আলাপ:কবিগান
এই পাতাটি কবিগান নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
উইকিপ্রকল্প ভারত | (মূল্যায়ন - মান নিম্ন, গুরুত্ব নিম্ন) | ||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
|
পুরনো লেখা[সম্পাদনা]
কবিগান বাংলা লোকসংগীতের একটি বিশিষ্ট ধারা। দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এই গান সম্পন্ন হয়। এতে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে।
প্রতিদলে একজন দলপতি থাকেন যিনি 'কবি' বা 'কবিয়াল' নামে পরিচিত। বিপক্ষের দলপতির প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তিনি দায়ী থাকেন। জয় বা পরাজয় ও তাঁরই হয়ে থাকে। প্রতি দলে কবির সহায়তাকারী কয়েক জন গায়ক থাকেন যারা 'দোহার' নামে পরিচিত। কবিগানের প্রধান অঙ্গ চারটিঃ ভবানীবিষয়, সখী-সংবাদ, বিরহ এবং খেউর। প্রথমে বন্দনা বা ভবানীবিষয়ের পর সখী-সংবাদ অংশে মূল প্রশ্নের অবতারনা করা হত। একে বলা হয় 'চাপান'। প্রথম দল 'চাপান' দিলে দ্বিতীয় দল তার উত্তর দেয়। উত্তর অংশের নাম 'উতোর'। বাকী অংশগুলো চাপান উতোরে চলতে থাকে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে দুই দলের কবিয়াল কোন প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে গান চলবে এবং গানের গতি-প্রকৃতি আগে বসে ঠিক করে নিয়ে আসরে নামতেন। একে 'বাঁধুটি' বলা হত। কিন্তু রাম বসু (১৭৮৬-১৮২৮) এই প্রথার পরিবর্তন করে 'উপস্থিতি গান' এর প্রচলন করেন। এই রীতিতে প্রশ্নোত্তর না জেনে গান করতে হয়। তখন থেকেই কবিগানে চাতুর্য ও মাধুর্য আসে। গান চলাকালে কবিয়াল নিজে তো গান বাঁধেনই অন্যেও গান বেঁধে দেয়। কবিগানের মুখ্য বিষয় পৌরাণিক হলেও পরবর্তীতে অর্থনৈতিক, সামাজিক সহ বিভিন্ন বিষয় কবিগানে অবতারণা হয়।
পুরনো লেখাগুলো মুছে না ফেলে এখানে সরিয়ে রাখা হল।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ১৭:০৫, ২২ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)
- ধন্যবাদ। পুরনো লেখা আমি একেবারে মুছে ফেলিনি। সংশোধন পরিমার্জনের জন্য আমার কম্পিউটারে তুলে রেখেছি। কাল রাতে অনিবার্য কারণে উঠে যেতে হল। নইলে কালই শেষ করে ফেলতাম। যাই হোক, আজকের মধ্যে শেষ করে ফেলার ইচ্ছা পোষণ করছি। --অর্ণব দত্ত (আলাপ) ০৩:৫২, ২৩ নভেম্বর ২০১০ (ইউটিসি)