অয়ি বিষাদিনী বীণা, আয় সখী, গা লো সেই-সব পুরানো গান—

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অয়ি বিষাদিনী বীণা, আয় সখী, গা লো সেই-সব পুরানো গান— হল একটি রবীন্দ্রসংগীত। ১৪ ছত্রের এই গানটি[১] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতি-সংকলন গীতবিতান গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডের অন্তর্গত "জাতীয় সংগীত" অংশের ২ সংখ্যক গান। অনুমান করা হয় যে, এই গানটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত[২] সঞ্জীবন সভার (প্রতিষ্ঠাকাল ১২৮৩ বা ১২৮৪ বঙ্গাব্দ) অনুপ্রেরণায় রচিত এবং সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ স্বকণ্ঠে ১২৮৩ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন মাসে রাজা বদনচাঁদের টালার বাগানে হিন্দুমেলা প্রাঙ্গনে পরিবেশন করেছিলেন। সজনীকান্ত দাস অনুমান করেন, গানটির রচনাকাল ১৮৭৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮৭৮ সালের অগস্ট মাসের মধ্যবর্তী কোনও এক সময়।[১] কিরণশশী দে লিখেছেন, এই গানটি রবীন্দ্রনাথের বালক বয়সের রচনা - রচনাকালে তাঁর বয়স ছিল ১৩ কি ১৪ বছর মাত্র।[২] গীতবিতান সূচিপত্র গ্রন্থে এটির রাগ বাহার ও তাল কাওয়ালি বলে উল্লিখিত[৩] হলেও গানটির স্বরলিপি পাওয়া যায় না। দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত জাতীয় সঙ্গীত গ্রন্থের ২য় সংস্করণে (ভাদ্র ১২৮৫/অক্টোবর ১৮৭৮[৩]) গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই গ্রন্থের প্রথম সংস্করণে রবীন্দ্রনাথের কোনও গান অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এরপর নরেন্দ্রনাথ দত্ত (পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ নামে পরিচিত) ও বৈষ্ণবচরণ বসাক সম্পাদিত সঙ্গীতকল্পতরু গ্রন্থের (ভাদ্র ১২৯৪) "জাতীয়সঙ্গীত" বিভাগে গানটি সংকলিত হয়। দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত বাঙ্গালীর গান গ্রন্থেও (১৩১২) গানটি রবীন্দ্রনাথের নামেই রাগ ও তাল উল্লেখ সহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।[১] রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর প্রকাশিত গীতবিতান গ্রন্থের ৩য় খণ্ডে (আশ্বিন ১৩৫৭) গানটি "জাতীয় সংগীত" অংশে সংকলিত হয়।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রবীন্দ্ররচনাভিধান, ১৮শ খণ্ড, পৃ. ২৪৮
  2. রবীন্দ্র সঙ্গীত সুষমা, পৃ. .১৩০
  3. রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, পৃ. .৫
  4. গীতবিতান তথ্যভাণ্ডার, পৃ. ১২-১৩

উল্লেখপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • অনুত্তম ভট্টাচার্য, রবীন্দ্ররচনাভিধান, ১৮শ খণ্ড: গীতবিতান-দুই [প্রকৃতি-বিবিধ গান], দীপ প্রকাশন, কলকাতা, ২০১৮
  • কিরণশশী দে, রবীন্দ্র সঙ্গীত সুষমা, দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা, ২০১৪ সং
  • পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার (সংকলন ও সম্পাদনা), গীতবিতান তথ্যভাণ্ডার, সিগনেট প্রেস, কলকাতা, ২০১৯
  • সুরেন মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্র-সঙ্গীত-কোষ, সাহিত্য প্রকাশ, কলকাতা, ২০১০