আবদুল মান্নান (শিক্ষাবিদ)
অধ্যাপক আবদুল মান্নান | |
---|---|
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-এর ১২তম চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ২০১৫ – ৭ মে ২০১৯ | |
উত্তরসূরী | ইউসুফ আলী মোল্লা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চট্টগ্রাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশ |
সন্তান | ফারজানা মান্নান |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, অধ্যাপক |
অধ্যাপক আবদুল মান্নান একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ। তিনি ২০১৫-২০১৯ সময়কালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ১২তম চেয়ারম্যান এবং ১৯৯৯-২০০১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময়ে তিনি বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে পরিচিতি পান। [১]
শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]
অধ্যাপক মান্নান লেখাপড়া চট্টগ্রামের সেন্ট প্লাসিড্স হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। [১] তিনি [২] ১৯৭৮ সালে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় এবং মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল ফেলোশিপের অধীনে চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উচ্চ শিক্ষা প্রশাসন’-এর ওপরও বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। [২][৩]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
অধ্যাপক মান্নান ১৯৭৩ সালে প্রভাষক হিসাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতায় পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। [৪] তিনি ১৯৮৯ সালে ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে উন্নত গবেষণা করেন। [৩][৫]
১৯৯৬ সালে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় মান্নান দেশের কনিষ্ঠতম উপাচার্য হন। [২] ২০০৫ সালে মান্নান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক অবসর গ্রহণ করেন। এরপরে তিনি ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর বিজনেস স্কুল-এর একটি পূর্ণ-কালিন অধ্যাপক হন। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিভাগ এবং অনুষদের ডিনে অধ্যাপক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [২]
সংগঠক[সম্পাদনা]
অধ্যাপক মান্নান শামসুল হক শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। তিনি পরপর দু’বার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, একবার সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। সংগঠক হিসেবে স্ট্যান্ডিং কমিটি অব ভাইস-চ্যান্সেলরস ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি নির্বাচত হন। এছাড়া তিনি লন্ডনের এ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজেস-এর নির্বাহী সদস্য ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মান্নান সার্ক চার্টার প্রাপ্ত এ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিউটিউশেনের সাউথ ইস্ট এশিয়ার একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
পারিবারিক জীবন[সম্পাদনা]
অধ্যাপক মান্নান চট্টগ্রামের হাটহাজারি এলাকার বাসিন্দা। বাবা আবদুস সালাম, মা সালেমা খাতুন। তার একমাত্র সন্তান ফারজানা মান্নান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক । [৩]
গ্রন্থ ও গবেষণা[সম্পাদনা]
অধ্যয়ন ও গবেষণার বিষয় হচ্ছে কৌশলগত ব্যবস্থাপনা। তার ত্রিশটির মতো আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রকাশনা রয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা নয়টি। তিনি বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৬টি দৈনিকে সমসাময়িক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে লেখালেখি করন। [৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "Professor Mannan made new UGC chairman"। Nirapad News। ৭ মে ২০১৫। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "Chairman, University Grants Commission of Bangladesh" (পিডিএফ)। UGC। ২০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ৭ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Abdul Mannan new UGC chairman"। NTV। ৭ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Prof Mannan joins UGC as chairman"। Bangladesh Sangbad Sangstha। ৭ মে ২০১৫। ২২ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- জীবিত ব্যক্তি
- চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষাবিদ
- বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
- সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক