আকরাম হোসেন চৌধুরী (বিচারক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আকরাম হোসেন চৌধুরী
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

আকরাম হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।[১]

জীবনের প্রথমার্ধ[সম্পাদনা]

আকরাম হোসেন ১৯৫৯ সালের ২৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিল্পকলা ও আইন বিভাগে দ্বৈত স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

আকরাম হোসেন ১৯৮৭ সালের ২৬ অক্টোবর জেলা আদালতে এবং ১৯৮৯ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টে আইনী অনুশীলন শুরু করেন[৩]

আকরাম হোসেন ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন[৪]

আকরাম হোসেনকে ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তাকে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেন।[৩][৫]

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, ২০০৪ সালে কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর গোলাম রব্বানীকে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।[৬] আকরাম হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক ভেজাল মামলায় অ্যাডফ্লেম ফার্মাসিউটিক্যালসের হেলেনা পাশাকে এক মামলায় এক বছরের জামিন দেন, যেখানে তাকে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।[৭] ১৯৯০-এর দশকে কোম্পানিটির ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়ার পর অনেক শিশু মারা গিয়েছিল।[৭]

২০১৬ সালের জুন মাসে, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি মোঃ হাবিবুল গণি হাটহাজারী উপজেলায় ইউনিয়ন নির্বাচনের সময় নির্বাচনী কারচুপির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক কর্মীকে জামিন দেন।[৮] আকরাম হোসেন ও বিচারপতি মোঃ হাবিবুল গণি পাঁচটি বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ রিজভী আহমেদকে জামিন দেন।[৯]

মুসলমানদের "ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত" করার মামলায় বিচারপতি মোঃ এমদাদুল হক ও আকরাম হোসেন লোকশিল্পী শরীয়ত বয়াতির জামিন নামঞ্জুর করেছেন।[১০]

২০২২ সালের ৩ অক্টোবর, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের রাজবাড়ী জেলা শাখার এক নেতাকে জামিন দেন।[১১] তিনি প্রধান বিচারপতি পদক বাছাই কমিটির সদস্য ছিলেন।[১২]

২০২৩ সালে, আকরাম হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রানা প্লাজা ধসের মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে জামিন দেন।[১৩][১৪] পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এই জামিন বাতিল করেন।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "High Court to resume regular benches from Wednesday"Dhaka Tribune। ২০২০-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  2. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  3. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  4. "President appoints 26 DAGs"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  5. "Jobs of 4 HC judges regularised"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  6. "3 jailed for life"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  7. Staff Correspondent (২০১৪-০৯-১২)। "Convicted Adflame director gets HC bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  8. "Vote rigging: Convicted BCL leader gets bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  9. Report, Star Online (২০১৬-০৯-০৭)। "Rizvi gets HC bail in 5 cases"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  10. "Shariat Boyati denied bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  11. "Derogatory remarks on PM: Mohila Dal leader Sonia granted HC bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  12. "Selection body for 'Chief Justice Medal' formed"The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  13. "SC chamber judge stays Sohel Rana's HC bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬ 
  14. "HC grants Rana Plaza owner bail in murder case"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২৬