আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা পদ্ধতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা পদ্ধতি বা ইউডিআরএস বা ডিআরএস ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিভিত্তিক পদ্ধতি। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বপ্রথম এ পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটে। ২০০৮ সালে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার খেলায় প্রথম এ পদ্ধতির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়।[১] এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে - অন-ফিল্ড আম্পায়ার কর্তৃক ব্যাটসম্যানের আউটের ক্ষেত্রে এককভাবে গৃহীত বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা করা। অতঃপর ২৪ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্টে এ পদ্ধতির ব্যবহার ঘটায়।[২][৩]

এরপর জানুয়ারি, ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সফরকারী ইংল্যান্ডের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় প্রথম ব্যবহার করে।[৪] শুরুতে আইসিসি সকল ধরনের আন্তর্জাতিক খেলায় বাধ্যতামূলকভাবে ইউডিআরএস ব্যবহারের কথা জানায়।[৫] পরবর্তীতে এটি ঐচ্ছিক হিসেবে ঘোষণা করে। কেবলমাত্র অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সম্মতিক্রমেই এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, আইসিসি এ প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবার কথা জানায় ও আইসিসির সকল ধরনের প্রতিযোগিতায় এর ব্যবহারের চেষ্টা চালাচ্ছে।[৬]

অক্টোবর, ২০১২ সালে আইসিসি এলবিডব্লিউর বিষয়ে বিধিমালা জারী করে। ব্যাটসম্যানের প্যাডে বলের আঘাতে অনিশ্চিত আকারে রূপরেখা বৃদ্ধিতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[৭] জুলাই, ২০১৬ সালে আবারো এ নিয়মের সংশোধনীর প্রয়োজন পড়ে। অনিশ্চিয়তার রূপরেখাকে কমিয়ে আনা হয়।[৮][৯] হালনাগাদকৃত নিয়ম-কানুন সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সালে আয়ারল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ওডিআইয়ে প্রথম ব্যবহার করা হয়।[১০]

সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে আইসিসি জানায় যে, অক্টোবর, ২০১৩ সাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি শুরু হবে। টেস্ট খেলায় প্রতি ইনিংসের ৮০ ওভার শেষে পুনরায় দুইটি আবেদনে ফিরে যেতে পারবে। পূর্বে প্রত্যেক দল প্রত্যেক ইনিংসে সর্বাধিক দুইবার অসফলভাবে পর্যালোচনার আবেদন করার সুযোগ পেতো।[১১]

ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে আইসিসি তাদের ভবিষ্যতের সকল আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক দলকে একবার পর্যালোচনা করার সুযোগ দেয়ার কথা জানায়।[১২] পূর্ব-নির্ধারিত প্রথম টি২০ প্রতিযোগিতা হিসেবে এ প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটবে ২০১৮ সালের আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায়।[১৩] ২০১৭ সালের পাকিস্তান সুপার লীগের নক-আউট পর্বে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে যা প্রথমবারের মতো টি২০ লীগে ডিআরএস পদ্ধতির প্রয়োগ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. NDTVSports.com। "Umpiring decision review system on the cards – NDTV Sports"। ২৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "Decision Review System set for debut"। Cricketnext.in। ২৩ নভে ২০০৯। ২০০৯-১১-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১৮ 
  3. "Official debut for enhanced review system"। Cricinfo। ২৩ নভে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১৮ 
  4. "Referrals to be used in Australia-England ODI series"BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১৬ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১১ 
  5. "Mandatory for all matches"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১১ 
  6. "No mandatory use of Decision Review System, says ICC"The Times Of India। ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৪ 
  7. "ICC paves way for Day-Night Tests"। Wisden India। ২৯ অক্টোবর ২০১২। ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৭ 
  8. "ICC approves changes to DRS playing conditions"ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৬ 
  9. "ICC Annual Conference concludes in Edinburgh"। ICC Development (International) Limited। ২ জুলাই ২০১৬। ৮ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৭ 
  10. "South Africa-Ireland ODI first to feature new DRS"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  11. "Reviews to be topped-up after 80 overs"। Wisden India। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৭ 
  12. "Big-Three rollback begins, BCCI opposes"ESPN Cricinfo। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  13. "Uniform DRS likely from October"ESPN Cricinfo। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭