু রয়ে গেছে। দয়া করে আরেকবার প্রতিটা লাইন ধরে ধরে রিভাইয দিয়ে শুদ্ধ করে নিলে আমার কাজ কমে যেত। আর আরেকটা ছোট্ট পরামর্শ: যে বাক্যকে সরল করে লেখা যায়, সে বাক্যে বন্ধনীর ভিতরে আলাদা করে তথ্য দিলে পাঠ-ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়। আরেকবার রিভিউ করে আমাকে জানালেই চেষ্টা করবো দেখার, ইনশাল্লাহ। তবে, সত্যি বলছি, নিবন্ধটা অনেকটা গোছানো মনে হচ্ছে আমার কাছে। ভালো থাকবেন। —মঈনুল ইসলাম (আলাপ * অবদান) ১৭:০৮, ১৮ আগস্ট ২০১১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

নিবন্ধের নাম[সম্পাদনা]

@আফতাবুজ্জামান: নিবন্ধের নামে ‘হযরত’ বাদ দেওয়া হোক। -ধর্মমন্ত্রী ওয়াইস আলাপ ২৩:৪৫, ২৭ মে ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

@Owais Al Qarni: করা হয়েছে। -- আফতাবুজ্জামান (আলাপ) ২৩:৪৭, ২৭ মে ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]