অরুন্ধতী (২০১৪-এর চলচ্চিত্র)
অরুন্ধতী | |
---|---|
পরিচালক | সুজিত মন্ডল |
প্রযোজক | শ্রীকান্ত মোহতা নিসপাল সিং |
চিত্রনাট্যকার | এন. কে. সালিল |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | জিৎ গাঙ্গুলী |
চিত্রগ্রাহক | কুমুদ বর্মা |
সম্পাদক | রবিরঞ্জন মৈত্র |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস সুরিন্দার ফিল্মস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৭ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
অরুন্ধতী ২০১৪ সালের একটি বাংলা ভাষার ভারতীয় হরর থ্রিলার চলচ্চিত্র। যা সুজিত মন্ডল পরিচালিত এবং শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ও সুরিন্দর ফিল্মস দ্বারা প্রযোজিত। ছবিতে কোয়েল মল্লিক একজন যোদ্ধা রানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[২] এটি একই নামের ২০০৯ সালের তেলেগু সিনেমার পুনর্নির্মাণ।[৩]
২০১৪ সালের ৩০শে মে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।[৪] চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো'তে আগত কলাকুশলীর চলচ্চিত্রের সকলদিকেরই প্রশংসা করেন।[৫]
কাহিনি
[সম্পাদনা]চলচ্চিত্রের কাহিনি গড়ে উঠেছে এক রাণীকে নিয়ে। বাংলার এক গ্রাম ধুলাবাড়িতে রুদ্র (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত) নামে এক অভিশাপরূপী ব্যক্তি নারীর সম্ভোগে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। এর প্রতিবাদ করেন রাণী অরুন্ধতী (কোয়েল মল্লিক)। সে পিশাচ রুদ্রকে বন্দী করে ফেলে। কিন্তু রুদ্র আবারও পিশাচের সাধনা করে জেগে ওঠে। কিন্তু তখন রাণী অরুন্ধতীর অন্য জন্ম। এই জন্মেও সে মুখোমুখি হয় রুদ্রর৷ সর্বশেষে দোষ্ট পিশাচকে পরাজিত করে রাণী অরুন্ধতী।[৬]
অভিনয়শিল্পী
[সম্পাদনা]- রানী অরুন্ধতী ওরফে মনি মা/ অরুন্ধতী ওরফে মিষ্টি চরিত্রে কোয়েল মল্লিক
- রুদ্র ওরফে কাল রুদ্র চরিত্রে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত
- তরুণী রানী অরুন্ধতীর চরিত্রে ঐশী ভট্টাচার্য
- ইরাবতীর চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা রতি পাল, অরুন্ধতীর বড় বোন এবং রুদ্রের স্ত্রী
- ফকির বাবার চরিত্রে দেবশঙ্কর হালদার
- সোমা ব্যানার্জী অন্নদা মা, প্রধান দাসী এবং মনি মায়ের বন্ধু এবং ধুলিবাড়ির জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসাবে
- মিষ্টির চরিত্রে সুজয় হবেন স্বামী সিদ
- চন্ডীচরণ মিস্টির দাদা এবং অরুন্ধতীর ছেলের চরিত্রে
- অরুন্ধতীর ছেলের চরিত্রে স্বর্ণভা সান্যাল
- অঘোরি তান্ত্রিক চরিত্রে দেবেশ রায় চৌধুরী
- রাজা কৃষ্ণ কিশোর ভট্টের চরিত্রে ভরত কৌল, ইরাবতি ও অরুন্ধতীর পিতা
- অগ্নিদেব ভট্টের চরিত্রে কৌশিক চক্রবর্তী
- শমু চরিত্রে চন্দ্রনীব মুখার্জি
- মিষ্টির মায়ের চরিত্রে মৌসুমী সাহা
- পুরোহিতের ভূমিকায় দুলাল লাহিড়ী
- গুরুদেবের চরিত্রে বাসুদেব মুখোপাধ্যায়
- মায়ার চরিত্রে স্বাগতা মুখার্জি (রুদ্রের মা)
- ময়না মুখার্জি
নির্মাণ
[সম্পাদনা]শুরু
[সম্পাদনা]রাজিব তান্দুন এই চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন। এই চলচ্চিত্রের বাজেট প্রায় ৬-৭ কোটি ভারতীয় টাকা। ২০০৯ সালের এই সুপারহিট চলচ্চিত্র করার অনুমতি নেয়ার জন্য অনেক ব্যয় করতে হয়েছে। অনেক বৈঠকের পর এই মূল্য গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে এসেছে।[৭]
চরিত্র নির্বাচন
[সম্পাদনা]কোয়েল মল্লিককে প্রথমবারের মত এই চলচ্চিত্র একজন যুদ্ধংদেহী নারীর চরিত্রে দেখা যায়।[৮] নিজের চরিত্র সম্পর্কে তিনি বলেছেন, "যতক্ষণ না তুমি ঝুঁকি নিচ্ছ, ততক্ষণ তুমি বুঝতে পারবে না যে তুমি কোন পর্যায়ে যেতে পারো। এই জীবনের-থেকে-বড় চরিত্রগুলোতে অভিনয় করাটা মোটেও সহজ না। প্রথমত এখানে বিষয়টিকে বিশ্বাস করতে হয়। আমি পুনর্জন্মে বিশ্বাস করি। হ্যাঁ বলে দেবার পর আমাকে অরুন্ধতীর শারীরিক ভাষা বুঝতে হয়েছে।"[৯]
দৃশ্যায়ণ
[সম্পাদনা]২৪শে অক্টোবর, ২০১৩ সালে অরুন্ধতীর দৃশ্যায়ণের কাজ শুরু হয়।[৭] অরুন্ধতী চলচ্চিত্রায়নের সময় কোয়েলকে খুবই ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছিল। তাকে ঘোড়ায় চড়া ও তলোয়ার চালানো শিখতে হয়েছিল। খ্যাতনামা প্রশিক্ষক বিক্রম রাঠৌর তাকে ময়দানে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।[১০] বোলপুর ও কলকাতাতে দৃশ্যায়ণ হয়েছিল।[৭] তার তলোয়ার চালানো কালারিপাত্তুর ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।[৯]
সঙ্গীত
[সম্পাদনা]এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গাঙ্গুলী। এর গান রচনা করেন তার স্ত্রী চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায়।
অরুন্ধতী | |
---|---|
কর্তৃক সঙ্গীত অ্যালবাম | |
ঘরানা | চলচ্চিত্রের গান |
প্রযোজক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ও সুরিন্দার ফিল্মস |
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | কণ্ঠশিল্পী(রা) | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১. | "হে নরপিশাচ[১১]" | চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায় | মোনালি ঠাকুর | ৩:৪৬ |
২. | "বরণডালা সাজা[১২]" | চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায় | মধুরা ভট্টাচার্য ও কোরাস | ৩:০১ |
৩. | "জয় জয় মা[১৩]" | চন্দ্রাণী গঙ্গোপাধ্যায় | কৈলাশ খের | ৪:২৯ |
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ২০২৪ সালে অরুন্ধতী এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর জন্য স্টার জলসা পুরস্কার।
পর্যালোচনা
[সম্পাদনা]আনন্দবাজার পত্রিকা চলচ্চিত্রের পর্যালোচনায় একে দেয় এবং বলে যে "এ ছবি হিট হতেই বাজারে এসেছে।" তারা কোয়েল মল্লিক, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তর দুর্দান্ত অভিনয়, জিৎ গাঙ্গুলীর অসাধারণ সঙ্গীত ও বাবা যাদবের খুব ভাল কোরিওগ্রাফির প্রশংসাও করেন।[৬] দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া চলচ্চিত্রের পর্যালোচনাতে বলে, "চলচ্চিত্রটির হিট হওয়ার যথেষ্ট বাঙালিয়ানা এতে রয়েছে।"[১৪] সংবাদ প্রতিদিন এর পর্যালোচনায় বলে, "সব মিলিয়ে 'অরুন্ধতী' দর্শক উপভোগ করেছে।"[১৫] আজকাল পত্রিকা চলচ্চিত্রের পর্যালোচনাতে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের খলনায়কত্ব এবং কোয়েল মল্লিকের অসাধারণের অভিনয়ের উচ্চকিত প্রশংসা করে।[১৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "নরমে-গরমে"। Ebela। ১ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৪।
- ↑ "এই স্বাধীনতা আমি বেছে নিয়েছি"। সংবাদ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Arundhati: New Kolkata Bangla Movie Preview; Another South remake to hit Tollywood soon"। Sholoana Bangaliana। ১৭ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "তরবারি নিয়ে যুদ্ধ শিখেছি, ভোটের যুদ্ধ পারব না"। দৈনিক আজকাল। ১৩ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৪।
- ↑ "PICS: Koel dazzles in her Arundhati avatar!"। টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংগ্রহের তারিখ জুন ৬, ২০১৪।
- ↑ ক খ "অরুন্ধতী : নারীশক্তির অভ্যুত্থান"। আনন্দবাজার পত্রিকা। ৩০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ গ "Koel as Arundhati"। Anandabazar Patrika। ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "আমি খুব জেদী"। এই সময়। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৪।
- ↑ ক খ "Canter queen"। দ্যা টেলিগ্রাফ (কলকাতা)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Different shades"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৩, ২০১৪।
- ↑ "Arundhati Song 1"। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Arundhati Song 1"। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৪।
- ↑ "Arundhati Song 1"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৪।
- ↑ "Arundhati"। The Times Of India। সংগ্রহের তারিখ মে ৩১, ২০১৪।
- ↑ "ফাটাফাটি ফ্যান্টাসি"। সংবাদ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "চোখধাঁধানো উদ্ভূতুড়ে"। আজকাল পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]